নাকবা ও ইসরায়েলের বই ডাকাতি

মরণে ভয়হারা ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিন রক্ত আর বুক চাপড়ানো চিৎকারে প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছে ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে। ছবি: রয়টার্স
মরণে ভয়হারা ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিন রক্ত আর বুক চাপড়ানো চিৎকারে প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছে ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে। ছবি: রয়টার্স


রাশা আল বারঘৌতি (৬১) রামাল্লায় নিজের বাড়ির একটি ঘরে আর্মচেয়ারে বসা। চোখ দুটি চঞ্চল। এগিয়ে গেলেন ঘরের দেয়ালগুলোর সঙ্গে ঠেস দিয়ে রাখা বুকসেলফগুলোর দিকে। নীল রঙের বাঁধাই করা একটি বই তুলে নিলেন। সেখান থেকে কিছু অংশ পড়লেন। চোখ বেয়ে নেমে এল অশ্রু। আবার আর্মচেয়ারে গিয়ে বসলেন। বইটি কোলের ওপর রেখে চোখ মুদলেন। চেহারায় ফুটে রইল দীর্ঘ বেদনার ক্লান্তি।

বইটি ছিল রাশার প্রয়াত দাদা ওমর সালেহ আল বারঘৌতির লেখা। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদী যুদ্ধের এক নেতা। তারপর ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় আর সব ফিলিস্তিনির সঙ্গে ওমর সালেহও নিজ বাসভূমি থেকে বিতাড়িত হন। তখন তাঁর বাড়ি থেকে খোয়া যায় শত শত দুষ্প্রাপ্য বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, নথিপত্র। বইপত্রগুলো যে কোথায় গেল, কেউ আর খোঁজ পেল না। পুড়িয়ে দিলে ছাইটুকু তো দেখা যেত। তাও নেই। যেন একেবারে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল শত শত, হাজার হাজার বই।

৬০ বছর পর। ২০০৮ সালে ইসরায়েলি পিএইচডির ছাত্র গিস আমিত ইসরায়েলের জাতীয় গ্রন্থাগারে পড়ালেখা করতে গিয়ে রহস্যময় বিপুলসংখ্যক বইয়ের তালাশ পান। বইগুলোর গায়ে লেবেল সাঁটা। তাতে লেখা ‘এপি’ (AP)। আমিতের নজরে পড়ে, অন্তত ছয় হাজার বইয়ের গায়ে এ রকম এপি লেখা। এর মানে উদ্ধারে মাথা খাটাতে শুরু করেন আমিত। তিনি দেখলেন, বইগুলো আরবিতে লেখা। বইয়ের মলাটের ভেতরে লেখা এর মালিক বা শুভেচ্ছাবার্তায় যেসব নাম রয়েছে, সেগুলোও আরবিতে। আরও ঘাঁটাঘাঁটিতে তিনি আবিষ্কার করলেন, বইয়ের মালিকেরা অনেকেই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রখ্যাত নেতা কিংবা ফিলিস্তিনি বুদ্ধিজীবী। আর এই এপির অর্থ ‘অ্যাব্যানডোন্ড প্রপারটি’।

আমিতের এই আবিষ্কার ছিল ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর ওপর সংগঠিত নির্মমতার চোরা পাহাড়ের একটু আভাসমাত্র। তবে এই তথ্যকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি-ডাচ্‌ বংশোদ্ভূত বেনি ব্রায়ান নির্মাণ করলেন ‘গ্রেট বুক রোবারি’ নামের তথ্যচিত্রটি। এটি নির্মাণ করতে গিয়ে তিনি ইসরায়েলি জাতীয় গ্রন্থাগারের বর্তমান ও তৎকালীন কর্মকর্তা, কর্মচারী, ইসরায়েলি ইতিহাসবিদ, শিক্ষার্থী, ফিলিস্তিনি আন্দোলনের নেতা, বর্তমান প্রজন্মের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। কঠোর সতর্কতায় ওই গ্রন্থাগারের ভেতরে গিয়ে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করেন ‘এপি’ লেখা বইগুলোর পাতায় পাতায় রয়ে যাওয়া অতীতের চিহ্ন।

সম্প্রতি রামাল্লায় তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে। সেই থেকে অন্তর্জালে দুনিয়াজুড়ে। তথ্যচিত্রের নামটিই আপনাকে এটি দেখতে আগ্রহী করে তুলবে। ‘গ্রেট বুক রোবারি’ দিয়ে আসলে ডাকাতি, নাকি মহান কোনো ঘটনার তথ্যচিত্র—জাগবে সেই কৌতূহল। মাথায় হয়তো ঢুঁ দেবে মার্ক টোয়েনের সেই বাণী, যেখানে বই চুরিকে অনেকটা পুণ্যের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু এ যে চুরি না। ‘রোবারি’!

বিশ্বরাজনীতিতে যেসব ভয়ংকর কেউটে সাপের আদিম নাচন আজতক বহাল, সেই কেউটেগুলোরই একটা—এই বই ডাকাতির কাহিনি। ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলো ১৯৪৮ সালের ১৫ মে। এদিন ইসরায়েলি ইহুদি জনগোষ্ঠী তাদের স্বাধীনতা দিবস পালন করে। নাচে। বাজি ফোটায়। আর বাস্তুচ্যুত হওয়া ফিলিস্তিনিরা দিনটিকে ‘নাকবা’ অর্থাৎ ‘সর্বনাশ’ হিসেবে পালন করে। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ইসরায়েলি সেনা ও তাদের সমর্থকদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা জাতীয় গ্রন্থাগারের লোকজন। ইসরায়েলি সেনারা যখন ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধ্বংস ও লুটতরাজে ব্যস্ত, তখন এই লাইব্রেরিয়ানরা ব্যস্ত ছিলেন সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাসে সমৃদ্ধ ফিলিস্তিনদের বইপত্র, নথি, দলিল-দস্তাবেজ লুটে। ওই দিন শুধু জেরুজালেম থেকেই লুট হয়েছিল ফিলিস্তিনিদের ৩০ হাজার বই। অন্যান্য শহর যেমন জাফা, নাজারেথ এবং হাইফা থেকে লুট হয়েছিল আরও ৪০ হাজার।

‘গ্রেট বুক রোবারি’ তথ্যচিত্রটিতে প্রখ্যাত ইসরায়েলি ইতিহাসবিদ ইলান পাপ্পেকে দেখা যায় ১৯৪৮ সালে লুট হওয়া দুই সেট বইয়ের হদিস দিতে। এর মধ্যে এক সেট হচ্ছে ১৫ মে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে সুযোগসন্ধানী যেসব ইহুদি ব্যক্তিগতভাবে লুটতরাজ করছিল, তাদের কাছ থেকে পাওয়া। আরেক সেট হলো ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনিদের বই লুট করতে জাতীয় গ্রন্থাগারের যে বাহিনী পাঠিয়েছিল, তাদের কাছ থেকে পাওয়া।

ইসরায়েলের জাতীয় গ্রন্থাগারের পরিচালক ওরেন উইনবার্গ বইগুলোর ব্যাপারে আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবশ্য বলেন, বইগুলো মালিকের অনুপস্থিতিজনিত সম্পদ হিসেবে গ্রন্থাগারে রক্ষিত আছে। তাঁর দাবি, এই ‘এপি’ মানে ‘অ্যাবসেনটি প্রপারটি’।

ওই যে সেই ইসরায়েলি ছাত্র, যাঁর দৌলতে এসব বইয়ের খোঁজ মিলল, সেই আমিতের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে আল-জাজিরা। সেখানে আমিত বলেন, ওই লাইব্রেরির লোকজন বা ইসরায়েলি ইহুদিরা বইগুলো মালিকের অনুপস্থিতিতে নিজেদের দখলে রেখেছে বলে যেভাবে দাবি করেন, ব্যাপারটা মোটেও তা না। এমনকি তাঁরা যে ছুতা দেন যে বইগুলো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি থেকে তাঁরা রক্ষা করেছেন, এমনও না। এই বই নিজেদের দখলে নেওয়াটা আগাগোড়াই ইসরায়েলি লাইব্রেরির পূর্বপরিকল্পিত পদক্ষেপ। ইতিহাস থেকে ফিলিস্তিনিদের মেধা ও সংস্কৃতির স্বাক্ষর মুছে ফেলাই ছিল এর উদ্দেশ্য। তা ছাড়া ইসরায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউরোপীয় শিক্ষায় শিক্ষিত অধ্যাপকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব বুদ্ধিজীবীও তাঁদের ঔপনিবেশিক মনোভাব থেকে মনে করতেন, মানবজাতির এই মূল্যবান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার হিম্মত ফিলিস্তিনিদের নেই। ফলে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের সময় এসব ফিলিস্তিনি বইপত্র রক্ষার দায়িত্ব তাঁরা নির্লজ্জভাবে ইহুদি দখলদারদের হাতে তুলে দেন নিঃশঙ্কচিত্তে।

১৫ মে ছিল ইসরায়েলিদের রাষ্ট্রীয় দিবস আর ফিলিস্তিনিদের নাকবা। কিন্তু একই সময়ে একই ঘটনার দুটি সত্য তো হতে পারে না। তাই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের প্রকৃত সত্য জানতে ঘাঁটতে হয় ইতিহাস আর বিশ্বরাজনীতির মারপ্যাঁচ।

ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ১৫১৭ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের বিস্তার। তখন এই ভূখণ্ডে মূলত মুসলিম ও খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠীর বাস ছিল। কিছুসংখ্যক ইহুদিও ছিল। সবাই তারা নিজেদের আরব রক্তের বলেই মনে করত। জাতীয় পরিচয় ছিল ফিলিস্তিনি। এরা মিলেমিশেই থাকত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে (১৯১৪-১৯১৮) অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ওই ভূখণ্ড ফরাসি ও ব্রিটিশদের দখলে আসে। জেরুজালেম শহরকে কেন্দ্র করে ভূমধ্য সাগরতীরের যে ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বাস ছিল, সেটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড। এই ভূখণ্ডের চারদিকে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, জর্ডান, সৌদি আরব আর মিসর। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফরাসি-ব্রিটিশ ভাগাভাগির সময় সিরিয়া আর লেবাননে ফরাসি আর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে (যার অধীনে রয়েছে বর্তমানের জর্ডান, ইসরায়েল, পশ্চিম তীর ও গাজা) ব্রিটিশ উপনিবেশ গড়ে ওঠে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পাশ্চাত্য পুঁজিবাদী শক্তির উত্থানের মধ্য দিয়ে পৃথিবীজুড়ে স্থাপিত হতে থাকে উপনিবেশ। আধুনিক সভ্যতার নামে পাশ্চাত্য শক্তির বিশ্বজয়ের প্রক্রিয়ায় দিকে দিকে চলতে থাকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা। উপনিবেশগুলোয় একদিকে চলতে থাকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নির্যাতন আর ইউরোপীয় দেশগুলোয় জাতিগত নিধনের শিকার হতে থাকে ইহুদি জনগোষ্ঠী। অন্যদিকে, ইউরোপজুড়ে ক্রমে দানা বাঁধতে থাকে জিওনিস্ট মতবাদ। এই মতবাদের মূল কথা হলো, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিদের একটি দেশ থাকতে হবে। বিভিন্ন দেশের ইহুদি জনগোষ্ঠীর জন্য ‘জিওনিস্ট’ তকমায় মায়াকান্না জুড়ে দিল ইউরোপীয়রা। এক ঢিলে কয়েকটি পাখি মারার মওকা পেয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠী জেরুজালেমে ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের ম্যান্ডেট ঘোষণা করল। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়া ইহুদিদের ফিলিস্তিনি মাটিতে অভিবাসী হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করল ব্রিটিশ। ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মুখে ব্রিটিশরা বুঝতে পারল, তাদের ঔপনিবেশিক জাল গুটানোর সময় হয়ে এসেছে। তখন আর সব ব্রিটিশ উপনিবেশের মতো ফিলিস্তিনেও তারা ‘ডিভাই অ্যান্ড রুল’ গুটির চাল দিল। ব্রিটিশরা ফিলিস্তিনিদের ধর্মের ভিত্তিতে দুভাগ করে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে দুটি রাষ্ট্রগঠনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দেওয়ার টোপ দিল। তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কিছু অংশ নিয়ে একটি ইহুদি ও অপর অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনি (আরব) রাষ্ট্রগঠনের প্রস্তাব দিল। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ এই প্রস্তাবকে (ব্রিটিশ ম্যান্ডেট) স্বীকৃতি দিল জাতিসংঘ। কিন্তু ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে ভাগ করতে সম্মত হলো না এ অংশের আরব (মূলত ইসলাম ধর্মাবলম্বী) জনগোষ্ঠী। তখন ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিরোধ হয়ে উঠল ইহুদি-মুসলিম তথা ইহুদি-ফিলিস্তিনি বিরোধ। দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী বিরোধ বাধিয়ে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় ভূখণ্ড থেকে পাততাড়ি গুটাল ব্রিটিশ।

কিন্তু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বিরোধ আজও জিইয়ে আছে। যে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে ভিটেমাটিছাড়া করে নিশ্চিহ্ন করতে এত কিছু, তারা কিন্তু আজ পৃথিবীর বুকে ‘ফিলিস্তিনি জাতি’ হিসেবে পরিচয় তৈরি করেছে। মরণে ভয়হারা ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিন রক্ত আর বুক চাপড়ানো চিৎকারে প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছে ইসরায়েলের অনৈতিক দখলদারির বিরুদ্ধে। তাই ৭০ বছর পার করেও ২০১৮ সালে দাঁড়িয়ে নিজেদের রাষ্ট্রীয় দিবসে ফিলিস্তিনিদের ‘নাকবা’ নিয়ে সশস্ত্র, সতর্ক ইসরায়েলি বাহিনী। তাই নাকবা স্মরণে ১৪ মে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের মিছিলে বিমান, বোমা, বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে দ্বিধা করে না ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ওই এক দিনেই প্রাণ হারায় ৫০ থেকে ৬২ ফিলিস্তিনি। আহত হয় আরও প্রায় ২ হাজার ৫০০। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের স্বপ্নটিকে আজও মারতে পারেনি পৃথিবীর তাবৎ পরাশক্তি মিলেও। আজও উদ্বাস্তু শিবিরে জন্ম নেওয়া ফিলিস্তিনি শিশু স্বপ্ন দেখে নিজ বাসভূমে ফেরার।

আবার আর্মচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান রাশা। আল-জাজিরার সাংবাদিকের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে এই নারী বলেন, ‘জানেন, ইসরায়েলি জাতীয় গ্রন্থাগারের পুরো একটি বিভাগের নাম রাখা হয়েছে আমার দাদা “ওমর সালেহ আল বারঘৌতি”-র নামে!’

ইসরাত জাহান: প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক