জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বড়াদম উচ্চবিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন পরিদর্শন করছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বড়াদম উচ্চবিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন পরিদর্শন করছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ছবিটি সম্প্রতি তোলা l প্রথম আলো

বৃষ্টি হলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বড়াদম উচ্চবিদ্যালয়ের দুটি পাকা ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। এ ছাড়া জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের আধাপাকা ঘরগুলোও। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।
বড়াদম উচ্চবিদ্যালয়ে তিনটি পাকা ভবন ও তিনটি আধাপাকা ঘর আছে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি পাকা ভবনের মধ্যে দুটি জরাজীর্ণ। তিন কক্ষের একটি পাকা ভবনে ঢুকে দেখা যায়, মেঝে বৃষ্টির পানিতে সয়লাব। এরই মধ্যে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। পলেস্তারা খসে পড়ায় আরেকটি ভবনের দুটি কক্ষের একটিতে পাঠদান বন্ধ। বিদ্যালয়ের পাঠাগার ও বিজ্ঞান ভবনে বৃষ্টির পানি পড়ে বইপত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম ভিজে গেছে।
দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুবিন চাকমা, নয়না চাকমা, যতনময় ত্রিপুরা, লিসা চাকমা, সুভাষী চাকমা ও দিগন্ত চাকমা বলল, বৃষ্টি হলে বইপত্র ভিজে যায়। ঝোড়ো হাওয়া বইলে বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘরগুলো দুলে ওঠে।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী টিনা চাকমা, ঝর্না চাকমা, রাসেল চাকমা ও রাজু চাকমা বলল, মাঝেমধ্যে ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে। তখন খুব ভয় লাগে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যুবস্মৃতি চাকমা বলেন, বিদ্যালয়ের তিনটি পাকা ভবনের মধ্যে দুটি একেবারেই জরাজীর্ণ। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বিজ্ঞান ভবন, পাঠাগার ও শ্রেণিকক্ষগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি জানান, তাঁদের বিদ্যালয় জেএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র। তিনটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে পরীক্ষা দেয়। ওই সময় শ্রেণিকক্ষের সংকটে তাঁদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নবকমল চাকমা বলেন, জরুরিভাবে ভবন নির্মাণ ও শ্রেণিকক্ষগুলো সংস্কার প্রয়োজন।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. ওসমান গনি বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। তিনটি পাকা ভবনের মধ্যে দুটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। এ ছাড়া আধাপাকা ঘরগুলোও সংস্কার প্রয়োজন।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।