জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
উচ্চশিক্ষা বিস্তারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় লাখ লাখ শিক্ষার্থীর বিদ্যাপীঠ। কিন্তু দীর্ঘ সেশনজট, কর্তৃপক্ষের অবমূল্যায়ন কিংবা খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থী ঝরে পড়েন। ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে যথাযথ প্রস্তুতি ও সময় সমন্বয় ছাড়াই সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর কারণে শিক্ষার্থীরা বঞ্চনার শিকার হয়। এই শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় গত শিক্ষাবর্ষগুলোর নিয়মেই শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় আগের নিয়ম কিংবা বর্তমান নীতিমালা কোনোটিই না মানার খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে অনেক শিক্ষার্থী তৃতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারেননি। কথিত অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নিষ্ঠুর বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
আমি প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় ইংরেজি বিভাগে অংশ নিয়ে সিজিপিএ-৩.৩১ (প্রথম শ্রেণী) পেয়ে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হই। প্রশাসন ক্যাডারে কাজ করার ইচ্ছা থাকায় প্রথম বর্ষের অনুরূপ ফলাফল মূল্যায়নের নীতিমালা প্রযোজ্য মনে করে ভালো ফলাফলের জন্য কয়েকটা বিষয়ে মানোন্নয়নের সুযোগ রেখে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিই। কিন্তু ফলাফল প্রকাশকালে কর্তৃপক্ষের হঠাৎ নতুন সিদ্ধান্ত আমার মতো হাজারো শিক্ষর্থীকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। একজন শিক্ষার্থী কোন শর্তে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারবেন বা পারবেন না, তা পরীক্ষা দেওয়ার পর জানতে হবে বা মেনে নিতে হবে কেন? পরীক্ষার আগেই এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানার অধিকার লঙ্ঘন আমাদের প্রতি বৈষম্য আর জুয়াখেলা ছাড়া আর কী? এ ধরনের অবিচার শিক্ষার্থীদের দেশ গড়ার আত্মবিশ্বাস ও মনোবল ভেঙে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেবে।
সৈকত রায়, রংপুর।