ঝুঁকি থাকলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে

>
মুনতাসীর মামুন
মুনতাসীর মামুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। শিক্ষাঙ্গনের নৈরাজ্য, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, রাজনীতি, নাগরিক সমাজের ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে প্রথমআলোর সঙ্গে কথা বলেছেন এই ইতিহাসবিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান

প্রথম আলো :সম্প্রতি প্রথম আলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে দুই কিস্তিতে একটি রিপোর্ট করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

মুনতাসীর মামুন : আমি রিপোর্টটি পড়েছি। প্রথমেই বলব, ভালো একাডেমিক ক্যারিয়ার হলেই প্রশাসক হিসেবে ভালো না-ও হতে পারেন। তবে শিক্ষক বা শিক্ষাবিদ হিসেবে যাঁদের মোটামুটি পরিচিতি আছে, তাঁদেরই এই পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত। ২৫ বছর ধরে সরকারের পছন্দসই ব্যক্তিরাই উপাচার্য হয়েছেন এবং ব্যতিক্রম বাদে সেখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেধার চেয়ে দলীয় আনুগত্য অগ্রাধিকার পেয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিকতা, গোষ্ঠীতন্ত্র ইত্যাদি আছে, যে কারণে সব সময় যোগ্য, মেধাবী বা খ্যাতিমানেরা নিয়োগ পান না। পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে না হয় একটা আইন আছে। কিন্তু নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেসবের বালাই নেই। আমি মনে করি, এই নৈরাজ্য চলতে পারে না। উপাচার্য নিয়োগে নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা প্রয়োজন।

প্রথম আলো :তার মানে যে পদ্ধতিতে নিয়োগ হচ্ছে, তা ঠিক নয়?

মুনতাসীর মামুন : উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ—দুটোই থাকা প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে নিয়মনীতিও মানা হচ্ছে না। উপাচার্যের যেসব গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়, তা অনেক পদাধিকারীরই নেই। আমি এও মনে করি, ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। সবকিছু ভোটাভুটির মাধ্যমে করলে যোগ্যতার চেয়ে দলবাজি প্রাধান্য পায়।

প্রথম আলো :বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বা জ্ঞান সৃষ্টি কতটা হচ্ছে?

মুনতাসীর মামুন : এটা দুঃখজনক যে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্যই সবচেয়ে কম বরাদ্দ থাকে। গবেষণা যেটুকু হয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রায়োগিক ও দৃশ্যমান গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন বিভাগ থেকে যেসব গবেষণামূলক পত্রিকা বের হয়, তাতে অনেক লেখা থাকে; কিন্তু মানসম্পন্ন লেখা খুবই কম। অনেকে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য লেখেন। সত্যিকার গবেষণা করেন না। তাই বলব, যান্ত্রিকতা ও আমলাতন্ত্রের কাছে সৃজনশীলতা মার খাচ্ছে।

প্রথম আলো :নৈরাজ্য কি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে, না শিক্ষাঙ্গনের সবখানে?

মুনতাসীর মামুন : আমি মনে করি সবখানেই একধরনের নৈরাজ্য চলছে। পুরো শিক্ষাব্যবস্থাটি পর্যালোচনা করা দরকার। জিপিও-৫-এর সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ শিক্ষার মানোন্নয়ন নয়। গ্রামগঞ্জের অনেক কলেজে অনার্স-মাস্টার্স খোলা হয়েছে; কিন্তু যোগ্য শিক্ষক নেই। মফস্বলের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক পাওয়া যায় না; অথচ ঢাকায় প্রয়োজনের বেশি শিক্ষক আছেন; অনেককে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে পদায়ন করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রশাসন ও শিক্ষাদান পুরোপুরি আলাদা হওয়া প্রয়োজন। একজন অধ্যাপক কেন শিক্ষা দপ্তরের শীর্ষ পদের জন্য ধরনা দেবেন? মাদ্রাসাশিক্ষার অবস্থা আরও ভয়াবহ। মনে হবে ভিন্ন গ্রহ। সেখানে অমুসলিম লেখকদের রচনা বাদ দেওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথ-জীবনানন্দ দাশ প্রবেশাধিকার পান না। আমাদের শিক্ষানীতির মূল কথা মানবতা বোধ ও অসাম্প্রদায়িকতা। অথচ মাদ্রাসায় সাম্প্রদায়িকতাকেই লালন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না।

প্রথম আলো :শিক্ষা থেকে যদি আমরা রাজনীতিতে আসি, সেখানেও তো ওই সাম্প্রদায়িকতা জেঁকে বসেছে। নাসিরনগর ও গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালপল্লিতে যা ঘটল?

মুনতাসীর মামুন : কেবল ধর্মের কারণে কোনো সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চরম অমানবিক ঘটনা। সংখ্যালঘু ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রের যতটা মানবিক আচরণ করা দরকার ছিল, সেটা করছে না। রাষ্ট্র গরিব মানুষের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সেটা মানেন না। আমরা অর্থনৈতিক উন্নতি করেছি, প্রবৃদ্ধি বেড়েছে; কিন্তু তার সুফল সবাই পাচ্ছে না। বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের হাত ধরে জামায়াত ও বিএনপির লোকেরা আওয়ামী লীগে ঢুকে নানা অঘটন ঘটাচ্ছেন। এসব রোধ করার মতো সাংগঠনিক দৃঢ়তা আওয়ামী লীগ দেখাতে পারবে কি না, সেটাই বিবেচ্য

প্রথম আলো :রাষ্ট্রের এই সাম্প্রদায়িক চরিত্রের কী ব্যাখ্যা দেবেন?

মুনতাসীর মামুন : বাংলাদেশে রক্ষণশীল ও প্রতিক্রিয়াশীলেরাই বেশির ভাগ সময় ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁদের রোপিত বিষবৃক্ষ উৎপাটন করা সহজ নয়। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে সামান্য ভোটের ব্যবধানে। ২০০৮ সালে তারা বেশি ভোট পেলেও যাদের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীও ছিল। অতএব, বৈপ্লবিক কিছু করা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব হয়নি। সমাজে ইসলামীকরণ বেড়েছে। শিক্ষা-সংস্কৃতির বিকাশের ধারা অনেকটা রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে-কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নেই, যারা তরুণসমাজকে নেতৃত্ব দিতে পারত। তবে একটা কথা তো মানতে হবে, অনেক বিরোধিতা ও চাপ সত্ত্বেও শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধের বিচার করেছেন। আমরা আওয়ামী লীগের জামায়াতীকরণ বন্ধ করতে বলেছি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, জামায়াত থেকে যেন কাউকে না নেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর নির্দেশও সব সময় কার্যকর হয় না। এবং সেটি যে হয় না তা দেখারও কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা রামুর ঘটনার সময়ে বলেছি, এখনো বলছি, সংখ্যালঘুদের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে। সন্দেহভাজন হিসেবে গয়রহ গ্রেপ্তার কোনো ফল দেবে না। আর এসব ঘটনায় দায়ী প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু বদলি বা প্রত্যাহার কোনো শাস্তি নয়

প্রথম আলো :নাসিরনগরে তো হেফাজতে ইসলাম-আহলে হাদিস ও আওয়ামী লীগ একসঙ্গে সমাবেশ করছে, সেখানে তো বিএনপি ছিল না

মুনতাসীর মামুন : আমি হেফাজত, আহলে হাদিস, জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে কোনো ফারাক দেখি না। আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে জেলে গিয়েছি। এখন সেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগ আঁতাত করে, তা আমরা সমর্থন করতে পারি না। আমরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই; সেখানে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই। রামু, নাসিরনগর—সবখানে প্রশাসনের শৈথিল্য দেখেছি। ভোটের হিসাবও থাকতে পারে। তবে ভোটের হিসাবের জন্য তো আমরা বাংলাদেশটাকে পাকিস্তান বানাতে পারি না

প্রথম আলো :আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের কোনো চিন্তা তাঁদের নেই। রাষ্ট্রধর্ম রেখে কি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা যাবে?

মুনতাসীর মামুন : আওয়ামী লীগের মৌলনীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই মৌলনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে সবাই মেনে নেবেন, তা ভাবার কারণ নেই। তিনি তো আওয়ামী লীগের মৌলনীতি বদলাতে পারেন না

প্রথম আলো :অতীতে রাষ্ট্রের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজ গৌরবজনক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এখন তারা পারছে না কেন?

মুনতাসীর মামুন : আমার ধারণা, নাগরিক সমাজ হতাশ ও ক্লান্ত। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তারা আগে যতটা সজীব ও সোচ্চার ছিল, এখন ততটা নয়। অন্যায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা অন্য যে-ই করুক না কেন, নাগরিক সমাজের দায়িত্ব তার প্রতিবাদ করা। কিন্তু এখন সেই প্রতিবাদটা তত জোরালোভাবে হচ্ছে না।

প্রথম আলো :সেটি কি এ কারণে যে নাগরিক সমাজের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের সমর্থক?

মুনতাসীর মামুন : না, এর একটা কারণ হতে পারে, অনেকে অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তা ছাড়া তাঁদের অনেকের বয়সও হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেই তরুণেরা নাগরিক সমাজের মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে। সেই তরুণদের আমরা সম্পৃক্ত করতে পারছি না, এটাও নাগরিক সমাজের ব্যর্থতা

প্রথম আলো :কিন্তু সরকার তো অনেক সময়ই নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতি অসহিষ্ণুতা দেখাচ্ছে?

মুনতাসীর মামুন : আমি মনে করি, মাঝেমধ্যে বেশি সহিষ্ণুতা দেখাচ্ছে। পাকিস্তানবাদের সমর্থক জামায়াত, বিএনপি ও যুদ্ধাপরাধের পক্ষাবলম্বনকারীদের জন্য গণতান্ত্রিক পরিসর বা সুযোগ থাকতে পারে না। আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা যদি বলেন, আপনারা তো সরকারের বিরুদ্ধে লিখছেন। কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সরকার পত্রিকা বন্ধ করে দিচ্ছে না। বরং আমি যা লিখি,জনকণ্ঠ ছাড়া কেউ ছাপতে চায়না

প্রথম আলো :জামায়াত ও বিএনপিকে এক পাল্লায় মাপা ঠিক হচ্ছে কি?

মুনতাসীর মামুন : আমি কোনো পার্থক্য দেখি না।

প্রথম আলো :বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার।

মুনতাসীর মামুন : যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকতে পারেন, আমি তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা মনে করি না।

প্রথম আলো :দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মুনতাসীর মামুন : সবকিছু ভালো চলছে, বলব না। তবে মানুষের যে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে, জিডিপি বাড়ছে—এসবতো প্রথম আলো ডেইলি স্টার বড় বড় শিরোনাম করে ছাপছে। কিন্তু আমি বলি, এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রবৃদ্ধিও বাড়া উচিত। সেটি বাড়ছে না।

প্রথম আলো :শিক্ষাঙ্গনের মতো রাজনীতিতেও কি একধরনের নৈরাজ্য চলছে?

মুনতাসীর মামুন : গণতন্ত্র সুসংহত করতে হলে শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। তবে সেটি পাকিস্তানি মানসিকতা যারা ধারণ করে, সেই বিএনপি-জামায়াত দিয়ে হবে না। মধ্য বাম বা মধ্যপন্থী দলের মধ্য থেকেই আসতে হবে। এমনকি রক্ষণশীলও হতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানি এজেন্ট হয়ে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ বাংলাদেশে থাকতে পারে না, সুশীলেরা চাইলেও।

প্রথম আলো :এত কিছুর পরও জঙ্গিবাদ ঠেকানো যাচ্ছে না।

মুনতাসীর মামুন : এটা তো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যে বর্তমান সরকারের আমলে মৌলবাদ ও জঙ্গিসন্ত্রাসকে কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি এটি নিছক আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখা ঠিক নয়। জঙ্গিদের একটি আদর্শ আছে। সেই জায়গাটিতে হাত দিতে হবে। অর্থাৎ আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতিতে এমন কিছু উপাদান থাকবে, যা মানসজগৎ থেকে জঙ্গিবাদী ধ্যানধারণা হটিয়ে দেবে।

প্রথম আলো :গণতন্ত্র চাইলে তো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কী?

মুনতাসীর মামুন : সুষ্ঠু নির্বাচন বলতে কী বোঝাচ্ছেন? পৃথিবীর কোথাও নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কী হয়েছে? আমি বলব, মানুষ মোটামুটি ভোট দিতে পারে, সে রকম একটি নির্বাচন হওয়া উচিত। ইউপি নির্বাচন প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে হয়েছে। সে জন্য একটা ঝাঁকুনি লেগেছে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু করার দায়িত্ব কেবল নির্বাচন কমিশন বা সরকারের নয়; ভোটারদেরও সজাগ থাকতে হবে, যাতে তাঁদের অধিকার কেউ হরণ করতে নাপারে

প্রথম আলো :আপনিই বলেছেন ২৫ বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। ছাত্র থাকতে আপনি ছাত্র সংসদ নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। এখন শিক্ষক হয়ে ছাত্রদের নির্বাচন দিচ্ছেন না। বিষয়টিকেমন?

মুনতাসীর মামুন : শিক্ষকেরা নির্বাচন দেন না; দেন উপাচার্য। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না। ঝুঁকি থাকলেও নির্বাচন দিতে হবে। কেবল শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ নয়, জাতির ভবিষ্যতে নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য এটি প্রয়োজন। যেকোনো দাবি আদায়ে আমরা রাজপথে নেমেছি। পুলিশের লাঠির বাড়ি খেয়েছি। আমার প্রশ্ন, আজকের তরুণেরা ভয় পাচ্ছে কেন?

প্রথম আলো :আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

মুনতাসীর মামুন : আপনাকেও ধন্যবাদ।