আরেকটা ৫ জানুয়ারি দেশের সইবে না: জোনায়েদ সাকি

জোনায়েদ সাকি
জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মশিউল আলম।   


প্রথম আলো: গণসংহতি আন্দোলন। এটা আপনাদের দলের নাম। শুনে বোঝা যায় না যে এটা একটা রাজনৈতিক দল। সংক্ষেপে বলবেন, কেমন দল এটা? কী এর লক্ষ্য, আদর্শ?

জোনায়েদ সাকি: ২০০২ সালের ২৯ আগস্ট গণসংহতি আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শুরুতে আমরা এটাকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠনের আন্দোলনের একটা মঞ্চ হিসেবে গড়ে তুলেছিলাম। রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়। তবে শুরু থেকেই আমাদের ভাবনা ছিল, জনগণের বিভিন্ন সমস্যা, স্বার্থ, দাবি ইত্যাদি নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে উঠতে পারে।

প্রথম আলো: রাজনৈতিক লক্ষ্য কী?

জোনায়েদ সাকি: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে যে রাষ্ট্র গড়ে ওঠে, তার কতগুলো স্পষ্ট ঘোষিত প্রতিশ্রুতি ছিল। যেমন সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার। কিন্তু এই রাষ্ট্র কায়েমের পরে সেই প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষিত হয়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত স্রোতে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তুলব। এবং তা করতে গিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করব; সেখান থেকে একটা নতুন রাজনৈতিক শক্তি ও দল গড়ে উঠবে। এই প্রক্রিয়ায় ২০১৫ সালে আমরা আমাদের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা করি।

প্রথম আলো: ২০০২ সাল থেকে পরবর্তী দেড় দশকের বেশি সময় ধরে আপনারা নিশ্চয়ই বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থার ওপর নজর রেখে আসছেন। এ সম্পর্কে আপনাদের পর্যবেক্ষণ ও ভাবনাচিন্তা কী?

জোনায়েদ সাকি: বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্য স্বৈরতান্ত্রিক। এখানে সাংবিধানিকভাবে সমস্ত ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত। যিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তাঁর হাতেই সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়। ক্ষমতার ন্যূনতম ভারসাম্য নেই, জবাবদিহি নেই। ফলে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দাঁড়াচ্ছে না; রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য নেই।

প্রথম আলো: এই কারণে কি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?

জোনায়েদ সাকি: অবশ্যই। যিনি ক্ষমতায় যান তিনি ক্ষমতাকে একচেটিয়া করে তোলেন, মেয়াদ শেষে চেয়ার ছাড়তে চান না। ক্ষমতার প্রতিটি অঙ্গনেই আমরা এটা দেখি। অতীতের সরকারগুলোর ক্ষেত্রে এটা ঘটেছে, বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রে আরও প্রকটভাবে ঘটেছে। এর ফলে যে ন্যূনতম রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও পরিবেশের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তৎপরতা চালায়, তা আর থাকছে না।

প্রথম আলো: সামনে একাদশ সংসদ নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছে। এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

জোনায়েদ সাকি: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, তাঁরা ক্ষমতায় থাকতে না পারলে তাঁদের লাখো লোক আক্রান্ত হবেন, ঘরছাড়া হবেন ইত্যাদি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি আশঙ্কা করছে, তারা ক্ষমতায় যেতে না পারলে দল হিসেবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। এ রকম একটা পরিস্থিতি আমরা লক্ষ করছি। এটা কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ নয়; ন্যূনতম গণতান্ত্রিক বাস্তবতা এখানে নেই। রাজনীতিতে বিরোধ থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, ক্ষমতাকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব তৈরি হবে; কিন্তু একটা ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক ব্যবস্থার অংশীদার সকলেই থাকবে। এটাই কাম্য ছিল। কিন্তু সেটা আজকে বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।

প্রথম আলো: নির্বাচন নিয়ে বলুন।

জোনায়েদ সাকি: সরকারের পক্ষ থেকে এ রকম বলা হচ্ছে যে নির্বাচন তাদের অধীনেই হবে, অন্যরা এলে আসবে, না এলে না আসবে, পারলে ঠেকাক। এর মানে, পুরো নির্বাচনী পরিবেশে সকলকে ধারণ করার ব্যাপারটা আর থাকছে না। যেনবা একটা সংঘাতের আহ্বান জানানো হচ্ছে, সেই সংঘাতে যারা জিতবে, তারাই দেশ শাসন করবে।

প্রথম আলো: তাহলে? সামনে কী হতে যাচ্ছে?

জোনায়েদ সাকি: বাংলাদেশ একটা ক্রান্তিলগ্নে এসে দাঁড়িয়েছে, এটা থেকে আমাদের একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণে যেতে হবে। না যেতে পারলে আমরা বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়ে যাব। কেননা বাংলাদেশ ইতিমধ্যে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে কতগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কাজেই আমাদের একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণে যেতে হবে। সেই উত্তরণের জন্য আমাদের প্রয়োজন জাতীয় পর্যায়ের একটা সামাজিক-রাজনৈতিক চুক্তি। এটাকে আমরা একটা ন্যাশনাল চার্টার বা জাতীয় সনদ বলছি। আমাদের স্থির করতে হবে, বাংলাদেশে রাজনীতির স্বরূপ কী হবে, কীভাবে রাজনীতি চলবে, রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহাবস্থানের নীতিটা কী হবে। সেই চুক্তিতে যদি আমরা পৌঁছাতে পারি এবং রাষ্ট্রকে যদি একটা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে হয়তো আমরা সংঘাত এড়াতে পারব।

প্রথম আলো: এ বিষয়ে কি আপনাদের দলের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব আছে? বাস্তবিক কী কী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব আপনারা করেন?

জোনায়েদ সাকি: যেহেতু আমাদের সাংবিধানিক বিধানেই ক্ষমতাকাঠামোর স্বৈরতান্ত্রিক হওয়ার সুযোগ আছে, সেহেতু এটা ব্যবস্থাগত স্বৈরতন্ত্র। তাই আমাদের এর বিকল্প একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রস্তাব করতে হবে।

প্রথম আলো: প্রস্তাবটা কী?

জোনায়েদ সাকি: আমরা মনে করি, ক্ষমতাকাঠামোতে ভারসাম্য ও জবাবদিহি আনতে হবে সাংবিধানিক বিধানের মাধ্যমে। সেটা করতে হলে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করতে হবে, সকল সাংবিধানিক পদে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাংবিধানিক কমিশন গঠন করতে হবে; নিয়োগ হতে হবে সাংবিধানিক কমিশনের দ্বারা, সরকারের নির্বাহী প্রধানের দ্বারা নয়। সাংবিধানিক পদগুলোয় নিয়োগের কর্তৃত্ব কার হাতে থাকবে, সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটা যদি দলীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকে, তাহলে আমরা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান পাব না।

প্রথম আলো: সাংবিধানিক কমিশন স্বাধীন হবে, তার নিশ্চয়তা কোথায়? কীভাবে সাংবিধানিক কমিশন গঠনের প্রস্তাব আপনারা করেন?

জোনায়েদ সাকি: আমরা সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সাংবিধানিক কমিশন গঠন করার বিধান সংবিধানে যুক্ত করার প্রস্তাব করি। লক্ষ্যটা হচ্ছে সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়ার কর্তৃত্ব এমন কর্তৃপক্ষের ওপর ন্যস্ত করা, যাতে সেই পদগুলো ও তাঁদের নেতৃত্বে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাহী বিভাগের প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।

প্রথম আলো: আর কী প্রস্তাব?

জোনায়েদ সাকি: আমাদের বিদ্যমান সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। এখনকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো দল এক ভোট বেশি পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়, তাহলে সব ক্ষমতা তাদের হাতেই চলে যায়। ‘উইনার্স টেক অল’ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এটাকে আমরা আধুনিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলে মনে করি না। আমাদের প্রস্তাব, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় যেতে হবে, তাহলে অধিকতর মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। তাই আমরা যদি জাতীয় সংসদে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় যেতে হবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের দিকেও আমাদের যেতে হবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনও সংশোধন করতে হবে। কারণ, এই আইন দল নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের দলের নিবন্ধন আটকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যয়সীমার বিধান মেনে চলা হচ্ছে কি না, তার তদারকি নেই। নির্বাচনকে কালোটাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত করার জন্য নতুন আইন করতে হবে, পুরোনো অনেক আইনের ব্যাপক সংস্কার সাধন করতে হবে। পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও নাগরিকদের সমন্বয়ে একটা কমিশন গঠন করে ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি ক্ষমতা হস্তান্তরকালীন নিরাপত্তাকাঠামো তৈরি করতে হবে, যেন জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই কমিশনের নির্দেশ মানতে বাধ্য থাকবে।

প্রথম আলো: আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কি আপনাদের কোনো প্রস্তাব আছে?

জোনায়েদ সাকি: আমাদের রাজনৈতিক বিভাজন অত্যন্ত প্রকট। ফলে সকলের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যমান সরকারের অধীনে নির্বাচন অন্যদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের প্রস্তাব হলো, আগামী নির্বাচনসহ কমপক্ষে তিনটি নির্বাচন সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে করতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো ও ভূমিকা কী হবে, তা নির্ধারণ করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে। জামায়াতে ইসলামীসহ যেসব দল মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের বাদ দিয়ে সকল সক্রিয় রাজনৈতিক দল আলোচনা-পরামর্শ করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের ব্যবস্থা করবে। সেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং তারপরের অন্তত দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম আলো: আপনাদের দল কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে?

জোনায়েদ সাকি: নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আমাদের একটা নীতিমালা আছে। সেটার মূলকথা হলো, আমাদের দলের কোনো সদস্যকে নির্বাচনের প্রার্থী হতে হলে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাঁকে জনগণের প্রতিনিধিত্ব অর্জন করতে হবে। তিনি জনগণের সংগ্রাম, তাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে কতটা যুক্ত, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথম আলো: আপনারা কি নির্বাচনে অংশ নেবেন?

জোনায়েদ সাকি: বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন যে প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করার ঘোষণা দিচ্ছে, তাতে আমরা আস্থা পাচ্ছি না যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে, এ ব্যাপারে জনগণের কোনো আস্থা নেই। কাজেই নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো ও ভূমিকা নিয়ে যদি রাজনৈতিক ঐকমত্য না হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের ন্যূনতম পরিবেশ তৈরি হবে না।

প্রথম আলো: তাহলে কী হবে? আরেকটা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন?

জোনায়েদ সাকি: আমরা মনে করি, আরেকটা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশ ও জনগণের জন্য, এমনকি সরকারি দলের জন্যও ক্ষতিকর হবে। এই ক্ষতি বাংলাদেশের সইবে না। জনগণ সেটা মানবে না।

প্রথম আলো: সরকার জাতীয় ঐকমত্যে না গিয়ে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে গেলে আপনার দল ও জোট কী করবে?

জোনায়েদ সাকি: আমরা আন্দোলনে আছি। আমরা বলছি, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জন্য জাতীয় ঐকমত্যে আসতে হবে।

প্রথম আলো: সরকার যদি আপনাদের কথা না শোনে, তাহলে আপনারা কী করবেন? নির্বাচন বর্জনের ডাক দেবেন? নির্বাচন প্রতিহত করবেন?

জোনায়েদ সাকি: জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করা এবং জনগণের ওপর এ রকম একটা জবরদস্তির শাসন যেন আবারও চেপে বসতে না পারে, সে জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন ও জনগণের উত্থানের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।