দুর্নীতির ছোবলে বিধ্বস্ত রাষ্ট্রকাঠামো

কার্টুন: তুলি
কার্টুন: তুলি

সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের মাপকাঠিতে বাংলাদেশের জন্য ২০১৩ সালটি ছিল বিনষ্ট সম্ভাবনার এক হতাশাব্যঞ্জক চিত্র। জনগণ, যারা দুর্নীতিকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে দেখতে চায়, তাদের জন্য বছরটি ছিল উদ্বেগজনক, আর সরকারের জন্য আত্মঘাতী। দুর্নীতির অভিযোগকে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে অস্বীকার করার প্রবণতা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনাকে পদদলিত করেছে। দুর্নীতির বোঝা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। নীতি ও শাসনকাঠামোতে দুর্নীতি-সহায়ক শক্তির প্রভাব ক্রমাগত বেড়েছে। বছরের শেষে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও মন্ত্রীদের প্রশ্নবিদ্ধ সম্পদ আহরণের নগ্ন চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার ফলে পর্বতসম মুনাফা এবং সম্পদ আহরণের এই সুযোগ যে বাস্তবে রাজনৈতিক অঙ্গনের ক্ষমতার লড়াইয়ের মূল প্রণোদনা, তা দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়েছে। সর্বোপরি রাষ্ট্রক্ষমতা একধরনের চৌর্যোন্মাদনার করাভূত হতে চলেছে।
নবম সংসদ নির্বাচনে মহাজোট সরকারের বিপুল জনসমর্থন অর্জনে যে কয়েকটি উপাদান শীর্ষ ভূমিকায় ছিল, তার অন্যতম ছিল দুর্নীতি প্রতিরোধের অঙ্গীকার। শুরুটা মন্দ ছিল না। অষ্টম সংসদে যেখানে সংসদীয় কমিটি গঠনে প্রায় দেড় বছর পার করা হয়েছিল, নবম সংসদে সে তুলনায় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সব কটি কমিটি গঠিত হয়। অনেক কমিটি মোটামুটি নিয়মিত সভা করেছে, যদিও স্বার্থের দ্বন্দ্বের কারণে কমিটিগুলো অকার্যকরই রয়ে গেছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের সংসদ বর্জন জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্রের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠানকে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে। পঞ্চম সংসদে তৎকালীন বিরোধী দল প্রথমবারের মতো এই বর্জনের সংস্কৃতি চালু করে অধিবেশনের প্রায় ৩৫ শতাংশ কার্যকাল অনুপস্থিত থেকেছিল। এর পর থেকে বজর্েনর হার নির্লজ্জভাবে বাড়তে থাকে, যা নবম সংসদের বিরোধী জোটের ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়।
সংসদের প্রথম অধিবেশনে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ পাস হয়। পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রকাশ সুরক্ষা আইন, ২০১১ গৃহীত হয়। একইভাবে ইতিবাচক ছিল সরকারি অর্থে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের জন্য দুর্নীতি প্রতিরোধবিষয়ক প্রশিক্ষণ, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে নাগরিক সনদ প্রণয়ন, স্থানীয় পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর তথ্যসেবা কেন্দ্র সম্প্রসারণ, সীমাবদ্ধভাবে হলেও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ই-প্রকিউরমেন্ট ইত্যাদি।
জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে প্রদত্ত অঙ্গীকারের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের সংস্কার করা হয়েছে, যার কারণে বাংলাদেশ সম্প্রতি অ্যাগমন্ট গ্রুপের সদস্য হতে পেরেছে। এ ক্ষেত্রে প্রথম সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে সিঙ্গাপুর থেকে পাচার করা অর্থের ফেরত আসার মাধ্যমে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল গৃহীত হয়েছে, যা জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে।
তবে এসব ইতিবাচক পদক্ষেপ দুর্নীতি প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য বাস্তব পরিবর্তন আনতে পারেনি। কারণ, সরকারের পুরো মেয়াদেই জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং আইনের শাসনের মৌলিক প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থার ওপর নির্বাহী ও রাজনৈতিক প্রভাব অব্যাহত রয়েছে।
সরকারের মেয়াদের শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী অঙ্গীকারকে পদদলিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনে একটি অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক ধারা সংযুক্ত করে সরকারি কর্মকর্তা, জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণে দুদকের জন্য সরকারের পূর্বানুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হয়রানিমূলক বা রাজনৈতিক বিবেচনা ছাড়া এরূপ পূর্বানুমতিপ্রাপ্তি যে অকল্পনীয়, তা জেনেই এটি করা হয়েছে বলে ধারণা করা অযৌক্তিক নয়। দুদককে শক্তিশালী ও কার্যকর করা হবে, এরূপ সুস্পষ্ট নির্বাচনী অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় এসে এ ধারাটিসহ একগুচ্ছ সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করে দুদককে মনস্তাত্ত্বিক চাপে রাখা হয়, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে অনেকটা সরকারের বি-টিমে পরিণত হতে দেখা যায়। সবশেষে আইনটির ওপর রাষ্ট্রপতির সম্মতি আদায় করে সরকার প্রমাণ করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার নির্বাচনী অঙ্গীকার ফাঁকা বুলি ছাড়া তেমন কিছুই ছিল না।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচকের ০-১০০ স্কেলে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ২৭ পয়েন্ট পেয়েছে, যা বৈশ্বিক গড় ৪৩-এর তুলনায় অনেক কম। তদুপরি বিব্রতকরভাবে বাংলাদেশ এখনো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। অন্যদিকে দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব বেড়েই চলেছে। ডিসেম্বর ২০১২ সালে প্রকাশিত টিআইবি পরিচালিত মানুষের অভিজ্ঞতাভিত্তিক জাতীয় খানা জরিপ ২০১২-এর তথ্য অনুযায়ী দেশের ৬৩ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ সেবা খাতে দুর্নীতির শিকার হয়েছে। সেবা খাতে সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে আদায় করা ঘুষের মোট প্রাক্কলিত অর্থের পরিমাণ জাতীয় আয়ের ২ দশমিক ৪ ও জাতীয় বাজেটের ১৩ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১০ সালে যথাক্রমে ১ দশমিক ৪ ও ৮ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল। খানাপ্রতি সার্বিকভাবে মোট বার্ষিক ব্যয়ের ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ঘুষ বাবদ ব্যয়িত হয়েছে। উচ্চতর আয়ের খানার ক্ষেত্রে ঘুষ বাবদ ব্যয়ের হার যেখানে ১ দশমিক ৩ শতাংশ, নিম্নতর আয়ের বেলায় সেটি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ দুর্নীতির বোঝা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকেই বেশি বইতে হয়।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টিসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য গৃহীত বিশেষায়িত নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রমেও অনিয়ম প্রকট আকার ধারণ করেছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের সর্বনিম্ন থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিরা অংশীজনের ভূমিকায় থেকে লাভবান হয়েছেন। সরকারি খাতে চাকরিপ্রার্থীসহ সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতায় দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব বা অবৈধ অর্থ প্রদানের সামর্থ্যই নিয়োগপ্রাপ্তির উপায়, মেধা বা যোগ্যতা আর তেমন কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়।
অন্যদিকে, ২৪ এপ্রিল ২০১৩ রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১০০ জনের বেশি নিরপরাধ শ্রমিক-কর্মীর নির্মম মৃত্যুর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, দুর্নীতির কারণে মানুষকে প্রাণ দিতে হয়। রানা প্লাজা ধসের পেছনে দুর্নীতির প্রভাব ছিল দিবালোকের মতো পরিষ্কার। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ ক্ষমতাবানদের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে বেআইনিভাবে দখল করা জমিতে অবৈধ প্রক্রিয়ায় আইন ও বিধিমালা অমান্য করে নির্মিত ভবনে অবৈধভাবে পরিচালিত পোশাক কারখানায় ঝুঁকি চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও কাজে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করে ত্বরিত মুনাফার লোভে শ্রমিকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিটি স্তরে ছিল ক্ষমতার অপব্যবহার।
দুর্নীতির কারণে প্রাণহানির আরও দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে টেন্ডারবাজি, জমি-জলাশয় দখল, বাজার, সেতু ইত্যাদির ইজারাকে কেন্দ্র করে সরকারি দল ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী এক বগুড়া জেলাতেই এরূপ সহিংসতায় প্রাণ হারান ৩০ জন।
ব্যাংক, বিমা, গণমাধ্যমসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে লাইসেন্স-পারমিট ও সরকারি ক্রয় খাতে রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রাধান্য প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। রাজনীতির সঙ্গে ব্যবসার যোগসূত্র উদ্বেগজনকভাবে বাড়ার কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার অপ্রতিরোধ্য রয়ে গেছে। সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাঁদের মূল পেশা ব্যবসা, তাঁদের অনুপাত স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে নবম সংসদে ৬০ শতাংশে উন্নীত হওয়া যেমন উদ্বেগজনক, একইভাবে হতাশাব্যঞ্জক ছিল সংবিধান ও সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের পরিপন্থী অবস্থান নিয়ে জাতীয় বাজেটে কালোটাকা বৈধ করার অব্যাহত সুযোগ।
বছরের শেষে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রার্থী রাজনীতিবিদদের পর্বতসম সম্পদ আহরণের যে চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, তার মাধ্যমে ক্ষমতার অবস্থানকে মুনাফা অর্জনের উপায় হিসেবে ব্যবহারের নির্লজ্জ প্রবণতার প্রতিফলন ঘটেছে। অন্যদিকে বৈধ আয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য অসামঞ্জস্যের এ চিত্র প্রকাশের কারণে সংক্ষুব্ধ ক্ষমতাধরদের একাংশ যেমন নির্বাচন কমিশনের কাছে আবদার নিয়ে হাজির হন, তেমনিভাবে নির্বাচন কমিশনও এ তথ্য প্রকাশ বন্ধ করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার ঘোষণা দেয়, যদিও নাগরিক সমাজের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরে আসতে বাধ্য হয়।
নির্বাচন কমিশনের মতো দুর্নীতি দমন কমিশনও পদক্ষেপ গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে। সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীরা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সম্পদ আহরণের এ প্রবণতাকে শুধু সমর্থনই করেননি, বরং বিষয়টিকে একটি সমস্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো সাহসিকতা দেখাতেও ব্যর্থ হয়েছেন।
দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢালাওভাবে এরূপ অস্বীকৃতির আত্মঘাতী প্রবণতাই বিশ্বব্যাংকের হাতে সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অর্থায়ন প্রত্যাহার করে একদিকে সরকারকে বিব্রত করতে এবং অন্যদিকে দেশবাসীকে স্বল্পঋণে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সর্ববৃহৎ প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করতে।
একই অস্বীকৃতির প্রবণতার কারণে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংকসহ সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকে অনিয়মের ক্ষেত্রে বা শেয়ারবাজার বিপর্যয়ের জন্য দায়ী প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে। ডেমু ট্রেন ক্রয়ের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশন চিহ্নিত অনিয়মের ক্ষেত্রেও সরকার কোনো দৃঢ়তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে, যেমন নির্বিকার থেকেছে প্রতিরক্ষা খাতে বিশাল আকারের ক্রয়ে স্বচ্ছতার চাহিদার ক্ষেত্রে। সবকিছু ছাপিয়ে জনপ্রতিনিধি এবং অন্যভাবে ক্ষমতাবানদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ আহরণের যে দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে বছরটি শেষ হয়েছে এবং তাকে যেভাবে পরিপোষণের প্রচেষ্টা করা হয়েছে, তার ফলে রাষ্ট্রকাঠামো চৌর্যোন্মাদনার করাভূত হওয়ার সম্ভাবনায় শঙ্কিত হতে হয়।
ক্ষমতার রাজনীতির মূল উপাদান যে দুর্নীতি, তা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ নেই। ক্ষমতায় থাকায় লাভবান হওয়ার সুযোগ যেমন পর্বতসম, ক্ষমতায় না থাকলে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি জেল-জুলুমসহ বহুবিধ হয়রানি এমনকি গুম-হত্যার ঝুঁকিও ক্রমাগত বেড়েছে। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা শুধু আর্থসামাজিক উন্নয়নকেই ব্যাহত করছে না, রাজনৈতিক অঙ্গনে সহিংসতা এবং অস্থিতিশীলতার ব্যাপকতর বিস্তার ঘটিয়ে সুশাসন ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে ধূলিসাৎ করার ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে।

 ইফতেখারুজ্জামান: নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।