হাসপাতালের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে রোগী!

হাসপাতালের দোতলা ভবনটির নিচতলার পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের বারান্দায় শৌচাগারে ঢোকার মুখে ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওপরের দেয়াল দেবে গেছে। এর চাপে বারান্দার কয়েকটি গ্রিল বেঁকে গেছে। তা ছাড়া ভবনের অভ্যন্তরীণ বিমের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।

ভবনের এ অবস্থা জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে ভবনটি মেরামত ও সংস্কার করার জন্য গণপূর্ত বিভাগের যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি পাঠালে গণপূর্ত বিভাগ থেকে ছাদে বাঁশের ঠেকনা দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার গণপূর্ত বিভাগ থেকে একটি চিঠিতে জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবনটি ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। তা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ভবনের তিনটি ওয়ার্ডে রোগী রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে গণপূর্ত বিভাগ কি শুধু চিঠি িদয়েই দায়িত্ব সারবে? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চিঠি পাওয়ার পর তারাই বা কীভাবে বাঁশ দিয়ে ঠেকনা দিতে পারল? কেন জরুরি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলো না?

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনোভাবেই উচিত হচ্ছে না ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবন ব্যবহার করা। ওই ভবনে রয়েছে গাইনি ও মেডিসিন ওয়ার্ড। রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়সহ হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট লোকজন। রোগীদের সঙ্গে আছেন তাঁদের স্বজনেরা, তাঁদের দেখতে আসা-যাওয়া করছেন আরও স্বজন-বন্ধুবান্ধব। এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ধসে পড়লে যে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হতে পারে, তা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

গণপূর্ত বিভাগ যখন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ব্যবহার না করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে, তখন বিষয়টি অবহেলা করার সুযোগ নেই। অবিলম্বে রোগীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হোক। গণপূর্ত বিভাগকেই হাসপাতাল ভবনটি মেরামত কিংবা পুনর্নির্মাণের উদ্যোগও জরুরি ভিত্তিতে নিতে হবে।