খান রুহুল রুবেল-এর কবিতা

গলি

দুমুঠো দাঁড়াই এসে,

দুই পাশে ভিখারির গৃহ—

আকাশে মহিষ-মেঘ, তার শিং

আনমনে নিচে কাঁপে বল্গা ফড়িং!

তুমি তো এখানে নেই, দূরে থাকা সহো—

ক্রমশ গিয়েছ সরে, বাড়িবদলের মোহ।

সাপুড়ে

যে বিষ শুদ্ধ নয়, আমি তাকে পান করি না।

শুধু হিসহিস

শব্দ শোনা যায়, সাপ আসে না।

পাত্রের পিপাসায় ডুবে থাকি, এমন দোটানা—

ভেবে হাত দিই বিষে, হাতে উঠে আসে সোনা!

বহুবার আমি গেছি ঘর থেকে ঘরে,

লাঠির বদলে শুধু দুহাত বাড়িয়ে…

শুধু হিসহিস

শব্দ তুলে যায়, সাপ আসে না।

ছিন্নপত্র

কবে তুমি গাছে দুলিয়েছিলে পাতা?

পড়ে না আর মনে অন্য কোনো পথ,

আজও তুমি খুলে দেখেছ সেই খাতা?

আজান পড়ে আসে, উঠলে দুলে নথ।

কী ভেবে আমিও আজ এসেছি শহরে,

সারা রাত উল বোনো ছায়া পড়ে জলে।

কেদো বাঘ একা শুধু পরিক্রম করে—

ছড়ায় সোনার সুতো, প্রতিমামহলে।

আমাকে শমনে রাখে রাজার সিপাহী

ভিনদেশে আমি কেন কেটেছি ফসল?

দূরের কবরে বসে কাঁদে পিতামহী,

‘যাসনে যাসনে ভাই! অনেক জঙ্গল!’

তুমিও গিয়েছ ভুলে কবে কোন শীতে,

উঠানে ছড়ালে তিসি বিবাহগীতিতে।

মাছের সন্ধান পেয়ে কী জাল তুলেছ?

কেন মিছে গ্রামদেশে হরিণই পুষেছ?