ভাইকে নিয়ে ফেরদৌসী মজুমদারের লেখা
উদ্যাপন করার মতো মৃত্যু
আজ লেখক–অনুবাদক কবীর চৌধুরীর শততম জন্মদিন। জন্মদিনে বড় ভাইকে নিয়ে অন্তরঙ্গ স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর বোন অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার।
একটা মানুষ বহুদিন ধরে থাকলে মনে হয়, তিনি বুঝি এমনি করেই আমাদের সঙ্গে থেকে যাবেন। তাঁর তিরোধানের কথাটা একটা পর্যায়ে মাথা থেকেই চলে যায়। তাঁকে যেকোনো সময় পাওয়াটা একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। আমার মহান অগ্রজ—যিনি সবার কাছে কবীর চৌধুরী, তবে আমাদের কাছে ‘মানিক ভাই’—তাঁর বেলায়ও সে ব্যাপারই ঘটেছে। সেই শিশুকাল থেকে মানিক ভাইকে দেখে আসছি, শুনে আসছি, পেয়ে আসছি। অথচ তিনিও যে আমাদের ছেড়ে, এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন—সে কথা যেন বেমালুম ভুলে বসেছিলাম। অবধারিত মৃত্যু যে একটি প্রাণীকেও রেহাই দেবে না—এ যেন মাথায়ই ছিল না। তাঁর বেলায় এমনটা মনে হওয়ার সমূহ কারণও আছে। এমন সুস্থ–সুশৃঙ্খল জীবন বড় বিরল। এমন গৌরবময়, কর্মময়, আনন্দময়, সৎ এবং হাস্যোজ্জ্বল জীবন কজনার হয়? দীর্ঘ ৮৯ বছরের জীবনে আমি অন্তত মানিক ভাইকে দেখিনি বিচলিত, চিন্তিত বা অস্থির হতে। তাই বলে কি তাঁর জীবনে কোনো বেদনাময় ঘটনা ঘটেনি? তেমন সমস্যা কি আসেনি, যা তাঁর মনকে উদ্বেলিত বা চিত্তকে অস্থির করে তুলেছে? অবশ্যই পারিবারিক সমস্যা, বৃহত্তর সমস্যা বা বেদনা তাঁকে চিন্তিত ও ব্যথিত করে তুলেছিল। কিন্তু আমি তাঁকে যেমন দেখেছি এবং মায়ের কাছে তাঁর সম্পর্কে যা শুনেছি, তাতে মনে হয় মানিক ভাই এমনই একজন সহনশীল দৃঢ়চেতা ব্যক্তি যাঁকে কোনো কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি। মানিক ভাইয়ের এক অপার ক্ষমতা ছিল দুঃখ–বেদনা, হতাশা, রোষ—সব জয় করার। এমন তো নয় যে তাঁর পারিবারিক জীবন একটানা মসৃণভাবে কেটেছে। যা কিছু হোক, যা কিছু অশুভ ঘটুক, তাতে আমরা চিন্তিত বা দুঃখিত হলেও, আমি কিন্তু তাঁর চোখেমুখে সেটার ছিটেফোঁটাও কখনো দেখিনি। তখন আমি আমাদের মা মানিক ভাইয়ের সম্পর্কে যা বলতেন, সেটার সঙ্গে মেলাতাম। কী অসম্ভব ধৈর্য ছিল মানিক ভাইয়ের—‘বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’। মায়ের কাছে শুনেছি, মানিক ভাই তাঁর শিশুসন্তানের মৃত্যুতেও অবিচলিত ছিলেন। বারান্দার এ মাথা থেকে ও মাথা পায়চারি করেছেন, কিন্তু তখন তাঁর চোখে একবিন্দু জলও কেউ দেখেনি। আমি চিন্তা করে দেখলাম, কই, এ যাবত আমিও তো দেখিনি। তবে কি তিনি খুব কঠিন বা নির্মম ছিলেন? না, কখনোই না। এমন স্নেহপ্রবণ দয়ালু মানুষ আমার চোখে খুব কমই পড়েছে।
মানিক ভাই অত্যন্ত মিষ্টভাষী ছিলেন। হাসি ছাড়া কথাই বলতেন না। কিন্তু অন্যদিকে প্রয়োজনে তেমনি কঠিন ও কঠোর ছিলেন। মিথ্যাচার, অসততা—এগুলোর সঙ্গে কখনো আপস করেননি। আর সাম্প্রদায়িকতার লেশমাত্র তাঁর মধ্যে ছিল না। বিধাতা যেন তাঁর মধ্যে গুণগুলো সব ঢেলে দিয়েছেন। তাঁর মতো নির্ভীক ব্যক্তিত্ব খুবই বিরল। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর হাত থেকে বাঁচার জন্য মাসব্যাপী জায়গা বদল করে করে থেকেছেন, তারপরও নিজের দেশ ছেড়ে যাননি।
তাঁর বিবেক–বুদ্ধি ছিল অত্যন্ত প্রখর। কোনো কাজই হুট করে ঝোঁকের মাথায় করতেন না। যেকোনো ব্যাপারেই ধীরেসুস্থে সুচিন্তিতভাবে পা ফেলতেন। ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে তাঁর কোনো জুড়ি ছিল না। যে কারণে আমরা ভাইবোনেরা আমাদের বাবা চলে যাওয়ার পর, যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে নির্দ্বিধায় তাঁর শরণাপন্ন হয়েছি এবং সমাধানও খুব সহজেই পেয়ে গেছি। কী ভীষণ আত্মবিশ্বাস ছিল তাঁর! যা বলতেন, একবারই বলতেন। এমনটা কখনো দেখিনি যে একবার একটা কথা বললেন, পরেরবার সেটা উল্টে দিলেন। তাঁর দায়িত্বজ্ঞান বা দায়িত্বশীলতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। মা-বাবা, স্ত্রী–সন্তান, ভাইবোন, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন—কারও প্রতিই উদাসীন ছিলেন না। আমার বাবা আগে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, পরে মা। তখন উনি গুলশানে থাকতেন। মা তখন বার্ধক্যের কারণে শয্যাশায়ী। প্রতি শুক্রবার মানিক ভাই আর ভাবি দুপুরে মাকে দেখতে আসতেন। এর ব্যতিক্রম হয়েছে বলে মনে পড়ে না। তবে দুই–এক দিন শুনেছি, মা-ই বলেছেন, ‘আমার মানিক তার মায়ের জন্য কত চিন্তা করে! যেদিন কোনো কারণে আসতে পারবে না, ফোন করে জানিয়ে দেয়, “আম্মাকে বলো, আমি আজ আসতে পারব না। উনি যেন দরজার দিকে তাকিয়ে আমার জন্য অধীর অপেক্ষায় না থাকেন।”’ এ কথাও আমার মা ঠোঁটের কোণে একটা প্রশান্তির হাসি টেনেই বলতেন। দুচোখে তাঁর সাত রাজার ধন মানিকের প্রতি বুকভরা আশীর্বাদ ঝরে পড়ত।
একটা মানুষের জীবন পদ্ধতির প্রতিটি পদক্ষেপই যে অনুকরণীয় হতে পারে—এটা আগে কখনো ভাবিনি। দিনের কর্মসূচি তাঁর ডায়েরিতে লিখে রাখতেন এবং সেটা ধরে ধরেই কাজ করতেন। আমিও মাঝেমধ্যে এটা অনুসরণ করার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করি। কিন্তু সব দিন সে অনুসারে কাজ হয় না, উল্টোপাল্টা হয়ে যায়। তখন আবার দুই–চার দিন কাজের তালিকা না করে এলোমেলোভাবে চলতে থাকি। ওঁর মতো যদি এত গোছানো হতে পারতাম, তাহলে তো আরেকটা কবীর চৌধুরীই হয়ে যেতাম।
মৃত্যুটাও যেন তাঁর ভেবেচিন্তেই হলো। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর—যেদিন ভোরে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন, তার আগে তো একটু পূর্বাভাসও দিলেন না, শরীর খারাপ লাগছে বলে কাউকে একটু সেবা করার সুযোগও দিলেন না। এ যেন সবার কথা চিন্তা করে, কাউকে ব্যতিব্যস্ত না করে—লোকজন, আত্মীয়স্বজনদের সৎকার করার যথেষ্ট সময় দিয়ে, ভোর ছয়টায় নিজের বিছানায় চোখ বন্ধ করে চিরনিদ্রায় চলে গেলেন। তাঁর কি মৃত্যুযন্ত্রণা হয়েছিল? কী জানি, হয়তো হয়েছিল, কিন্তু মানিক ভাই বোধ হয় চেয়েছিলেন সেটাও যেন তাঁর স্ত্রী-সন্তান বা কেউ জানতে না পারেন। রাত তিনটায় উঠে তিনি নিজে নিজে বাথরুমে গেছেন। কাজের মেয়েটির হাতে পানি খেয়েছেন, একটু বসেছিলেন বিছানায়। মেয়েটি নাকি বলেছিল, ‘নানা, আপনার কি খারাপ লাগছে?’ উত্তরে বলেছিলেন, ‘না’। মেয়েটি আবার বলেছিল, ‘আমি একটু থাকব?’ বলেছিলেন, ‘না, রাত অনেক হয়েছে। তুমি শুয়ে পড়ো গে যাও।’ আজ্ঞাবাহী পরিচারিকা তাই চলে গেল। আর উনিও যেন তিনটা থেকে ছয়টার মধ্যে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিলেন।
তাঁর কি মৃত্যুযন্ত্রণা হয়েছিল? কী জানি, হয়তো হয়েছিল। কিন্তু মানিক ভাই বোধ হয় চেয়েছিলেন সেটাও যেন তাঁর স্ত্রী-সন্তান বা কেউ জানতে না পারেন। রাত তিনটায় উঠে তিনি নিজে নিজে বাথরুমে গেছেন। কাজের মেয়েটির হাতে পানি খেয়েছেন, একটু বসেছিলেন বিছানায়। মেয়েটি নাকি বলেছিল, ‘নানা, আপনার কি খারাপ লাগছে?’ উত্তরে বলেছিলেন, ‘না’। মেয়েটি আবার বলেছিল, ‘আমি একটু থাকব?’ বলেছিলেন, ‘না, রাত অনেক হয়েছে। তুমি শুয়ে পড়ো গে যাও।’ আজ্ঞাবাহী পরিচারিকা তাই চলে গেল। আর উনিও যেন তিনটা থেকে ছয়টার মধ্যে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিলেন।
এখানেও যেন আমি দেখতে পাই মানিক ভাইয়ের অকল্পনীয় ইচ্ছাশক্তি এবং সুচিন্তিত পরিকল্পনার প্রভাব। আমি ও আমার স্বামী যখন সাড়ে সাতটার দিকে তাঁকে দেখতে গেলাম, মনে হলো, কী সুন্দর একটা উজ্জ্বল মুখ—প্রশান্তিতে ঘুমুচ্ছেন—যেন তৃপ্তির সঙ্গে সগর্ব বলছেন, ‘চললাম। এবার তোমরা কাজ সারো, শীতের বেলায় মেলা সময় তো দিলাম। পুরো দিন রইল তোমাদের জন্য। দেশে–বিদেশে যাঁকে যাঁকে খবর দেওয়ার, দাও। আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জগৎ–সংসারের এ কোলাহলমোহ থেকে আমাকে মুক্তি দাও, মাটিতে শুইয়ে দাও আমাকে। কারণ, এটাই তো সবার আসল ঠিকানা। লম্বা সময় তো তোমাদের সঙ্গে সুখেদুঃখে কাটালাম। এবার যাওয়ার সময় হয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দাও বিদায়। কারোর তো আফসোস হওয়ার কথা নয়—না আমার, না তোমাদের।’
সত্যি বলছি, আমার সবচেয়ে বড় ভাই, পিতৃতুল্য বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে আমি শোকাহত না হয়ে বিমুগ্ধ হয়েছি, বিস্ময়াভিভূত হয়েছি, এমন সুন্দর মৃত্যুও কারও হতে পারে? এমন মৃত্যু সত্যি একটা আকাঙ্ক্ষিত মরণ। আমার বিশ্বাস, সেদিন সবাই যেন আমারই মতো মনে মনে বলছিল, আহা! আমার মৃত্যুটাও যদি এমন নীরবে সবার অজান্তে টুক করে হয়ে যেত!
সে ভাগ্য কি সবার হয়? আমার মনে হয়েছিল, এমন পরিপূর্ণ পরিতৃপ্ত চমৎকার জীবনাবসানে শোক না করে মৃত্যুটা উদ্যাপন করা উচিত।
আমি এমন আদর্শ মহামানবের ছোট বোন হতে পেরে গর্ববোধ করছি। এত কিছু বোঝার পরও কেউ চলে গেলে মনটা কেন বিষণ্ন হয় বুঝি না। সত্যি বলতে, মনে হয় এখন আর ও বাড়িতে গিয়ে কী হবে? যদিও ওই মহিয়সী ভাবিকেও আমি খুব ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি; তবু মনে হয় মানিক ভাইয়ের বাসায় গেলে তিনি তো আর একগাল হেসে বলবেন না, ‘আয়, আয়। তোর ভাবির পাশে বোস।’ বাঁ হাতের তর্জনী আর বুড়ো আঙুল জোড়া করে শুকনো নাকটা একটু ঘষে বলবেন না, ‘কেমন আছিস? রামেন্দু কেমন আছে? ত্রপা? ওর বাচ্চাটা? আমার এ অনুবাদটা পড়িস, তোর ভালো লাগবে।’
আমার সবচেয়ে ভালো লাগত, আমার অত বড় ভাইটা যখন আমাকে লিফট পর্যন্ত এগিয়ে দিতেন। যদি বলতাম, ‘আপনার আর আসতে হবে না।’ হেসে পিঠে হাত দিয়ে বলতেন, ‘আরে চল, চল।’ সবচেয়ে যেটা চোখে ভাসে, সেটা হলো—লিফটের সামনে তাঁর দাঁড়িয়ে থাকা। বলতেন ‘জিতে চাপ দে।’ তাঁর ভাবভঙ্গি ছিল এমন যেন আমি একটা ছোট্ট মেয়ে। লিফটের দরজা বন্ধ হওয়া পর্যন্ত হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এগুলো বড় দুর্লভ মুহূর্ত।
কত বলব? কথা বলতেন কী সুন্দর করে। মানিক ভাই আর ভাবির প্রেমটাও কিন্তু আমাকে মুগ্ধ করে। এই শেষ বয়সেও দুজন দুই বিছানায় পাশাপাশি কাছাকাছি শুয়ে ভাবির বাঁ হাত মানিক ভাই তাঁর ডান হাতের মুঠোয় ধরে থাকতেন। ভাবি তো বেশ কয়েক বছর হলো চোখে দেখেন না। সেই ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সকালে যখন আমরা কয়েকজন ঘরে হাঁটাচলা করছিলাম, আমার ভাইয়ের বড় মেয়ে রীনু যেন বিশ্বাসই করতে পারছিল না—তার বাবা আর নেই। মানিক ভাইয়ের নিথর দেহটা বিছানায় পড়ে আছে। যখন ভাবিকে রীনু বলল, ‘আম্মা, আব্বা আর নেই,’ ভাবি শুধু বললেন, ‘খোদা, রহম করো।’ আর আমার হাতটা ধরে বললেন, ‘আমি তো চোখে দেখি না। আমি ভোরে ওর হাত ধরে থাকতাম। আজ আমার হাত ধরা হয়নি।’ তাঁকে বললাম, ‘এখনো ধরতে পারেন। কি, ধরবেন?’ বললেন, ‘না।’ সংযত কণ্ঠ। ভাবির কাছ থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে। মানিক ভাই ও ভাবির দাম্পত্য জীবনটাও প্রশংসনীয় এবং শিক্ষণীয়। সম্ভবত ১২ তারিখে, মৃত্যুর আগের দিন মানিক ভাই চেয়ারে বসা ভাবিকে দুহাতে জড়িয়ে ধরেছিলেন—বহুদিন এমন করেননি। ভাবি নাকি ঠাট্টা করে বলেছিলেন, ‘মনিয়া, তুমি যে বড় আজ দুই হাত দিয়ে আমায় জড়িয়ে ধরলে?’ মানিক ভাই নাকি হেসে বলেছিলেন, ‘চার হাত থাকলে চার হাত দিয়ে ধরতাম।’
আচ্ছা, মানিক ভাই কি তখনই টের পেতে শুরু করেছিলেন যে তিনি চলে যাবেন?
মানিক ভাইয়ের দীর্ঘ ঘটনাবহুল ও বর্ণাঢ্য জীবন তো! কত কথা, কত ঘটনা যে আমার মনে পড়ে যাচ্ছে! তাঁর শেষ ইচ্ছাগুলোর একটা ছিল—তাঁর অসাড় দেহটা যেন শহীদ মিনার বা অন্য কোনো জায়গায় জনসমক্ষে না নেওয়া হয়। এর ব্যাখ্যাও তিনি দিয়ে গেছেন—এসব রুটিনমাফিক আনুষ্ঠানিকতা এবং লোকদেখানো কর্মকাণ্ড তাঁর বড়ই অপছন্দ ছিল। তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন, সেভাবেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়েছে।
মানিক ভাই আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু তাঁর জীবনাদর্শ, জীবনধারা আমাদের সামনে রইল। আমরা চাইলে তাঁকে অনুসরণ করে একটা সৎ, অসাম্প্রদায়িক, আপসহীন, কর্মময়, নির্ভীক, স্বচ্ছ জীবন কাটাতে পারি। অবশ্য যদি চাই! একেবারে তাঁর মতোই যে হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই, তবে পথের আলো তো রইলই। সে আলো ধরে পথ চলায় বাধা কিসের? যত দূর যাওয়া যায়, তত দূরই মঙ্গল বৈ অমঙ্গল তো আর হবে না।