জিঞ্জিরা গণহত্যা ও আমার সর্বনাশ

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসচর্চায় অপেক্ষাকৃত উপেক্ষিত জিঞ্জিরা গণহত্যার ঘটনা। এটি আমার জীবনের গল্পও বটে, যা ওই বিমূর্ত ও শুষ্ক ইতিহাসকে আরও বাঙ্ময়, বিশ্বস্ত ও মর্মস্পর্শী করেছে। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসে সমগ্র বাঙালি জাতি আনন্দ-আবেগে উচ্ছ্বসিত হয়েছিল। আমি দীর্ঘ নয় মাস পশ্চিম জার্মানিতে উচ্চ পেশাগত প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামাবাদে আমার কাজে সবে যোগ দিয়েছি। আমার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছি। পাকিস্তান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের মোট ১৬৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৭ আসনে জয়লাভ করে। অবশেষে বাঙালিদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তানের দীর্ঘ দিনের শোষণ, শাসন, বঞ্চনা ও নিপীড়নের অবসান হবে। রাষ্ট্রের ন্যায্য শাসনক্ষমতা বাঙালিদের হাতে আসবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।

কিন্তু অচিরেই সব আশা নিরাশায় পর্যবসিত হলো। প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা জুলফিকার আলী ভূট্টো ও সেনাবাহিনীর ষড়যন্ত্রে জাতীয় সংসদের ৩ মার্চের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। বাঙালিরা হতাশায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়ে। বঙ্গবন্ধু অনির্দিষ্টকালের জন্য শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন। পশ্চিম পাকিস্তানকে সব রকমের রাজস্ব দেওয়া বন্ধের ঘোষণা দেন। প্রতিদিন পাকিস্তান মিলিটারির সঙ্গে জনতার ইতস্তত বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হতে লাগল। বহু বাঙালি হতাহত হলো। তুলনামূলক মৃদু স্বভাবের গভর্নর অ্যাডমিরাল আহসান ও পূর্ব পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সাহেবজাদা ইয়াকুব খানকে বদলি করে বেলুচিস্তানে বর্বরতার জন্য কুখ্যাত জেনারেল টিক্কা খান এবং নৃশংসতার জন্য কুখ্যাত টাইগার নিয়াজিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাতে অস্বীকৃতি জানান। খবর আসছিল, প্রতিদিন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্য সমাবেশ করা হচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত জনতার উদ্দেশে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ তাঁর ভাষণে ঘোষণা করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

আমার মনে হলো এসব দেয়ালের লিখন এবং একটা আসন্ন দুরন্ত ঝড়ের পূর্বাভাস। আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, ‘বিদ্রোহ আজ, বিদ্রোহ চারদিকে,’ ‘এখন যুদ্ধে যাওয়ার সময়,’ আর দেরি নয়, চলো আমরা মুক্তভূমিতে চলে যাই। আমি আমার বৃদ্ধ বাবার অসুস্থতার কথা বলে ১০ দিনের ছুটির আবেদন করলে আমার ঊর্ধ্বতন অবাঙালি কর্মকর্তা মুচকি হেসে ছুটি মঞ্জুর করলেন।

ইসলামাবাদের বাসা ছেড়ে আসার প্রাক্কালে দেখি আমার স্ত্রীর মুখ বিষাদের প্রতিমা। সে ফেলে যাওয়া তার সযত্নে সাজানো সংসারের আসবাবপত্র, পশ্চিম জার্মানি থেকে আনা টিভি, ফ্রিজ, ল্যান্ডিকোটাল থেকে আনা উলেন কার্পেট এবং ঘরের পেছনের ফুলের বাগানের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।

আমি ১৬ মার্চ ঢাকা আসি। এরপর ইয়াহিয়া খানের প্রহসনের আলোচনা, প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা এবং ২৫ মার্চের রাতে বর্বর পাকিস্তানি সৈন্যের মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম রক্তাক্ত ইতিহাস সবার জানা।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক চরম আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে জেনেও আমাদের তৎকালীন সেনাবাহিনীর সমুদয় নেতৃত্ব কেন একটা সমন্বিত আগাম আঘাত দিয়ে তা প্রতিহত ও নিষ্ক্রিয় করে দিল না, তা জানা হলো না। দায়টা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তারা তাদের ব্যর্থতার দায় থেকে রেহাই পাবে না। নিঃসন্দেহে চারদিক থেকে আক্রান্ত ও পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাকিস্তানি সেনারা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও মনোবল হারিয়ে অতি সহজেই আত্মসমর্পণ করত।

কারফিউ দিয়ে সেনাবাহিনী প্রতিদিন ঢাকা শহরে হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণ করে একটা ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করল। আতঙ্কে মানুষ শহরের ঘরবাড়ি ছেড়ে গ্রামে, সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী ভারতে যেতে লাগল। আমাদের এলিফ্যান্ট রোডের প্রতিবেশীরা প্রায় সবাই চলে গেল। আমাদের সাহস ও ধৈর্য শিথিল হয়ে গেল। আব্বা বললেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সয়দাবাদ গ্রামে আমাদের মাটির ঘর। তাই তিনি স্থির করলেন, ১৯৪৯ সালে ফরিদপুরে পুলিশ সুপার থাকার সময় সেখানে তাঁর এক খানবাহাদুর বন্ধু রয়েছেন। সেখানে নিশ্চয়ই আশ্রয় পাওয়া যাবে।

৩০ মার্চ আমরা সমগ্র পরিবার, আব্বা-আম্মা, আমার বড় ভাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোমেন ও তাঁর স্ত্রী, ৮ বছরের ছেলে মাসুদ বিন মোমেন (বর্তমানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি) ও দুই শিশুকন্যা রূপা ও ১৭ দিনের নীপা, আমি, আমার স্ত্রী ও আমার দুই ছেলে টিংকু ও রিংকু, আমার ছোট ভাই হাসনাত আবদুল হাই, অন্য ছোট ভাই আবদুর রশিদ, তিন বোন নূরজাহান, শিরিন ও পারুল বাড়িতে তালা লাগিয়ে পথে ঠিকানাবিহীন বাস্তুহারা শরণার্থী হয়ে গেলাম। আম্মা সারাটা পথ কেঁদেছিলেন। আমরা বুড়িগঙ্গা নদী পার হওয়ার সময় আম্মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় জিঞ্জিরাতে একটি দোতলা বাড়ির সিঁড়িঘরে আশ্রয় নিলাম। বাড়ির মালিক লঙ্গরখানায় আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করেন। আম্মা সুস্থ না হওয়ায় আমরা ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল রওনা হতে পারলাম না।

২ এপ্রিল ভোরে আমাদের ঘুম ভেঙে গেল উত্তর দিক থেকে আসা মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণের বিকট শব্দে। সবাই যে যেদিকে পারে ছুটে যেতে লাগল নিরাপত্তার সন্ধানে। আমি আমার ছয় বছরের ছেলে টিংকুকে নিয়ে এবং আমার স্ত্রী আমাদের তিন বছরের ছেলে রিংকুকে কোলে করে হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে দক্ষিণ দিকে দৌড়াতে লাগলাম। আমার মেয়ে রিমি তখনো এই মন্দ পৃথিবীতে আসেনি। কিছু দূর যেতেই দেখলাম লোকগুলো সবাই পূর্ব দিকে ছুটছে। কিছুক্ষণ পর পূর্ব দিক থেকে গুলি আসছে দেখে আমরা পশ্চিম দিকে ছুটতে লাগলাম। পেছন ফিরে দেখি, আমার স্ত্রী ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে পথে পড়ে গেছে। আমি বারবার ব্যাগটা ফেলে দিতে বলায় অবশেষে সে ব্যাগটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে আমার পেছন পেছন ছুটতে লাগল। আমরা একটা মসজিদে আশ্রয় নিতে গেলাম। মসজিদে মানুষের ভিড়ে আর ঠাঁই ছিল না। মসজিদের পেছনে দেখি, অনেক মানুষ কবরে আশ্রয় নিয়েছে। কচুপাতা ও অন্যান্য লতাপাতায় আচ্ছাদিত একটা খালি কবর দেখে আমি ইতস্তত করি এই ভেবে যে কবরে বিষাক্ত সাপ ও পোকামাকড় থাকতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানি সেনারা তো আরও বেশি হিংস্র। কচুপাতা সরিয়ে আমরা কবরে আশ্রয় নিই। বাইরে গুলির আওয়াজ ও ঘরবাড়ি পোড়ার ধোঁয়া দেখতে পেলাম। প্রায় দুই ঘণ্টা পর গুলির আওয়াজ শেষ হলে কবর থেকে একে একে মানুষ উঠতে দেখে আমরাও উঠে গেলাম। সে এক পরাবাস্তব দৃশ্য। দেখি, মসজিদের সামনে মানুষের জটলা। একটা লোক আমার স্ত্রীর কাদামাখা শাড়ি দেখে আমাদের তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেল এবং আমাকে একটা লুঙ্গি ও আমার স্ত্রীকে একটা শাড়ি দিল। পরে লোকটা একটা নৌকা এনে আমাদের কামরাঙ্গীরচর হয়ে নবাবগঞ্জে পৌঁছে দিল। ওই পরোপকারী মানুষটাকে পরে অনেক খুঁজেও পাইনি। এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় এসে দেখি, ঘর ও আলমারির তালা ভাঙা। আমার স্ত্রী চিৎকার করে বলে উঠল, গ্রুন্ডিগ টেপরেকর্ডারটি নেই। আমি জানতাম না, একটা ঝড় এসে আমার নীড় ভেঙে সবকিছু চিরতরে ছিন্নভিন্ন করে দেবে।

পরদিন সকালে দেখি, আমাদের পরিবারের সবাই অলৌকিকভাবে নিরাপদে ফিরে এসেছে। বড় ভাই বলল, আম্মা অসুস্থতার জন্য দৌড়াতে না পারায় তারা সবাই একটা মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিল। দুপুরের দিকে পাকিস্তানি মিলিটারি মসজিদে ঢুকে অল্পবয়স্ক যুবকদের ধরে নিয়ে যায়। ভাবির পরামর্শেই মোমেন ভাই, হাসনাত ও রশিদ মেয়েদের পেছনে বসে লুকিয়ে থেকে প্রাণে বেঁচে যায়।

জিঞ্জিরা গণহত্যায় আনুমানিক দুই হাজার নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশু প্রাণ হারায়, যা রুয়ান্ডা, বসনিয়ার সেভারনিডসে, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের মাইলাই গণহত্যাকেও ম্লান করে দেয়। জিঞ্জিরাতে ওই দিন স্টেট ব্যাংকের গভর্নর হামিদুল্লাহর স্ত্রী প্রাণ হারান। এটা ছিল সুপরিকল্পিতভাবে সমগ্র বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার অভিযান।

হাসনাত চিফ সেক্রেটারি শফিউল আযমের প্রতিশ্রুতি পেয়ে এপ্রিলের শেষে পটুয়াখালীতে এডিসি পদে যোগদান করতে গেল। আব্বা সারা দিন তাঁর নিরাপত্তার জন্য কোরআন শরিফ ও দোয়াদরুদ পড়েছিলেন। এর আগে শফিউল আযমের ভায়রা সিরাজগঞ্জের এসডিও শামসুদ্দীন অনুরূপ প্রতিশ্রুতি পেয়ে কাজে যোগদান করতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে মারা গিয়েছিল। কিছুদিন পর আমার ছোট ভাই স্থপতি রশিদ মুক্তিযুদ্ধে চলে গেল। সেই সময় আমার অন্য ভাই ডাক্তার মোবিন লন্ডনের হ্যামারস্মিথ হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে ডাক্তার জাফরুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ভারত সীমান্তে বিশ্রামগঞ্জ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে মেজর খালেদ মোশাররফের অধীনে কাজ শুরু করে। আমার ভগ্নিপতি ক্যাপ্টেন খোরশেদ উদ্দীন—যিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্ত আসামি—সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদ থেকে দুটি টেলিগ্রাম পেয়ে আমি শাহজাহানপুর, শান্তিনগর ও ধানমন্ডিতে আশ্রয় নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকলাম।

আমরা সবাই জিঞ্জিরা থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরে এলেও আমার স্ত্রী আর কখনো আগের মতো স্বাভাবিক থাকল না। সে ধীরে ধীরে পরিবারের অন্য সবার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে দূরে সরে গেল। নির্বাক হয়ে বিস্মৃতির অতলান্ত গভীরে হারিয়ে গেল। দেশে-বিদেশে তার অনেক চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি। ডাক্তাররা বলল, পাকিস্তানি সেনার বর্বরোচিত আক্রমণের বীভৎসতায় ভীত হয়ে, মনে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। কিছু করার নেই। কিন্তু আমার ধারণা, ইসলামাবাদে ফেলে আসা তার সাজানো সংসার এবং ব্যাগের মধ্যে তার বিয়ের শাড়ি, বিয়ের ছবির অ্যালবাম ও আট ভরি সোনার গয়না, যা আমি আমার চাকরিজীবনের আট বছর পর তাকে গড়িয়ে দিয়েছিলাম, তা ছুড়ে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে তার দুমড়েমুচড়ে যাওয়া খণ্ড খণ্ড অস্তিত্বও ফেলে দিয়ে এসেছিল।

আমি পশ্চিম পাকিস্তান থেকে দেশে চলে এসেছিলাম মুক্তিযুদ্ধে যাব বলে। কিন্তু স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য আমার ওপারে কিংবা রণাঙ্গনে যাওয়া হয়নি। বিধির বিধান কে বুঝতে পারে। আমার স্ত্রী শেলী ললাটে মুক্তিযোদ্ধার গৌরব ধারণ না করে দৈব-দুর্বিপাকে মানসিক রোগী হওয়ার অপবাদ, নিগ্রহ, লাঞ্ছনা ও অপমান সহ্য করে নীরবে, নিভৃতে বুকভরা অভিমান নিয়ে ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের ছেড়ে চলে যায়। নিজেকে অপরাধী মনে হয়। দেশে ফিরে না এলে হয়তো এমনভাবে তার জীবনটা ব্যর্থ হয়ে যেত না। ব্যথায় আমার বুকের পাঁজর ভেঙে যায়। হাহাকার করে।

যে ছিল আমার সবটুকু, সবচেয়ে আপনার, তাকে হারিয়ে ‘সমাজ–সংসার মিছে সব, মিছে জীবনের সব কলরব’। স্মৃতিভারে পড়ে আছি আমি একা। কেবল নিরবচ্ছিন্ন, বিবর্ণ, বিশীর্ণ ‘দিন যাপনের, প্রাণ ধারণের গ্লানি’ ও নিস্তরঙ্গ জীবন নিয়ে অনিবার্য প্রস্থানকে অযথা প্রলম্বিত করছি। এ কেমনতর বাঁচা?

আবদুল হান্নান: সাবেক কূটনীতিক