বেকারত্বের দিনগুলিতে বিচ্ছেদ

.
.

পরিসংখ্যান বলছে, এক দশকের বেশি সময় ধরে আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৬ শতাংশের বেশি হারে। সম্প্রতি তা আরও বেড়ে ৭ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অর্থনীতি বাড়ছে, ক্ষুধা দূর হয়েছে, দারিদ্র্য ও পুষ্টিহীনতা কমে যাচ্ছে, কমছে শিশুমৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর হার, শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটছে, মানবসম্পদ উন্নয়নের সূচকগুলো ঊর্ধ্বমুখী। সরল কথায়, বাংলাদেশ সব দিক থেকে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে।
কিন্তু ঠিক উল্টা ছবি দেখা যাচ্ছে উচ্চশিক্ষিত যুবসমাজের চাকরি-বাকরির বেলায়। এ দেশে বেকারত্বের হার তাদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি, যারা সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত। তাদের বেকারত্ব আরও বেড়ে যাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপের হিসাবে ২০১০ সালে স্নাতক থেকে আরও উচ্চস্তরের ডিগ্রিধারী ব্যক্তিদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। তিন বছরে তা আরও সাড়ে ৬ শতাংশ বেড়ে ২০১৩ সালে হয়েছে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ। তারপর আরও তিন বছর পেরিয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে আরও কতটা বেড়ে কত শতাংশ হয়েছে, সে হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।
আমাদের উচ্চশিক্ষিত যুবসমাজের বড় অংশের জীবনের এই বাস্তবতা অর্থনৈতিক বিবেচনায় হতাশাব্যঞ্জক, আর মানবিক বিবেচনায় মর্মস্পর্শী। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়ে আসার পর শুরু হয় চাকরির সন্ধান। অধিকাংশ উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীর জন্য এই সময়টা হয় বেশ দীর্ঘ, কষ্টকর, স্নায়ুর পক্ষে অত্যন্ত পীড়াদায়ক। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পর তরুণ-তরুণীর মনে চাকরি পাওয়ার যে অধিকারবোধ স্বাভাবিকভাবেই জন্মে, তা একের পর এক মার খেতে থাকে অস্বাভাবিকভাবে। তাদের অন্ততপক্ষে এ রকমই মনে হয়। তাই চাকরি পাওয়ার চেষ্টা যখন একটার পর একটা ব্যর্থ হয়, তখন মনে একটু একটু করে জমে উঠতে থাকে হতাশা, ক্ষোভ, অভিমান। হতাশা সংক্রমিত করে মা-বাবাকে। বাবার চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় যতই এগিয়ে আসে, ততই হতাশা বেড়ে চলে। তারুণ্যের উচ্ছলতা একপর্যায়ে সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যায়; দুশ্চিন্তায় আর উদ্বেগে দিনরাত্রিগুলো বিষময় হয়ে ওঠে।

আরও একটা দিক থেকে বেকারত্বের এই দিনগুলো কিছু তরুণ-তরুণীর জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, যাঁরা পরস্পরের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ। গল্প-উপন্যাস-নাটক-সিনেমার ভাষায় তাঁদের বলা হয় প্রেমিক-প্রেমিকা। আর্থসামাজিক অবস্থা নিয়ে যাঁরা গবেষণা, সমীক্ষা, জরিপ ইত্যাদি করেন, তাঁদের শব্দভান্ডারে এই তরুণ-তরুণীদের জন্য কোনো পরিভাষা আছে বলে জানা যায় না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পাস করে বেরিয়ে আসার পর থেকে চাকরি পাওয়া পর্যন্ত সময়ে কত তরুণ-তরুণীর সম্পর্ক ভেঙে যায়—এ নিয়ে কখনো কোনো গবেষণা-সমীক্ষা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। সম্ভবত কেউই মনে করেন না যে এটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কিন্তু বিষয়টা শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুতরও বটে। অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রিধারী তরুণ-তরুণীর সংখ্যা এখন প্রায় পাঁচ কোটি। প্রতিবছর তাঁদের সংখ্যা বাড়ছে গড়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ করে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর এক-চতুর্থাংশ, অর্থাৎ সোয়া কোটিও যদি পরস্পরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে বেকারত্বের সময়টাতে তাঁদের কতজনের সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়, তা অবশ্যই গবেষণার যোগ্য বিষয়।

কিন্তু তরুণ-তরুণীদের রোমান্টিক সম্পর্ককে আমাদের সমাজে সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করা হয় না। রাষ্ট্র, সরকার, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তরুণ-তরুণীদের প্রেমাবেগের কোনো গুরুত্ব নেই। রাষ্ট্রের কাছে ব্যক্তিমানুষ শুধুই নাগরিক, যে তার আনুগত্য করবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে অবদান রাখবে এবং কর দেবে।

অধিকাংশ মা-বাবা তরুণ বয়সী সন্তানদের প্রেমবিষয়ক আবেগপ্রবণতাকে বাস্তববুদ্ধিহীন বালখিল্যতা মনে করেন এবং তা কোনো না কোনো উপায়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিশেষত মেয়েসন্তানদের ক্ষেত্রে তাঁদের আচরণ হয় জবরদস্তিমূলক। মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পাচ্ছে না, যে তরুণকে সে ভালোবাসে সে-ও বেকার—এ রকম অবস্থায় মা-বাবা মেয়ের বিয়ে দেন অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে, যিনি চাকরি করেন। উচ্চশিক্ষিত তরুণীদের বেকারত্ব ঘোচানোর এটাই প্রধান বিকল্প পথ। কিন্তু ভুক্তভোগী তরুণ-তরুণীদের জন্য এটা যে কত মর্মান্তিক, তা শুধু তাঁরাই জানেন।

এসব কথাবার্তা সংবাদপত্রের কলামে জায়গা পাওয়ার যোগ্য কি না, এই প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু গত মাসের ১২ তারিখে প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় ‘উচ্চশিক্ষিত বেকারদের অপরাধ কী?’ এই শিরোনামে এই লেখকের একটা ছোট্ট নিবন্ধ ছাপা হওয়ার পর থেকে ই-মেইলে, টেলিফোনে ও সাক্ষাতে প্রায় কুড়িজন তরুণের সঙ্গে লেখকের যেসব আলাপ হয়েছে, তার নির্যাস হলো এই: উচ্চশিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের একটা বড় অংশের মনের খবর কেউ রাখে না, রাখার প্রয়োজনও বোধ করে না। কিন্তু এ কথাও সত্য: তাঁদের আবেগ নিয়ে রাষ্ট্র, সরকার ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কী করতে পারে? প্রেমাবেগ তো কারও চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা হতে পারে না। কোনো তরুণকে তো শুধু এই যুক্তিতে চাকরি দেওয়া চলে না যে চাকরিটা না পেলে তাঁর প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাবে অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে। তাঁকে চাকরি পেতে হলে প্রমাণ করতে হবে যে তাঁর ওই চাকরি করার যোগ্যতা ও দক্ষতা আছে।

এখানে আমরা দেখতে পাব এক অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক চিত্র: আমাদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা ও শ্রমবাজারের মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত গোলমেলে। অন্তত তিনজন বড় শিল্পপতি এই লেখককে বলেছেন, তাঁরা চাকরি দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন, কিন্তু যোগ্য ও দক্ষ লোক পাচ্ছেন না। একজন তো প্রায় ভর্ৎসনার সুরে বললেন, ‘কী মানের গ্র্যাজুয়েট আপনারা তৈরি করছেন? তারা তো শুদ্ধ করে একটা বাক্য লিখতে পারে না। ইংরেজিতে দূরে থাক, বাংলাতেও না। অন্যান্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার কথা না হয় বাদই দিলাম।’

আমাদের উচ্চশিক্ষার নিম্নমান ও টার্গেট-ওরিয়েন্টেড বা লক্ষ্যাভিমুখী শিক্ষা-পরিকল্পনার অভাব শ্রমবাজারে গভীর সমস্যা সৃষ্টি করেছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকায় এক সেমিনারে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশের শিক্ষা খাত শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। শিল্প খাত যে মানের শিক্ষিত ও দক্ষ লোকবল সন্ধান করছে, তার অভাব অত্যন্ত প্রকট। ফলে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে কর্মী এনে কাজ চালাচ্ছে।’ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘মানুষ চাকরি খুঁজে মরছে, আর শিল্প খাতে দক্ষ লোক পাওয়া যাচ্ছে না।’ এর অর্থ আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে উচ্চশিক্ষার সনদ অর্জনের প্রতি আগ্রহ যতটা প্রবল, নিজেদের যোগ্য ও দক্ষ করে তোলার বেলায় ততটা নয়। তবে দোষ শুধু তাদেরই নয়, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে মানের শিক্ষা যেভাবে দেওয়া উচিত, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের মান নেমে গেছে—এ কথা বললে অর্ধেক বলা হয়; শিক্ষকদের মান, পাঠ্যপুস্তকের মান, একাডেমিক শৃঙ্খলা, পঠন-পাঠন-গবেষণার চর্চা, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক পরিবেশ—সব ক্ষেত্রেই নিম্নমুখী ধারা চলছে।

এ দেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ তরুণ-তরুণী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে শ্রমবাজারে ঢোকার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক উচ্চশিক্ষিত মানুষের কর্মসংস্থানের সামর্থ্য আমাদের শ্রমবাজারের নেই। কী উপায়ে এই গুরুতর সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে, তা নিয়ে নীতিনির্ধারক মহলে কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি না, তা জানা যায় না। শ্রমক্ষেত্রের কোন স্তরে কোন পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার কর্মী দরকার, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রতিবছর লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভর্তি হওয়ার আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, এসব বিষয়ে নীতিনির্ধারক মহলের চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরি। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শত শত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার ফল কী হচ্ছে, তারও মূল্যায়ন করা দরকার।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে এই লেখককে বললেন, দেশের শ্রমবাজারে মানবসম্পদের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণের কাজটি প্রথমে করা দরকার। কোন খাতে কী পর্যায়ের শিক্ষাপ্রাপ্ত লোকবল কতসংখ্যক দরকার, তা নিরূপণ করতে হবে। সে জন্য জাতীয়ভিত্তিক ও ব্যাপক গবেষণা-সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, সাধারণ বিষয়গুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা হওয়া উচিত শুধু মেধাবীদের জন্য, যাঁরা সর্বোচ্চ মাত্রায় মেধাবী, শুধু তাঁরাই এসব স্তরে শিক্ষা নেবেন। কেননা, তাঁদের কর্মসংস্থান সীমিত। বেশি জোর দেওয়া উচিত পেশাভিত্তিক কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর: পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, নার্সিং ইনস্টিটিউট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান আরও বেশি সংখ্যায় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক, চামড়াশিল্প, পোলট্রিশিল্প, ফিশারিজসহ বিভিন্ন উৎপাদন ও সেবামুখী খাতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ লোকবল গড়ে তোলার জন্য আরও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।

উচ্চশিক্ষিত কজন তরুণ এই লেখককে বলেছেন, চাকরির সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে, এঘাটে-ওঘাটে ধাক্কা খেতে খেতে, প্রেমিকা হারাতে হারাতে, মা-বাবার হতাশ ও বিষণ্ন মুখ দেখতে দেখতে ক্ষোভে, ব্যর্থতাবোধের গ্লানিতে, হতাশায়, অভিমানে বেকার তরুণদের মনের অবস্থা হয়েছে বিস্ফোরণ-উন্মুখ বোমার মতো। উদ্বেগের বিষয় হলো, তাঁদের সংখ্যা দুই কোটির বেশি—অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় সমান!

এই লেখা যখন শেষ হচ্ছে, তখনই লেখকের ইলেকট্রনিক চিঠির বাক্সে এক পাঠকের চিঠি এল; সে চিঠি এখানে হুবহু তুলে দেওয়া হলো:

‘স্যার,

আসসালামু আলাইকুম।

আশা করি আপনি ভালো আছেন। স্যার, প্রথম আলো পত্রিকাতে আপনার লেখা “পাওয়ার সময় হারানোর পালা” (২১.০২.২০১৭) লেখাটি পড়েছি। লেখাটি পড়তে পড়তে উপলব্ধি করলাম যে আমার চোখ ভিজে উঠেছে! মনে হচ্ছিল এ যেন আমার কষ্টের কটি ভাগের এক অংশ। স্যার, আমার একটা নাম আছে তবে বর্তমান পরিচয়: বেকার। তার চেয়েও কষ্টের বিষয় এই যে আমার সরকারি চাকরির বয়স এই মাসেই শেষ হল। ৩৮তম বিসিএস এর সার্কুলার এর অপেক্ষায় ছিলাম তবে সেটা এখন শুধু অপেক্ষাই! আর স্বপ্নগুলি এখন দুঃস্বপ্ন! স্যার, আমার মতো শত বেকারের কষ্ট শুনার মানুষের অভাব না থাকলেও কষ্ট লাঘব করার কেউ নেই!

স্যার, বেকাররা একটা কাজ করতে পারে আর সেটা হলো অপেক্ষা! তাই নতুন অপেক্ষা চাকরির বয়স যদি ৩২ বছর করে তবে আমরা অনেকেই স্বপ্ন ফিরে পাব। তবে যে গতিতে কাজ হচ্ছে তাতে সব স্বপ্নই মরীচিকা! সত্য তো সত্যই স্যার, তাই বলতে দ্বিধা নেই যে, আমরা বর্তমানে শুধু দেশ, জাতি বা পরিবারের কাছে নয় বরং নিজের কাছেও বোঝা! স্যার, ব্যর্থ জীবন মৃত্যুর সমতুল্য! কষ্টের কথা ভাষা দিয়ে ব্যক্ত করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ, তার পরেও স্বল্প কথায় ব্যক্ত করার চেষ্টা করেছি। স্যার, আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের অব্যক্ত কষ্টের ভাষা হওয়ার জন্যে। ব্যক্ত অনুভূতির ভাষাগত ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন স্যার। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’

মশিউল আলম: সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।