রাষ্ট্র বদলালেও সমাজ বদলায়নি

আবুল মোমেন
আবুল মোমেন
আবুল মোমেন। লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠক। ৭০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথম আলো আবুল মোমেনের সঙ্গে কথা বলেছে তাঁর রাষ্ট্র, সমাজ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ভাবনা নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসানমশিউল আলম

প্রথম আলো: আপনার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন। সেই সঙ্গে জানতে চাই, এই ৭০ বছরের চাওয়া-পাওয়া কীভাবে মেলাবেন?

আবুল মোমেন: আমি সব সময় সামনের দিকে তাকাতে পছন্দ করি। অতীতের সবকিছু ভুল ছিল—আমি জীবনকে সেভাবে দেখি না। আমি মনে করি এখনো আরও অনেক কাজ করার আছে। বাংলাদেশে সেই সুযোগ আছে। প্রয়োজনও আছে। সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখার ইচ্ছে ছিল। এখনো লিখে উঠতে পারিনি। তবে আশা ছাড়িনি। লেখালেখির পাশাপাশি আমার জীবনের বড় অংশ নানা কাজে কেটেছে। আমি সংগঠন করেছি এবং অনেক ক্ষেত্রে সফলও হয়েছি। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিকূলতা এসেছে, রক্ষণশীলদের কাছ থেকে বাধা এসেছে। কিন্তু থেমে থাকিনি। পঠন-পাঠনের কাজটিও বন্ধ করিনি কখনো

প্রথম আলো: আপনার অপূর্ণতা কী?

আবুল মোমেন: ব্যক্তির অপূর্ণতা তো অনেক। আর যে দেশ ও সমাজ নিয়ে কাজ করেছি, তা বারবার হোঁচট খাচ্ছে। সংকট কোথায়? বাংলাদেশের সমাজ, বিশেষ করে বাঙালি মুসলমান সমাজ খুব একটা বদলায়নি। ভূগঠনের দিকে তাকালে দেখব, অনেকগুলো নদী এর ওপর দিয়ে প্রবাহিত। এ রকম অবস্থায় ভূমি ও প্রকৃতি স্থায়িত্ব পায় না। মানুষের ওপর প্রকৃতির বিরাট প্রভাব আছে। এ কারণেই হয়তো আমাদের সমাজ ও রাজনীতিতে এত অস্থিরতা, উত্থান-পতন। এখানে মানুষের মধ্যে সংগ্রামশীলতা আছে, আবার অস্থিরতাও আছে।

প্রথম আলো: উইকিপিডিয়ায় আপনার পরিচয়ে দেখলাম লেখা আছে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পাকিস্তানি, পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশি। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

আবুল মোমেন: আমাদের আগে যঁারা জন্মেছিলেন তাঁদের পরিচয় ছিল ব্রিটিশ ভারতীয়। অস্বীকার করা যাবে না আমরা ১৯৭১ সালের আগে ছিলাম পাকিস্তানি। পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে আমরা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করলাম। এ কারণেই আমি বাঙালি জাতিসত্তার পরিচয়কে বড় করে দেখি। পাকিস্তান ছিল চাপানো রাষ্ট্র। আমরা পাকিস্তানকে প্রত্যাখ্যান করেছি বলেই বাংলাদেশ হয়েছে। তবে চূড়ান্ত মীমাংসা হয়নি। পঁচাত্তরের পর অনেক কিছুই উল্টো পথে চলেছে।

প্রথম আলো: কোনটি সত্য, পাকিস্তান ভেঙেছে বলে বাংলাদেশ হলো, না পাকিস্তান ছিল বলে বাংলাদেশ হয়েছে?

আবুল মোমেন: আমি বলব পাকিস্তান হয়েছে বলে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ত্বরান্বিত হয়েছে। পাকিস্তানি শাসকেরা কথিত পাকিস্তানি জাতীয়তা চাপিয়ে দিতে গিয়ে বাঙালি জাতিসত্তাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করেছে। এর প্রতিবাদে এ অঞ্চলের বাঙালিরা আন্দোলন–সংগ্রাম করেছে। এটাই হলো আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি।

প্রথম আলো: পাকিস্তান কি সত্যিই চাপিয়ে দেওয়া রাষ্ট্র ছিল?

আবুল মোমেন: বাঙালি মুসলমান পাকিস্তান চেয়েছিল বর্ণ হিন্দুদের আধিপত্য থেকে মুক্তি পেতে। তারা পাকিস্তান নামের পৃথক রাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে নিজের ভাষা, সংস্কৃতি ও অর্থনীতির বিকাশ চেয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানি, বিশেষ করে পাঞ্জাবি এলিটরা গায়ের জোরে সবকিছু চাপিয়ে দিতে চাইল। ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর হামলা করল। এ কারণেই বলছি, পাকিস্তান ছিল চাপিয়ে দেওয়া রাষ্ট্র।

প্রথম আলো: একাত্তর ও সাতচল্লিশের দ্বন্দ্ব কি শেষ হয়েছে?

আবুল মোমেন: দ্বন্দ্ব শেষ হয়েছে বলতে পারলে খুশি হতাম। কিন্তু দ্বন্দ্ব তো শেষ হয়নি। পঁচাত্তরের পর আমরা নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার মুখোমুখি হলাম। আবার পঁচাত্তরের আগে আমরা বাঙালিয়ানায় এতটাই বুঁদ ছিলাম যে অন্যান্য জাতিসত্তার কথা ভুলে গেলাম।

প্রথম আলো: আপনার একটি বইয়ের নাম বাংলা ও বাঙালির কথা। সেই বাঙালির কথায় ধর্মীয় বিভাজন নেই। কিন্তু ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা তো বিভাজন তৈরি করে রেখেছে।

আবুল মোমেন: বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাষ্ট্রচিন্তায় কিন্তু ধর্মীয় বিষয়টা ছিল না। তাঁরা বাঙালির অধিকার, তার ভাষা সংস্কৃতির দাবিকেই সামনে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা হয়তো দেননি। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের আন্দোলন–সংগ্রামে অসাম্প্রদায়িকতা ছিল গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

প্রথম আলো: এরপর ধর্মের উপাদান কীভাবে এল? কারা আনলেন?

আবুল মোমেন: আমি বলব, সমাজে ধর্মের উপাদান তো ছিল। সেটি বাস্তবতা। তবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনীতিতে এ উপাদান ছিল না। পঁচাত্তরের পর ক্ষমতাসীনেরা ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে রাজনীতিতে ধর্মীয় উপাদানটি ব্যবহার করতে থাকে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোডলারের একটা ভূমিকা ছিল। এখান থেকে যেসব শ্রমজীবী মানুষ জীবিকার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে গেছেন, তাঁরা আরবের মুসলিম সমাজের সঙ্গে পরিচিত হলেন। বাংলাদেশের গ্রামীণসমাজে সেই সংস্কৃতির একটা প্রভাব পড়ল। সেখানকার টাকায় এখানেও ধর্মভিত্তিক সংস্থা ও মাদ্রাসা বেড়ে গেল। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বাঙালি সংস্কৃতি বৃহত্তর জনমানসে ছড়িয়ে দিতে পারিনি বলেই এমনটি হয়েছে। বাঙালি মুসলিম সমাজে সংস্কারের কাজ একেবারে হয়নি। রাষ্ট্র ও রাজনীতির পরিবর্তন হয়েছে। সমাজটা রয়ে গেছে পুরোনো জায়গাতেই। রাজনৈতিক নেতৃত্বও এসব নিয়ে খুব ভাবেনি। আমরা যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই, দেখব খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ বা হিন্দু সমাজে সংস্কার হয়েছে। অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু বৃহত্তর মুসলিম সমাজ ধর্মচর্চা ব্যাহত না করে বিজ্ঞানশিক্ষাকে কীভাবে ধারণ করবে, তা নিয়ে এখনো ভাবেনি। ফলে আমরা যে ধর্মনিরপেক্ষ বা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের কথা বলছি, সেটি অনেকটা স্লোগান বা বহিরঙ্গের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করেনি।

প্রথম আলো: আপনি একই সঙ্গে শিক্ষক, লেখক ও সাংবাদিক। এর মধ্যে কোন পরিচয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন?

আবুল মোমেন: আমি বরাবর শিক্ষক রয়ে গেছি। আমি স্কুল চালিয়েছি। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কলেজে পড়িয়েছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছি, শিক্ষার্থীদের জন্য নন্দনতত্ত্ব নিয়ে বই লিখেছি। শিক্ষা নিয়েও প্রচুর লিখেছি। তাই বলব, শিক্ষকতার পরিচয়েই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।

প্রথম আলো: আমাদের শিক্ষার এই দুর্গতি হলো কেন?

আবুল মোমেন: শিক্ষার এই অধোগতি আমাকে পীড়িত করে। লিখে, বলে এবং প্রতিষ্ঠান করে সেটি পরিবর্তনের চেষ্টা করেছি, এখনো করছি। বড় উদ্বেগের বিষয় হলো আমাদের শিক্ষাটা পরীক্ষাকেন্দ্রিক, জ্ঞানকেন্দ্রিক নয়। ফলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পাস বা ভালো ফল করার বাইরে কিছু ভাবতে পারে না। শিক্ষকেরাও প্রশ্ন বেছে বেছে ক্লাসে পড়ান। অন্য কিছু বিবেচনায় নেন না। আমাদের নীতিনির্ধারকেরাও তা চান না।

প্রথম আলো: এই সমস্যা তো আগেও ছিল। এখন ভয়াবহ নৈরাজ্য তৈরি হলো কেন?

আবুল মোমেন: এখন যে প্রথম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। তারা ক্লাসে পড়ছে, কোচিংয়ে পড়ছে। তাদের অন্য সব চাহিদা, খেলাধুলা, সুকুমার বৃত্তির চর্চা, সেসব থেকে আমরা তাদের বঞ্চিত করছি। এটি অমার্জনীয় বলে মনে করি।

প্রথম আলো: ২০১০ সালের শিক্ষানীতি নিয়ে এত কথা হলো, কোনো পরিবর্তন এসেছে কি?

আবুল মোমেন: আসেনি। তারও কারণ নীতিনির্ধারকেরা চাননি। তাঁরা তঁাদেরই ডেকেছেন, পরামর্শ নিয়েছেন, যঁারা সরকারের চাওয়াকে গুরুত্ব দেন। আসলে শিক্ষার খোলনলচে বদলাতে হবে। আমি আমার সীমিত জায়গা থেকে কাজ করার চেষ্টা করছি।

প্রথম আলো: আপনি সম্প্রতি একটি কলাম লিখেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তঁার দেশের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের অবস্থা কী?

আবুল মোমেন: আদর্শ অবস্থা বলতে যা বোঝায়, বাংলাদেশে তা নেই। ওখানে প্রাতিষ্ঠানিক যে সুরক্ষা আছে, আমাদের এখানে সেটি নেই। এখানে হয়রানির মাত্রা বেড়েছে। তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা একেবারে নেই, সে কথাও বলা যাবে না। আমাদের দেশে সরকারগুলো সর্বময় ক্ষমতা ভোগ করতে চায়। যারা স্বাধীন অবস্থান নিতে চায়, তারা নাজুক অবস্থায় আছে। তবে আমাদের বড় সংকট হলো শক্তিশালী নাগরিক সমাজ না থাকা। এটি থাকা খুব প্রয়োজন।

প্রথম আলো: আপনি চট্টগ্রামে ফুলকি নামে একটি স্কুল করেছেন। নালন্দার সঙ্গে ছিলেন। সহজ পাঠ নামে নতুন স্কুল করেছেন। এ ধরনের বিক্ষিপ্ত উদ্যোগ সামগ্রিক শিক্ষায় কতটা প্রভাব ফেলবে?

আবুল মোমেন: আমি মডেল বা আদর্শ স্কুল করতে চেয়েছি। আমরা বেশি করতে পারব না। কয়েকটি করব। আমরা সরকারকে বোঝাতে চাই, এ রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করলে দেশ তার সুফল পাবে। ফুলকি নিয়ে আমাদের এটুকু সন্তুষ্টি আছে যে এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আছে। নালন্দা বা সহজ পাঠেও তা রয়েছে। সম্প্রতি ভিকারুননিসা স্কুলের একটি মেয়ে যে আত্মহত্যা করল, তারও কারণ ছিল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যকার দূরত্ব। এ ঘটনায় আমাদের এক পুরোনো অভিভাবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানান। তাঁর মেয়ে দুই বিষয়ে ফেল করলে শিক্ষক তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি ভাবলেন, শিক্ষক কৈফিয়ত চাইবেন। কিন্তু শিক্ষক তাঁকে বললেন, আপনাকে ডেকেছি ওর ফেল করার জন্য দোষারোপ করতে নয়। আমরা আপনাকে ডেকেছি, মূলত এ কথা বলতে যে আপনারা যেন তাকে বকা না দেন। সে ফেল করেছে কেন তা আমাদের উভয়ের ভাবনার বিষয়। আপনার একার নয়।

প্রথম আলো: আপনি দীর্ঘদিন সংস্কৃতির আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। সংস্কৃতি হলো জীবনকে সুন্দর করে তোলা। কিন্তু সেই সংস্কৃতি হারিয়ে গেল কেন? আপনারা ধরে রাখতে পারলেন না কেন?

আবুল মোমেন: পঞ্চাশের দশকে আমাদের অগ্রজেরা ভাষাভিত্তিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন করেছি। ১৯৪৯ সাল থেকে এ দেশে অনেকগুলো সাংস্কৃতিক সম্মেলন হয়েছিল। ষাটের দশকে সংস্কৃতির আন্দোলন রাজনীতিকে দিশা দিয়েছে। স্বাধীনতার পর সেসব হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের এর মর্মার্থ বুঝতে না পারা। মুক্তিযুদ্ধের কথাই ধরুন। সেদিন একজন তরুণ, ছাত্র কিংবা শ্রমিক, কৃষক ঘর ছেড়ে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। অস্ত্র ও রণাঙ্গন, খুন–জখমের অভিজ্ঞতা এঁদের জন্য কেবল নতুন নয়, ব্যক্তিত্বের এ অভিজ্ঞতার প্রভাব পড়েছে। এ থেকে তঁাদের আবার ঘরে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারিনি। এই ঘরে ফিরিয়ে নেওয়া মানে দেশ পুনর্গঠনে যুক্ত করা। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বুঝতেই পারেননি যে স্বাধীনতাপূর্ব রাজনীতিতে যে প্রতিবাদ–আন্দোলন জরুরি ছিল, স্বাধীনতার পর সেটি আর দরকার নেই। তরুণদের সেই শক্তি দেশ বিনির্মাণের কাজে লাগানো ছিল জরুরি। কিন্তু বাস্তবে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ ক্ষমতার দাপট দেখাতে থাকল, আরেক অংশ উগ্রপন্থার দিকে গেল। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, সেটি ধরে রাখা গেল না। অন্যদিকে ধর্মবাদী দল ও সাবেক মুসলিম লীগ, যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করত, তারা সেই সুযোগটিই কাজে লাগাল।

রাজনীতিতে এখন নীতি-আদর্শের জায়গাটি ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। যদি আমরা সত্যিকার পরিবর্তন চাই, তাহলে বড় দলের রাজনীতিকদের ওপর নীতি ও সঠিক কর্মসূচির জন্য চাপ বাড়াতে হবে। নাগরিক সমাজকে সাহসী ভূমিকা নিতে হবে।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

আবুল মোমেন: আপনাদেরও ধন্যবাদ।