
টুথলেসকে তোমাদের মনে আছে? সেই যে ড্রাগন, যাকে সাগরপারের ভাইকিংদের সবাই ডাকত ‘রাতের আতঙ্ক’ নামে? ড্রাগনরা ছিল বার্ক গ্রামের এই মানুষগুলোর মহাশত্রু—বাড়িঘর জ্বালিয়ে আর খাবার কেড়ে নিয়ে জীবন অতিষ্ঠ করত। শেষে কিশোর হিকাপ আর তার বন্ধুদের কারণে ভুল ভাঙে গ্রামের মানুষের। ড্রাগন আর মানুষ মিলেমিশে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে।
ঠিকই ধরেছ, বলছি হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন ছবির কিশোর হিকাপ আর তার ড্রাগন বন্ধু টুথলেসের কথা। সম্প্রতি বেরিয়েছে এই ছবিটির দ্বিতীয় পর্ব, হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন টু। কী আছে এই ছবিতে? আছে আগের ছবিটার মতোই দারুণ হাস্যরস আর অনেক বেশি রোমাঞ্চ!
মানুষ আর ড্রাগন বন্ধু হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে পাঁচটি বছর। বার্ক গ্রামে এখন ড্রাগনরা মহাসুখে থাকে, তাদের জন্য আছে মজার মজার খাবার আর বিশ্রামের সুবিধা। দিনভর টুথলেসের পিঠে চড়ে মেঘের ফাঁকে ঘুরে বেড়িয়ে আর সমুদ্র চক্কর দিয়ে মহানন্দে আছে হিকাপও। এর ফাঁকে একদিন হিকাপ আবিষ্কার করে বসে একটি নতুন দ্বীপ, যেখানে দেখা পায় কিছু ড্রাগন-শিকারির। ড্রাগো ব্লাডভিস্ট নামে আছে একজন ভয়ংকর পাগলাটে লোক। তার জন্য ‘ড্রাগন আর্মি’ বানাতেই শিকারির দল বন্দী করে নিয়ে আসে ড্রাগনদের।
ড্রাগনদের বাঁচাতে হিকাপ আর অ্যাসট্রিড ড্রাগো ব্লাডভিস্টের সঙ্গে কথা বলতে চায়। কিন্তু বিপদের আশঙ্কায় হিকাপের বাবা তাতে রাজি না হয়ে সবাইকে বলে যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে। আর কোনো উপায় না পেয়ে পালিয়ে যায় হিকাপ আর অ্যাসট্রিড। মেঘের আড়ালে হিকাপ ধরা পড়ে রহস্যময় একজন ড্রাগন-সওয়ারির হাতে। ওদিকে টুথলেস ডুবে যায় বরফের পানিতে। একা উড়তে না পারা টুথলেস কীভাবে নিজেকে বাঁচাবে পানিতে ডুবে মরা থেকে? রহস্যময় সেই ড্রাগন-সওয়ারির আছে বিশেষ একটা পরিচয়, কে সে? হিকাপকে খুঁজে না পেয়ে ড্রাগন শিকারি এরেটকে অপহরণ করে হিকাপের অন্য বন্ধুরা। এরেট তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে আসে ড্রাগো ব্লাডভিস্টের ডেরায়।
অন্যদিকে, ড্রাগনদের রাজা আলফাকে বন্দী করতে বিশাল সব জাহাজ আর শত শত সেনা নিয়ে হানা দেয় কুচক্রী ড্রাগো। এখানেই আছে হিকাপ ও টুথলেস। খানিক বাদে হিকাপের বন্ধুরাও এসে পৌঁছায়।
কিন্তু ড্রাগো ততক্ষণে বন্দী করতে শুরু করেছে পাহাড়ের নিরীহ ড্রাগনদের। কৌশলে টুথলেস আর অন্যান্য ড্রাগনকেও ধরে নিয়ে যায় সে। ড্রাগন বন্ধুদের হারিয়ে হিকাপ এখন কী করবে? কীভাবে রক্ষা করবে তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু টুথলেস ও অন্য ড্রাগনদের? কীভাবে সে থামাবে ড্রাগো ব্লাডভিস্টের ভয়ংকর অভিযান?
জানতে চাও? তবে আর অপেক্ষা কিসের...হোমওয়ার্কটা শেষ করেই বসে যাও ছবিটি দেখতে!