সান্ধ্যদেশের অন্ধগলি

রক্তে তোমার
মাংসে তোমার
দুঃখগুলো বিঁধে আছে,
রাত্রি অনেক
খাবারও নেই
বলো, তোমার খিদে আছে?


হাই তুলেছে
ঘরবাড়ি সব
দরজা গেছে আনতে কাকে!
অর্থ যখন
পাল্টে গেল
ফুল ডেকেছি পাথরটাকে!


আজব ম্যাটার
স্বভাব ব্যাটার
দেখলে ফুলের পিত্তি জ্বলে!
শঙ্কা–ডরে
থাকছি ঘরে
সাহস গেছে শপিং মলে।


কী হাল হলো
তোমার তবে
এমনভাবে নিভলে কেন?
পথের খোঁজে
যাচ্ছ যখন
আমার জন্য হাঁটা এনো!


‘হ্যাঁ’-এর পাশে
‘না’টা কেমন
দোলায় নিজের অশান্ত ডাল!
বোঝার তরে
নিকট শয়ান—
উড়াল তখন হলো নাগাল।


হলুদ করো
লালকে এবার
নীলকে করো পদ্মনাভি,
ঘূর্ণিস্রোতে
উল্টে পড়া
তিরকে করে ধনুক দাবি।


একটা সন্ধ্যা
গাছের তলায়
থমকে আছ শান্ত বিষে,
মুখটা যেন
দিগন্ত-দূর
এমনভাবে যাচ্ছ মিশে।


বেবাক নিয়ে
অবাক হলে
আকাশটা চায় উল্টা হতে,
কয়টা তারা
শূন্যে ঘুরে
চাইছে একে অপর ছুঁতে।


তোমার চাওয়া
সেই আবহাওয়া
শুনছ? মনে বজ্রনিনাদ—
ডুবন্ত ঢাল
নদীর কূলে
ছিটকে পড়ে ভাসছিল চাঁদ!


কাঁপছিল বন
মাঘের শীতে
হরিণ শুয়ে বাঘের ওমে,
সাগরটাকে
রাগতে দেখে
সূর্য গেল অস্তে নেমে।


পাহাড় থেকে
ছুটছে নদী
ঘুরতে যাবে পাশের দেশে,
ঘুমের ভেতর
নানান স্মৃতি
রাতবিরাতে আনছে কে সে!


চোখের নিচের
গভীর খাদের
অতল থেকে আসে ধ্বনি,
হাড় সরিয়ে
বুকের তলে
মিলতে পারে লোহার খনি?

ঠান্ডা শীতল
এবং পিতল
ভয় করে ওহ্ বিজন বলে!
আঁধার সরাও
তরঙ্গহীন
চোখের তীরে যাচ্ছি গলে।

কী পাব আর
পাল কুয়াশার
জাহাজ হয়ে দিনটা ছোটে!
ধনুকশরীর
রং ও জরির
ঘ্রাণ পেয়েছে অলীক ঠোঁটে।

দেখাও মুঠি
হে ভ্রুকুটি
করতলে কয় শ বছর?
চুপটা বড়
অসহ্য আজ—
কোথায় পেলে এই অগোচর!


দেখো তো কাল
চিনতে পারো
এইটা তোমার নষ্ট ঘড়ি?
আচমকা ঢেউ
আনল তুলে
কী সব যেন সুলুক করি!


ছিদ্রপথে
নামায় এল
সান্ধ্যদেশের অন্ধগলি।
সমস্তে তাই
টলছে শরীর
পালায় হঠাৎ পাকস্থলি!

অন্য আলোয় লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]