ভোটে হারব না, তবে তারা জিততেই চায়

নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু।


প্রথম আলো: ভোট কেমন হবে? 

নজরুল ইসলাম মঞ্জু: জয়ের সম্ভাবনা দেখি। এই শহরের মানুষ আমাকে এত ভালোবাসেন, এত বেশি পছন্দ করেন, কয়েক দিনের প্রচারণায় তাঁরা যেভাবে আমাকে গ্রহণ করেছেন, আমি গর্বিত। আমি মনে করি, রাজনীতিবিদ হিসেবে আমার স্বীকৃতি মিলেছে এবার পরিপূর্ণভাবে।

প্রথম আলো: আপনি ভোটে হারতে পারেন, এমনটা ভাবতে পারেন কি?
মঞ্জু: ভোটে আমি হারব না। সরকারের যে পরিকল্পনা, যে ইঙ্গিত আমরা পেয়েছি, তাতে তারা এখানে যেকোনো প্রকারে জিততে চায়। তাদের যে প্রস্তুতি, সেটা প্রমাণ করে।
তাদের জেতাটা প্রয়োজন ভিন্ন কারণে। সেটা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে যে বার্তা যাবে, এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে, সে বার্তা যাতে না যেতে পারে। তবে তারা নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে নয়, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে জিততে চায়।

প্রথম আলো: আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তো বলছেন, বিএনপিই ইঞ্জিনিয়ারিং করবে। নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে ভোটের দিন কাজ করবে।
মঞ্জু: এটা তাদের অযোগ্যতা, অক্ষমতা ও দেউলিয়াত্ব বলে মনে করি। তারা যদি বলে আমাদের কর্মীরা নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে ভোট দিতে যাবে, তাতে এটাই মনে হয়, তারা এমন সন্ত্রাস করেছে যে মানুষ আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা অন্য কারও ওপর নির্ভর করতে পারছে না। তাই নৌকার ব্যাজ লাগিয়ে ধানের শীষে ভোট দেবে। তার মানে হচ্ছে, দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা এত দুর্বল হয়ে পড়েছে যে মানুষের এই নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি কোনো আস্থা নেই।

প্রথম আলো: আপনারা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। অথচ আওয়ামী লীগ বলছে, ভোটের পরিবেশ ঠিক রাখতে সন্ত্রাসী ও মামলার আসামিদের পুলিশ ধরছে।
মঞ্জু: এটা আমি বিশ্বাস করি না। সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের নামে গত ১০ দিনে পুলিশ যা করেছে, এটা পুলিশের কাজ নয়। সরকারি দলের প্রার্থীকে জয়ী করতে নির্বাচনী ময়দান ফাঁকা করার উদ্দেশ্য নিয়েই গণগ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে। পুলিশেরই কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে, তারা জনগণের পুলিশ নয়। এই পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা, বিশ্বাস নেই। তারা একটি দলের হয়ে কাজ করছে। পুলিশের কাজ জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করা। কিন্তু সরকারি দল পুলিশকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।

প্রথম আলো: শেষ কথা কী?
মঞ্জু: গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে। ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি সে জন্য বলেছি, ভোট দিতে হবে, ভোট পাহারা দিতে হবে এবং জনগণ ফল নিয়ে বাড়ি যাবেন, এটাই হচ্ছে আমার শেষ কথা।

আরও পড়ুন...