শুভ জন্মদিন, প্রিয় মহাদেবদা

আজ কবি মহাদেব সাহার জন্মদিন। কবির জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে লিখেছেন আনিসুল হক

শুভ জন্মদিন, প্রিয় মানুষ, প্রিয় কবি মহাদেব সাহা। আমি তাঁকে ডাকি মহাদেবদা। কত বছর ধরে ডাকি। কমপক্ষে ৩৫ বছর ধরে এই নামে তাঁকে ডাকি।

ঢাকায় পড়তে আসি ১৯৮৪ সালে। থাকি শহীদ স্মৃতি হলে। সেই সময় আমাকে কবিতায় পেয়েছে। কবিতার কামড়ে অস্থির যুবা আমি। মনে হয়, শুধু কবিতার জন্য এই জন্ম, কবিতার জন্য এই বেড়ে ওঠা। কবিতার জন্য এই মৃত্যু।

কবিদের মধ্যে সবার আগে আমার সঙ্গে খাতির হয় মহাদেব সাহার। কী করে হলো, তা জানি না। শহীদ স্মৃতি হলে সাহিত্য–সংস্কৃতি সপ্তাহ হতো। সেখানে কবিতা রচনার জন্যও পুরস্কার থাকত। আমার কবিতা আমি জমা দিলাম। পরে মহাদেব সাহার সঙ্গে দেখা হলে তিনি বললেন, ‘তুমি আনিসুল হক। তোমার কবিতার আমি বিচারক ছিলাম। তুমি তো কবিদের মতো কবিতা লেখো।’ কথাটা তিনি আমাদের হলের উদ্যোক্তাদেরও বলেছিলেন। এই ছেলেটির কবিতা কবিদের কবিতার মতো। ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। রংপুর থেকে কেবল এসেছি। এই ধরনের কথা শুনলে কে না আত্মবিক্রীত হয়ে যায় (আত্মবিক্রীত কথাটা রবীন্দ্রনাথের ‘ছুটি’ গল্প থেকে নিলাম)।

আমি তখন মহাদেবদার বাড়িতে নিয়মিত যেতাম। আজিমপুরে চায়না বিল্ডিংয়ের গলিতে ছিল তাঁর বাসা। তাঁর দুই ছেলে, তীর্থ আর সৌধ আমাকে ডাকত মিটুন কাকু। তীর্থ-সৌধর জন্য টিচার দরকার। আমার বন্ধু মাহমুদকে নিয়োগ করা হলো। নীলা বউদি খুব ভালো মাছের ঝোল রাঁধতেন। মাছের গন্ধ পাওয়া বিড়ালের মতো আমরা নীলা বউদির বাসায় সন্ধ্যার পর আলতো পায়ে হাজির হতাম। মৃদু পায়ে। মহাদেবদা মৃদু মানুষ। অতি অল্পে ভেঙে পড়েন। তাঁর সামনে উচ্চকিত হওয়া যায় না। দাদার দেয়ালজোড়া আলমারিভর্তি বই আর বই। হাঁ করে দেখতাম।

মহাদেব সাহা আমাকে কয়েকটা উপদেশ দিয়েছিলেন।
১. যদি কবি হতে চাও, গদ্য লিখো না। যে গদ্য লেখে, লোকে আর তাকে কবি হিসেবে গণ্য করতে চায় না। ১৯৮৯ পর্যন্ত তাঁর উপদেশ আমি মেনে নিয়েছিলাম। তাতে উপকারও পেয়েছিলাম। আমার বুয়েটের বন্ধুরা আমাকে কবি বলে ডাকত। তারপর যেই না গদ্য লিখতে শুরু করলাম, অমনি লোকে আমাকে কথাসাহিত্যিক বলতে শুরু করে দিল।

২. রেগে কোনো লেখা লিখো না। রাগ কোনো মহৎ সাহিত্যের জন্ম দিতে পারে না। যদি তোমার ক্রোধ হয়ও, তুমি সময় নাও। রাগ কমে গেলে তারপর লেখো। তখন তোমার রাগ কমে গিয়ে শিল্পের সংহতিটা আসবে।

এই উপদেশটা আজকাল রোজ মনে পড়ে। রাগ দমন করি। সময় নিই। রাগ পড়ে যায়। তারপর লিখি...সঙ্গে সঙ্গে কি–বোর্ড চালাই না। কখনো কখনো ফেসবুকে লিখে ‘অনলি মি’ করে রেখে দিই। রাগের মাথায় লিখে ফেলা রচনা ভালো লেখা হিসেবে গণ্য হয় না।

এইভাবেও লিখতে পারি, তাঁর কবিতায় আছে প্রেম, দাহ, প্রকৃতি, নারী, রাজনীতি, সাম্যবাদ। এ কথা বলার পর এখন বরং বলি, শুভ জন্মদিন কবি মহাদেব সাহা। বারবার ফিরে আসুক এই দিনটি। কবি মহাদেব সাহা, মহাদেবদাকে আমরা ভালোবাসি। কারণ, তিনি তাঁর জীবন বাংলা কবিতার জন্য উৎসর্গ করছেন। একজন সুন্দর মানুষ সারাটা জীবন সুন্দরের সাধনা করেছেন। আমরা তাঁকে ভালোবাসি।

৩. মহাদেবদার এই কথাটা সবচেয়ে মারাত্মক। আমি মনে করি, এটা প্রচার করার মতো একটা কথা। একদিন কথায় কথায় দাদা বললেন, ‘আচ্ছা এই যে সারাটা জীবন পাঞ্জাবি পরলাম, চুল বড় রাখলাম, সে তো কবি হব বলে। আমার কি চুল সুন্দর করে ছেঁটে কোট-প্যান্ট-টাই-জুতা পরে গটগট করে চলতে কোনো দিনও ইচ্ছা করেনি! কেন করিনি? কারণ, আমি কবি হতে চেয়েছি। এটা একটা উদাহরণ দিলাম মাত্র। আমার সারাটা জীবনই কি আমি কবিতার জন্য উৎসর্গ করে দিইনি? এর কি কোনো মূল্য নেই?’

আমার কাছে এই কথাটা খুব মূল্যবান বলে মনে হয়। একজন মানুষ কবিতার জন্য, শিল্পের জন্য জীবনে কতটুকু ছাড় দিয়েছে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বুদ্ধদেব বসুর একটা লেখায় পড়েছিলাম, আর্ট কী! তিনি বলেছেন, আর্ট হওয়ার জন্য আর্টিস্টের অভিপ্রায় থাকতে হবে যে আমি যা করছি তা আর্ট। একটা গাছের শুকনো ডাল বাগানে পড়ে আছে, এটা আর্ট নয়। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী যখন সেটাকে তুলে এনে একটা বেদিতে বসান, তারপর গ‌্যালারিতে প্রদর্শন করেন, তখন সেটা আর্ট হয়। ই এইচ গমব্রিচের একটা ভুবনবিখ্যাত বই আছে। ‘দ্য স্টোরি অব আর্ট’। ইয়া মোটা বই, ৭০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের হুকুমে আমি এই বই দুটো কিনে আমার পড়ার টেবিলে রেখে দিয়েছি। (তা নাহলে বইয়ের বিক্রি দুই কপি কম দেখাতে হতো) এই বইয়ের প্রথম দুটো লাইনে আর্ট সম্পর্কে একটা অসম্ভব সত্য কথা বলা হয়েছে: ‘দেয়ার রিয়েলি ইজ নো সাচ থিং অ্যাজ আর্ট, দেয়ার আর অনলি আর্টিস্টস।’ শিল্প বলতে কিছু নেই। যা আছে তা হলো শিল্পী।

শিল্পী কে? যে নিজেকে পোড়ায়! এস এম সুলতান বড় শিল্পী। অনেক কারণের মধ্যে এটাও একটা কারণ যে তিনি শিল্পীর জীবনযাপন করেছিলেন!

মহাদেব সাহা, নির্মলেন্দু গুণ, আবুল হাসানেরা নিজেদের পুড়িয়েছেন। তাই তাঁরা শিল্পী। আর শিল্পী যা প্রস্তুত করে শিল্প বলে আমাদের সামনে হাজির করবেন, আমরা তা ভালো বলব বা খারাপ বলব, কিন্তু তাকে ফেলে দিতে পারব না।

৪. মহাদেবদা একদিন বললেন, শোনো, একজন সমালোচক আমার কবিতার আলোচনায় লিখেছে, আমার ছন্দে ভুল আছে। আমি বললাম, ভুল ধরতেও তো ভুল হতে পারে।

আমি মনে করি, এটাও একটা মনে রাখার মতো কথা। আমরা যারা অল্প পানির মাছ, একটু বেশি লাফ দিই, তাদের মনে রাখতে হবে যে কবিতা অনেক রকম। বাংলা কবিতার ছন্দ অনেক বেশি ফ্লেক্সিবিলিটি ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে অক্ষরবৃত্তে। মহাদেব সাহার কবিতা থেকেই উদাহরণ দিই:

‘ক্ষুধার দীর্ঘ গ্রীবা স্থবির জন্তুর মতো মেলে দেয় লোলুপতা।’

ক্ষুধার সুদীর্ঘ গ্রীবা কিংবা ক্ষুধার দিঘল গ্রীবা করলে হয়তো ছন্দ তথাকথিত শুদ্ধ হতো। কিন্তু দীর্ঘ বানানটা যদি দীরঘ হয়ে যায়, তখনই এই ছন্দ শুদ্ধ। দ্বিতীয় শুদ্ধতাটা চোখের। কিন্তু ছন্দ হলো কানের ব্যাপার। আরেকটা উদাহরণ দিই। এবার আবুল হাসান থেকে:

‘উদিত দুঃখের দেশ, হে কবিতা, হে দুধভাত তুমি ফিরে এসো’

হে দুধভাত থেকে হে তুলে দিলে ছন্দটা দেখতে ভালো হয়। কিন্তু আপনি যদি দুধ্‌ভাত করে পড়েন, তাহলেই ‘হে দুধ্‌ভাত’ ঠিক।
তাই মহাদেব সাহাই ঠিক—ভুল ধরতেও ভুল হতে পারে।
মহাদেব সাহার বহু কবিতা আছে স্মরণীয়।
বহু কবিতা আছে মানুষের মুখে মুখে ফেরে। কবিতার বইয়ের নামগুলোও খুব সুন্দর: ‘এই গৃহ এই সন্ন্যাস’, ‘মানব এসেছি কাছে’, ‘চাই বিষ অমরতা’, ‘কী সুন্দর অন্ধ’, ‘তোমার পায়ের শব্দ’।
মহাদেব সাহার কবিতা কোমল, মৃদু, স্নিগ্ধ, পরিপাটি।
একটা কবিতা পড়ুন:

চৈত্রের চিঠি

চৈত্রের এই শেষ রজনীতে
তোমাকে পাঠাই বিব্রত খাম,
লিখেছি কি তাতে ঠিক মনে নেই
তবু এই চিঠি, এই উপহার!
তোমার খামে কি আদৌ লিখেছি
স্বপ্নের মতো স্মরণীয় নাম?
তাও মনে নেই; আমি শুধু জানি
তবু এই চিঠি তোমারই জন্যে।
যদি কোনোদিনও মলিন চিঠিটি
পৌঁছবে না গিয়ে সেই ঠিকানায়
বছর এমনি আসবে ও যাবে,
ভাসবে না তবু যুগল কলস!
আমি বসে আছি, তুমিও কি পারো
তাহলেই থামে কালের যাত্রা
এই চিঠিখানি অনন্তকাল
তাহলেই পারে সাহসে উড়তে।
তাহলেই শুধু ক্ষীণ ভরসায়
সময়কে বলি, একটু দাঁড়াও!
(‘ধুলোমাটির মানুষ’)

‘চিঠি দিও’ শিরোনামের কবিতাটা তো এরই মধ্যে প্রবাদপ্রতিম প্রসিদ্ধি অর্জন করেছে। অজকাল তরুণ-তরুণীরা এই কবিতাটি নিজেদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস হিসেবেও ব্যবহার করে:

চিঠি দিও

করুণা করে হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও
আঙুলের মিহিন সেলাই

ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও,
এটুকু সামান্য দাবি, চিঠি দিও, তোমার শাড়ির মতো
অক্ষরের পাড়-বোনা একখানি চিঠি।

চুলের মতন কোনো চিহ্ন দিও বিস্ময় বোঝাতে যদি চাও…
বর্ণনা আলস্য লাগে তোমার চোখের মতো চিহ্ন কিছু দিও!

আজো তো অমল আমি চিঠি চাই, পথ চেয়ে আছি,
আসবেন অচেনা রাজার লোক
তার হাতে চিঠি দিও, বাড়ি পৌঁছে দেবে…
এমন ব্যস্ততা যদি শুদ্ধ করে একটি শব্দই শুধু লিখো, তোমার কুশল! ...

করুণা করে হলেও চিঠি দিও, ভুলে গিয়ে ভুল করে একখানি চিঠি
দিও খামে
কিছুই লেখার নেই তবু লিখো একটি পাখির শিস
একটি ফুলের ছোট নাম,

টুকিটাকি হয়তো হারিয়ে গেছে কিছু, হয়তো পাওনি খুঁজে
সেইসব চুপচাপ কোন দুপুরবেলার গল্প
খুব মেঘ করে এলে কখনো কখনো বড় একা লাগে, তাই লিখো

করুণা করে হলেও চিঠি দিও, মিথ্যা করে হলেও বোলো, ভালবাসি!

এই কবিতা তো জনপ্রিয় হয়েছে বটেই। কিন্তু আমার দুটো ভীষণ প্রিয় কবিতা আমি এখানে উল্লেখ করব। ১. কফিন কাহিনী, ২. তোমার বাড়ি:

কফিন কাহিনী

চারজন দেবদূত এসে ঘিরে আছে একটি কফিন
একজন বলল দেখো ভিতরে রঙিন
রক্তমাখা জামা ছিল হয়ে গেছে ফুল
চোখ দুটি মেঘে মেঘে ব্যথিত বকুল!
চারজন দেবদূত এসে ঘিরে আছে এক শবদেহ
একজন বলল দেখো ভিতরে সন্দেহ
যেমন মানুষ ছিল মানুষটি নাই
মাটির মানচিত্র হয়ে ফুটে আছে তাই!
চারজন দেবদূত এসে ঘিরে আছে একটি শরীর
একজন বলল দেখো ভিতরে কী স্থির
মৃত নয়, দেহ নয়, দেশ শুয়ে আছে
সমস্ত নদীর উৎস হৃদয়ের কাছে!
চারজন দেবদূত এসে ঘিরে আছে একটি কফিন
একজন বললো দেখো ভিতরে নবীন
হাতের আঙুলগুলি আরক্ত করবী
রক্তমাখা বুক জুড়ে স্বদেশের ছবি!

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কত কবিতাই তো লিখিত হলো, কিন্তু এত সুন্দর কবিতা কমই আছে। এর ইমেজ, কল্পনা, ছন্দ, নিটোলত্ব—সবটা মিলিয়ে এই কবিতা বাংলাদেশের একটা শ্রেষ্ঠ কবিতা।

আরেকটা কবিতা। সেটাও বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই। আমার ‘আলো-আঁধারের যাত্রী’ বইতে কবিতাটা আমি পুরো উদ্ধৃত করেছি:

তোমার বাড়ি

এই বাড়িটি একলা বাড়ি কাঁপছে এখন চোখের জলে
ভালোবাসার এই বাড়িতে তুমিও নেই, তারাও নেই!
এই বাড়িটি সন্ধ্যা-সকাল তাকিয়ে আছে নগ্ন দুচোখ
একলা বাড়ি ধূসর বাড়ি তোমার স্মৃতি জড়িয়ে বুকে
অনাগত ভবিষ্যতের দিকেই কেবল তাকিয়ে থাকে,
কেউ জানে না এই বাড়িটি ঘুমায় কখন, কখন জাগে
স্তব্ধ লেকের কান্নাভেজা এই বাড়িটি রক্তমাখা!
এই বাড়িতে সময় এসে হঠাৎ কেমন থমকে আছে
এই বাড়িটি বাংলাদেশের প্রাণের ভিতর মর্মরিত,
এই বাড়িতে শহীদমিনার, এই বাড়িতে ফেব্রুয়ারি
এই বাড়িটি স্বাধীনতা, এই বাড়িটি বাংলাদেশ
এই বাড়িটি ধলেশ্বরী, এই বাড়িটি পদ্মাতীর
এই বাড়িটি শেখ মুজিবের, এই বাড়িটি বাঙালীর!

মহাদেব সাহার কবিতা আমরা পোস্টার করে, লিফলেট করে নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনে বিলি করেছিলাম:

‘বাংলাদেশ চায় না তোমাকে তুমি চলে যাও, যাও...’

আর এই কবিতাটা আমি প্রায়ই একা একা গুনগুন করি:

‘তোমার ছবি টাঙাতে পারি না ঘরে,
তাই তো আমার দেয়াল শূন্য রাখি,
আমার বুকের গভীর ভালোবাসায়
উন্নতশির তোমার ছবি আঁকি।’

এটাও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা।

কবি মহাদেব সাহা ১৯৪৪ সালের ৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন, পাবনা জেলার ধানঘড়া গ্রামে। আজ তাঁর ৭৬ বছর পূর্ণ হলো।

আমি এভাবেও লিখতে পারি, তাঁর কবিতায় আছে প্রেম, দাহ, প্রকৃতি, নারী, রাজনীতি, সাম্যবাদ। এ কথা বলার পর এখন বরং বলি, শুভ জন্মদিন কবি মহাদেব সাহা। বারবার ফিরে আসুক এই দিনটি। কবি মহাদেব সাহা, মহাদেবদাকে আমরা ভালোবাসি। কারণ, তিনি তাঁর জীবন বাংলা কবিতার জন্য উৎসর্গ করছেন। একজন সুন্দর মানুষ সারাটা জীবন সুন্দরের সাধনা করেছেন। আমরা তাঁকে ভালোবাসি।

অন্য আলো অনলাইনে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]