আমার মহারাত্রি
আমার সিদ্ধিদাতা এল রাত করে।
তার সঙ্গে মাখামাখি শেষে একটুকুন
বিচলিত হয়ে একটা নরম পাথরের
মতো বসে আছি দীর্ঘ বারান্দায়।
কাছের কুয়াশাঘেরা অন্ধকার, দূরের
আলো, পুকুরে মাছের ঘাই আর
নতুন গাছ থেকে পুরোনো পাতা ঝরার
শব্দ আমাকে পাহারা দিচ্ছে।
আমার গায়ের আধভেজা চাদর দুলিয়ে
আমাকে ভুলিয়ে নিতে হঠাৎ করে
ডেকে উঠছে একটা-দুটো পাখি,
অজস্র পত্রপল্লবের আড়ালে বাজছে
তার প্রতিধ্বনি—আছি, জেগে আছি।
কিন্তু দীর্ঘ প্রবাসকাল পেরিয়ে আমার
জন্মভিটার এই মহারাত্রির কোনো
প্রহরেই আমি সাড়া দেব না।