লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং

আমাদের মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান আহরণ কর।’ আর মাওলানা শাহ আহমদ শফী মাত্র পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত নারীশিক্ষার পক্ষে। এটা দুঃখজনক। কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষিত শিক্ষার্থীরা একটা ভুল চেতনা নিয়ে সমাজে প্রবেশ করছেন।
আমাদের দেশের জনশক্তির অর্ধেক নারী। এই অর্ধেক জনশক্তিকে তাঁরা ‘শক্তি’র বদলে ‘বোঝা’ বলে বার্তা দিচ্ছেন সমাজকে, যা মারাত্মক ভুল দৃষ্টিভঙ্গি।
কওমি মাদ্রাসায় পাঠরত ছাত্রদের এই ভয়ানক ভুল থেকে বের করে আনার জন্য তাদের সিলেবাসে কর্মমুখী, কারিগরি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। ব্যবহারিক সিলেবাসের মাধ্যমে তাদের জন্য বাস্তবোপযোগী রূপে গড়ে তোলা একান্তই আবশ্যক।
সরকার সম্প্রতি ‘শিক্ষা এবং আয়’ প্রকল্প শুরু করেছে। এই কর্মসূচির অধীনে গ্রামের শিক্ষার্থীদের আউটসোর্সিংয়ে দক্ষ করে
আয় করতে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে এসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির স্পর্শে এবং সহায়তায় তাদের পশ্চাৎপদ চিন্তা দূর করে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।
কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের একটি সামান্য অংশকেও যদি শুধু আরবি ভাষায় কম্পিউটার কম্পোজে পারদর্শী করে তোলা যায়, তাহলে তারা নিজেদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে।
শুধু মিলাদ পড়ানো মাওলানা নয়, প্রয়োজন বাস্তব বোধসম্পন্ন সামাজিক মাওলানা। প্রকৃতই যিনি ইমাম হয়ে পথ দেখাবেন সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষকে।
দেশের সব মাদ্রাসায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গ্রন্থসমৃদ্ধ পাঠাগার স্থাপন করা জরুরি বলেই আমরা মনে করি।
জিনাত নাহার
রাধানগর, পাবনা।