জহির রিপন-এর কবিতা

সন্ধ্যাকালে
এইখানে সন্ধ্যাকালে পাখিরা আসে
কেননা একটা মা পাখি বাসা বেঁধেছে
বাচ্চা পাখি নিয়ে রেইন্ট্রিগাছের ডালে।
এইখানে আমিও আসি, সন্ধ্যা হলে
পাখি নই তো, নই তো পাখির বাচ্চাও
কেন আসি তবে রেইন্ট্রি গাছের তলে!
আমার বাহিরে যে পাগল ঘুরে বেড়ায় দিনমান
আমার ভেতরে ঢুকে ঘাপটি মেরে সে বসে থাকে;
বসে থাকে চুপচাপ, যতটা না সে থাকে।
ঝিঁঝি ডাকে, জোনাকির ওড়াউড়ি কাছে দূরে
শুনে, দেখে আর আরও বেশি চুপ হয়ে থাকে।
রেইন্ট্রিগাছের ডাল থেকে পাখির কান্নার শব্দ আসে
ধ্যানমগ্ন এই সব শোনা আর দেখায় বিঘ্ন ঘটে;
সেখানে একটা মা পাখি বাসা বেঁধেছে
সন্ধ্যাকালে ফিরে এসেছে বাচ্চা পাখির কাছে,
আমিও; আমার মা ঘুমিয়ে আছে রেইন্ট্রিগাছের তলে।

আত্মপরিচয়

শিমুলগাছ আমার বাবা
শিমুল ফুল আমার মা
শিমুল ফল মায়ের গর্ভ
গর্ভ ছিঁড়ে আমি সেই তুলো
—মানুষের পৃথিবীতে উড়ছি

একটি আশাবাদের কবিতা

আমি সেই ছুরি, যার দিকে তাকিয়ে ভাবছ
সবচেয়ে ধারালো—এই আমি
ঘাড় থেকে তোমার কেটে নেব মাথা,
দ্বিখণ্ডিত করে দেব দেহ, দেব মুক্তি।
বন্ধু, তবে শোনো
প্রায় অন্ধকার একটা কামারশালায় আমার জন্ম।
আমি জানি, হাপরের বাতাস কী করে ছড়ায় দাবানল!
আমি বুঝি, কাকে বলে দহন!
বন্ধু, এই আমিই সেই ছুরি, সবচেয়ে ধারালো

কামারশালায় সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছি।