'ইরানবিরোধী' জোট ও বাংলাদেশ

চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ
চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ

যে দুটি ঘটনা এখন একসঙ্গে ঘটে যাচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী বিশ্লেষিত হচ্ছে, দুটোতেই বাংলাদেশ অংশীদার হয়েছে। এর একটি চীনের বহুল আলোচিত ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ আর অপরটি মধ্যপ্রাচ্যের জ্বলন্ত ও চলন্ত অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সৌদির নেতৃত্বে বিশ্বের ৪০টি সুন্নিপ্রধান মুসলিম দেশের সমন্বয়ে সামরিক জোট গঠন। এই সুন্নি জোটের একটি বাহিনী থাকার কথা প্রায় নিশ্চিত, যার প্রধান পদে নিযুক্তি পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ। তথ্যমতে, সৌদি আরবের সামরিক উপদেষ্টাদের বেশির ভাগই পাকিস্তানি, এমনকি বর্তমানে ইয়েমেনে সৌদির নেতৃত্বে যে বিমান হামলা হচ্ছে, তার পেছনে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর কারিগরি ও কৌশলগত সহায়তা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইয়েমেনে শিয়া হুতি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে সৌদির অভিযান এবং সিরিয়ার জটিলতর পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া শক্তির উত্থানের পটভূমিই এই জোট গঠনের অন্যতম কারণ, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্লেষকের।

যা-ই হোক, এই সৌদি জোট এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মুসলিম-বিষয়ক ডিগবাজি এ অঞ্চলের জটিলতা কমাবে না বাড়াবে, তা এখন দেখার অপেক্ষায়। এই জোটে আমাদের যোগ দেওয়া এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে যে বিস্তারিত তথ্যের প্রয়োজন, তার জন্য হয়তো আরও অপেক্ষা করতে হবে। জানতে হবে, এ চুক্তি, যা বাংলাদেশ ২০১৫ সালে স্বাক্ষর করেছিল, তাতে কী কী বিষয় আছে এবং কোন পরিস্থিতিতে এ জোট কার্যকর হবে। তবে ভূপরিস্থিতি পর্যালোচনায় অনেকটাই পরিষ্কার যে মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে আরব ভূখণ্ডের শিয়া জনগোষ্ঠীর ওপর ইরানের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং সৌদি আরবের অন্যতম প্রতিবেশী ইরাকে শিয়াদের শক্ত অবস্থান, বাহরাইনে শিয়া শক্তির উত্থান, এ সবই সৌদির নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে সুন্নি গোষ্ঠী থেকে ইসলামিক স্টেটের উত্থান সৌদি আরবের জন্য ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় ততটা সমস্যার সৃষ্টি এখনো করেনি, যতটা করেছে ইরানের প্রভাব বিস্তার। সৌদি আরব তথা উপসাগরীয় আমিরশাসিত রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিপরীতে ইরানের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার প্রভাব যে ওই সব দেশের জনগণের ওপর পড়ছে, তার  প্রমাণ হচ্ছে সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সৌদি আরবের এই উদ্যোগের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কতখানি অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত, তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বিতর্কিত রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম সফরের দেশ হিসেবে বেছে নেওয়াই প্রমাণ করে। প্রথম সফরেই সৌদি আরবের কাছে প্রায় ১১ হাজার কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি দিয়ে ট্রাম্প তাঁর অবস্থান অনেকটাই পরিষ্কার করেছেন। আগামী ১০ বছরে মোট ৩৫ হাজার কোটি ডলারের  সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়েরও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো অন্যান্য ক্ষেত্রেও নানা চুক্তি করেছে। বর্তমান অর্থনৈতিক ও সামরিক চুক্তি শুধু যে অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল তা নয়, সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল সৌদি আরবের মাধ্যমে অন্য সুন্নিপ্রধান দেশগুলোকে ইরানের প্রভাব বিস্তারের বিপরীতে দাঁড় করানো। যুক্তরাষ্ট্র ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সামরিক অস্ত্র উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ সৌদি আরবে রপ্তানি করেছে। তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ইরান তথা শিয়া শক্তির বিরুদ্ধে ভারসাম্য তৈরি করা। যদিও বারাক ওবামা ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের পর অস্ত্র রপ্তানিতে কিছুটা লাগাম টেনে ধরেছিলেন।

মধ্যপ্রাচ্য এখন যে সমস্যার মুখোমুখি, তার দুটি উপাদানের একটি হচ্ছে আইএস বা ইসলামিক স্টেটের অবস্থান এবং এই সন্ত্রাসী সংগঠনের ভবিষ্যৎ এবং অপরটি হচ্ছে সিরিয়ায় জটিল পরিস্থিতির সমাধানের উপায়। আইএসের বিরুদ্ধে বর্তমানে ন্যাটো জোটের যে অভিযান চলছে, তাতে ভূমিতে কোনো আইএসবিরোধী সামরিক বাহিনীর তৎপরতা নেই। যা রয়েছে, সেগুলো বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বিভক্ত সিরিয়ার আসাদবিরোধী মিলিশিয়া বাহিনী, যার মধ্যে ন্যাটো-সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মিও রয়েছে। কিন্তু এই মিলিশিয়া সংগঠনটি আইএসকে পরাস্ত করতে কত সময় নেবে, তা বলা বড় কঠিন। কারণ, ইরাকি বাহিনী এখনো সমগ্র মসুল শহর দখলে নিতে পারেনি। এই যুদ্ধ চার মাসের ওপরে গড়িয়েছে, যদিও ইরাকি বাহিনীর সমর্থনে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপদেষ্টারা এবং বিমানবাহিনীর পূর্ণ শক্তি। হালে এ অঞ্চলের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে যে বড় প্রশ্নটি সামনে এসেছে, তা হলো মসুলের পতনের পর এই সুন্নি-অধ্যুষিত শহরটির ভবিষ্যৎ কী হতে পারে? বিষয়টি শুধু ইরাকের সুন্নি জনগোষ্ঠীকেই আতঙ্কিত করেনি, চিন্তিত করেছে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোকে।

অপর প্রশ্নটি, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ নকশা পাল্টাতে পারে, তা হলো সিরিয়ার বাশার আল আসাদের ভবিষ্যৎ। আসাদের পেছনে একদিকে রয়েছে ইরান আর লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং অন্যদিকে পরাশক্তি হিসেবে রাশিয়া ও চীন। এই দুই পরাশক্তি শেষ পর্যন্ত কী ভূমিকা পালন করবে, সেটা এক বড় প্রশ্ন। বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সিরিয়ার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড আসাদ বাহিনীর দখলে রয়েছে। মাত্র কয়েক দিন আগে আসাদ বাহিনী দখলে নিয়েছে হোমস শহর। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়েদাসমর্থিত সুন্নি গোষ্ঠীকে পরাজিত করতে হলে সিরিয়ায় মার্কিন সহযোগিতায় আঞ্চলিক সুন্নি শক্তিগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। সৌদি আরবে ইসলামিক-আমেরিকান সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। কোনো রাখঢাক না করেই তিনি বলেছেন, আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো, বিশেষ করে সৌদি জোটের ওপরই এই দায়িত্ব বর্তাবে। যুক্তরাষ্ট্রের কথিত অঘোষিত ‘রিশেপিং মিডল ইস্ট’ পরিকল্পনায় সিরিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করার কথা রয়েছে বলে শোনা যায়। অবশ্য এ ধরনের চিন্তাভাবনা বুশ প্রশাসনের সময় থেকেই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই কথিত সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা অনুযায়ী সুন্নি অঞ্চল তৈরি এবং ইরানের হাত থেকে আসাদকে বের করার কৌশলে এই জোট কতখানি সহযোগিতা করবে বা আদৌ করবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।

সিরিয়ার পরিস্থিতি ভীষণ এক জটিল চৌরাস্তায় রয়েছে। সিরিয়ায় সম্পূর্ণভাবে আসাদ বা শিয়া কর্তৃত্বের অবসান হবে এমন চিন্তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো অনেকটাই সরে এসেছে। অন্যদিকে সিরিয়া আর ইরানই মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার শেষ ভরসা। কাজেই রাশিয়া যে এখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয় না। সিরিয়া–সংকট এখন শিয়া-সুন্নি বিভাজনে রয়েছে, এমনকি আইএসের উত্থানের পেছনে যে উপসাগরীয় দেশ এবং সৌদি আরবের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল, তা এখন আর গোপন নেই। সিরিয়ার এই সংকটের এক প্রান্তে রয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের সেনারা সিরিয়ার অভ্যন্তরে বহু আগে থেকেই সামরিক অভিযানে লিপ্ত। তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আসাদবিরোধী সিরীয় কুর্দিদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। সিরীয় কুর্দিরা ইরাকি কুর্দি ও তুরস্ক অঞ্চলের কুর্দিদের সহযোগিতা করে আসাদের বিরোধিতা করলেও তুরস্কের রোষানলে রয়েছে। তুর্কি সরকার ও সামরিক নেতারা মনে করেন, আসাদকে বিতাড়নের আগে কুর্দি অঞ্চলে সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব স্থাপন না করলে ভবিষ্যতে তুরস্ককে অনেক খেসারত দিতে হবে। তুরস্কের সেনারা এখন তুরস্কের পি কে কে কুর্দির মিলিশিয়াদের সঙ্গে যুদ্ধরত। কাজেই তুরস্ক সৌদি নেতৃত্বের জোটে থাকলেও আসাদের পতন অথবা সিরিয়ার ভাগ হয়ে যাওয়ার পূর্বক্ষণে তুরস্কের ভূমিকা কী হবে, সেটাও এই জোটের অন্যতম বিবেচ্য হবে। সামরিক ক্ষমতার দিক দিয়ে তুরস্ক ওই অঞ্চলের অন্যতম শক্তিশালী দেশ এবং ন্যাটোর সদস্য।

এই জটিল মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যা। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই দুই জায়গাই সফর করেছেন এবং মুখে শান্তি স্থাপনের কথা বলেছেন কিন্তু তিনি কতখানি আন্তরিক, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। ইসরায়েল সৌদি আরবে এত বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র বিক্রয় নিয়ে খুব খুশি হতে পারেনি। ইসরায়েল সফরে গিয়ে তিনি শান্তির ‘নতুন আশার’ কথা বলেছেন কিন্তু কীভাবে এর শুরু হবে তার ইঙ্গিত অবশ্য মেলেনি।

জোট গঠনের এবং ইসলামি জোটের কনফারেন্সে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান সম্বন্ধে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চোখে বর্তমান ইরানের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি পক্ষান্তরে ইরানকেই মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসের সহায়ক শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি একবারও, দুই দিন আগে ইরানে, নরমপন্থী বিবেচিত হাসান রুহানি প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন, সে সম্বন্ধে কোনো বাক্যই খরচ করেননি। অপর দিকে হাসান রুহানি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন যে তিনি পশ্চিমা রাষ্ট্র তথা সব দেশের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের সূচনা করতে চান। এর এক দিনের মাথায় ইসলামিক জোটের উদ্বোধনী বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে যেভাবে হেয় করেছেন, তা এ অঞ্চলে শিয়া-সুন্নি সংঘাতকে আরও উসকে দেবে। তিনি তাঁর বক্তব্যে এ অঞ্চলে ইরানকেই দুষ্টচক্র হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, ‘ইরান লেবানন থেকে ইরাক, ইরাক থেকে ইয়েমেনে জঙ্গি, মিলিশিয়া ও অন্য চরমপন্থীদের অর্থ এবং প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যাতে সমগ্র অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে।’ ইরানবিরোধী বক্তব্যের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই জোট গঠনের উদ্দেশ্যকেও পরিষ্কার করেছেন। সৌদি আরব থেকে ইসরায়েলে গিয়েও তিনি বলেছেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র রাখার সুযোগ কখনোই দেওয়া উচিত নয়। দেশটি সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের অর্থ প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিচ্ছে। এটা অবশ্যই এবং অবিলম্বে থামাতে হবে।

এ জোট গঠন এবং সৌদি আরবের কাছে বিশাল অস্ত্র বিক্রিকে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক কূটকৌশলের বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে কিন্তু তা এ অঞ্চলে ভীষণ এক অস্ত্র প্রতিযোগিতার সূচনা করবে। প্রথম পর্যায়েই সৌদি আরব ‘ব্ল্যাক হক’–এর মতো ১৫০টি হেলিকপ্টার পেতে যাচ্ছে, যা হবে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় আক্রমণাত্মক বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার বহর। আরও রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক এবং চড়া মূল্যের লকহিড অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল রাডার।

যা-ই হোক, এই ইসলামিক মিলিটারি জোটের অংশগ্রহণ করার পেছনে বাংলাদেশের স্বার্থ যতটুকু রয়েছে, তা কতখানি সফল হবে, তার ফলাফল পেতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। তবে বাংলাদেশের এই যুক্ত হওয়া যেন অন্য দেশ, বিশেষ করে ইরান ও রাশিয়া ভুল ব্যাখ্যা না করে, সে বিষয়ে আমাদের পররাষ্ট্র দপ্তরকে যত্নবান হতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে যে আমরা যেন জটিল মরুঝড়ের মধ্যে পড়ে না যাই। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যের জটিলতা কমার নয়, বরং জটিলতা বাড়ার আশঙ্কাই দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে নিশ্চিতভাবেই অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং তা ওই অঞ্চলে শান্তির সহায়ক হবে না।

এম সাখাওয়াত হোসেন: সাবেক নির্বাচন কমিশনার, কলাম লেখক ও পিএইচডি গবেষক।