ডর: হানিফ মোল্লা

ডর-ভয় জিনিসডাই আমার জন্মেত্থন কম। কিন্তু...একদিন ফুট কইরা মনের ভিত্তে ঢুইকা গেল ডর! ছুডুবেলাত দাদিয়ে কইত, 'ভাইগো, কুত্তায় কানলে বিফদ অয়।' কতাডা বিশ্বাস করতাম না। যেদিন রাইতে বাজানে মইরা গেল, হেই দিন সইন্ধা রাইতভর আমাগো পোষা বাঘায় কানতাছিল। বাঘা আমাগো কুত্তার নাম। আমার লেহাপড়া জানা পোলায় কয়, 'বাজান,এইডি কুসংস্কার।'

মনরে বুঝ দিতাম ফারি না।

গেল বছর মসজিদের বাইরে কুত্তার কান্দন হুনলাম। হেই বছর পোকায় বেবাক ধান খাইয়া ফালাইল।

আহারে কষ্ট! খাওনের কষ্ট রে বাবারা! গেল মাসের থাইকা পাড়ার বেবাক কুত্তায় রাইতভর কান্দে।এতডি কুত্তার কান্দন আগে হুনি নাই জীবনে।

ডরে মাঝে মইধ্যে আমার ঘুমও আহে না এহন। টিভিত এর মাইঝেই কয়, কী নাকি করোনা আইছে দেশে।

দিন যাইতাছে, আর পাড়ার কুত্তাগুলার কান্দনও বাইড়া যাইতেছে। পাল্লা দিয়া বাড়তাছে আমার ডর।

চিন্তা করি, কুত্তায় কানলে যদি এমুন বিফদ, না জানি মাইনষে কানলে কত বিফদ আছে সামনে!

[নিয়ম: ১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্য আলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট্যাশগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্য আলোডট কমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...। কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন: [email protected] [email protected]]