মিনার মনসুরের দুটি কবিতা

আমি তার তাজা ঘ্রাণ পাচ্ছি

যদি বলি, জরাজীর্ণ পাতাই তো—ঝরেই যেতাম
কোনো এক চৈত্রে—ঝড়ে কিংবা বিনা ঝড়ে;
ক্ষতি কী আজই যদি চুকেবুকে যায়
সব হিসাবনিকাশ! মুশকিল হলো—
জগদীশচন্দ্র বসু অপঠিত রয়ে গেল আজও!
পাতাও কি ফেলে দীর্ঘশ্বাস? বলো, কে দেবে উত্তর
এই গূঢ় রহস্যের? শেষাবধি কে-বা চায় যেতে?
যখনই যাও, বন্ধু, কিছু মনস্তাপ পোষা কুকুরের মতো
ঠিকই ঠুকবে মাথা নির্বিকার চৌকাঠে তোমার।
যার মনস্তাপ নেই সে থাকে মর্গের নীল বরফশয্যায়;
মাছিও এড়িয়ে চলে তাকে। তোমার ক্ষুধার্ত থাবা—
জানি, খুব দূরে নয় তার প্রার্থিত শিকার থেকে।
কিছুই নেবার নেই, কাউকে বলার নেই কিছু।
বৃথাই তোমার সব লম্ফঝম্প—হতোদ্যম হিটলার জানে।
কেননা বোতলবন্দী তোমার গর্জন পায়ে দলে
আমাদের সন্তানেরা ছুটছে সামান্য ফড়িং আর
প্রজাপতির পেছনে—আমি তার তাজা ঘ্রাণ পাচ্ছি...।

তবু বুক কাঁপে

বলছি বটে যে—পাচ্ছি না ভয় মোটে;
ডুবলে ডুবুক নাগ-নাগিনীর ভোটে—
অনেক সাধের সপ্তডিঙ্গাখানি;
বণিকের মাথা ঠিক উঁচু রবে, রানি!
বলছি বটে যে—যত জারিজুরি তার
জানা আছে সব; করি না পরোয়া আর!
দেবী বা ডাকিনী—কীই-বা আসে যায় তাতে—
কলিজাই খাবে কিংবা মারবে ভাতে!
বলছি বটে যে—তৈরি হয়ে আছি; মাছি
দেখুক মানুষ—কলজেটা ধরে আছি!
শবভুক তুমি—তোমার দৌড় তো জানি—
তবু বুক কাঁপে—কাঁপছে ভুবনখানি।

অন্য আলোয় লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]