লক্ষ্য অর্জন নির্ভর করবে কূটনৈতিক সাফল্যের ওপর

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে চলমান ‘জাতিগত নিধনের’ বিষয়ে এবং বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রশ্নে যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তা স্বাভাবিক কারণেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর যে বক্তব্য সবচেয়ে বেশি উল্লেখিত হয়েছে, তা হচ্ছে তিনি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ‘সুরক্ষা বলয়’ স্থাপনের কথা বলেছেন। এই প্রস্তাব শেখ হাসিনার দেওয়া পাঁচটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের একটি। এই পাঁচ প্রস্তাব হচ্ছে অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করা; অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করা; জাতি-ধর্মনির্বিশেষে সব সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় (সেফ জোনস) গড়ে তোলা; রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ ও দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাবগুলো সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট এবং ওআইসি কন্টাক্ট গ্রুপে দেওয়া ছয় দফা প্রস্তাবেরই সামান্য পরিবর্তিত ভাষ্য। এই প্রস্তাবগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়; কিছুর লক্ষ্য অবিলম্বে কার্যকর করে বিরাজমান অবস্থার উন্নতি, আর কিছুর লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান। সহিংসতা বন্ধ এবং জাতিসংঘের অনুসন্ধানী দল পাঠানোর প্রস্তাব হচ্ছে আশু পদক্ষেপের বিষয় কিন্তু ‘সুরক্ষা বলয়’, শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন এবং আনান কমিশনের প্রস্তাব অবিলম্বে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ‘জাতিগত নিধন’ এবং তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের ব্যাপারে বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যেমন গভীর উৎসাহ ছিল, তেমনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেরও ছিল উৎসাহ। গত ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ একাদিক্রমে একটি মানবিক, কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। অতীতে বাংলাদেশ দুবার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে সমস্যায় পড়লেও আগের চেয়ে এবারের সমস্যার মাত্রা ও প্রকৃতিই কেবল ভিন্ন নয়, তার পরিধিও ব্যাপক।

তদুপরি এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয়ভাবে শরণার্থী সমস্যা মোকাবিলা করার উদ্যোগ নেওয়ার বদলে এই বিষয়কে আন্তর্জাতিকীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের এটাও যুক্ত করতে হবে, ১৯৭৮-৭৯ কিংবা ১৯৯১-৯২ সালে বৈশ্বিক যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল, এখন সেই অবস্থা নেই। বিশ্বের প্রধান দেশগুলোর রাজনৈতিক অবস্থান বদলেছে, বিশ্ব রাজনীতির ক্ষমতার ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে, শরণার্থীদের বিষয়ে বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গির বদল ঘটেছে এবং বিশ্ব এখন সেই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সংঘাতপূর্ণ। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের আগের যে অবস্থান ছিল, তা–ও এখন নেই।

শেখ হাসিনা এসব প্রস্তাব দেওয়ার পর সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে এগুলো বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কতটুকু। এই প্রশ্ন উঠছে, কেননা আমরা জানি যে জাতিসংঘের মাধ্যমে কার্যকর কিছু করতে হলে যা দরকার, তা এখানে অনুপস্থিত। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের দুই সদস্য—রাশিয়া ও চীন—শর্তহীনভাবে, অকুণ্ঠচিত্তে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তাঁদের অবস্থান বদলানোর কোনো কারণ নেই (এ কে এম জাকারিয়া, ‘চীন-ভারত কেন মিয়ানমারের পক্ষে?’ প্রথম আলো, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭)।

এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের সম্ভাবনা বিবেচনা করতে গেলে দেখা যাবে যে এই বিষয়ে কার্যত তিনটি বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে একধরনের মতৈক্য ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; তা হলো অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করা, মিয়ানমারে জাতিসংঘের একটি অনুসন্ধানী দল পাঠানো এবং রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের ভিত্তি হিসেবে আনান কমিশনের রিপোর্টকে গ্রহণ করা। নিরাপত্তা পরিষদের সে বিবৃতি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘পরিষদের সদস্যরা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’ বৈঠকে সহিসংতার নিন্দা জানিয়ে রাখাইনে মানবিক ত্রাণ তৎপরতা চালানোর অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথ যে আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, সেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এমনকি অং সান সু চি, তাঁর সরকারের এবং সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানেও তিনি আনান কমিশনের রিপোর্টকে প্রত্যাখ্যান করেননি। আমাদের অবশ্য এটা মনে রাখতে হবে যে আনান কমিশন রাখাইনের নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে ‘রোহিঙ্গা’ বলে চিহ্নিত করেনি, যা এই রিপোর্টকে মিয়ানমার সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। জাতিসংঘের মহাসচিবের পক্ষ থেকে আলাদা করে অনুসন্ধানী দল তৈরির আবশ্যকতা নেই; কেননা এই বছরের মার্চ মাসেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল তিন সদস্যের একটি মিশন তৈরি করে
রেখেছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার সেই মিশনকে সেই দেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে আসছে। এর বাইরে আরেকটি প্রস্তাবের ব্যাপারে অলিখিত মতৈক্য তো আছেই—শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। এখানে মতপার্থক্য হবে ‘মিয়ানমারের নাগরিক’ চিহ্নিত করার প্রশ্ন।

তাহলে বাংলাদেশের প্রস্তাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, মিয়ানমারের ভেতরে সেফ জোনস বা সুরক্ষা বলয় তৈরি করা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার–বিষয়ক আইনে ‘সেফ জোন’-এর কোনো একক সংজ্ঞা নেই; বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষিত বা নিরাপদ (ইংরেজিতে যাকে বলে প্রটেক্টেড) এলাকাকেই এই ধারণার আওতায় আনা হয়েছে। যে কারণে যারা সংঘাতে আহত বা যারা সংঘাতে যুক্ত নয় (নন-কমবেটেন্ট), এমন ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ এলাকা, অসামরিকীকৃত (ডি-মিলিটারাইজড) এলাকা এবং অরক্ষিত এলাকা (নন-ডিফেন্ডেড) এলাকাকেও সেফ জোন বলা হয়ে থাকে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই লক্ষ্য হচ্ছে বেসামরিক ব্যক্তিদের সংঘাত থেকে রক্ষা করা। যেকোনো দেশের অভ্যন্তরে সেফ জোনস প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জেনেভা কনভেনশনের ১৯৭৭ সালে গৃহীত অতিরিক্ত প্রটোকল ১ (এপি১) ও প্রটোকল ২ (এপি২) সবচেয়ে বেশি দিকনির্দেশক; যেসব সংঘাত আন্তদেশীয় নয়, সে ক্ষেত্রে প্রটোকল ২-এর কার্যকারিতাই প্রধান।

সাধারণ ধারণা হচ্ছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পদক্ষেপ ছাড়া এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে না এবং নিরাপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়া সেটি হতে দেবে না। এই বক্তব্য অনুযায়ী শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই কেবল এ ধরনের নিরাপদ এলাকা বা সেফ জোনস প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। এই রকম মনে করার কারণ হচ্ছে, এ–যাবৎকালের ইতিহাস, যার মধ্যে আছে ১৯৯১ সালে ইরাক-তুরস্কের সীমান্তে স্থাপিত নিরাপদ এলাকা, ১৯৯৩ সালে বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় স্থাপিত ছয়টি এলাকা, ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডার গণহত্যার সময় দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকাজুড়ে স্থাপিত এলাকা, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায় এবং ২০১৪ সালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে। এসব ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু এর মধ্যে ইরাক-তুরস্কের সীমান্তে স্থাপিত নিরাপদ এলাকা ছাড়া কোনো এলাকার অভিজ্ঞতাই খুব ইতিবাচক নয়। এই বছরের গোড়ায় সিরিয়ায় নিরাপদ এলাকা স্থাপনের আলোচনায় বারবার এসব অভিজ্ঞতার কথা আলোচিত হয়েছে। এ নিয়ে ফরেন পলিসি সাময়িকীর ৩০ মার্চ ২০১৭ সংখ্যায় লরেন উলফের লেখা এক নিবন্ধের শিরোনাম ছিল, ‘কোনো নিরাপদ এলাকা নেই, কখনোই ছিল না’ (দেয়ার আর নো ‘সেফ জোনস’ অ্যান্ড দেয়ার নেভার হ্যাভ বিন)। ফলে বাংলাদেশের এই প্রস্তাব যেমন দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, তেমনি এটি বাস্তবায়নের আদৌ উপায় আছে কি না, সেটাও অনেকেই ভাবছেন।

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান ছাড়া ‘নিরাপদ এলাকা’ প্রতিষ্ঠা দুরূহ, এই বক্তব্যকে একেবারে নাকচ না করে দিয়ে বলা যেতে পারে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন বা শক্তি প্রয়োগকে অত্যাবশ্যক মনে করারও কারণ নেই। যদিও বাংলাদেশের প্রস্তাবে ‘জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে’ এই সুরক্ষা বলয়ের কথা বলা হয়েছে, অতীতে এ ধরনের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সম্মতিতে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের উদ্যোগে সেফ জোনস প্রতিষ্ঠারও উদাহরণ আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক রেডক্রসের তত্ত্বাবধানে তিনটি নিরপেক্ষ এলাকা তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় যুদ্ধের সময় ক্রোয়েশিয়ার ওসিজেক শহরে হাসপাতালকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩-১৪ সালে দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘের শান্তি মিশনের দপ্তর এবং ওই এলাকাকে সেফ জোনে পরিণত করার ফলে হাজার হাজার মানুষকে রক্ষা করা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় রেডক্রসের যোগাযোগ বিভাগের সহকারী প্রধান ট্রেভর কেক সম্প্রতি তাঁর একটি লেখায় এসব উদাহরণের উল্লেখ করার পাশাপাশি আমাদের অবশ্য সেব্রেনিৎসার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যেখানে জাতিসংঘের সীমিত উপস্থিতিও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানের বাইরে, রেডক্রসের নিয়ন্ত্রণেও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেফ জোন প্রতিষ্ঠার ধারণা বিবেচনা করতে পারে এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে তুলে ধরতে পারে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাবের চারটির ব্যাপারে যেহেতু একধরনের আন্তর্জাতিক মতৈক্য আছে, সেহেতু বাংলাদেশের এখন প্রধান কাজ হচ্ছে এই বিষয়গুলোর প্রতি যেসব দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন আছে, সেই দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানো এবং জাতিসংঘসহ অন্যান্য ফোরামে তাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করার পথ ও পদ্ধতি বের করা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের এখন পর্যন্ত দেওয়া বক্তব্যে মিয়ানমার প্রসঙ্গের অনুপস্থিতি প্রমাণ করে যে এ নিয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্যের পরিমাণ বড়জোর ক্ষীণ, সম্ভবত একেবারেই নেই। মিয়ানমারের সমর্থক চীন, ভারত ও রাশিয়াকে বাদ দিয়ে সংকট সমাধান প্রচেষ্টার সাফল্যের আশা বাস্তবসম্মত বলে মনে হয় না। কিন্তু এসব দেশের অবস্থান বাংলাদেশের অনুকূলে এমন প্রচারণা একধরনের আত্মপ্রতারণাও বটে। আশা করা যায় যে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এ নিয়ে বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে এবং এখন এসব দেশকে কীভাবে সমাধান খোঁজার কাজে যুক্ত করা যায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নেওয়া হবে।

আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক।