এমনই কি হবে!: ফাবিহা হোসেন

মেয়েটার গাটা আজ একটু গরমই বোধ হলো।

ও কিছু না। সামনের এক সপ্তাহ কথা না-ও হতে পারে, বাবা। নিজের খেয়াল রেখো।
বুকে পাথরসম বোঝা আর শুকনো হেসে মেয়েকে জবাবে বললেন, ভালো থাকিস, মা।

শেষবারের মতো স্ত্রীর নিথর মুখটি যখন ছোট্ট মেয়েকে দেখানো হয়েছিল, তখন মেয়ের হাতে হাত রেখে বলেছিলেন, মামনি, আমি কখনো তোকে ছেড়ে যাব না।
আজ মেয়েকে দেখে মনে পড়ল সে কথা। ডাক্তার মেয়ে তার ব্যস্ততা রেখে ঘণ্টা তিনেক সময় বের করে বাবার কাছে এসেছে। বাবা আজ মহাখুশি। বাবার পিঠে চড়ে ঘোড়ার গাড়ি খেলা ছোট্ট মেয়ে এখন যোদ্ধা হয়ে করোনার যুদ্ধে লড়াই করছে। গর্বে, শঙ্কায় অশ্রু লুকায় বাবা তার।

মেয়ে চলে যাওয়ার পর মেয়ের রুমের বাতি নেভাতে গিয়ে খেয়াল হলো, বেখেয়ালি মেয়ে তার নিজ বিছানায় রুমালটি রেখে গেছে। খানিকটা হেসে নিজ হাতে রুমালটি ভাঁজ করে তুলে রাখলেন।

সপ্তাহখানেক পর বৃদ্ধ বাবা বিনা নোটিশে বিছানায় পড়লেন। খুব কষ্টে মেয়ের নম্বরে রিং করলেও সাড়া মিলল না কোনো অপর প্রান্ত থেকে। বাবা ভেবে নিল, মেয়ে বুঝি তার খুব ব্যস্ত!

কিন্তু এদিকে হসপিটাল বেডে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো মেয়ে বাবার কণ্ঠ শোনার জন্য ব্যাকুল হলো। অনুরোধে কর্তৃপক্ষ বাবাকে কল দিলেও ওপাশে তখন নিরুত্তর। ফোন ধরার কেউ নেই।

নিয়ম: ১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্যআলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট্যাগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্যআলো ডটকমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...।

কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন:
[email protected]
[email protected]