আসিয়ানে রাজাকের একক কণ্ঠস্বর

মিয়ানমারে গণহত্যাবিরোধী সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন নাজিব রাজাক
মিয়ানমারে গণহত্যাবিরোধী সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন নাজিব রাজাক

২২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা। কুয়ালালামপুরের বুকিত বান তুন এলাকায় মালয় তরুণেরা কনসার্টে যোগ দিয়েছেন। শাবাশ বাংলাদেশ গাইছেন তাঁরা। রোহিঙ্গা প্রশ্নে মালয়েশীয় জনগণ, তাদের রাজনীতিকগণ ও গণমাধ্যম সোচ্চার।

১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কিছু আসিয়ান সদস্যের বাধা ও বিরোধিতার মুখে তৎকালীন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বার্মা বা মিয়ানমারকে আসিয়ানভুক্ত করতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আবার ২০০৩ সালে মাহাথির তাঁর ২২ বছরের শাসনের শেষ বছরে অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারকে আসিয়ান থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেছিলেন।

১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ১০ সদস্যের জোট আসিয়ান কী করে, সেদিকে আমরা চোখ রেখেছিলাম। রোহিঙ্গারা বিপুল সংখ্যায় আসিয়ানভুক্ত থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এমনকি সীমিতভাবে ফিলিপাইনেও আশ্রয় নিয়েছে। মুসলিম বিবেচনায় বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার বেশি এগিয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু জাকার্তা নেপিডোরবিরাগভাজন না হয়ে মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছে। এবার জাকার্তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘে চেঞ্জমেকার হিসেবে একটি পুরস্কার পেয়েছেন, আর সেখানে তাঁর রোহিঙ্গা দূতিয়ালি স্বীকৃতি পেয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে রাজপথে নামতে নাজিব রাজাক আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। নাজিব রাজাকই বিশ্বের একমাত্র সরকারপ্রধান, যিনি রাজপথে নেমে রাখাইনের ঘটনাকে গণহত্যা বলেছেন।

আসিয়ান দেশগুলো রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেখিয়ে চলছে, সেটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়। রাশিয়া ও চীন যেখানে হ্যাঁ বলবে, সেখানে আমেরিকাকেও হ্যাঁ ধাঁচের কিছু একটা বলতে হবে, সেটা রোহিঙ্গা পর্ব না এলে আমাদের চোখে এভাবে ধরা পড়ত না।

সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমস পত্রিকায় নজরে এল, ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ আইসিসপন্থী জঙ্গিদের দুটি সন্ত্রাসী পরিকল্পনা, যাতে তারা জাকার্তার মিয়ানমার দূতাবাস উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, তা তারা নস্যাৎ করেছে। আর মিয়ানমার এমন এক সময়ে তার নিজের পায়ে গুলি করছে, যখন বিনিয়োগ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশ্ব তার দিকে তাকাতে শুরু করেছিল। সিঙ্গাপুরের এই পত্রিকা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিবিয়ান বালাকৃষ্ণাননের ফেসবুক থেকে নেওয়া সু চি-ভিবিয়ান বৈঠকের একটি আলোকচিত্র প্রকাশ করেছে। মনে হচ্ছে, ভিবিয়ান সু চির একটি উত্তম ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সচেষ্ট।

১৫ সেপ্টেম্বর তিনি মিয়ানমারের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোতে সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং আসিয়ান কীভাবে ‘সব ÿক্ষতিগ্রস্ত’ সম্প্রদায়কে মানবিক সহায়তা দিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। বর্মি জান্তা বিশ্বকে এটাই জানান দিচ্ছেন যে ওখানে এক হাতে তালি বাজেনি। ‘নিরীহ বৌদ্ধরাও ÿক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিঙ্গাপুরের উচিত হবে রোহিঙ্গা গণহত্যার নিন্দা করা। না পারলে বর্মি কৌশলগত প্রচারণায় নিজেকে শামিল না করা।

দুই সপ্তাহ আগে ভিবিয়ান ফেসবুকে নিজের সঙ্গে সু চির ছবি দিয়ে লিখেছেন, রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে ‘উষ্ণ ও উন্মুক্ত’ আলোচনা হয়েছে। একটি গণহত্যা নিয়ে ‘উষ্ণ’ আলোচনা! ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভিবিয়ান বলেছিলেন, ‘আমাদের অবশ্যই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে; যাতে আমরা উগ্রপন্থীদের ফাঁদে না পড়ি।’ তিনি বলেননি আইসিসের ফেসবুকে বর্মি উগ্রপন্থীরা খেলছে। তবে তিনি মুখরক্ষার জন্য এটা বলেছেন, ‘জাতিগত পরিচয়, ধর্মীয় বিশ্বাস কিংবা উৎপত্তি-নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিককে রক্ষা করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব।’

ভিবিয়ানের বরাতে সু চির মনোবেদনা আমরা জানতে পারি। তাঁর ভাষায়, তিনি সু চিকে তাঁর নিজের দেশের ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন দেখেছেন। সেখানকার বেদনাদায়ক এবং দুর্ভোগের ঘটনায় তিনি তাঁর কথায়, সু চিকে ‘অত্যন্ত ব্যথিত’ দেখেছেন।

এর আগে আমরা ইন্দোনেশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো মারসুদিকে ঢাকায় দেখেছি। এসেছিলেন সেপ্টেম্বরের গোড়ায়। গত ২৮ আগস্ট ইন্দোনেশীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছিল, মিয়ানমারের সংঘাতে আসিয়ান হস্তক্ষেপ করবে না। আমরা লক্ষ করি, মিয়ানমার ২০১২ সালে তার গণহত্যার প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে  তীব্র করেছে। কেউ তাকে থামতে বলেনি। আশ্চর্যের হলো, হংকংভিত্তিক এশিয়ান টাইমস–এর ১৫ আগস্টের একটি রিপোর্ট। এতে বলা হয়েছিল, বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসম্ভার মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের মদদে বাংলাদেশের পথে রাখাইনে ঢুকেছে। ওই রিপোর্টের শুরুটা ছিল এ রকম: ‘আরাকান স্যালভেশন আর্মি আরসার নেতৃত্বে একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহের প্রস্তুতি চলছে। শুকনো মৌসুমের প্রাক্কালে রাখাইনে সহিংসতা ব্যাপকতা পাবে।’ এর ঠিক ১০ দিন পরে আনান কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়তে না-পড়তেই ২৫ আগস্ট তথাকথিত আরসা হামলা চালাল। আর এখন চীন, ভারত, রাশিয়া, জাপানসহ বৃহৎ শক্তিগুলো মানবিক বিপর্যয়ে ব্যথা-বেদনা প্রকাশের আগে ‘জঙ্গি’ হামলার নিন্দা জানায় জোরেশোরে। ব্যতিক্রম তাই মালয়েশিয়া। দেশটির বিরুদ্ধে বর্মি মিডিয়া লাগাতার লেগে ছিল।

মিয়ানমার টাইমস–এ গত বছরের ডিসেম্বরে মিয়ানমারের ন্যাশনাল মঙ্ক ইউনিয়ন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেওয়ার লিখিত হুমকি দিয়েছিল। বলেছিল, মুসলিমরা অবৈধ অর্থ বিলিয়ে রাখাইনে মুসলিম বিশ্ব গড়তে চাইছে। ডিসেম্বরে তারা মালয়েশিয়ায় বর্মি শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করেছিল।

২৮ সেপ্টেম্বর দ্য স্টার অনলাইনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মার্গাওয়াতি জুলাফাকার লিখেছেন, আসিয়ানের চেয়ারম্যান ও ফিলিপিনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলান তাঁর ছয় প্যারাগ্রাফের বিবৃতিতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা করলেও তিনি রোহিঙ্গা কথাটি মুখে নেননি। এমনকি উদ্বাস্তুদের বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেননি। ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, এটা অনেকেরই জানা নেই যে কুয়ালালামপুর আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল যে আসিয়ানের সভাপতি যদি নিজের মতো করে চলেন, তাহলে মালয়েশিয়া নিজেকে বিবৃতি থেকে সরিয়ে নেবে।

গত ২৬ এপ্রিল আসিয়ান নেতারা তাঁদের জোটের ৩০তম শীর্ষ সম্মেলন শুরুর এক দিন আগে রয়টার্স মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কীভাবে শত শত রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে, তার বিবরণ প্রকাশ করেছিল। অথচ ওই শীর্ষ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পায়নি। ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর নাজিব রাজাক মিয়ানমারের গণহত্যার প্রতিবাদে সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন।

নাজিব রাজাক বিরামহীনভাবে মিয়ানমারের নৃশংসতার বিরুদ্ধে চড়া সুরে কথা বলেছেন, যা কিনা অবশিষ্ট বিশ্ব, বিশেষ করে ইউরোপ ও পশ্চিমা দুনিয়ার চেনা কণ্ঠগুলোকে ছাপিয়ে গেছে। মানবতার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে মালয়েশিয়া। আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নামে প্রচারিত যে বিবৃতির বিরোধিতা নাজিব প্রশাসন করেছে, সেখানেও মালয়েশিয়া একা। আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশের মধ্যে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ছাড়া ব্রুনাই মুসলিম–অধ্যুষিত। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নাম মুখে না নেওয়ায় ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির বিষয়ে আর কেউ প্রতিবাদ করেনি।

ম্যানিলা বুলেটিন–এ ১৮ সেপ্টেম্বর রয় মাবাসা লিখেছেন, যদি মিয়ানমার সরকার উত্তর রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানায়, তাহলে ফিলিপাইন তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। অথচ ফিলিপাইনের প্রশাসন মানবাধিকারের কথা বলে। ম্যানিলা অবশ্য স্মরণ করেছে যে ১৯৫১ সালের কনভেনশন রিলেটিং টু দ্য স্ট্যাটাস অব রিফিউজিসের (সিআরএসআর) মতো আন্তর্জাতিক ইনস্ট্রুমেন্টে ফিলিপাইন রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে স্বীকৃত। তাই তারা আশ্রয়প্রার্থী এবং উদ্বাস্তুদের মানবিক সহায়তা দিতে সংকল্পবদ্ধ। ২০১৪ সালে নয়জন রোহিঙ্গা ফিলিপাইনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা সেখানে পাঁচ মাসের বেশি ছিলেন না। ফিলিপাইনের বিচারমন্ত্রী লেইলা দে লিমা তখন সমুদ্র থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠানোর কথা বলেছিলেন। তাঁরা স্মরণ করেছিলেন যে তাঁরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দেড় হাজার ইহুদি ও সত্তরের দশকে ভিয়েতনামের উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিপাইনের স্থায়ী প্রতিনিধি বার্নাড কারব্লাত বলেছেন, উদ্বাস্তুদের জন্য ফিলিপাইন ‘আশার বাতিঘর’। দেখার বিষয়, তাঁরা কত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে উন্মুখ থাকেন।

এই মুহূর্তে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিবৃতির সমালোচনায় সোচ্চার মালয়েশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফা আমান। ফিলিপিনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই সমালোচনা কবুল করেছেন। কারণ, ওই বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ না করে দায়সারাভাবে সাদামাটা ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছিলেন আসিয়ানের সভাপতি।

গত রোববার পেতালিং জায়ায় মালয়েশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নাম উল্লেখ না করে আসিয়ানের যে বিবৃতি দেওয়া হয়, তা আমরা স্বীকার করি না। ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্যত তাঁর বিবৃতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটা আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নয়, তাঁর নিজের বিবৃতি বলে গণ্য হোক।

কুয়ালালামপুরে অবস্থানকালে বুঝতে চাইলাম বিরোধী দলের সঙ্গে এ নিয়ে দা-কুড়াল সম্পর্কের ছাপ আছে কি না। ক্ষমতাসীন দলের প্রতিদ্বন্দ্বী কারাবন্দী আনোয়ার ইব্রাহিমের দলও রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রকারান্তরে সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন দিচ্ছে।

২২ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুরে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেন, ‘বিরোধী দলের এক নেতা বলেছেন, আমি নাকি ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় রোহিঙ্গা বিষয় তুলিনি। কিন্তু তা সত্য নয়। আমি তুলেছি বলেই ট্রাম্পের ঘোষণায় রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের সাহায্যের একটি ঘোষণা এসেছে।’ পেরাক অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জাম্বরি আবদুল কাদির দ্য স্ট্রেইট টাইমসকে ২১ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী হয়তো রোহিঙ্গা ইস্যু ট্রাম্পের সঙ্গে তুলবেন না। কিন্তু তিনি সেটা তুলেছেন, এটা ব্যতিক্রম।’ টাইম ম্যাগাজিন–এ (২ অক্টোবর) এলিজাবেথ দিয়াস অবশ্য লিখেছেন, ট্রাম্প জাতিসংঘে তাঁর বক্তৃতায় না তুললেও নিজের গরজেই বিষয়টি নাজিব রাজাকের সঙ্গে তুলেছেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী রোজমা মনসুর প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। তিনিও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে রোহিঙ্গাদের পক্ষে জনমত গঠনে নেমেছেন। চার দিনব্যাপী মুসলিম ওয়ার্ল্ড বিজের একটি সম্মেলন শেষ হলো ২১ সেপ্টেম্বর। পুত্রাওয়র্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওয়াইবি এইচবি দাতিন রেশমা মনসুর রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মালয়েশিয়া এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।

এভাবে মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা দুনিয়ার বাইরে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের এক অসামান্য বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের, প্রাচ্যের, পাশ্চাত্যের এবং আমাদের এশীয় ‘পরীক্ষিত’ বন্ধুরা যখন কম উচ্চকিত বা নীরব বা দায়সারা মনোভাব দেখাচ্ছেন, তখন বাংলাদেশের পাশে নিঃশর্তে সোচ্চার মালয়েশিয়া। আমরা মালয়েশীয় ভূমিকাকে স্বাগত জানাই।

মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক৷