কোটাব্যবস্থায় সংস্কার জরুরি

সরকারি চাকরিতে, আরও সঠিকভাবে বললে, বেসামরিক প্রশাসনের চাকরিতে একটা কোটাব্যবস্থা বিদ্যমান আছে। বিভাজনটা সবাই জানেন, তবু এখানে উল্লেখ করছি: বিজ্ঞাপিত পদের ৪৫ শতাংশ চাকরি দেওয়া হবে মেধার ভিত্তিতে। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যা এখন তাঁদের সন্তানসন্ততি, নাতি-নাতনিদের জন্য বরাদ্দকৃত। ১০ শতাংশ নারীর জন্য, ৫ শতাংশ উপজাতীয় কোটা, অবশিষ্ট ১০ শতাংশ জেলা কোটা। প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ কোটা আছে, তবে তা উল্লেখিত কোটাগুলোর কোনো অব্যবহৃত অংশ থেকে দিতে হবে। সমাজে প্রতিবন্ধীদের জীবন যেমন প্রান্তিক, কোটাব্যবস্থায়ও তাদের তেমনি প্রান্তিক অবস্থানে রাখা হয়েছে।

কোটাব্যবস্থার পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর কথাবার্তা, মতামত, লেখালেখি হয়ে থাকে। বলা বাহুল্য, পক্ষে কম, অধিকাংশ মতামতই বিপক্ষে। নিদেনপক্ষে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থার সংস্কার যে কাম্য, তা প্রায় সবাই স্বীকার করেন মুষ্টিমেয় প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী ছাড়া। কোটাব্যবস্থা তরুণসমাজের যে অংশের জন্য চাকরিপ্রাপ্তিকে অনেক কঠিন করে তুলেছে, তাদের মধ্যে এর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রবল ক্ষোভ। অনেকে বিষয়টিকে খুব সংবেদনশীল বিবেচনা করে চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করেন। আমার মনে হয়, এই বিতর্ক আজ এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন এবং কঠিন হলেও এর সংস্কারে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। মনে রাখতে হবে, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হবে না।

কোটাব্যবস্থা আইনসিদ্ধ কি না-এ প্রশ্ন অনেক সময় উত্থাপিত হয়। এ ব্যাপারে আমাদের সংবিধান কী বলে? সংবিধানের ১৯ (১) ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্র প্রজাতন্ত্রের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে। ২৯ (১) ধারায় আবার বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে সব নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এর ব্যত্যয় করার ব্যবস্থাও আমাদের সংবিধানে আছে। সংবিধানের ২৯ (৩) ধারায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার এবং প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে তাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়াকে আইনসম্মত করা হয়েছে। বিদ্যমান কোটাব্যবস্থাকে সংবিধানের এই প্রভিশনের আলোকে বিচার করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে, কোটাব্যবস্থার সুবিধা যাদের আমরা দিচ্ছি, চূড়ান্ত বিচারে তারা অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে কি না।

প্রথমেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তুলনামূলক অনগ্রসরতার মাপকাঠি কী হবে। আমার মনে হয়, যেকোনো জনগোষ্ঠীর সংখ্যার তুলনায় চাকরিতে বা লেখাপড়ায় তাদের তুলনামূলক প্রতিনিধিত্ব যদি কম থাকে, তবে তাদের ওই পরিমাণ অনগ্রসর হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কোটার লক্ষ্য যদি হয় অনগ্রসরদের এগিয়ে নিয়ে সামাজিক সমতাবিধান, তাহলে তুলনামূলক প্রতিনিধিত্ব অর্জন না করা পর্যন্ত তাদের ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থা বজায় রাখা আমাদের সংবিধানের আলোকে যথাযথ বলেই মনে হয়।

নারী কোটা নিয়েই শুরু করা যাক। আজকাল প্রায়ই দেখি কেউ কেউ বলেন যে নারীরা তো কম মেধাবী নন, আর তা ছাড়া তাঁরা তো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বেশ ভালো করছেন, তাহলে আর এই কোটা রাখার যৌক্তিকতা কোথায়? এ কথা যাঁরা বলেন, তাঁদের সবিনয়ে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে দেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই নারী। নিঃসন্দেহে নারীরা আগের তুলনায় অনেক ভালো করছেন, তাঁদের মেধা নিয়েও সন্দেহ করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু ১০ শতাংশ কোটা থাকার পরও তাঁরা কোনো ক্যাডারেই অর্ধেক চাকরি পাননি। কোটা না থাকলে চিত্রটা কী হতো, তা অনুমান করা কঠিন নয়। নারী কোটা থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তর্ক তাই অর্থহীন। যে শুভদিনে আমাদের নারীরা কোটা ছাড়াই অর্ধেক চাকরি পাবেন, সেদিন থেকে নারী কোটা তুলে দেওয়া অবশ্যই যুক্তিযুক্ত হবে।

৫ শতাংশ উপজাতি কোটা চালু হয়েছে সম্ভবত ১৯৯৭ সাল থেকে। বাংলাদেশের উপজাতি জনসংখ্যা সার্বিক জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি নয়। বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে নেই, তবে এটা দৃশ্যমান যে অনেক ক্যাডার চাকরিতেই উপজাতীয়দের সংখ্যা এখন ১ শতাংশের বেশি। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখে কালক্রমে এই কোটা সর্বোচ্চ ২ শতাংশে সীমিত করা যায়।

১০ শতাংশ জেলা কোটা আমার কাছে খানিকটা অদ্ভুতই মনে হয়। যে জেলা থেকে ক্যাডার পদে যথোপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব আছে, তার কোটা থাকার যৌক্তিকতা কী, তা আমার বোধগম্য হয় না। প্রতিনিধিত্বের বিচারে তলানিতে পড়ে আছে যে জেলাগুলো, শুধু সেই জেলাগুলোকে জেলা কোটার আওতায় রাখা প্রয়োজন। সীমিতসংখ্যক এরূপ জেলার ক্ষেত্রে কোটা বজায় রাখলে সমতাসাধনের লক্ষ্য অর্জন অনেকটা সহজ হতে পারে।

মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যাপারে সরাসরি ভুক্তভোগী ছাড়া সহজে কেউ কিছু বলতে চান না। সংবেদনশীল বিধায় বিষয়টি অনেকেই এড়িয়ে চলেন, পাছে তাঁদের প্রতি কোনোরূপ অসম্মান প্রকাশ পায়। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে স্বাধীন করেছেন, বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের চিরদিন পরম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। আমি নিশ্চিত, একজনও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ব্যক্তিগত লাভ বা পদ-পদবির আশায় যুদ্ধে নামেননি। আর তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের নিয়োগের যথার্থতা নিয়ে আলোচনা হলে তাতে তাঁদের অমর্যাদা হয়, আমার তা মনে হয় না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত অমর্যাদা যদি কিছুতে হয়ে থাকে তা হলো বরং গত কয়েক বছরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ কেলেঙ্কারি এবং তার মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা।

যুদ্ধোত্তর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রশাসন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকর্তার অভাব ছিল। তড়িঘড়ি করে নামমাত্র পরীক্ষা নিয়ে বেশ একটা বড়সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাকে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল (সংখ্যাটি সম্ভবত ১ হাজার ৩১৪ জন, যাঁদের বড় অংশকে পদায়ন করা হয়েছিল প্রশাসন ও পুলিশে)। আমার মনে হয় (আমার এই ধারণা ভুল হওয়াও সম্ভব) শূন্যপদ পূরণ ছাড়াও বিজয়ীর বেশে ফিরে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তত একাংশকে পুরস্কৃত করাও এই নিয়োগের পেছনে বিবেচ্য ছিল। আমলাতন্ত্রের পরিমণ্ডলে অনুগত একটি গ্রুপ সৃষ্টির লক্ষ্য থাকাও অসম্ভব নয়।

যত দূর জানি, অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন এরূপ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কমবেশি দুই লাখ। প্রকৃত সংখ্যাটা আমি জানি না, আমার জানামতে কেউ জানে না। এর মধ্যে বিরাটসংখ্যক ছিলেন ছাত্র, যাঁরা লেখাপড়ায় ফিরে গেছেন। অনেকে অবস্থাপন্ন ঘরের সন্তান, সরকারি চাকরিতে আগ্রহ ছিল না। অনেকের বয়স ছিল বেশি, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের মতো নয়। তাঁরা যদি সংখ্যায় মোটামুটি অর্ধেক হয়ে থাকেন, তো এরপর বাকি থাকে এক লাখ। সরকারের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা থেকে পিয়ন পর্যন্ত, সেই সঙ্গে পুলিশ আর সেনাবাহিনী মিলিয়ে এই এক লাখ মুক্তিযোদ্ধার সবাইকে পরিকল্পিতভাবে পর্যায়ক্রমে চাকরি দেওয়া সম্ভব ছিল। এটি হতে পারত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সার্বিক পুনর্বাসন প্রকল্প, যা একই সঙ্গে যুদ্ধোত্তর সদ্য স্বাধীন দেশটির সামাজিক স্থিতিশীলতায়ও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারত। পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষা করছেন বা রিকশা চালাচ্ছেন, এমন খবর দেখার দুর্ভাগ্য আমাদের হয়েছে। উল্লিখিত কার্যক্রম নিলে হয়তো আমরা এরূপ অঘটনকে পাশ কাটাতে পারতাম।

যাহোক, এই ‘মুক্তিযোদ্ধা ব্যাচ’-এর নিয়োগের পর যখন সিভিল সার্ভিসে নিয়মিত নিয়োগ শুরু হলো, তখন প্রতি ব্যাচে প্রতি ক্যাডারে মোট নিয়োগের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত হলো (মেধায় যে মুক্তিযোদ্ধারা চাকরি পাবেন, এই হিসাব তার বাইরে)। দুঃখজনক সত্য হলো, এই সুবিধা বহাল হলো যেদিন থেকে, সেদিন থেকেই শুরু হলো ভুয়া সনদ জোগাড়ের মাধ্যমে এর অপব্যবহার। অসংখ্যবার যাচাই-বাছাই করেও এর হাত থেকে আজও মুক্তি মেলেনি।

এই কোটাব্যবস্থার কারণে পরীক্ষায় ভালো ফল করেও যাঁরা কাঙ্ক্ষিত ক্যাডারে স্থান পেতেন না, তাঁরা এতে ক্ষুব্ধ হতেন। অন্যরা ভাবতেন যে আর তো কটা দিন, মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির দরখাস্ত করার বয়স পার হয়ে গেলে বিষয়টা এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বিষয়টা শেষ হলো না।

এক সরকারি নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা পোষ্যদের এই বিশেষ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হলো। তাঁদের এবং সেই সঙ্গে সন্দেহজনক অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরাও এখন এই সুবিধা ভোগ করছেন। এর ফলে সমাজে একটি বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণির সৃষ্টি হয়েছে। জন্ম, বর্ণ বা বংশপরিচয় বিবেচনায় কাউকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে সংবিধানের নিষেধাজ্ঞা এর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। এর ফলে যে দুর্নীতির একটি নতুন ক্ষেত্রও সৃষ্টি হয়েছে, এ ব্যাপারেও তেমন কোনো দ্বিমত নেই।

আমার মনে হয়, সময় হয়েছে কোটাব্যবস্থা নিয়ে একটি যৌক্তিক পরিবর্তিত বিন্যাসে উপনীত হওয়ার পক্ষে খোলামেলা আলোচনা শুরু করার। অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা যদি কমবেশি দুই লাখ হয়ে থাকে, তখন তাঁরা ছিলেন মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। বৈবাহিক সূত্রে সম্ভবত সমসংখ্যক মানুষ তাঁদের পরিবারভুক্ত হয়েছেন। তাহলে সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে শূন্য দশমিক ৬। অর্থাৎ রাষ্ট্র ১ শতাংশের কম মানুষের ছেলেপুলে, নাতি-পুতিদের জন্য চাকরির ৩০ শতাংশ পদ নির্দিষ্ট করে রেখেছে (যে ছেলেপুলে, নাতি-পুতিদের কোনো ব্যক্তিগত অবদান নেই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধার পরিবারে জন্ম নেওয়া ছাড়া)। এরূপ প্রবল বৈষম্যমূলক একটি ব্যবস্থা প্রজাতন্ত্রের মূল চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

খোলামেলা আলোচনার লক্ষ্যে আমি একগুচ্ছ প্রস্তাব রাখছি:
ক. চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ করা হোক;

খ. মেয়েদের কোটা ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হোক। এই ব্যবস্থা তত দিন বহাল থাকবে, যত দিন না শুরুর পর্যায়ে তাদের নিয়োগ কমবেশি ৫০ শতাংশে পৌঁছায়;

গ. মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বিশেষ সুবিধা হিসেবে বরাদ্দ করা হোক ৫ শতাংশ চাকরি। মেধায় যাঁরা আসবেন, তাঁরা এর বাইরে থাকবেন। নাতি-পুতিদের এই সুবিধা সম্পূর্ণ বাতিল করা হোক।

ঘ. জেলা কোটা ১০ শতাংশের স্থলে ৬ শতাংশ বহাল থাকুক, তবে এই সুবিধার আওতায় থাকবে শুধু সেই সব জেলা, চাকরিরতদের মধ্যে যাঁদের প্রতিনিধিত্ব জনসংখ্যার অনুপাতের তুলনায় ৮০ শতাংশের কম।

ঙ.৫ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ কোটা বরাদ্দ হোক উপজাতীয়দের জন্য। তাঁদের প্রকৃত সংখ্যার তুলনায় এটা যথেষ্ট;

চ. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো প্রকারে প্রতিবন্ধী। তার মধ্যে ২-৪ শতাংশ মানুষ গুরুতর প্রতিবন্ধী। একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজ নির্মাণের লক্ষ্যে তাদের জন্য ন্যূনতম ২ শতাংশ কোটা নির্দিষ্ট থাকুক, অন্যান্য কোটার অব্যবহৃত অংশ থেকে নয়।

আমার এসব প্রস্তাবই যে সর্বোৎকৃষ্ট, এমন দাবি করার ধৃষ্টতা আমার নেই। এ নিয়ে চর্চা হোক, এই আমার প্রত্যাশা। আমি আশাবাদী, এর চেয়ে আরও ভালো সমাধান নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে।

মো. তৌহিদ হোসেন: সাবেক পররাষ্ট্রসচিব