জনদুর্ভোগ

টানা বৃষ্টিতে জলজট আর যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রাজধানীবাসী। গত কয়েক দিন থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী মানুষের কষ্ট সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এখনো অনেক জায়গায় পানি জমে আছে। ঘর থেকে বের হয়েই দুর্ভোগে পড়তে হয়। এর সঙ্গে যানজট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যানবাহনের সংকটে অনেকেই কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা দেন।

রাজউক, ঢাকা ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয়হীনভাবে কাজ করার কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে বৃহত্তর ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনায় বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। জলজট দূর করতে হলে শহরে যে বৃষ্টি পড়ে, তা পড়া থেকে শুরু করে নদীতে যাওয়া পর্যন্ত পথের কোথাও বাধা রাখা যাবে না। 

১৯৯৫ সালে প্রণীত ও গৃহীত ঢাকা মেট্রোপলিটন মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে মূল কাঠামো পরিকল্পনা ও স্বল্পমেয়াদি অঞ্চল পরিকল্পনা নীতিমালায় সুস্পষ্টভাবে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) করা পর্যন্ত প্লাবনভূমি সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। তবে এর কার্যক্রম গ্রহণ করার ক্ষেত্রে রাজউকের দীর্ঘমেয়াদি উদাসীনতা ও ব্যবসায়ী কার্যক্রমের প্রতি গভীর মনোযোগ এবং পর্যাপ্ত লোকবল ও কারিগরি দক্ষ লোকের অভাবের যুক্তি দিয়ে এগুলো ‘উপহার’ হিসেবে ভূমিদস্যুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আমরা এ থেকে মুক্তি চাই, তা না হলে আমাদের পক্ষে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া কঠিন।

ফারুক আহমেদ

মিরপুর, ঢাকা।