বেসরকারি ভবন নির্মাণকালে তদারকি জরুরি

মো. সামছুজ্জামান ভূঁইয়া
মো. সামছুজ্জামান ভূঁইয়া
মো. সামছুজ্জামান ভূঁইয়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সদ্য অবসর নিয়েছেন। চকবাজারের সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি ঢাকার শিল্প ও কলকারখানা পরিস্থিতি, সম্ভাব্য বিপদ ও করণীয় সম্পর্কে কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান


প্রথম আলো: শুধু কারখানা নয়, প্রতিষ্ঠান তদারকির দায়ও আপনাদের। পুরান ঢাকার কারখানাগুলো কি সন্তোষজনক অবস্থায় আছে?

মো. সামছুজ্জামান ভূইয়া: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম—এই চার জেলায় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানাগুলো থাকায় এদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে বেশি নজর দিতে হয়; বলতে গেলে বর্তমানে কর্মরত ৩১২–এর বেশি পরিদর্শকের অর্ধেকের বেশি পরিদর্শক এই চার জেলায় কর্মরত। প্রত্যেক পরিদর্শকের প্রতি মাসে পরিদর্শনের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া আছে, যাঁর সংখ্যা ২৯টি; তার মধ্যে কারখানা ১৪টি ও দোকান-প্রতিষ্ঠান ১৫টি। কারখানা পরিদর্শনের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক কারখানায়ই বেশি সময় দিতে হয়; কারণ, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড/বায়ারদের দৃষ্টি এদিকে নিবদ্ধ আছে। সে কারণে আরএমজি সেক্টরের বাইরে পরিদর্শন অব্যাহত থাকলেও তা আরএমজি সেক্টরের মতো কর্মক্ষেত্র উন্নয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কারণ, সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে যে পুরান ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের পাঁচ হাজারের বেশি ছোট ছোট কারখানা আছে, যেগুলো বিভিন্ন বাড়িতে গড়ে উঠেছে। এই সব আবাসিক ভবন কারখানা স্থাপনের জন্য কোনোভাবেই উপযুক্ত নয়।

প্রথম আলো: কারখানাগুলো, বিশেষ করে রাসায়নিক উপকরণ ব্যবহৃত হয়, সেগুলো কোথায় কীভাবে থাকবে, সে বিষয়ে আপনারা কখনো কোনো সুপারিশ দিয়েছিলেন কি?

সামছুজ্জামান: একটা কারখানা কোথায় স্থাপিত হবে, সে বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডাইফ) কিছু করণীয় নেই। একজন মালিক একটা কারখানা স্থাপনের জন্য বিল্ডিং নির্মাণ করে মেশিনের লে-আউট স্থাপনের অনুমতি চেয়ে ডাইফে তথাসংশ্লিষ্ট এলাকার উপমহাপরিদর্শকের কাছে আবেদন করে থাকেন।

তখন ওই এলাকার পরিদর্শক কারখানা পরিদর্শন করে আইন অনুযায়ী সব ঠিক থাকলে লে-আউটের অনুমোদন দেন। এ ছাড়া নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফলোআপ পরিদর্শন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে একটি বিষয় বলা যায় যে সরকারি পর্যায়ে কোনো ভবন, তা আবাসিক বা দাপ্তরিক, নির্মাণের সময় বিভিন্ন পর্যায়ে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও বেসরকারি পর্যায়ে কোনো ভবন নির্মাণকালে কোনো মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেই। অনন্ত পক্ষে যখন কোনো ভবন কারখানা স্থাপনের উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়, তখন তা বিএনবিসি অনুযায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে কি না, তা তদারকির ব্যবস্থা করা দরকার। এ উদ্দেশ্যে একটা কর্তৃপক্ষ তৈরি করা যেতে পারে, অথবা বর্তমানে কোনো সরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম তালিকাভুক্তির মাধ্যমে এ ধরনের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

প্রথম আলো: তার অর্থ কি পুরান ঢাকায় আবাসিক ভবনে কেউ রাসায়নিক রাখলেও আপনি তা অবৈধ জেনেও প্রশ্ন তুলতে পারেন না?

সামছুজ্জামান: বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী কোনো কারখানায় রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহারের জন্য রাখা হলে সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কি না এবং লেভেলিং সঠিকভাবে আছে কি না এবং যেসব শ্রমিক সেখানে কাজ করেন, তাঁরা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি ব্যবহার করেন কি না, তা পরিদর্শনের সময় ডাইফের পরিদর্শকেরা দেখে থাকেন। পুরান ঢাকায় প্রায় সব আবাসিক ভবনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ওই সব রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণ করা হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নকল প্রসাধনসামগ্রী তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কারখানা নয়, এমন কোনো বাড়িতে বা ঘরে কেউ রাসায়নিক দ্রব্যাদি মজুত বা সংরক্ষণ করলে তা পরিদর্শনের আওতায় আসে না।

প্রথম আলো: এসব বিষয় মোকাবিলায় আপনি অতীতে কী সুপারিশ রেখেছিলেন?

সামছুজ্জামান: ২০১৪ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের আওতায় ৩৭৮০টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার প্রাথমিক অ্যাসেসমেন্ট-সম্পন্ন করে কারখানাগুলোতে কী পরিমাণ ঝুঁকি আছে, তা নিরূপণ করা হয়েছে; এবং এর পরপর রেমেডিয়েশন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে, যা এখনো চলমান। প্রায় ৪৫০টি প্লাস্টিক ও রাসায়নিক কারখানা এবং ৫৫০টির মতো আনঅ্যাসেসেড আরএমজি কারখানার প্রাথমিক অ্যাসেসমেন্ট করার জন্য প্রায় ৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প অনুমোদিত হলে ওই সব কারখানায় কী ধরনের ঝুঁকি আছে, তা নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য মালিকদের পরামর্শ দেওয়া যাবে।

এ ক্ষেত্রে বলা যায় যে পুরান ঢাকায় ছোট ছোট কারখানা বা নকল দ্রব্য তৈরির কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতি মানা হয়নি। একটা বাড়ির এক রুমে ছোট কারখানার রাসায়নিক দ্রব্যাদি রেখে আরেক রুমে বসবাস

করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা প্রয়োজন সর্বাগ্রে। আবাসিক এলাকায় কোনোভাবেই কোনো ধরনের কারখানা, তা ছোট হোক বা বড় হোক, স্থাপন করা যাবে না।

এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারি পল্লি এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের দেশি পোশাক তৈরির কারখানাগুলোও সেফটি ঝুঁকিতে আছে। এসব এলাকায় ইলেকট্রিক ওয়্যারিংয়ের অবস্থা ভয়াবহ এবং ফায়ার ফাইটিংয়ের অবস্থা তো আরও খারাপ। যেকোনো ধরনের ছোট্ট দুর্ঘটনা থেকে এসব এলাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।

প্রথম আলো: বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ড. সৈয়দা রাজিয়া সুলতানা মনে করেন, পুরান ঢাকায় আর কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই, সরিয়ে নেওয়া বা বন্ধ করে দিতে হবে।

সামছুজ্জামান: তিনি সঠিক কথাই বলেছেন। একটা আবাসিক ভবন কখনোই কারখানা স্থাপনের উপযুক্ত নয়। কোনো ভবনে কারখানা স্থাপন করতে হলে বিভিন্ন ধরনের মেশিনারিসহ বিভিন্ন ধরনের একস্ট্রা লোড দেওয়া হয়, যা আবাসিক ভবনের সহ্য করার ক্ষমতা থাকে না; তা ছাড়া ইলেকট্রিক ও ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত থাকে না, যা কারখানা ভবনের জন্য প্রয়োজন হয়। সে কারণে শুধু পুরান ঢাকা নয়, ঢাকার যেসব আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কারখানা আছে, সেগুলোকে অতি দ্রুত সরিয়ে ফেলা দরকার।

প্রথম আলো: জাতীয় ফায়ার কোডের প্রণেতা অধ্যাপক হেলালী বলেছেন যে রাজউক শর্ত সাপেক্ষে যে উপায়ে অনুমোদন দেয়, তা অবৈধ।

সামছুজ্জামান: আমি অবশ্যই তা মনে করি। শর্তগুলো প্রতিপালন করা হচ্ছে কি না বা হয়েছে কি না, তা মনিটরিং করা প্রয়োজন।

প্রথম আলো: আপনার ৩৩ বছরের চাকরিজীবনে কারখানা পরিদর্শনের সঙ্গে কত দিন ছিলেন? ওয়েবসাইটে একটি দীর্ঘ ও বিস্তারিত চেকলিস্ট দেখলাম।

সামছুজ্জামান: ডাইফে আমি এসেছি ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে। তার আগে আমি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে একটা প্রকল্পের পরিচালক পদে কর্মরত ছিলাম। প্রথমে আমি অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে যোগদান করি। পরে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে মহাপরিদর্শক পদে পদায়ন করা হয়। ওয়েবসাইটে যে চেকলিস্ট দেওয়া আছে, তা আরএমজি সেক্টরে পরিদর্শনের জন্য।

প্রথম আলো: বছরে আমরা শুধু বস্ত্র খাতেই সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার রাসায়নিক দ্রব্য আমদানি করে থাকি। আপনার কি মনে হয় না যে বস্ত্র খাতের রাসায়নিক দ্রব্যাদি পরিদর্শনের জন্য আমাদের চেকলিস্ট থাকা দরকার?

সামছুজ্জামান: বস্ত্র খাতের পরিদর্শনে আরএমজি সেক্টরের জন্য যে চেকলিস্ট তৈরি করা হয়েছে, তা যথেষ্ট। তা ছাড়া ছোট-বড় অন্যান্য কারখানা, দোকান বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য আরও চারটি চেকলিস্টের খসড়া তৈরি করে ২৩টি উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে ওই সব চেকলিস্ট ব্যবহার করে পরিদর্শন করার জন্য। সংযোজন বা বিয়োজনের প্রস্তাব পাওয়া গেলে তা গ্রহণ করে ওই সব চেকলিস্ট চূড়ান্ত করা হবে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই।

প্রথম আলো: আপনারা কি কখনো প্রস্তাব দিয়েছিলেন?

সামছুজ্জামান: বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬-এর বিগত সংশোধনীর সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু হয়নি।

প্রথম আলো: বাংলাদেশ জাতিসংঘ-সমর্থিত অনেকগুলো রাসায়নিক প্রটোকলে পার্টই হয়নি। সে কারণে আইএলওর মতো সংস্থা আপনাদের চাপ দেয় কি না?

সামছুজ্জামান: এ বিষয়ে আইএলও তেমন জোরালো প্রস্তাব নিয়ে আসেনি।

প্রথম আলো: নিমতলীর পর কেরানীগঞ্জে রাসায়নিক গুদামঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আপনারা কি কখনো সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন?

সামছুজ্জামান: আমার জানামতে, ঢাকায় কর্মরত পরিদর্শকেরা ওই সব গুদামঘর এখনো পরিদর্শনে যাননি।

প্রথম আলো: ডেনমার্কের সহায়তায় আপনারা রাসায়নিক নিরাপত্তায় কী করছেন?

সামছুজ্জামান: এটা মূলত একটা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। ডেনমার্ক এগিয়ে এসেছে। দুই বছর ধরে এটা চলছে। ফায়ার সেফটি, ইলেকট্রিক্যাল সেফটি, অ্যাকটিডেন্ট প্রিভেনশন, আরগোনমিকস, কেমিক্যাল সেফটি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে মূলত মাস্টার ট্রেনার তৈরি করা হচ্ছে। এই মাস্টার ট্রেনাররা সারা দেশের পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এ ছাড়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ডাইফের কর্মকর্তারা পাঁচটি গাইড লাইন তৈরি করেছেন, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।

প্রথম আলো: নিমতলী বা চকবাজারের পুনরাবৃত্তি রোধে আপনি কী ধরনের সংস্কার জরুরি বলে মনে করেন?

সামছুজ্জামান: প্রথমেই সব আবাসিক এলাকা থেকে সব ধরনের কারখানা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে;

দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ সংশোধন করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং কিছু কিছু আইন লঙ্ঘনের জন্য তাৎক্ষণিক জরিমানা প্রদানের ক্ষমতা ডাইফের কর্মকর্তাদের প্রদান করতে হবে;

তৃতীয়ত: প্রতিটি কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এক বা একাধিক সেফটি কর্মকর্তা নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে;

চতুর্থত: প্রতিবছরের শুরুতে প্রতিটি কারখানার মালিককে তাঁর কারখানায় কী ধরনের ঝুঁকি আছে, তা নিরূপণ করতে এবং ওই ঝুঁকি নিরসনে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে;

পঞ্চমত: বেসরকারি পর্যায়ে যেকোনো ধরনের কারখানা স্থাপনের জন্য ভবন নির্মাণের সময় তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে; এ লক্ষ্যে একটা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ গঠন করা যেতে পারে; অথবা বর্তমানে কোনো উপযুক্ত সরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম তালিকাভুক্ত করে নির্মাণ তদারকির দায়িত্বে দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত ফার্মের মধ্যে যে ফার্ম তদারকির দায়িত্ব পাবে, ওই ফার্ম সংশ্লিষ্ট নির্মাণাধীন ভবনের মালিকেরে কাছ থেকে নির্ধারিত পরিমাণ ফি পাবে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ওই নিযুক্ত ফার্ম সমাপ্ত ভবনের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট প্রদান করবে।