'দলের হোক-বেদলের হোক, কেউ ছাড় পাবে না'

তালুকদার আবদুল খালেক
তালুকদার আবদুল খালেক
>তালুকদার আবদুল খালেক গতকাল মঙ্গলবার খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসছেন। এবার দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি দক্ষিণাঞ্চলের এই নগরের দায়িত্ব নিচ্ছেন। খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল খালেক ২০০৮ সালে মেয়র হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি হেরে যান। গত ১৫ মে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, নতুন পরিকল্পনা এবং খুলনায় নিজ দলের অবস্থা নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পার্থ শঙ্কর সাহা।


প্রথম আলো:
এবারের নির্বাচনের আগে আপনি বলেছিলেন, আগের মেয়াদে মেয়র থাকার সময় আপনার উন্নয়নকাজের ধারাবাহিকতা গত পাঁচ বছরে থাকেনি। বরং নগরের নাগরিক পরিষেবা আরও নাজুক হয়েছে। এখন নিজের ওপর চাপ কি বেশি মনে হচ্ছে?
তালুকদার আবদুল খালেক: একটু পেছন থেকে শুরু করতে চাই। ২০০৮ সালে যখন দায়িত্ব নিলাম তখন সিটি করপোরেশনের দেনা ছিল ১৬ কোটি টাকা। তহবিলে টাকা ছিল না, কিন্তু ১২ কোটি টাকার ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া ছিল। আর ৪ কোটি টাকা কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যয় করে ফেলা হয়েছিল। আমি দায়িত্ব নিই ১৬ কোটি টাকা দেনা নিয়ে। এরপর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এল। ওই সরকার গঠন করার পর ৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প দেয়। খুলনা নগরের বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। জোয়ারের সময় পানি শহরের ভেতরে ঢোকে। খালগুলো নাব্যতা হারিয়েছে, দখল হয়ে গেছে। নর্দমা দিয়ে পানি না সরার জন্য শেষ ভাটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। আমি সেই সময়ের কাউন্সিলর শহীদ ইকবাল বিথারকে নিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালগুলো উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করি। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং সুশীল সমাজ ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিই। আমরা সবাইকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করি, যারা তিন মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেয়। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়ূর নদসহ ২২টি খাল যদি খনন করা যায়, তবে এই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। আমরা পরামর্শক নিয়োগ করি। তারা এক বছর খুলনার বিভিন্ন জায়গায় জরিপ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুলনায় এসে ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প দেন। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহযোগিতা পাই ৩০০ কোটি টাকা। কিন্তু এ অর্থের প্রথম দফা পেতেই নির্বাচনের সময় চলে আসে। তবে যে অর্থ পাই, তা দিয়ে কাজ শুরু করি। জার্মান সহযোগিতায় নগরের নিচু এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নে কাজ শুরু করি। গত পাঁচ বছরে এডিবির বৈদেশিক সহায়তার ৫০ কোটি টাকাও তারা নিতে পারেনি। আমি কয়েক দিন আগেই গিয়েছিলাম। তারা আবার সম্মত হয়েছে নতুন করে অর্থ দিতে। তবে এবার রাস্তাঘাটে নয়, তারা অর্থ দেবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার খাতে। তাদের ক্ষোভ হলো, আপনি না থাকার কারণে কাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। আমি ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে গিয়েছিলাম সেগুলোই এখনো শেষ হয়নি। পরিস্থিতি এখন এমনই আছে।

প্রথম আলো: তাহলে এবার কী করছেন, নতুন পরিকল্পনা কী?
খালেক: আমি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বর্তমান মেয়রের সঙ্গে কথা বলেই সিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছি। ইতিমধ্যে আমি প্রায় সাড়ে ১৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প জমা দিয়েছি। এটা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আছে। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮২৩ কোটি টাকা এবং রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও নর্দমার জন্য ৬০৭ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। আমি আশা করছি এ সরকারের মেয়াদেই এ অর্থ আমরা পাব। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরবাসীকে এই খবরটা আমি দিতে চাই, যে প্রতিশ্রুতি আমি দিয়েছি তার বাস্তবায়নে আমি শুরুতেই কাজ করছি। খুলনার মানুষের আস্থাটা ফিরে আসুক, এটা চাই।

প্রথম আলো: শুরুতেই সাড়ে ১৪০০ কোটি টাকা নিয়ে কাজ শুরু করছেন, আর কী কী পরিকল্পনা আছে?
খালেক: এ নগরের সীমানা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। লবণছড়া, হরিণঘাটা এবং আড়ংঘাটাকে সিটি করপোরেশনের মধ্যে আনতে চাই। এ নিয়ে ওই এলাকার সাংসদদের কিছু আপত্তি হয়তো আছে। কিন্তু আমার কথা হলো, সংসদীয় আসন যাঁর যা আছে, তেমন থাকবে। শুধু সিটির অন্তর্ভুক্ত হবে এসব এলাকা। এই সমস্যার সমাধান হলেই প্রস্তাবটি নিয়ে কাজ শুরু করব। জার্মান উন্নয়ন সহযোগী আরেকটি সংস্থার কাছ থেকে নর্দমা সংস্কার এবং বাজারঘাট উন্নয়নে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। আমি আসলে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরই এসব কথাবার্তা শুরু করেছি। গত পাঁচ বছরে এসব উৎস থেকে অর্থ নেওয়ার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ ছিল না।

প্রথম আলো: গত মেয়াদে যখন আপনি ছিলেন, তখন একটি বিষয় মনে হতো, আপনি একদিকে আবার দলের একটি পক্ষ অন্যদিকে। শহীদ ইকবাল বিথার আপনার সঙ্গে খাল উদ্ধারের কাজে ছিলেন। তিনি নিহত হয়েছিলেন। তারপর সেই উদ্ধারের চেষ্টা কিন্তু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

খালেক: ইকবাল বিথার যেটা পেরেছিলেন, তেমন করে কেউ কাজ করতে পারেননি। এরপরও কিন্তু আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছিলাম। খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করেছি। এবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করব।

প্রথম আলো: এবার প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে না?
খালেক: এবার কোনো প্রতিবন্ধকতা মানা হবে না। খুলনার মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে উন্নয়নের জন্য। খুলনার জলাবদ্ধতা নিরসন আমার ১ নম্বর এজেন্ডা। যাঁরা খাল বা নর্দমা দখল করে আছেন, তাঁদের আমি আগেই বলে দিয়েছি, এসব থেকে দখল ছাড়েন। এ ব্যাপারে আমি কোনো ছাড় দিতে রাজি না। নগরে পানি আটকে থাকবে আর আমি মেয়র থাকব, এটা হতে পারে না। আমি কোনো অবস্থাতেই এটা মেনে নেব না। কারও বাধা মানব না।

প্রথম আলো: দলের লোক বাধা দিলে?
খালেক: দলের লোক হোক আর বেদলের লোক হোক, কেউ ছাড় পাবে না। দলের লোক বলে অবৈধভাবে স্থাপনা বানাবে, এটা আমি মানতে রাজি না।

প্রথম আলো: একটা নাগরিক সৌন্দর্যের বিষয়। হাদিস পার্ক একটা সুন্দর রূপ পেয়েছিল। কিন্তু এখন আবার দলের প্রচারের নামে আত্মপ্রচারে মগ্ন নেতাদের ব্যানার, হোর্ডিং পার্কের চারদিক ছেয়ে গেছে।

খালেক: আমি বলে দিয়েছি, কেউ কোনো ব্যানার এভাবে রাখতে পারবে না। ফটক যদি বানাতে হয়, প্রচার করতে হয়, এর একটা নিয়ম আছে। ফ্রিস্টাইলে এসব করবে, এটা মানব না। আমি মেয়র হওয়ার পর এটা অনেকটা কমে গেছে। আগে ফটক রাস্তায় রাস্তায় ছিল, এখন তা নেই।

প্রথম আলো: খুলনার একটি বড় সমস্যা মাদক। এর আগে দুদক আপনার দলের এক সাংসদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে।
খালেক: আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি আছে, আমি মাদকমুক্ত খুলনা করব। এ লক্ষ্য আমার আগেও ছিল। ২০০৯ সালে খুলনা মহানগরী এবং জেলা আওয়ামী লীগ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, কারও বিরুদ্ধে যদি মাদক ব্যবসায়ের অভিযোগ থাকে, তাঁকে দলে রাখা যাবে না। তার পরও কিন্তু মাদক বন্ধ হয়নি। এর কারণ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে মাদক ব্যবসা হতে পারে না। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী মাদকমুক্ত বাংলাদেশের কথা বলছেন, সেখানে মাদকের বিরুদ্ধে শূন্যসহিষ্ণুতা দেখানোর বিকল্প নেই। আর আমার দলের এমপির বিষয়ে যা বললেন, আমি সত্যি বলতে চাই, এমন কোনো অভিযোগ আমার কাছে নেই। সরাসরি তিনি জড়িত আছেন কি না, এ বিষয়ে আমি জানি না। এটা প্রশাসন জানে। আর মাদকের বিষয়ে আমার অবস্থান সবাই জানে। কেউ যদি কিছু করে, তবে আমার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই তা করে।

প্রথম আলো: যে প্রশাসনের কথা বললেন, আপনি মেয়র হওয়ার পর তো তাঁদেরই পাবেন। তাহলে মাদকমুক্ত খুলনা করার প্রতিশ্রুতি কীভাবে এরা থাকলে বাস্তবায়ন হবে?
খালেক: আমি নভেম্বর মাসেই একটি কর্মসূচি নেব। সব কাউন্সিলর থেকে শুরু করে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে এলাকাভিত্তিক সভা করব মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে। দলেরও কেউ যদি ধরা পড়ে এই জঘন্য কাজ করে, কোনো তদবিরে কোনো কাজ হবে না।

প্রথম আলো: আপনার সময় করা বড় সড়কগুলো এখনো মোটামুটি ঠিক আছে। কিন্তু ছোট সড়কগুলোর অবস্থা ভালো নেই। এসব নিয়ে কী পরিকল্পনা আছে?
খালেক: আমি প্রথমেই এসব নষ্ট হয়ে যাওয়া সড়ক ধরব। অন্যগুলো ধীরে ধীরে ঠিক করব। রাস্তা ঠিক করার জন্য ১১০ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। রাস্তা আর নর্দমার জন্যও এখান থেকে ব্যয় হবে। এ ছাড়া চিত্রালী বাজারটির জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এটা বসার পরপরই শুরু করব।

প্রথম আলো: ফুটপাত দখল করে বাজার একটি সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
খালেক: প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ সাধারণ নির্বাচনের আগে হবে না। আমি একটা দলের সভাপতি। এটা বিবেচনায় নিতে হবে।

প্রথম আলো: খুলনা উন্নয়ন সংস্থা (কেডিএ) নগর উন্নয়নে আরেক প্রতিষ্ঠান, তাদের সঙ্গে একটা বিরোধ ছিল আপনার?
প্রথম আলো: এটা অযোগ্য লোকের একটা আড্ডাখানা। গত ৯ বছরে এরা প্রকল্প দিয়েছে অনেক। কিন্তু কাজ হয়নি। এখানে ভালো লোক দিয়ে যতক্ষণ কাজ না করা হবে, ততক্ষণ এটা দিয়ে কোনো কাজ হবে না। কাজের লোক ছাড়া কারও সঙ্গে আমার সম্পর্ক নাই। এরা ৯ লাখ টাকা কাঠাপ্রতি নিয়ে ২০১১ সালে আবাসন প্রকল্পের নামে কাজ শুরু করেছে। এটার নাম ময়ূর প্রকল্প। এর কোনো অগ্রগতি নেই। সোনাডাঙা আবাসিক এলাকা করেছে। সেখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নাই। চট্টগ্রামে তো নগর উন্নয়ন সংস্থা কাজ করছে। এখানে কেন পারবে না? প্রকল্প নিয়েও এরা শেষ করতে পারে না।

প্রথম আলো: আপনি ওয়াসার সঙ্গে ছিলেন। এ সংস্থার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি নগরবাসীর জন্য একটি বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছে।
খালেক: এই খোঁড়াখুঁড়ির জন্য বিড়ম্বনা হচ্ছে। একটু তো ছাড় দিতেই হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুলনা নগরের সুপেয় পানির সমস্যা সমাধানে ২৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আগামী ৫০ বছরে এখানে পানির কোনো সমস্যা হবে না। আমরা মধুমতী থেকে পানি এনে তা পরিশোধন করে নগরে সরবরাহ করব। এখন পাইপ বসানোর কাজ চলছে। পুরোনো যে পাইপ আছে তা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির যে কাজ চলছে, তা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে আশা করি। ইতিমধ্যে ওরা ১৬ হাজার সংযোগ দিয়েছে। এর জন্য রাস্তা কেটেছে। আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বাজেট করে ওয়াসার কাছে এসব রাস্তা মেরামতের জন্য অর্থ চাইব।

প্রথম আলো: ইজিবাইক নগরের যানজটের অন্যতম একটা কারণ। যত্রতত্র চলছে বলে নগরবাসীদের অভিযোগ। এ নিয়ে কী পরিকল্পনা আছে আপনার?
খালেক: ইজিবাইকের সংখ্যা অগণিত। আমি ইজিবাইকের রং করে দেব। একেক দিন একেক রঙের বাইক চলতে পারবে। তাতে যানজট কিছু কমবে। আর এর নিবন্ধনের ব্যবস্থা করব। যে কেউ ইচ্ছে করলেই বাইক কিনবে আর চালাবে, এটা বন্ধ করব।

প্রথম আলো: ১৮ লাখ মানুষের নগর। এখানে বিনোদন বা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অবকাঠামোর অভাব। জিয়া হল অকেজো হয়ে পড়ে আছে। নামের কারণেই এর আর সংস্কার হয় না, এমন কথা চালু আছে।
খালেক: আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, এর নাম কখনো জিয়া হল ছিল না। ১৯৭৯ সালে এটির পরিকল্পনা হয়। তখন এনায়েত সাহেব পৌর মেয়র ছিলেন। আমি কমিশনার ছিলাম। তখন খুলনা পাবলিক হল নামেই এর নির্মাণপ্রক্রিয়া শুরু। পরে এরশাদ আমলে মূল অবকাঠামো নির্মাণ হয়। ১৯৯৩ সালে খালেদা জিয়ার সময় এটি উদ্বোধন হলে নাম হয় জিয়া হল। কিন্তু এত অর্থ ব্যয় করে নির্মিত হলটি ভেঙে পড়ল। আমি একাধিক প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এর নির্মাণ ভালো হয়নি। অর্থ শুধু ব্যয় হয়েছে, কাজের কাজ হয়নি। আমি ঝুঁকি নিতে পারি না। তাই এখানে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এখন এটি ভেঙে নতুন করে করার কোনো বিকল্প নেই। এটা আমরা করব।

প্রথম আলো: খুলনায় ৬টি আসন। শোনা যাচ্ছে, এবার ৭০ থেকে ১০০ সাংসদ মনোনয়ন পাবেন না। আপনার জেলার আসনের সাংসদদের বিষয়ে কী বলবেন, এখানেও নতুন মুখ আসবে?
খালেক: আমাদের দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সব হিসাব-নিকাশ আছে। তিনি বিচক্ষণতার সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে হ্যাঁ, এ বিষয়ে তিনি যদি আমার মত চান তবে আমি বলব। তবে এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
খালেক: আপনাকেও ধন্যবাদ।