বন্যার ঝুঁকি মোকাবিলায় আপৎকালীন বিমা বাস্তবায়নে করণীয়

>১০ জুন ২০১৮, প্রথম আলোর আয়োজনে ও অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘বন্যার ঝুঁকি মোকাবিলায় আপৎকালীন বিমা বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে এই ক্রোড়পত্রে ছাপা হলো।

 যাঁরা অংশ নিলেন

সত্যব্রত সাহা: অতিরিক্ত সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

মানিক চন্দ্র দে: অতিরিক্ত সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় (বিমা ও অন্যান্য)

গওহার নঈম ওয়ারা: শিক্ষক, ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এম মোশাররফ হোসেন: এফসিএ, সদস্য, ইনস্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটি

রেজাউল করিম: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রগতি ইনস্যুরেন্স লিমিটেড

এ এস এ মুয়িজ: জ্যেষ্ঠ পরামর্শক, গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড

এম বি আখতার: পরিচালক প্রোগ্রাম, অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ

মো. খালিদ হোসাইন: ইকোনমিক জাস্টিস অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম ম্যানেজার, অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ

মনোয়ার হোসেন: নির্বাহী পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং

মো. মনিরুল ইসলাম: ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড

নিলুফার ইয়াসমিন: ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, সাধারণ বিমা করপোরেশন

সাদাত উর রহমান খান: উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড

জে. বিকাশ চাকমা: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাধারণ বীমা করপোরেশন

মনিরা সুলতানা: কর্মসূচি সমন্বয়ক, মানব মুক্তি সংস্থা

লাভলী বেগম: বিমা সুবিধাভোগী, সিরাজগঞ্জ

মো. আমিনুর রহমান: বিমা সুবিধাভোগী, সিরাজগঞ্জ

সঞ্চালক

আব্দুল কাইয়ুম: সহযোগী সম্পাদক, প্রথম আলো

এস এম মনজুর রশীদ: পলিসি, অ্যাডভোকেসি, ক্যাম্পেইন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার, অক্সফ্যাম

 আলোচনায় সুপারিশ

*  সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের আয় অনুযায়ী িবমা পলিসি গ্রহণ করা উচিত       

*  সব বিমা কোম্পানিকে যৌথভাবে বন্যা মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে

*  প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে ভ্যাট বাতিল করা আবশ্যক

*  বিমার টাকা সময়মতো গ্রাহককে িদয়ে কোম্পানিগুলোকে আস্থা অর্জন করতে হবে

*  বিমানীতির ইতিবাচক পরিবর্তন এবং নতুন নীতি প্রণয়ন করা দরকার

* দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের বরাদ্দকৃত বাজেটের একটি অংশ বিমা প্রিমিয়ামের জন্য ব্যয় করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

*  বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান করা উচিত

* বন্যা সম্পর্কে আগে থেকেই সবাইকে সচেতন করতে হবে যেন ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়

* ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করে এমন সব প্রতিষ্ঠানের কাজের সমন্বয় প্রয়োজন

 আলোচনা

আব্দুল কাইয়ুম: বন্যা বাংলাদেশের প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর একটি। প্রতিবছর বন্যায় অনেক সম্পদ নষ্ট হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বিমা একটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা।

সামনে বর্ষাকাল। বন্যার ঝুঁকি মোকাবিলায় আপৎকালীন বিমা বাস্তবায়নে কী কী করণীয় হতে পারে, এটাই আজকের আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য।

সত্যব্রত সাহা
সত্যব্রত সাহা

সত্যব্রত সাহা
বাংলাদেশে প্রধান সমস্যা হলো বিমার ব্যাপারে মানুষের আস্থা অত্যন্ত কম। বিমার প্রতি মানুষকে আরও আস্থাশীল করে তুলতে হবে। অনেক সময় কৃষক ও জমির মালিক আলাদা ব্যক্তি। বিমা কোম্পানিগুলো বিমা চুক্তি করে জমির মালিকের সঙ্গে। জমির মালিকের সঙ্গে বিমা চুক্তি করায় প্রকৃত কৃষক বিমা ও ঋণসুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।প্রকৃত কৃষক যেন বিমার সুফল ভোগ করতে পারে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে বিমা কোম্পানিগুলোর কাজ করা উচিত।

মো. খালিদ হোসাইন
চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বন্যাপ্রবণ এলাকায় কাজ করছে অক্সফ্যাম। মূলত দুই ধরনের কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথমত, মানুষকে সচেতন করে দুর্যোগের ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে। দ্বিতীয়ত, দুর্যোগ-পরবর্তী তাৎক্ষণিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

২০০৯-১০ সালে দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে বিমার ভূমিকা নিয়ে প্রথমবারের মতো আলোচনা করে অক্সফ্যাম। তিন-চার বছর টানা কাজ করার পর সুইস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের সহায়তায় সিরাজগঞ্জে সূচক বিমা চালু করা হয়।

মো. খালিদ হোসাইন
মো. খালিদ হোসাইন


২০১৩-১৪-১৫ সালে তিনটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটিতে সহায়তা করে প্রগতি ইনস্যুরেন্স। বন্যার পানির স্থায়িত্বের ওপর নির্ভর করে প্রিমিয়ামের অর্থ বিতরণ করা হয়।
২০১৩ সালে বন্যা হয়নি। ২০১৪ সালের বন্যায় কিছু অঞ্চলে ১১ দিন এবং কিছু অঞ্চলে ২১ দিনের অর্থ বিতরণ করা হয়েছিল।

অক্সফ্যাম প্রধানত প্রান্তিক কৃষকের জন্য কাজ করে। বন্যার কারণে তারা যত দিন কাজ করতে পারবে না, তার ওপর ভিত্তি করে পে-আউট (তুলনামূলক অর্থনৈতিক হিসাব) নির্ধারণ করা হয়। বন্যায় নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। বড় ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া একক কোনো বিমা কোম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য বন্যা সমস্যা মোকাবিলায় সব ধরনের বিমা কোম্পানির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আবশ্যক।

মানুষকে আস্থাশীল করে তুলতে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন অক্সফ্যামের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ। অক্সফ্যাম সেই চ্যালেঞ্জমোকাবিলা করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

 রেজাউল করিম

২০১৩-১৪-১৫ সালে অক্সফ্যামের সঙ্গে যৌথভাবে বন্যা মোকাবিলায় কাজ করে প্রগতি ইনস্যুরেন্স। প্রজেক্টটি প্রথমে শুরু হয় সিরাজগঞ্জে। ২০১৩ সালে এই কার্যক্রমের অধীন কৃষকের সংখ্যা হয় ১ হাজার ৬৬১। প্রিমিয়াম আয় হয় ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৯৬৪ টাকা। ওই বছর প্রগতি ইনস্যুরেন্সকে লোকসানের মুখোমুখি হতে হয়নি। ২০১৪ সালে কৃষকের সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা হয়। প্রিমিয়াম আয় হয় ২০ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮৩ টাকা। ওই বছর পে-আউট হয়েছিল ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা।

রেজাউল করিম
রেজাউল করিম

২০১৫ সালেও কৃষকের সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা হয়। প্রিমিয়াম আয় হয় ২১ লাখ ৩৩ হাজার ২৫৪ টাকা। পে-আউট হয়েছে ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ টাকা। ২০১৫ সালে বড় ধরনের লোকসানের মুখোমুখি হওয়ার পরও প্রগতি ইনস্যুরেন্স কার্যক্রমটি অব্যাহত রেখেছে।

বন্যা চলাকালীন একজন শ্রমিক যে কয়দিন কাজ করতে পারে না, তার তুলনামূলক অর্থনৈতিক হিসাব করে পে-আউট প্রদান করা হয়।

বন্যার ফলে যে ধরনের ক্ষতি হয়, তা পরিমাপের জন্য সুষ্ঠু গবেষণার প্রয়োজন। বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ধারণ এবং ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা উচিত।
বাংলাদেশে বিমার বর্তমান অবস্থা সুবিধাজনক নয়।

বিমা কোম্পানিগুলো তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেই হিমশিম খাচ্ছে। উপরন্তু এ ধরনের সেবামূলক বড় কার্যক্রম পরিচালনা করা একক কোনো বিমা কোম্পানির পক্ষে সম্ভব নয়।

সাধারণ মানুষ বিমাসুবিধা গ্রহণ করলে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোও লাভবান হবে এবং সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসবে।

মনিরা সুলতানা
মনিরা সুলতানা

মনিরা সুলতানা
২০১২ সালে অক্সফ্যামের সহায়তায় মানব মুক্তি সংস্থা এ ধরনের কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করে। চরাঞ্চলকে কেন্দ্র করে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

১৮টি গ্রামে ১ হাজার ৬৬১টি পরিবারকে নিয়ে কাজ করা হয়। কাজটি পরিচালনায় প্রযুক্তিগত সহায়তা করেছে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম)।

বিমার সুফল সম্পর্কে আরও প্রচার–প্রচারণা চালাতে হবে। এতে বিমার প্রতি ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে। বিমা কোম্পানি সঠিক সময়ে অর্থ বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বন্যার সময় দুবার পে-আউট দেওয়া হলেও সঠিক সময়ে দেওয়া হয়নি।

দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর পাঁচ-ছয় মাস পর পে-আউট প্রদান করা হয়। এতে সাধারণ মানুষ বিমার প্রতি আস্থা হারায়। বন্যা চলাকালীন আক্রান্ত অঞ্চলে পে-আউট বিতরণের বিষয়ে বিমা কোম্পানিগুলোর জোর দেওয়া উচিত।

মো. আমিনুর রহমান
মো. আমিনুর রহমান

মো. আমিনুর রহমান
বিমা কোম্পানি থেকে ৪ হাজার ৪০০ টাকা পে-আউট পেয়েছি। বন্যার সময় আমার ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। ফসল ভেসে যায়। কাজ করতে পারতাম না। ঋণ করে সংসারের খরচ করতে হয়েছে।

বিমার টাকা দিয়ে কিছু ঋণ পরিশোধ করেছি। চাল কিনেছি। বাকি টাকা দিয়ে ঘরবাড়ি মেরামত করেছি।

বন্যার কারণে অনেকের ফসল নষ্ট হয়। এই টাকায় বীজ ক্রয় করে নতুন করে চাষাবাদ শুরু করি। বন্যায় বেশির ভাগ ঘরবাড়ি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। কেউ কেউ এই টাকা ঘরবাড়ি মেরামতের কাজে ব্যবহার করে।

বন্যা মোকাবিলার জন্য বিমাসুবিধা থাকা উচিত। তবে সময়মতো টাকা পেলে আরও উপকার হতো।


লাভলী বেগম
লাভলী বেগম

লাভলী বেগম
বন্যা এমন একটা দুর্যোগ, যা ৫ দিন স্থায়ী হলে যে ক্ষতি, ১০ দিন স্থায়ী হলেও প্রায় একই ক্ষতি হয়।

আমার একটা ভাঙা ঘর ছিল। বন্যার পানিতে ঘরের বেড়াগুলো পড়ে গিয়েছিল। আমি বিমা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা পেয়েছি।

টাকা পেয়ে ঘর মেরামত করেছি। দুটি মুরগি কিনেছি। কিছু ঋণ ছিল, সেগুলো পরিশোধ করেছি। ছেলেমেয়েদের কাপড় কিনেছি।

বন্যার সময় অনেক কষ্ট হয়। নানা রকম অভাবে দিন কাটাতে হয়। বিমার টাকাটাও সময়মতো হাতে পাইনি। চার-পাঁচ মাস পরে টাকাটা পেয়েছি।

বিমা কোম্পানি সময়মতো টাকা দিলে ভালো হতো। পরে টাকাটা ফেরত দিতে হয়নি। মানব মুক্তি সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিয়েছি। বন্যা চলাকালীন করণীয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছি।

গওহার নঈম ওয়ারা
গওহার নঈম ওয়ারা

 গওহার নঈম ওয়ারা
সময়মতো অর্থ পাওয়াটা অনেক জরুরি। মানুষ এখান থেকে উপকার পেলে নিজেরাই বিমার সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। মানুষকে উপকৃত করতে না পারায় সেটাও সম্ভব হয়নি।

প্রান্তিক চাষি, শ্রমিক—এই শ্রেণির মানুষের বেশি টাকা একবারে পরিশোধ করা প্রায় অসম্ভব। কিস্তিতে শোধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সহযোগিতা দিতে হবে।

গত বছর সিরাজগঞ্জের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ৪৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই রিলিফের টাকার একটা অংশ প্রিমিয়ামের জন্য রাখতে হবে। এতে গরিব ও প্রান্তিক মানুষগুলো এই কার্যক্রমের আওতায় চলে আসবে। রিলিফ বিতরণের খরচও কমে যাবে। বর্তমানে জমির মালিক জমি চাষ করে না। সরকারের ঋণসুবিধা গ্রহণ করে জমির মালিক। অক্সফ্যামের কার্যদিবস হিসাব করে টাকা দেওয়ার যে নীতি, তা প্রশংসনীয়।

কার্যক্রম পরিচালনার সময় খরচ কমাতে হবে। বিশেষ করে বন্য সনদ প্রদানকারী সংস্থার ফিস অনেক বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যেন যথাসময়েই টাকাটা হাতে পায়, সেদিকে কোম্পানিগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে।

মো. মনিরুল ইসলাম
মো. মনিরুল ইসলাম

মো. মনিরুল ইসলাম
বিমা কোম্পানির প্রতি অনেক ধরনের অভিযোগ রয়েছে। প্রধান অভিযোগটি হলো সময়মতো টাকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

একজন ভুক্তভোগীর জন্য মাত্র চার হাজার টাকা হলেও একটি বিমা প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৯ লাখ টাকা। এই বড় অঙ্কের টাকা তুলতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়েছে।

পুরো কার্যক্রমটি পরিচালনা করতে সাহায্য করেছে মানব মুক্তি সংস্থা, আইডব্লিউএম, অক্সফ্যাম। এসব প্রতিষ্ঠানেরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। সব মিলিয়ে টাকা বিতরণে বিলম্ব হয়েছে।

বিমা কোম্পানি প্রদত্ত টাকার অঙ্কটা কম, মাত্র সাত-আট হাজার টাকা। এই টাকার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব যদি প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে ভ্যাট তুলে দেওয়া যায়। ভ্যাট না থাকলে আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে এই কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

এককভাবে কাজ না করে যৌথভাবে কোম্পানিগুলোকে কাজ করতে হবে। এতে কাজটি আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে শেষ করা যাবে।

সাদাত উর রহমান খান
সাদাত উর রহমান খান

 সাদাত উর রহমান খান
দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের দেখাশোনা করা কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সের মানবিক দায়িত্ব। দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই অন্যান্য বিমা সংস্থার সঙ্গে কাজ করব।

একসঙ্গে অনেক বিমা কোম্পানি এগিয়ে এলে এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রমে গতি সঞ্চারিত হবে। সরকারকে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গৃহীত হলে কাজটি পরিচালনা করা আরও সহজ হবে।

দেশে ইনস্যুরেন্স বিষয়ে তেমন কোনো সচেতনতা নেই। ইনস্যুরেন্সে সাধারণ মানুষ আগ্রহী না। সাধারণ মানুষকে বিমার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।

অক্সফ্যাম বা অন্য কোনো সংস্থা যদি প্রতিবছর এভাবে প্রিমিয়াম দেয়, তাহলে বিমা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ভেতর সচেতনতা সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।

প্রিমিয়ামটা যাদের প্রদান করা হবে, খুব অল্প টাকা হলেও প্রিমিয়ামে তাদের অবদান থাকা উচিত। তাহলে বিমা সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি আগ্রহও বৃদ্ধি পাবে।

মনোয়ার হোসেন
মনোয়ার হোসেন

 মনোয়ার হোসেন

ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। আইডব্লিউএমের কাজের আন্তর্জাতিক খ্যাতি রয়েছে। আঞ্চলিক অনেক দেশের সঙ্গেই কাজ করছে।

আইডব্লিউএম যেকোনো পদক্ষেপ সচেতনভাবে গ্রহণ করে। তথে্যর ভিত্তিতে মডেলগুলো পরিচালনা করে। আইডব্লিউএম মাধ্যমিক কোনো উৎস থেকে তথ্য গ্রহণ করে না বলে নির্ভরশীল তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হয়। এ জন্য এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে বেশি সময় ব্যয় হয়। আইডব্লিউএমের কোনো একক সিদ্ধান্ত অনেকের জন্য কষ্টকর হতে পারে। সব সাহায্যকারী সংগঠনের সঙ্গে বসে প্রিমিয়াম দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

তথ্য গ্রহণ-প্রক্রিয়া অনেক ব্যয়বহুল। তথ্য সস্তা হলে মডেলিং খরচ আরও কমানো সম্ভব। তবে আইডব্লিউএম গ্রাহক ইস্যুতে নির্দিষ্ট মানদণ্ডে আসার পর পরবর্তী বন্যাগুলোতে আক্রান্ত মানুষের বেলায় খরচ কিছুটা কমাতে সক্ষম হবে।

নিলুফার ইয়াসমিন
নিলুফার ইয়াসমিন

 নিলুফার ইয়াসমিন
বন্যা ছাড়াও অন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর জন্য পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে একটি নতুন বিমাব্যবস্থা চালু করেছে সাধারণ বিমা করপোরেশন, যা কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়, খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ফসলসহ অন্যান্য সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। এই সম্পদের ক্ষতিপূরণের জন্য কোম্পানি এই নীতি চালু করেছে। বন্যার জন্য আলাদা বিমাব্যবস্থা আগে থেকেই চালু রয়েছে। পাইলট প্রজেক্টে অনেক সময় নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায় না।

সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে আরও ভালোভাবে কোম্পানিগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

 

এ এস এ মুয়িজ
এ এস এ মুয়িজ

এ এস এ মুয়িজ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় যে প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক সহায়তা দেয়, সেসব প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালী অর্থের জোগান না থাকলে ভবিষ্যতে এ সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে।

বিমা কোম্পানি হলো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লাভজনক পরিস্থিতিতে না থাকলে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।

সামাজিক কার্যক্রমে অর্থের প্রধান জোগানদাতা হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে সরকার। বিভিন্ন সময়ে সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অর্থনৈতিক সহায়তা করে থাকে। সেই অর্থ বিমা কোম্পানিগুলোর মতো প্রদান করলে বিমা সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।

প্রথমে রেট ঠিক করতে রেগুলেটিং বডির কাছে যেতে হবে। রেগুলেটিং বডি ডেটাভিত্তিক রেট নির্ধারণ করবে এবং সাধারণ বিমাকে দেবে। সাধারণ বিমার তত্ত্বাবধানে অন্যান্য বিমা কোম্পানি সমন্বিতভাবে এ বন্যার দুর্যোগ মোকাবিলার কাজটি করতে পারে।

বিমা কোম্পানিগুলোকে মনে রাখতে হবে যে এটি একটি সেবামূলক কার্যক্রম। এখানে লাভ খোঁজা উচিত নয়। সাধারণ বিমার পক্ষে এককভাবে এই প্রকল্পের সব আর্থিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রধান ভূমিকা পালন করা আবশ্যক। সাধারণ বিমা ও অন্যান্য প্রাইভেট বিমা কোম্পানিকে উদার মানসিকতার পরিচয় দিতে হবে।

জে. বিকাশ চাকমা
জে. বিকাশ চাকমা

জে. বিকাশ চাকমা
সাধারণ বিমা করপোরেশন বন্যায় ক্ষতিপূরণ কার্যক্রমটি অনেক আগে চালু করেছে। অধিক লোকসানের কারণে ১৯৯৮ সালে শস্যবিমা বন্ধ করে দেয় সাধারণ বিমা করপোরেশন।
কারণ, ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫০০ শতাংশ। গবাদিপশুর জন্য বিশেষ বিমাব্যবস্থা চালু ছিল। বর্তমানে িবমাটি স্থগিত রাখা হয়েছে।

বন্যা হচ্ছে বহুমাত্রিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বন্যার ফলে কৃষকের আয়-রোজগার, জমির ফসল, গবাদিপশু, পুকুরের মাছ—নানা ধরনের ক্ষতি হয়। সব ধরনের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করাও আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় নয়। ক্ষতিপূরণের বেলায় অন্য বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।

কোম্পানিগুলো কোন বিষয়ে আর্থিক সহায়তা দেবে, তা আগে থেকে নির্ধারণ করতে হবে। প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে গ্রহীতার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সাহায্য গ্রহীতা অংশগ্রহণ করলে এ ধরনের কার্যক্রম গতিশীল হবে।

বন্যায় সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে আগে থেকেই বিমার আওতায় নিয়ে আসা জরুরি।

এম মোশাররফ হোসেন
এম মোশাররফ হোসেন

এম মোশাররফ হোসেন
প্রায় প্রতিবছর বাংলাদেশ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্ষাকালে প্রায় গোটা দেশেই বন্যা হয়। বন্যা ও বন্যার সময় করণীয় সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করা মানবিক দায়িত্ব। তবে বন্যায় আক্রান্ত মানুষকে সাহায্য করার সময় নানা রকম অন্যায় আচরণ হয়। এসব দূর করতে হবে।

শস্যবিমার ক্ষেত্রে অনেক সময় কোনো কোনো কৃষক নিজেই ফসল নষ্ট করার পর বিমা কোম্পানি থেকে টাকা নিয়ে যায়। এ জন্য মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ২০ শতাংশ বন্যাপ্রবণ অঞ্চল রয়েছে। পরবর্তী ৫০ বছরে বন্যাপ্রবণ অঞ্চলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৮০ শতাংশ। সে ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বিমানীতি যথেষ্ট নয়। বিমানীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। সরকারকে এগিয়ে আসা উচিত।

এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ভ্যাট বাদ দেওয়া প্রয়োজন।

মানিক চন্দ্র দে
মানিক চন্দ্র দে

মানিক চন্দ্র দে
বিমা সম্পর্কে মানুষের ধারণা নেতিবাচক। বর্তমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছে।

বিমা সম্পর্কে আইন প্রণয়নের বিষয়টি প্রথম নিয়ে আসে বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। বিমার উন্নয়নে সার্বিক তদারকি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিমার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে জেলায় জেলায় বিমা মেলা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ করা হচ্ছে। বিমার প্রতি মানুষের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জাতীয় আয়ে বাংলাদেশে বিমার অবদান খুবই কম। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়েছে।

বর্তমানে বিমা আগের অবস্থান থেকে শক্তিশালী অবস্থানের দিকে যাচ্ছে। শস্যবিমার পাইলট প্রজেক্ট সম্পন্ন করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে গবাদিপশু বিমা চালু করার ব্যাপারে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। প্রবাসীদের কল্যাণে একটি বিমাব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বিমার সঙ্গে সম্পৃক্ত নানা আইন তৈরি করা হচ্ছে।

 দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও বিমা কোম্পানি সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে।

মন্ত্রণালয়গুলো আলাদা কাজ না করে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

নীতিনির্ধারকদের এমন কিছু নীতি প্রণয়ন করতে হবে, যাতে সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি মাথায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

এম বি আখতার
এম বি আখতার

এম বি আখতার
বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে হবে। গত বছর বিমা করা হয়নি, যা সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে। এসব মানুষ বিমাব্যবস্থা চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছে। এমনকি তারা ৫০ শতাংশ প্রিমিয়াম প্রদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তথ্য সংগ্রহের খরচ কমানোর সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগগুলো খুঁজে বের করে কাজে লাগাতে হবে।

বিমা প্রিমিয়ামের কিছু অংশের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তঁারা বলেছেন সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি পেলে বাজেটের একটি অংশ প্রিমিয়ামের জন্য বরাদ্দ রাখা সম্ভব হবে ।

বিমা কোম্পানিগুলো একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটা আমাদের আশান্বিত করেছে।

সব বিমা কোম্পানিকে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে হবে। মন্ত্রণালয়গুলো নিয়মিত কাজ করে ইতিবাচক ফল পেয়েছে। সেই ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগাতে হবে।

একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বিশ শতকে থাকলে হবে না। অন্যান্য দিক দিয়েও এগিয়ে যেতে হবে।

পে-আউটের সময় নানা আনুষ্ঠানিকতা কমিয়ে আনতে হবে। বর্তমানে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ তার সম্পদ রক্ষা করতে চায়।

বিমা কোম্পানিগুলো এজেন্সি নিয়োগের মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

 সত্যব্রত সাহা

মানুষকে দিয়ে কেবল সচেতনতার মাধ্যমে বিমা করানো সম্ভব নয়। আইনের মাধ্যমে বিমাকে প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামূলক করতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে নির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে কাজ করতে হয়। রিলিফ হিসেবে অর্থ বিতরণ করলে বিমার ব্যবহার করা যাবে না। প্রত্যেক ব্যক্তি আয় অনুযায়ী বিমা করবে। দুর্যোগের সময় বিমার টাকা কাজে লাগাবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সমন্বয় করে কাজ করার কথা বলেছেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার একটি মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে। প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের দিকে বেশি মনোনিবেশ করেছে।

আইনগুলোকে সময়োপযোগী করে তুলতে হবে। বিমার সেবা প্রদানে সময় নষ্ট করা যাবে না।

এস এম মনজুর রশীদ
এস এম মনজুর রশীদ

এস এম মনজুর রশীদ
প্রতিবছর বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্টের মূল কারণ বন্যা। এর ফলে অনেক সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবারকে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হয়। প্রতিবছর ২১ শতাংশ জমি বন্যায় প্লাবিত হয়।

১৯৫৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৬টি বড় ধরনের বন্যা হয়েছে। ইউএনডিপির এক পরিসংখ্যানে ১৯৭০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ২০৮টি প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা লক্ষাধিক।

বন্যাকবলিত অঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ শহরের বস্তিতে আশ্রয় নেয় । ফলে বন্যায় কেবল গ্রামেই নয়, শহরেও প্রভাব পড়ে। বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

 আব্দুল কাইয়ুম

আজকের আলোচনায় বন্যার ঝুঁকি মোকাবিলায় অনেক বিষয় এসেছে। প্রত্যেক মানুষের বিমার বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। উন্নত দেশগুলোতে সবাই বিমা করছে।

সরকার এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।