তিনটি ছড়া
মস্ত বড় আঁকিয়ে তিনি৷ খুব আনন্দ নিয়ে দেখতেন তোমাদের আঁকা ছবি৷ গত ৩০ নভেম্বর আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন প্রিয় শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী৷ আজ রইল অলংকরণসহ তাঁর লেখা

১.
তুলির ডগায় রঙের ফোঁটা
ছবির খাতায় পাখি,
নীল আকাশে কেবল ছোটা
পাখির ছবি আঁকি।
রঙের ফোঁটায় তুষির হাসি
দুষ্টুমিতে দুচোখ নাচে
একটু দাঁড়াও এই যে আমি
কপাল ছুঁয়ে আমার কাছে।
টিপ এঁকে দাও রঙের ফোঁটায়
ফুটবে আলো কপাল জুড়ে
চটজলদি নাও তুলিটা
লাল পাখিটা আসবে উড়ে।
ডানায় চেপে সেই পাখিটার
উড়বে তুষি নীল আকাশে,
কপালে টিপ সেই ছবিটার
সেই আমি তো তোমার পাশে।

২.
এই মেয়েটা তুষি
করছটা কী একলা বসে
সঙ্গে নিয়ে পুষি।
এই মেয়েটা তুষি
দেখছ না ছাই মুখে পুরে
বুড়ো আঙুল চুষি।
এই মেয়েটা তুষি
ধুত্তুরি ছাই আমার আঙুল
চুষব আমি যখন তখন
আমার খেয়ালখুশি।
আঙুল চোষা নয়কো ভালো
শুনেই তুষির মুখটি কালো,
কমলালেবু নয়কো এটা
আঙুরও তো নয়তো সেটা,
লেবেনচুষের গন্ধ
তোমার জন্য বন্ধ,
কী পেলে ছাই খুশি
এই মেয়েটা তুষি।

৩.
টলমলিয়ে হাঁটলে পরে
তুষির জুতো আওয়াজ করে
তুষির কথার মতো,
হাঁটাই এখন তুষির খেলা
সকাল দুপুর সারা বেলা
হাঁটার ঢং যে কত।
নেচে নেচে হেঁটে চলা
তাতেই কত কথা বলা
লাল জুতোটার সঙ্গে,
ধপাস করে পিছলে পড়া
আবার উঠে দৌড়ে চলা
হা হা হাসির ঢঙে।
ছড়াগুলো ২০০৩ সালে গোল্লাছুট পাতায় ছাপা হয়েছিল