আশ্বিনের শারদপ্রাতে

ইটের রাস্তার দুপাশে অন্ধ গাছের সারি

দেখেনি আমাকে কোনো দিন

আমি দাঁড়িয়েছিলাম তোমাদের ঘরের পাশে

বড় আঙিনার মাঝখানে ঠাকুরঘর

তার আগে পুকুর, পুকুরের পাড়ে বড় নিমগাছ।

সেই পথে হেঁটে যাই আজও

মিঠু মিঠু বলে ডেকে গেছে

তোমার বাবা, সেই কখন

তার ধ্বনি প্রতিধ্বনি ধরে

ধীরপায়ে হেঁটে আসে হাঁসেরা

বিস্মৃতির ভাত খায় তারা খুঁটে খুঁটে।

রাস্তা নয়, যেন রক্ত লেপে দিয়েছে কেউ

সেই পথে আমাকে আড়াল করে কতবার

পুকুরের ঢেউ গুনেছি

তোমার সই জল থেকে মাথা তুলে বলেছে

অসভ্য আপনি, দেখেন না মেয়েরা স্নান করছে?

খেয়াল করিনি তুমি জলেই রয়েছ

যতক্ষণ আমি অপেক্ষায়, ভেবেছি ঘরে

তুমি এক্ষুনি বাজাবে রেকর্ডে

‘মিষ্টি একটা গন্ধ রয়েছে ঘরটাজুড়ে’