অভিবাসীর ইশতেহার: চাই নিরাপদ শ্রম অভিবাসন

>

গত ২৫ নভেম্বর ২০১৮, প্রথম আলোর আয়োজনে ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্েটর (আইঅাইডি) সহযোগিতায় ‘অভিবাসীর ইশতেহার: চাই নিরাপদ শ্রম অভিবাসন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে এই প্রতিবেদন হলো।

আলোচনায় সুপারিশ

অভিবাসীর ইশতেহারে ৫ দফা

■ নারীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষাসহ নারী–পুরুষনির্বিশেষে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করা

■ নিয়োগপ্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত করা

■ বাংলাদেশিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠানো, ফিরিয়ে আনাসহ অভিবাসনের পুরো প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসকে কার্যকর ভূমিকা রাখা

■ অভিবাসীদের কল্যাণে বাজেট বরাদ্দ করা এবং সব আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করা

■ নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা

আলোচনা        

আব্দুল কাইয়ুম

প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এ বিষয়ে কারও দ্বিমত নেই। এ জন্য অভিবাসীদের সুযোগ–সুবিধাগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

অনেক ব্যক্তি বিদেশে কাজ করার তীব্র ইচ্ছা পোষণ করেন। যেকোনো সমস্যাকে তঁারা মেনে নিতে রাজি থাকেন। কিন্তু বিদেশে কাজ করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা হয়।

এসব সমস্যা ও সমাধানের উপায় আজকের গোলটেবিল আলোচনার বিষয়।  

অনেক শ্রমিক দেশ থেকে ধার করা অর্থে বিদেশে যান। অনেক সময় প্রকৃত ব্যয়ের চেয়ে অনেক বেশি টাকা দিতে হয়। চাকরি করার সময় কঠোর পরিশ্রম করেন এবং দেশেও টাকা পাঠান। বিদেশ থেকে আয় আসার ফলে গ্রামীণসমাজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।

অভিবাসীদের যথাযথ গুরুত্ব না দিলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে নেতিবাচক ফল ভোগ করতে হবে। এটি কাম্য নয়। অভিবাসীরা কোন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন, কীভাবে সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে—এসব বিষয় আলোচিত হবে। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সাঈদ আহমেদকে অনুরোধ করছি।

সাঈদ আহমেদ
সাঈদ আহমেদ

সাঈদ আহমেদ

নির্বাচনের আগে রাজনীতিবিদেরা অনেক ধরনের প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তী সময়ে এসব প্রতিশ্রুতি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় না। এ জন্য অভিবাসী ইশতেহার পরিকল্পনায় লিখিত প্রতিশ্রুতির বাইরে একটি ক্যাম্পেইন করতে চাই। অভিবাসীদের দাবিদাওয়াগুলো নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের  জানানো হবে।

নির্বাচনের পর এসব দাবি বাস্তবায়নের জন্য দ্বিতীয় দফায় আলোচনা করা হবে। 

কোনো প্রার্থী এসব বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করলে অনলাইনের মাধ্যমে সব অভিবাসীকে এসব বিষয়ে জানানো হবে। যেন ওই অভিবাসীর পরিবারের সদস্যদের সমর্থন ওই বিশেষ প্রার্থী পান। নির্বাচনের পর প্রার্থীদের এসব বিষয় বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা করা হবে।

গত মেয়র নির্বাচনের আগে তারুণ্যের ইশতেহার নামে একটি িবতর্কের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে মেয়র প্রার্থীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী সময়ে মেয়ররা কাজ করেছেন।

এ ধরনের প্রতিশ্রুতি অনেক বেশি কার্যকর। অভিবাসীরা আমাদের আত্মীয়স্বজন। তঁাদের আয় দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। তঁাদের নিরাপদ অভিবাসনে আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে।  

সুমাইয়া ইসলাম
সুমাইয়া ইসলাম

সুমাইয়া ইসলাম

নারী অভিবাসন একটি জাতীয় বিষয়। নারীদের বিদেশ গমনের সময় মাঠপর্যায় থেকে দেশে ফেরত আসা পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য আমরা প্রদান করি। অভিবাসন নিয়ে পাঁচ দফা দাবির কথা বলা হচ্ছে। এ পাঁচটি দফার একটি হলো নারীর অভিবাসন নিরাপদ করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিটি মেনে নিলে নিরাপদ অভিবাসনের পথ প্রসারিত হবে।

দেশে–বিদেশে সব ক্ষেত্রে নারীর  নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। বিশেষ করে দেশের বাইরে নারী অভিবাসীদের নিরাপত্তা প্রদান করা সরকারের দায়িত্ব। ইন্টারনেট ও অন্যান্য গণমাধ্যমের সুবাদে বিদেশে নারীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এগুলো সমাধান করার উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে।

একজন নারী বিদেশ যাওয়ার সময় দালালের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হন। পরিবার ও সমাজে আত্মমর্যাদা কমে যাওয়ার একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এসব বিষয়ে নজর দিতে হবে। বদলাতে হবে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি।

নারী অভিবাসীদের শতভাগ রেমিট্যান্স দেশে পাঠানো হয়। এটা গোটা দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একজন নারী প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হয়ে শেষ পর্যন্ত কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে গমনের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু পাসপোর্ট থেকে শুরু করে বিমানের টিকিট কেনা পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় একেক ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এ জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি থেকে শুরু করে দেশে ফিরে আসা পর্যন্ত সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে। নারীর অভিবাসনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করলে নিরাপদ অভিবাসনের অপরাধগুলো দূর হবে।

নারী–পুরুষ সব অভিবাসীর সমান সুযোগ-সুবিধার জন্য একটি মডেল দূতাবাস প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এ দূতাবাসের মাধ্যমে অভিবাসীর বিদেশে গমন থেকে শুরু করে দেশে ফেরত আসা পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য প্রদান করবে।

প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কে বর্তমানে জনপ্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। এই টাকা ব্যয়ের একটি স্বচ্ছ হিসাব থাকা উচিত।

নির্বাচনের পর নতুন সরকার ক্ষমতায় আসবে। দেশে ও বিদেশে নারী অভিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন চুক্তি থেকে সরকারের বিরত থাকা উচিত। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে নারী শ্রমিক দেশে ফিরছেন। পরিবারের সহায়তা পাচ্ছেন না।

ব্র্যাক এই নারীদের নিয়ে কাজ করছে। একজন নারীকে শতভাগ রেমিট্যান্স দেশে পাঠানোর পর কেন এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে?

বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর আগে তঁাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে এবং দক্ষ করে তুলতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব ব্যবস্থা রাখা উচিত। নারীকে তঁার প্রাপ্ত সম্মানী প্রদান করতে হবে।

বেতনসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। কোনো নারী অসহায় অবস্থায় নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরে আসুক, এটা আমরা চাই না। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। একজন নারীকে নির্যাতন করা মানে গোটা বাংলাদেশকে নির্যাতনের নামান্তর।

শরিফুল ইসলাম
শরিফুল ইসলাম

শরিফুল ইসলাম

বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিদেশে যাওয়ার খরচ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু আয় পৃথিবীর সব দেশের চেয়ে কম। এটি আমাদের অভিবাসীদের প্রধান অন্তরায়। অভিবাসনের ক্ষেত্রে দালালেরা সক্রিয়। তাঁদের নেটওয়ার্ক সরকারি অফিসেও রয়েছে। এসব নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে। যেকোনো মূল্যে অভিবাসীদের বিদেশে গমনের খরচ কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

নারী অভিবাসন নিরাপদ করতে হবে না বলে নারী-পুরুষ সবার অভিবাসন নিরাপদ করা দরকার। বাংলাদেশের একটি সমস্যা হলো, আমরা সাংস্কৃতিক সংকটের বিষয়টিকে এড়িয়ে যাই। এটি ঠিক নয়।

অনেকে মনে করেন বিদেশ থেকে আড়াই লাখ নারীর মধ্যে মাত্র ৭ হাজার নারী ফেরত আসছেন। বাকিরা তো ভালো আছেন। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি একটা বা দশটা ঘটনা দিয়ে বিবেচনা করা যায় না। এ দেশের একটি মেয়ে ধর্ষিত হলে সেটি পুরো বাংলাদেশের কান্না।

সৌদি ফেরত ১ হাজার মেয়েকে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হয়েছে। এ মধ্যে ১৫ জন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। প্রায় সব ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন তঁারা। দেশে আসার পর পরিবার বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাননি। এটি কাম্য নয়।

দেশে ফেরত আসা এসব নারীর কল্যাণে আইনগত কোনো তহবিল নেই। প্রবাসী কোনো মেয়ের সমস্যা হলে কোথায় যাবেন? এসব বিষয় নিয়ে সরকারি পর্যায়ে নীতি রাখা জরুরি। বিমানবন্দরে প্রবাসীদের সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বলা হয় না। বাজে আচরণ করা হয়। এসব বন্ধ হওয়া দরকার।

বিদেশে গিয়ে কোনো শ্রমিক ব্যর্থ হতে পারেন। তঁার জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

বিদেশে গমনের পুরো বিষয়টির সঙ্গে দালাল জড়িত। এ জন্য পুরো প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে। সবকিছু অনলাইনে করার সুযোগ তৈরি
করতে হবে।

গ্রামে কোনো যুবক কোনো কাজ না জানলে তাঁকে বিদেশে পাঠানো হয়। এটি ভুল সিদ্ধান্ত। বিদেশে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ
গ্রহণ জরুরি। অন্যথায় ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

প্রবাসীরা টাকা পাঠানোর যন্ত্র নন। তঁাদের উপযুক্ত সম্মান প্রদান করা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।

প্রবাসীরা দূতাবাস থেকে সেবা পান না। এর কারণ হলো, দূতাবাসে লোকবল কম। সৌদিতে কাজ করেন ২০ লাখ শ্রমিক। কিন্তু দূতাবাসে কাজ করেন মাত্র ২০ জন কর্মকর্তা। তাহলে প্রবাসীরা সেবা পাবেন কেমন করে?

প্রবাসে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বাস করেন। সামনে জাতীয় নির্বাচন। তঁারা যেন ভোট প্রদান করতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।  

শিরিন লিরা
শিরিন লিরা

শিরিন লিরা

ব্রিটিশ কাউন্সিলের অধীনে প্রকাশ সবাইকে নিয়ে কাজ করার জন্য যাত্রা শুরু করে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে দালাল বা মিডলম্যানরা সক্রিয়।

সরকারের মাধ্যমে তাঁদের রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

দালাল শব্দটি না বলে অভিবাসন সহযোগী শব্দটি ব্যবহার করা যেতে পারে। সমস্যা হলে যেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। নির্বাচনী ইশতেহারে এ বিষয়টি যুক্ত হওয়া উচিত।

নারী অভিবাসনের ‌ক্ষেত্রে দেশে ও বিদেশে নিরাপত্তার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।

আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টিও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। নারী বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে সে টাকা বড় ভাই বা স্বামীর মাধ্যমে খরচ হচ্ছে। দেশে ফেরত আসার পর নিজের নিরাপত্তার জন্য কিছু থাকছে না।

গৃহস্থালির কাজে নারীর শ্রমকে আর্থিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এখান থেকে সমাজকে বের করতে হবে। গৃহস্থালির কাজ অনেক কঠিন। অনেক ধৈর্য প্রয়োজন।

কিন্তু এটাকে মূল্যায়ন করা হয় না। নিজের দেশে নারীরা প্রকৃত সম্মান থেকে বঞ্চিত হলেঅন্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে কীভাবে  সম্মান
প্রত্যাশা করব?

নারী মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অনেক বছরের আন্দোলনের ফল। অভিবাসীদের বেলায় যথাযথ সম্মান ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব।

অভিবাসীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য হটলাইন নম্বর হয়তো আছে। কিন্তু এটা কতটা অভাব পূরণ করতে পারছে? এটি খতিয়ে দেখতে হবে। বিদেশে কেউ সমস্যায় পড়লে আত্মীয়স্বজনেরা জানেন না তঁারা কীভাবে খোঁজখবর নেবেন। এ জন্য হটলাইন নম্বরটি খুব জরুরি। এই সেবাটিকে প্রচার–প্রচারণার মাধ্যমে সব অভিবাসীর পরিবারে পৌঁছে দিতে হবে।

অভিবাসীদের কল্যাণে সরকার, দাতা সংস্থা ও সিভিল সোসাইটিকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এ ধরনের কাজ সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব না। প্রবাসীদের কল্যাণে একটি তহবিল রয়েছে।

প্রয়োজনে এটিকে কাজে লাগাতে হবে। কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান (এনজিও) দীর্ঘ দিন কাজ করছে। এদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সরকারের নীতিনির্ধারণে কাজে লাগবে বলে মনে করি।

সানজিদা রহমান
সানজিদা রহমান

সানজিদা রহমান

অভিবাসীদের সাফল্য আয়–উন্নতির গল্প আমাদের মুগ্ধ করত। কিন্তু তাঁদের নিয়ে কাজ না করলে  সীমাহীন কষ্টগুলো অজানাই থাকত।

অভিবাসীদের কষ্টগুলো বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। ফেসবুক ক্যাম্পেইন করার পর আমরা তঁাদের দুর্দশার প্রকৃত চিত্র বুঝেছি।

আমাদের বিভুঁই নামে একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। এক বছর ধরে সেখানে ক্যাম্পেইন হচ্ছে। সেখানে অভিবাসীরা তঁাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরছেন। তঁাদের সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে পাঁচটি দাবি করা হচ্ছে।

নিরাপদ অভিবাসনব্যবস্থা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। অনেকে ভুল তথ্য পান। যেসব জেলায় অভিবাসনের হার কম, সেখানে অবস্থা আরও খারাপ। এ জন্য অভিবাসন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পৌঁছে দিতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার সময় প্রশিক্ষণ গ্রহণে অভিবাসীদের আগ্রহ খুব একটা নেই। এ জন্য কম বেতনে কাজ করতে হয়। কিছুটা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে হয়তো বেতন দ্বিগুণ হতে পারে। এ বিষয়টিও অভিবাসীদের জানানো উচিত। দক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

তথ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগাতে পারি। প্রতিটি এলাকার কিছু তরুণ অভিবাসীদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পৌঁছে দেবেন। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

মেরিনা সুলতানা
মেরিনা সুলতানা

মেরিনা সুলতানা

অভিবাসীদের সমস্যাগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একই। কিন্তু তঁাদের জন্য আমরা কিছু করতে পারছি না। অভিবাসীদের নিয়ে আমাদের সফলতাও রয়েছে। বিদেশফেরত অনেকে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন। নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

অনেকে নতুন প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু সহযোগিতার অভাবে আবার বিদেশে চলে যান। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁদের ঋণ দিতে ভয় পায়। 

দেশের মধ্যে এসব মানুষের কর্মসংস্থান নেই। এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। কর্মসংস্থানের জন্য তাঁরা বিদেশে পা রাখছেন। রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। অনেক নারী ছয় মাস, এক বছরের বাচ্চাকে রেখে কাজ করার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। এসব বাস্তবতা আমাদের স্বীকার করতে হবে।

অভিবাসীদের কেবল আর্থিক বিষয়টি বিবেচনা না করে মানবিক বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। বিদেশে যাওয়া থেকে শুরু করে ফেরত আসা পর্যন্ত সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক দুর্বলতা রয়েছে। এখান থেকে বের হয়ে আসা উচিত। এখানে স্বচ্ছতার জন্য প্রশাসনের বড় উদ্যোগ প্রয়োজন।

দালালদের নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা গেছে, ৯৭ শতাংশ কাজ দালালের মাধ্যমে করা হয়। অভিবাসী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ, ভিসা প্রসেসিং ইত্যাদি কাজ দালাল করে থাকেন। এ জন্য এই শ্রেণির মানুষগুলোকে একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা উচিত।

দেশের বাইরে ৩৯ শতাংশ অভিবাসী দালালের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হন। শ্রমিকদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা, বেতন ইত্যাদি ঠিকমতো দেওয়া হয় না। এসব বিষয় রাষ্ট্রকে খতিয়ে দেখতে হবে।

অদক্ষ শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করতে হবে। এতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সর্বোপরি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাহলে অভিবাসীদের দুর্দশা কমবে বলে মনে করি।

রাহনুমা সালাম খান
রাহনুমা সালাম খান

রাহনুমা সালাম খান

অভিবাসী বা দেশের স্থায়ী শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় আইএলও কাজ করে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন রয়েছে। আমরা চাই গোটা বিশ্ব এসব কনভেনশন গ্রহণ করবে। এতে যেকোনো কর্মী বা শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত হবে।

শ্রমিকের অধিকার রক্ষার জন্য সামাজিক সুরক্ষা সৃষ্টি করা উচিত। কোনো শ্রমিকের অধিকার ক্ষুণ্ন হলে যেন সব পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে

সমস্যা সমাধান করতে পারে। বেসরকারি খাত সব পর্যায়ে  অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আইএলওর (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সামাজিক সুরক্ষা।

গত চার বছরে অভিবাসীদের নিয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। ২০১৩ সালে অভিবাসীদের নিয়ে নতুন আইন হয়েছে। ২০১৬ সালে নতুন পলিসি হয়েছে। ২০১৭ সালে একটি নতুন বিধি গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে একটি ওয়েলফেয়ার অ্যাক্ট অনুমোদিত হয়েছে।

আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকার আন্তরিকতা প্রদর্শন করেছে। এখন সরকারের উচিত হবে এসব আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা। অন্যথায়, এসবের ফলাফল অভিবাসীরা ভোগ করতে পারবেন না।

প্রতি জেলায় প্রবাসীকল্যাণের বিষয়টিকে আরও  সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। যেন অভিবাসীদের পরিবার কাঙ্ক্ষিত সেবা িনতে পারে। এসব সেবা যত প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে, দালালের দৌরাত্ম্য তত কমে যাবে।

জেলা পর্যায়ে কল্যাণ বোর্ডের  অফিস খোলার আইন রয়েছে।

অভিবাসনের ক্ষেত্রে নারীদের তথ্যের অধিকার প্রদান করতে হবে। নারীকে সরাসরি তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। নারীরা যেসব দেশে যান সে দেশে নারীদের সুরক্ষার জন্য কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। নারীদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন পেশা ও গন্তব্য দেশ চিহ্নিত করতে হবে। কোনো নারীকে নিরাপত্তাহীনতার মুখে ঠেলে দেওয়া যাবে না।

২০১৮ সালে ওয়েলফেয়ার বোর্ডের আইন হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে অফিস চালু করতে পারবে।

অনেক মানুষ ওয়েলফেয়ার বোর্ডের সেবা সম্পর্কে জানেন না। এ সেবা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে।  

সৈয়দ সাইফুল হক
সৈয়দ সাইফুল হক

সৈয়দ সাইফুল হক

অভিবাসন একটি রাজনৈতিক বিষয়। কোনো দেশে কাজের জন্য লোক পাঠানোর আগে ওই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অনুমোদন যাচাই করা উচিত। অন্যথায়, বিপদে  পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১৬৫টি দেশে লোক পাঠানোর অনুমতি বাংলাদেশের রয়েছে। কিন্তু সেখানে কেবল দুটি চুক্তি, একটি সমঝোতা স্মারক ও একটি সহযোগিতা স্মারকপত্র।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১১ লাখ লোক বিদেশে পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার মতে, প্রায় দেড় কোটি লোক দেশের বাইরে কাজ করছেন। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গত বছর জিডিপিতে অবদান ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, দারিদ্র্য বিমোচনে ৬ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রাখে প্রবাসীরা।

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে তঁাদের পাঠানো অর্থ পুরোটাই গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়। তঁাদের আয় গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মান উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রবাসীদের আয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।

এই দেড় কোটি লোকের অন্ন, বস্ত্রসহ যেকোনো চাহিদা সরকারকে পূরণ করতে হয় না। অভিবাসীরা নিজেরাই নিজেদের অন্ন–বস্ত্রের ব্যবস্থা করে। এ বিশালসংখ্যক লোক দেশে থাকলে সরকারের জন্য নতুন চাপ সৃষ্টি হতো।

দেশের অর্থনীতিতে এত বড় অবদান রাখার পরও বিনিময়ে তঁারা কী পাচ্ছেন?

আমরা জনশক্তি রপ্তানি কথাটি তাঁদের বেলায় ব্যবহার করি। কিন্তু তঁারা কোনো পণ্য নয় যে রপ্তানি করছি। এ শব্দটি ব্যবহার করা ঠিক নয়।

আবার, কাগজপত্রের সমস্যা হলে অবৈধ (ইললিগ্যাল) শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অদক্ষ শব্দটিও ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ, ১৮ বছরের পর যেকোনো মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো দক্ষতা থাকে। এ ক্ষেত্রে কম স্কিল বা কম দক্ষ শব্দটি ব্যবহার করা যেতে পারে।

অভিবাসীদের জন্য নিরাপদ অভিবাসনের ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এটি তঁাদের ভোগান্তির প্রধান কারণ। কে তঁাদের বিদেশে পাঠাচ্ছেন? চাকরির ব্যবস্থা কাদের মাধ্যমে হচ্ছে? এসব বিষয়ে সরকারি তদারকি থাকা উচিত। অন্যথায়, অভিবাসনের খরচ কমানো যাবে না।

িবদেশে গমনের খরচ বেশি হওয়ার কারণ হলো দালাল চক্র প্রথমে ভিসা ক্রয় করে। পরে বাংলাদেশি দালাল চক্রের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে। এ জন্য অভিবাসনে যাওয়ার সময় ব্যক্তিকে কয়েক গুণ টাকা বেশি প্রদান করতে হয়। সরকারিভাবে এটা বন্ধ করা উচিত।

সরকার ভিসা কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে। এতে অভিবাসনের খরচ অনেক কমে যাবে। নিরাপত্তার জন্য দ্বিপক্ষীয় চুক্তি থাকা উচিত। দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্ভব না হলে বহুপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে। অভিবাসীদের কাজকর্মের তদারকি করার জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ থাকা দরকার।

তঁাদের পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

হোসনে আরা লুৎফা
হোসনে আরা লুৎফা

হোসনে আরা লুৎফা 

অভিবাসীদের প্রতি সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অভিবাসী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের সহযোগিতার হাত আরও প্রসারিত হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া সেবাগ্রহীতাকেও সচেতন হতে হবে।

সৌদি আরবে রাস্তা ঝাড়ুর কাজ করার জন্য একজন শ্রমিক ৮ লাখ টাকা খরচ করেছেন। সেখানে গিয়ে দেখেন তঁার বেতন মাত্র ৫০০ রিয়েল (১০ হাজার টাকা)। কেবল টাকা খরচ করলে হবে না। সবকিছু ভালোমতো জেনে টাকা খরচ করা উচিত। অন্যথায় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

সামনে জাতীয় নির্বাচন। প্রবাসীদের উচিত হবে তঁাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করা।

প্রবাসী ও পোশাক খাতের শ্রমিকেরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করেছেন। সরকারের উচিত এই দুটি খাতে সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করা। অভিবাসীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।  

তৃণমূল পর্যায় থেকে কেউ বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। এটা করা যাবে না। সচেতন মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এসব বিষয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। সবদিক ভালোমন্দ বিচার করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।

অনেকে না বুঝেই বিদেশে কাজ করতে চান। কিন্তু কাজের ধরন কী হবে? বেতন কত হবে সেগুলো চিন্তা না করায় আর্থিক ক্ষতির শিকার হন।

দালাল বা মিডলম্যানদের রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে অনেকে মতামত দিয়েছেন। এটি ছাড়াও যে এলাকা থেকে বিদেশ যাওয়া হচ্ছে, যে মাধ্যমে যাওয়া হচ্ছে—এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে রাখা উচিত।

বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। নারীদের অর্থনৈতিক অবদানের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে।

কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, নারীরা তঁাদের  নিজের দেশেই নির্যাতনের শিকার। অন্য দেশে পরিস্থিতি তো আরও ভয়াবহ।

দক্ষতার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি মেয়ে অন্য একটি অঞ্চলের ভাষা ঠিকমতো বোঝেন না। তিনি বিদেশে গেলে কীভাবে মনের ভাব প্রকাশ করবেন? এটির জন্য আমাদের অবশ্যই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। যেন অন্য একটি সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন।

সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অভিবাসীদের জন্য যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না তা তদারকি করতে গণমাধ্যম ভূমিকা পালন করতে পারে।

আব্দুল কাইয়ুম

অভিবাসীরা ভালো থাকলে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। তঁাদের সুযোগ–সুবিধাগুলো দেখা রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব।

আশা করছি, এসব বিষয় পরবর্তী নতুন সরকার ও নীতিনির্ধারকদের কাজে লাগবে। আজকের আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।  

যাঁরা অংশ নিলেন

হোসনে আরা লুৎফা: সাংসদ; সদস্য, অভিবাসনবিষয়ক সংসদীয় ককাস

সৈয়দ সাইফুল হক: চেয়ারম্যান, ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ফর রাইটস অব বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট (ওয়ারবি)

সাঈদ আহমেদ: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইডি)

মেরিনা সুলতানা: পরিচালক কর্মসূচি, রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু)

সুমাইয়া ইসলাম: পরিচালক, বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএমএসএ)

রাহনুমা সালাম খান: ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)

শিরিন লিরা: উপদেষ্টা, জেনারেল অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন, প্রমোটিং নলেজ ফর অ্যাকাউন্টেবল সিস্টেম, ব্রিটিশ কাউন্সিল

শরিফুল ইসলাম: প্রধান, অভিবাসন কর্মসূচি, ব্র্যাক

সানজিদা রহমান: সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, আইআইডি

সঞ্চালক

আব্দুল কাইয়ুম: সহযোগী সম্পাদক

প্রথম আলো