আত্মঘাতী সভ্যতার পরমাণু-পাগলামি

‘নিউট্রন বোমা বোঝ/মানুষ বোঝ না!’ কবি হেলাল হাফিজ লিখেছিলেন বহু আগে। আজকের বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এ এক ভীষণ জরুরি প্রশ্ন। আর বর্তমান বাস্তবতা বলছে, এই প্রশ্নের উত্তর, ‘না’। বিশ্বরাজনীতি মঞ্চের পাদপ্রদীপের আলোয় এখন পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা। ইরান চুক্তি থেকে আমেরিকার সরে আসার ঘোষণা ও এ থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ঘনিয়ে আসা শঙ্কার মেঘ, মেয়াদ ফুরিয়ে আসা পরমাণু অস্ত্রধারী দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে হওয়া চুক্তিগুলো নিয়ে অনিশ্চয়তা ইত্যাদির কারণে পরমাণু অস্ত্রকে ঘিরে উদ্বেগ দানা বাঁধছে। সঙ্গে রয়েছে অভাবনীয় প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে তৈরি হওয়া বিপদও।

পরমাণু শক্তিকে বহু দেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করলেও পরমাণু অস্ত্র আছে গুটিকয় দেশের কাছে। (এমনকি বিদ্যুৎ তৈরির প্ল্যান্টেও বিপর্যয় ঘটেছে, যেমন জাপানের ফুকুশিমায়।) এই ভয়াবহ বিধ্বংসী অস্ত্র প্রথম তৈরি ও ব্যবহার করে আমেরিকা। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহর এর ভয়াবহতার দগদগে ঘা বয়ে বেড়াচ্ছে এখনো। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম এই অস্ত্রের অধিকারী হয় ১৯৪৯ সালে। তারপর শুরু হয় পুঁজি কেন্দ্র ওয়াশিংটন ও সমাজতান্ত্রিক কেন্দ্র মস্কোর মধ্যে এক ভয়াবহ প্রতিযোগিতা। কয়েক দশক ধরে চলা ওই প্রতিযোগিতায় দুই দেশই নিজের বহরে যুক্ত করে বিপুলসংখ্যক পরমাণু অস্ত্র। দেখাদেখি নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে অন্য কয়েকটি দেশও অনেকটা নিরুপায় হয়েই ঢুকে পড়তে থাকে এই দুই বৃহৎ বৃত্তে। নিরাপত্তার গ্যারান্টির বিপরীতে তাদের প্রদর্শন করতে হয়েছে নিখাদ আনুগত্য।

আর্মি-টেকনোলজি ডটকমের তথ্যমতে, ১৯৮৬ সাল নাগাদ মস্কো প্রায় ৪৫ হাজার পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হয়। আর আমেরিকার পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ১৯৬৭ সালেই ছিল ৩১ হাজারের বেশি। এরপর সোভিয়েত–উত্তর যুগে বিভিন্ন সমঝোতা ও চুক্তির মধ্য দিয়ে দুই দেশই তাদের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কমিয়ে এনেছে। বর্তমানে রাশিয়ার হাতে স্বল্প, মাঝারি ও দূরপাল্লার মিলিয়ে রয়েছে সাড়ে আট হাজার পরমাণু অস্ত্র। বিপরীতে আমেরিকার হাতে রয়েছে ৭ হাজার ৭০০টি পরমাণু অস্ত্র। সারা বিশ্বের মোট পরমাণু অস্ত্রের মধ্যে ৯৫ শতাংশই এই দুই দেশের।

এ অবস্থায় পরমাণু অস্ত্র মানেই আমেরিকা ও রাশিয়া। আর বিশ্বশান্তির অর্থ হচ্ছে এই দুই দেশের বিধ্বংসী যুদ্ধে না মাতার নিশ্চয়তা। নিশ্চয়তাটা দিচ্ছিল এ সম্পর্কিত দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো। দুই পরাশক্তির মধ্যে এ ধরনের প্রথম চুক্তিটি সই হয় ১৯৭২ সালে। স্ট্র্যাটেজিক আর্মস লিমিটেশন টকস (সল্ট-১) শীর্ষক ওই চুক্তি বিশ্বকে আশ্বস্ত করেছিল। পরে আরও কয়েকটি চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। এর মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি (স্টার্ট), ইন্টারমেডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ) ও নিউ স্টার্ট উল্লেখযোগ্য। রয়েছে এ সম্পর্কিত নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটির (এনপিটি) মতো আন্তর্জাতিক চুক্তিও, যেখানে দুই দেশই অনুস্বাক্ষর করেছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে আরও তিন দেশ। এই চুক্তিগুলোই এখন পর্যন্ত বিশ্ববাসীকে পরমাণু যুদ্ধ থেকে বাঁচার নিশ্চয়তা দেয়।

রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে সর্বশেষ ২০১১ সালে সই হয় নিউ স্টার্ট চুক্তিটি। এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দুই দেশেরই তাদের প্রস্তুত পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫০-এ সীমিত করার কথা। একই সঙ্গে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে অন্য পক্ষকে নিয়মিত তথ্য দেওয়ার বিষয়টিও এর অন্তর্ভুক্ত, যা দুই পক্ষের মধ্যে আস্থার ভিত তৈরি করেছিল। চুক্তিটি সর্বশেষ নবায়ন হয় ২০১৬ সালে। পাঁচ বছর পরপর এটি নবায়ন করার কথা। এ হিসাবে ২০২১ সালে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ফুরাচ্ছে।

রাশিয়ার সাবেক চিফ অব স্টাফ জেনারেল ভিক্টর এসিন, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেস ব্রাউনি ও আমেরিকার সাবেক সিনেটর রিচার্ড লুগার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির উল্লেখ করে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, ২০২১ সালের মধ্যে নিউ স্টার্ট নবায়ন না করলে কিংবা তার নতুন কোনো চুক্তি এর স্থলাভিষিক্ত না হলে ১৯৭২ সালের পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের পরমাণু কর্মসূচি যেকোনো ধরনের নজরদারির বাইরে চলে যাবে। রাশিয়া স্থলভিত্তিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করে এ চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে এরই মধ্যে দাবি করেছে আমেরিকা। একই সঙ্গে অনুরূপ অস্ত্র তৈরির ঘোষণাও এসেছে ওয়াশিংটন থেকে।

পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি আইএনএফ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনও। তিনি একে ‘একতরফা’ ও ‘অকেজো’ আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, অন্য দেশগুলো ঠিকই স্থলভিত্তিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চীনকে অন্তত চুক্তির আওতায় আনার এক অসম্ভব প্রস্তাব করছেন, যা চুক্তিটিকে শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

বোল্টন নিউ স্টার্ট চুক্তিরও সমালোচক। তিনি বরং এই চুক্তির স্থলে ২০০২ সালে স্বাক্ষরিত মস্কো চুক্তি, যার আনুষ্ঠানিক নাম, স্ট্র্যাটেজিক অফেনসিভ রিডাকশন ট্রিটির (সর্ট) পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। যদিও সর্ট চুক্তিটি দুই পক্ষের পরমাণু কর্মসূচির ওপর নজরদারি নিয়ে কিছুই বলে না। এতে অস্ত্র ধ্বংসের বদলে নিষ্ক্রিয় করার কথা বলা হয়েছে। রয়েছে অন্য সীমাবদ্ধতাও।

সব মিলিয়ে সর্বাত্মক অস্ত্র প্রতিযোগিতা অতীতের অর্জনকে ধূলিসাৎ করার মুখে। পরমাণু অস্ত্রের শক্তি ও সংখ্যার দিক থেকে পয়লা নম্বর হওয়ায় ট্রাম্পের আকাঙ্ক্ষার কথা সুবিদিত। সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে পুতিনও দিয়েছেন ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রতিশ্রুতি। এটা এমন একসময়ে, যখন রাশিয়া, আমেরিকা ও ন্যাটো জোট সিরিয়া ও পূর্ব ইউরোপে মুখোমুখি অবস্থানে। এই চুক্তির নবায়ন নিয়ে শঙ্কার বড় কারণ, বারাক ওবামার আমলের পররাষ্ট্রনীতি খারিজ করায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঝোঁক।

উদাহরণ হিসেবে ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের শুরুর দিকে ফোনালাপের সময় পুতিন চুক্তিটি নবায়নের বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে, তিনি এ সম্পর্কে তাঁর পরামর্শকদের প্রশ্ন করেন। ফিরে এসে তিনি পুতিনকে বলেন, এটি তাঁর পূর্বসূরির করা আরেকটি জঘন্য চুক্তি। ফলে সম্ভবত (চুক্তিটি নবায়ন করা হবে) না।

পরমাণু অস্ত্র সম্প্রসারণ রোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচিলটি হচ্ছে এনপিটি। এ চুক্তির আওতায় রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও চীন। কিন্তু পরমাণু অস্ত্রধারী আরও চার দেশ ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল ও উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়া পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে এখনো স্বীকৃত নয়। যদিও দেশটি পরমাণু অস্ত্রের দাবিদার হয়েছে বেশ জোরেশোরেই। আগামী মাসে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে পরমাণু কর্মসূচি থেকে উত্তর কোরিয়াকে সরিয়ে আনতে আশাবাদী বিভিন্ন মহল। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতির বিনিময়েই শুধু এ ধরনের কোনো সমঝোতায় আসতে রাজি হতে পারে। স্বীকৃতি না পেলে এই আলোচনা ভন্ডুল হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।

আসা যাক মধ্যপ্রাচ্যে। ইরান চুক্তি থেকে আমেরিকার সরে দাঁড়ানোকে বিশেষজ্ঞরা দেখছেন আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির রসদ হিসেবে। তাঁদের মতে, এতে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি আবার শুরু করবে। আর তেমনটি হলে সৌদি আরব, মিসরের মতো দেশগুলো বসে থাকবে না। এই দুই দেশও পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হতে চায়। পরমাণু চুল্লির প্রযুক্তি নেওয়ার বিনিময়ে অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি চাইলে সৌদি আরব এরই মধ্যে তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে উঠে এসেছে গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।

রয়েছে অন্য বিপদও। ২০১১ সালে নিউ স্টার্ট চুক্তি সইয়ের পর নিজ দেশে চুক্তির সমালোচকদের আস্থা অর্জন করতে বিদ্যমান পরমাণু অস্ত্রের আধুনিকায়নে বিশেষ প্রকল্প নেন বারাক ওবামা। এই প্রকল্পের আওতায় আইসিবিএম, সাবমেরিনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরঞ্জাম আধুনিকায়নে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়, যেখানে ২০৪৬ সালের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হবে। একইভাবে রাশিয়াও নেয় বিশেষ আধুনিকায়ন প্রকল্প।

এই প্রকল্পগুলোও বড় বিপদ ঘনিয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের গবেষক ও সাবেক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত মধ্যস্থতাকারী বব এইনহর্ন। ইকোনমিস্টকে তিনি বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্রের আধুনিকায়নের যে গতি দেখা যাচ্ছে, তা এমন কিছু নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসতে পারে, যা কৌশলগতভাবে উচ্চমাত্রার অনিশ্চয়তা ঘনিয়ে তুলতে পারে। পুতিন ও ট্রাম্প দুজনের কাছেই পরমাণু অস্ত্র নিরাপত্তার চেয়ে মর্যাদার সমার্থক বেশি। এই অস্ত্র দেখিয়ে দুই প্রশাসনই অন্য পক্ষ ও দেশগুলোর কাছ থেকে সম্মান চায়। বলা ভালো, তারা চায়, অন্যরা তাদের ভয় পাক।

প্রশ্ন হচ্ছে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হলে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিগুলো কি কিছুটা আশার আলো দেখবে? এর উত্তরও সম্ভবত ‘না’। কারণ হিসেবে ইকোনমিস্ট বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তির সংযোজন ও সাইবারযুদ্ধের সক্ষমতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্বনেতারা পরস্পরের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন।

রাশিয়া এমন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির কথা বলছে, যার মাধ্যমে আক্রমণোদ্যত ক্ষেপণাস্ত্রকে ফেলে না দিয়ে একে ফেরত পাঠানো সম্ভব। রাশিয়া ও আমেরিকা বর্তমানে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বেশি মশগুল। তারা চায় নিজের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিয়ে অন্যের ক্ষেপণাস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে। এ জন্য বিস্তর গবেষণা চালাচ্ছে তারা। এই কাতারে রয়েছে চীনও।

সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সব পক্ষকে সতর্ক করছেন। ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের মাইকেল ও’হ্যানলন ইকোনমিস্টকে বলেন, ‘অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিগুলো এ শঙ্কা কিছুটা হলেও কমাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ নিউ স্টার্ট চুক্তির নবায়ন ও এর সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বিদ্যমান শঙ্কার অবনমন সম্ভব।’

পরাশক্তিগুলো মূলত আধিপত্য সম্প্রসারণের খেলায় মেতেছে। এ খেলা ভয়ংকর, যেখানে একটি ভুল পদক্ষেপ বা বার্তা আক্ষরিক অর্থেই পৃথিবীকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। এ খেলায় বাণিজ্য আছে, আছে নানামুখী জটিল-কঠিন সমীকরণ। এ খেলা আত্মঘাতী। একমাত্র মানুষ ও প্রাণের অস্তিত্বের প্রশ্নটিকে ধর্তব্যে নিলেই এ বিপজ্জনক খেলা বন্ধ হতে পারে। প্রশ্নটি সামনে হাজির। বিশ্বনেতাদের মুখের দিকে তাকিয়ে সে উত্তর খুঁজছে।

ফজলুল কবির: সাংবাদিক।