উপবৃত্তিতে দুর্নীতি

মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে সরকার উপবৃত্তির মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যয় করছে। তবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একাধিক প্রকল্পের সুযোগ নিচ্ছে। কোথাও কোথাও ভুয়া ও দ্বৈত উপবৃত্তির মাধ্যমে সেই অর্থ লুটে নেওয়া হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার নির্দিষ্ট ফরমে স্বাক্ষর করিয়ে শিক্ষার্থীকে কম টাকা দিচ্ছে। বেশ কয়েকটি শ্রেণিতে উপবৃত্তি দেওয়া হয়: শিক্ষার্থীদের ক্লাসে গড় উপস্থিতি, পিতা-মাতার শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিবারের বার্ষিক আয়, পরিবারে উপার্জনক্ষম লোকের সংখ্যা, নির্দিষ্ট পরিমাণ ভূমির মালিকানা, ছাত্রীদের অবিবাহিত হওয়া, পার্বত্য, হাওর ও মঙ্গাপীড়িত এলাকার শিক্ষার্থী, দুস্থ-অসহায় গোষ্ঠী, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, উপার্জনে অসমর্থ বা বিকলাঙ্গ বাবা-মায়ের সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা।

কিন্তু দেখা গেছে, উল্লিখিত সব শর্ত মেনে উপবৃত্তি দেওয়া হয় না। কারও ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের আয় না থাকলেও নির্ধারিত শর্তের বেশি জমি রয়েছে। আবার সচ্ছল শিক্ষার্থীদেরও অসচ্ছল উল্লেখ করে শিক্ষকেরা উপবৃত্তি দেন। স্কুলে না এসে বিবাহিত ছাত্রীরা উপবৃত্তি পাচ্ছে। এ রকম চলতে থাকলে সরকারের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। সবকিছু দুর্নীতির কবলে পড়লে আমাদের থাকবে কী?

মেনহাজুল ইসলাম

দিনাজপুর।