সবার আগে
সৈয়দ আল ফারুক
খাওয়ার আগে হাত
খাওয়ার পরে দাঁত
রাতের আগে সারাটা দিন
দিনের পরে রাত।
বসার পরে শোয়া এবং
শোয়ার পরে কাত
বাজির পরে জেতার মানে
দারুণ বাজিমাত।
সাতের আগে ছয় হবে, না
ছয়ের পরে সাত
এইটা আগে ওইটা পরে
নানান অজুহাত!
এসব শুনে টোকাই বলে
সবার আগে ভাত।
ফাঁদ
মুকুল শাহরিয়ার
রাত্রি যেদিন ঘুটঘুটে আর আকাশে নেই চাঁদ—
এমন রাতেই পাতবে ওরা মানুষ ধরার ফাঁদ!
সেই না ফাঁদে আটকে গেলে কাণ্ড শুরু যা–তা,
শরীর শুধু মোচড়াবে আর বিগড়ে যাবে মাথা।
নিকটজনও যায় না চেনা, পরকে লাগে আপন,
শীতের রাতে ঘাম ছুটে যায়, গরমে হয় কাঁপন!
মুখে কথার তুবড়ি ছোটে, বেজায় লাগে খিদে,
শক্ত শেকল যায় তো ছেঁড়া ক্ষিপ্ত মনের জিদে।
কিন্তু সবই উঠবে লাটে এলে পরে ওঝা—
শ্যাওড়াতলায় ফাঁদটা ফেলে ঠিক পালাবে সোজা!
ওরা কারা? তাও বোঝোনি এটুক পড়ার বাদে—
তবে তুমি পড়বে ঠিকই ভূত বাবাজির ফাঁদে!
হাতি আর নাতি
এস এম শহীদুল আলম
বনটা ছেড়ে গাঁয়ে এল থপাস থপাস হাতি,
সফরে তার সঙ্গী হলো প্রিয় ছোট্ট নাতি।
গাঁয়ের বুকে ছিল আবার কলাগাছের মেলা,
এসব দেখে নানা–নাতির জমল দারুণ খেলা।
খেলতে খেলতে বাপরে তাদের কী যে মাতামাতি,
এমন সময় মটাশ করে ভাঙল বুকের ছাতি!
ভাঙলে ছাতি বলল লোকে, ‘বুঝবে এবার ঠ্যালা!’
বনের হাতি বনেই ফিরে গেল সকালবেলা।