প্রাণীদের চোখে লকডাউন

(খবর: বন্য প্রাণীরা ফাঁকা জনপদের দখল নিচ্ছে)

জনপদে বন্য প্রাণী, দ্বিধান্বিত চোখেমুখে বিপুল বিস্ময়:
ইতিউতি চেয়ে ভাবে: দৈবচক্রে এ তো কোনো স্বপ্নদৃশ্য নয়!
সকল সড়ক ফাঁকা, যত্রতত্র পড়ে আছে রকমারি গাড়ি,
কেবল মানুষ নেই—নিমেষেই কী কারণে কোথা দিল পাড়ি?

উল্লসিত শিল মাছ ছানাপোনা নিয়ে চড়ে শখের গন্ডলা—
ভেনিসের রানি যেন জলকেলি শেষে খায় পাটাতনে দোলা।
পুরীর সমুদ্রতীরে মহানন্দে ডিম পাড়ে পোয়াতি কাছিম
মানুষের ভয়ে যার সুরক্ষিত দেহযন্ত্র হয়ে যেত হিম।

শিশুপার্কে চিতাবাঘ, এ কী দৃশ্য স্বপ্নবৎ, অবিস্মরণীয়:
লেজুড় উঁচিয়ে নাচে প্রাণিকুলে মানুষের নিকট-আত্মীয়!
মালিকানা বদলে গেছে; জনহীন নগরীর শূন্য ফুটপাতে
চিতল হরিণ শুয়ে নিরিবিলি গল্প করে খরগোশের সাথে:

কেবল মানুষ নেই, তাই শুনি কমে গেছে বায়ুর দূষণ,
আহা যদি দৈবক্রমে এই সব সৌধরাজি হয়ে যেত বন!
ওরাও আসুক ফিরে পাতার পোশাক পরে আগেকার মতো;
নিশ্চিত বলতে পারি বহুগুণ সেরে যাবে পৃথিবীর ক্ষত।

জ্ঞানগম্যি আছে বলে ক্ষমতার দম্ভে ওরা ভুলেছিল ঠিক:
প্রকৃতির সংবিধানে আমরাও যে গ্রহটার কিছুটা মালিক!