রাতারাতি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে না

বার্নার্ড ডোল জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) রিজিওনাল ব্যুরো অব এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের উপপরিচালক। তিনি সম্প্রতি জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডির সঙ্গে বাংলাদেশ সফর করে এসেছেন। ১২ জুলাই জেনেভায় ইউএনএইচসিআরের সদর দপ্তরে তিনি প্রথম আলোকে এক বিশেষ সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান

প্রথম আলো : আপনাদের সফর সত্ত্বেও মিয়ানমারের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। এতে বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগ কাটেনি।

বার্নার্ড ডোল : জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনার বাংলাদেশ সফর করেছেন বটে। কিন্তু তাঁর সফরের মূল লক্ষ্য ছিল মিয়ানমার সফর
করা। তাঁর একটি বার্তা খুবই পরিষ্কার যে উদ্বাস্তু-সংকট সমাধানের বিষয়টি মিয়ানমারের অভ্যন্তরেই নিহিত। মংডু ও সিটিউতে আমরা আলোচনা করেছি।

প্রথম আলো : ওই বৈঠকে উচ্চ পর্যায়ের কারা অংশ নিয়েছিলেন?

বার্নার্ড ডোল : স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও একাধিক মন্ত্রী ছিলেন। মংডু ও সিটিউয়ের এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

প্রথম আলো : তাঁরা যা বলেছেন তাতে সন্তুষ্ট হয়েছেন কি? অং সান সু চি কী বলেছেন, সেটা হুবহু বলুন।

বার্নার্ড ডোল : হাইকমিশনার নিজে, বিশেষ করে রাখাইনের পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। যা দেখেছেন, তাতে তাঁর মূল্যায়ন হলো অনেক কাজ করতে হবে। বিশেষ করে, দুটি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, রাখাইনের সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ওই এলাকার উন্নয়ন হতে হবে। রাখাইনের দারিদ্র্য অত্যন্ত খারাপ। তাদের সব প্রদেশেরই হয়তো উন্নয়ন দরকার। কিন্তু রাখাইনের কথা আলাদা, তার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হওয়া দরকার। হাইকমিশনার মনে করেন, উদ্বাস্তু সমাধানের জন্য এই দুটি হলো মুখ্য পূর্বশর্ত। এ ছাড়া যাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তার যাচাইকরণ দরকার।

প্রথম আলো : গোপনীয়তা রক্ষা করতে চাইলে সেটা ভিন্ন, কিন্তু অং সান সু চি ঠিক কী বলেছেন, সেটা আমরা শুনতে চাই।

বার্নার্ড ডোল : আমরা যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের সবার অভিন্ন উপলব্ধি হলো, অনেক কাজ গোছাতে হবে। অং সান সু চি এবং তাঁর মন্ত্রীরা সবাই নিশ্চিত করেছেন যে তাঁরা কফি আনান কমিশনের অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্টের সুপারিশ গ্রহণ করেছেন। এটা আমরা ইতিবাচক মনে করি। আগস্টে এর চূড়ান্ত রিপোর্ট পাব বলে আমরা আশা করছি। রাখাইনে কী করতে হবে, সেটা ওই রিপোর্টে পরিষ্কার করা হয়েছে।

প্রথম আলো : আপনারা কি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে সু চির মনোভাবে কোনো মৌলিক পরিবর্তন দেখেছেন?

বার্নার্ড ডোল : তাঁরা বলেছেন, তাঁরা আনান কমিশনের সুপারিশ মেনেছেন।

প্রথম আলো : কিন্তু নাগরিকত্ব বিষয়ে আনান কমিশনের সুপারিশ কি ভরসাযোগ্য?

বার্নার্ড ডোল : সেখানে নাগরিকত্বের কথা (কমিশন ‘যাচাইকৃত নাগরিকদের’ পূর্ণ অধিকার সুরক্ষা দিতে বলেছে) আছে। আপনি জানেন যে ইতিমধ্যে তথাকথিত সিটিজেনশিপ পিউরিফিকেশন বা নাগরিকত্ব যাচাইকরণের কাজ এগিয়ে চলেছে। কিন্তু তা যেভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে, তাতে অনেক সমস্যা রয়েছে। রাখাইন ও অন্যত্র জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ঘাটতি রয়েছে। কীভাবে এটা কাজ করবে, এটা করলে কী লাভ হবে, সাধারণভাবে এর কীভাবে কাজ করা উচিত ছিল, তা মানুষের কাছে স্পষ্ট নয়। উপরন্তু এটা যে গতিতে চলছে সেটা এবং এর কার্যপ্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ। আনান কমিশন এখানেও তাগিদ দিয়েছে। আর তারা যেহেতু মেনেছে, তাই আমরা আশাবাদী থাকব। আবার এটাও বলব, এর বাস্তবায়নের গতি খুবই মন্থর।

প্রথম আলো : আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেখানে রাখাইনে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে উচ্চকিত, সেখানে হাইকমিশনার ঢাকায় খুবই নমনীয় শব্দ চয়ন করেছেন। আপনারা সর্বশেষ কী সিদ্ধান্তে এসেছেন; এর ন্যায্য তদন্ত হবে, নাকি হবে না?

বার্নার্ড ডোল : জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ইতিমধ্যে স্বাধীন তদন্তের বিষয়ে কথা বলেছে। এটা তাদের বিষয়।

প্রথম আলো : আপনাদের হাতে কি নতুন রিপোর্ট রয়েছে, যাতে আপনারা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে রাখাইনে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বার্নার্ড ডোল : এটা প্রকাশিত প্রতিবেদন। গত সপ্তাহে সিটিউতে কিছু হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তাই একটা সাধারণ আশঙ্কা থাকে যে এ ধরনের পরিস্থিতিতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। মানুষ এর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে।

প্রথম আলো : বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের মধ্যে একটা শক্তিশালী ধারণা রয়েছে যে সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমার বা বর্মী নেত্রীর ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করছে না। আপনার কী মত?

বার্নার্ড ডোল : বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটের বিষয়ে আমি ঠিক জানি না, তবে কোনো বিষয় দেখার আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। হাইকমিশনার যে সবার সঙ্গে কথা বলেছেন, সরেজমিনে উদ্বাস্তু শিবিরে গেছেন, তা ছাড়া শুধু আমরাই নই, একাধিক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও গোষ্ঠী রয়েছে, তারা মিয়ানমারকে কিন্তু সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে।

প্রথম আলো : রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর সংখ্যা আপনারা ৫০ হাজারের নিচে বলছেন, কেন?

বার্নার্ড ডোল : আমরা কিন্তু রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বলি না। তাদের উদ্বাস্তু মর্যাদা নিরূপণ করি না। এটা বাংলাদেশ সরকার করেছে। বাংলাদেশ বলেছে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছে, তার মধ্যে নির্দিষ্ট একটি অংশ উদ্বাস্তু। এ পর্যন্ত সংখ্যাটি প্রায় ৩৩ হাজার, যারা উদ্বাস্তু। তারা কক্সবাজারের সরকারি শরণার্থী শিবিরে রয়েছে।

প্রথম আলো : তাহলে অবশিষ্ট রোহিঙ্গা যারা এসেছে, যারা থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে, তাদের মর্যাদা কী?

বার্নার্ড ডোল : আমরা তাদের সবাইকে উদ্বাস্তুই মনে করি।

প্রথম আলো : বাংলাদেশে আপনাদের হিসাবে ‘উদ্বাস্তু’ বিবেচনায় কত রোহিঙ্গা আছে?

বার্নার্ড ডোল : আমরা ঠিক সংখ্যা জানি না। কারণ, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে শুমারি করেছে। কিন্তু সরকারিভাবে সেটা তারা এখনো প্রকাশ করেনি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা তিন থেকে পাঁচ লাখ হবে। কিন্তু সরকার তার রিপোর্ট প্রকাশ না করা পর্যন্ত আমরা জানি না, এর সংখ্যা কত। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তিন থেকে চার লাখ কথাটি ব্যবহার করছেন।

প্রথম আলো : আপনাদের উদ্বাস্তু তহবিলের সংকট প্রকট। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সহায়তার বিষয়ে দাতাদের মনোভাব কি আলাদা করে চিহ্নিত করা চলে?

বার্নার্ড ডোল : সাধারণভাবে রোহিঙ্গাদের প্রতি দাতাদের সহানুভূতি রয়েছে। বাংলাদেশ জনবহুল, অপ্রতুল সম্পদের দেশ হওয়ার পরও  বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে দীর্ঘকাল ধরে গ্রহণ করেছে, তার প্রতিও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা রয়েছে। দাতারা সিরিয়া, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলা করার সঙ্গে রোহিঙ্গাদেরও দেখছে।

প্রথম আলো : ওআইসি বা মুসলিম দেশের দাতারা কত দিয়েছে, সেটা আলাদাভাবে বলা যায় কি?

বার্নার্ড ডোল : শুধু আমরাই নই, আইওএম, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপিসহ এক ডজন সংস্থার মাধ্যমে সাহায্য ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা শুধুই ৩৩ হাজার রোহিঙ্গাকে কী দিচ্ছি, সেটার হিসাব রাখছি।

প্রথম আলো : আপনারা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের (আইডিপি) একটি হিসাব রাখেন, তার আওতায় কিছু আছে কি? সাম্প্রতিক কালে উত্তাল ভূমধ্যসাগর যাঁরা পাড়ি দিচ্ছেন, তাঁদের কেউ কি উদ্বাস্তু?

বার্নার্ড ডোল : না। যাঁরা বাইরে যাচ্ছেন তাঁরা সাধারণভাবে কেউ উদ্বাস্তু নন। আমরা জানি, বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি বিদেশে কাজ করছেন।
তাঁরা অভিবাসী। উদ্বাস্তু তাঁরাই, যাঁরা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশ ছাড়ছেন।

প্রথম আলো : আবার সফর প্রসঙ্গ। আপনি যা বলেছেন, তাতে নতুনত্ব কম। আসলে এই সফরে নতুন কী পেলেন, কী বুঝলেন, সেটা নির্দিষ্ট ও স্পষ্টভাবে যদি বলেন?

বার্নার্ড ডোল : (হাসি) হতে পারে এসব নতুন নয়। আমি মনে করি, এটা খুবই সত্য যে মিয়ানমারের, বিশেষ করে রাখাইনের ভেতরের অবস্থা ভালো নয়। সেখানে, বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে অন্য জাতিগত সংখ্যালঘুরাও সমস্যায় আছে। তারা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে আছে। শুধু রাখাইনে বৈষম্য এবং আন্তসম্প্রদায় উত্তেজনা উদ্বাস্তু তৈরি করেছে। এসব নতুন নয়, কারণ সেখানে আগে যে সমস্যা ছিল, সেটাই চলমান আছে। তবে কিছু বিষয়কে আমি নতুন বলতে চাই। এক. নতুন সরকার, যার বয়স এক বছরের বেশি হয়েছে।

প্রথম আলো : অতীতে মিয়ানমারে সামরিক শাসনের সময় সংকট উতরেছে। আর নোবেলজয়ী অং সান সু চির আমলে দেশান্তরিত হওয়ার বিষয়টি গুরুতর হয়েছে। এর কারণ কী?

বার্নার্ড ডোল : ১৯৭৮ সালের দিকে বিরাট উদ্বাস্তু স্রোত তৈরি হয়েছিল। এরপর ১৯৯১-৯২ সালে হয়েছে। সুতরাং, এটা বলা যায় না অতীতে সমস্যার সুরাহা হয়েছিল। সমস্যা ছিল, সেটা বারবার ফিরে এসেছে।

প্রথম আলো : কিন্তু এই প্রথম রোহিঙ্গাদের নিরঙ্কুশভাবে বাংলাদেশি অভিহিত করা হয়েছে। জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে তারা এটা করেছে। এটা অতীতে ঘটেনি।

বার্নার্ড ডোল : কিন্তু এখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে। কোনো সরকারই পুরোপুরি নিখুঁত নয়। আপনি না পছন্দ করতে পারেন কিন্তু তারা নির্বাচিত। এ ছাড়া অং সান সু চির নাগরিকত্ব যাচাইকরণ কর্মসূচি শুরু করাটা একটা ইতিবাচক অগ্রগতি। আর তা শুধু রাখাইনে নয়, এটা সাধারণভাবে চলছে।

প্রথম আলো : আপনারা কি মিয়ানমারে কোনো বিশেষ প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন?

বার্নার্ড ডোল: সেখানে আমাদের মিশন আছে। আমরা অব্যাহতভাবে কথা বলছি। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি যে নাগরিকত্ব শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া উন্নত করতে কারিগরি সহায়তা দিতে চাই।

প্রথম আলো : আনান কমিশন একটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ কমিশন গঠন করতে বলেছে, কবে হবে?

বার্নার্ড ডোল : স্টেট কাউন্সেলর সু চি কিন্তু আনান কমিশন করেছেন। এটা একটা অগ্রগতি। তাঁরাই তা জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন। মিয়ানমারের মনোভাবে এটাও একটা পরিবর্তনের উদাহরণ। শুধু তা তৃণমূলে বাস্তবায়নে কোনো গতি নেই। সেখানেই মূল সমস্যা নিহিত। আমরা এখানেই সব থেকে বেশি জোর দিচ্ছি। নাগরিকত্বের বিষয়ে সুরাহা এবং রাখাইনবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠাই আসল ফর্মুলা। এটাই উদ্বাস্তু সংকটের সমাধান দিতে পারে। এর সঙ্গে উন্নয়নও থাকতে হবে।

প্রথম আলো : অং সান সু চি এবং ফিলিপ গ্রান্ডির আলোচনার কোনো বিষয়বস্তু প্রকাশ পেয়েছে কি? বা এ নিয়ে কোনো যৌথ বিবৃতি?

বার্নার্ড ডোল : না। এটা উভয়ের মধ্যে একটা প্রাইভেট বৈঠক ছিল।

প্রথম আলো : গ্রান্ডি বলেছেন, আরও অধিক সময় রোহিঙ্গাদের রাখবে বাংলাদেশ। কিন্তু তা কত দিন? আর উদ্বাস্তু আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশ বড় ধরনের জঙ্গি সমস্যায় পড়তে পারে, সেটাও তো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। মন্তব্য করুন।

বার্নার্ড ডোল : আপনি ঠিক বলেছেন এই অর্থে যে এই সমস্যার কোনো তাত্ক্ষণিক সমাধান নেই। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু প্রত্যাবাসন কাল বা আগামী সপ্তাহে ঘটবে না। তবে রাতারাতি না ঘটলেও আমরা আশা হারাব না। উদ্বাস্তু হাইকমিশনারকে কক্সবাজারের তরুণ উদ্বাস্তুরা
বলেছে, আমরা খাদ্য, বাসস্থান চাই না; আমরা একটা সমাধান চাই। একটি ভবিষ্যৎ চাই।

প্রথম আলো : এই কথা কি মি. গ্রান্ডি সুচির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন?

বার্নার্ড ডোল : অবশ্যই। তিনি এই বার্তা সবাইকে পৌঁছে দিয়েছেন। আরাকানের উন্নয়ন ও শিক্ষা কর্মসূচির বাস্তবায়ন এমনভাবে লাগবে, যাতে দারিদ্র্য চলে গিয়ে সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সম্প্রীতি দানা বাঁধে। মানুষ যদি আশা হারায়, তাহলে তারা অন্যদিকে, যা আপনি ইঙ্গিত করেছেন, সেদিকে যেতে পারে। আমরা বাংলাদেশকে অনেক করতে বলেছি, তবু বলব তারা যাতে তরুণ উদ্বাস্তুদের শিক্ষার দিকে বেশি নজর রাখে।

প্রথম আলো : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

বার্নার্ড ডোল : আপনাকেও ধন্যবাদ।