চিনিকলে অরাজকতা

দেশের চিনিকলগুলোতে চিনি উৎপাদন শুরু হয়েছে গত নভেম্বর মাস থেকে। মজার ব্যাপার হলো, গত মৌসুমের অবিক্রীত চিনিতে চিনিকলগুলোর গুদাম বোঝাই। অনেক চিনিকলের গুদামেও ঠাঁই নেই। এ অবস্থায় চিনিকলগুলোতে উৎপাদন শুরু হওয়ায় উৎপাদিত চিনি কোথায় রাখবে, এটিই এখন কর্তৃপক্ষের প্রধান চিন্তার বিষয়।
সমস্যার জন্য দায়ী চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তারা উৎপাদিত চিনির মূল্য এমনভাবে নির্ধারণ করে, যাতে বাজারে তা বিক্রি না হয়। এরপর চাষিদের আখের দাম বাকি পড়ে। মিলের কর্মীদের বেতন-ভাতায় অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়, ব্যাংকঋণের বোঝা বাড়ে, কিন্তু গুদামের চিনি আর বিক্রি হয় না। তারপর যখন সবকিছু বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, তখন বাজারদর থেকে কম দামে চিনি বিক্রি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। এতে ক্ষতির শিকার হয় চিনিকলগুলো। যাদের কারণে এটি হয়, তারা অদৃশ্য কারণে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়।
চিনির দাম কেন বাজারমূল্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয় না। কেন মৌসুম শুরুর আগেই আগের বছরের চিনি বিক্রি করে গুদাম খালি করা হয় না। কেন চিনিকলগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয় না—এ প্রশ্ন আমার, সবার।
আখতারুল আলম
লোহাগড়া, নড়াইল।