বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাই শেখ হাসিনার অঙ্গীকার

বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন পাকিস্তানের অন্ধকার কারাগারে। সেই অবস্থায় আজ থেকে ৪৯ বছর আগের আজকের দিনে তাকেই রাষ্ট্রপতি করে ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেছিল। মেহেরপুরের ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলায় সাদামাটা পরিবেশে একটি আমবাগানে সেদিন বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এই শপথ শুধু একটি সরকার গঠনের শপথ ছিল না। এই শপথ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবিচারের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার শপথ। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার যে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল তার ঠিক ২১৪ বছর পরে, ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরের আরেক আম্রকাননে বাংলার সেই অস্তমিত স্বাধীনতার সূর্য আবারও উদিত হয়েছিল। মুজিবনগরের সেই সরকারের নেতৃত্বে পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ নয় মাস অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষা ও সংগ্রামের পাশাপাশি ৩০ লাখ মা-বোনের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আর বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নামক দেশটি জায়গা করে নিল।

সেদিনের সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কেমন ছিল? সে সময়কার যাঁরা বয়স্ক কিংবা তরুণ ছিলেন, তাঁরা অনেকে ইতিহাসটি জানলেও আজকের তরুণ প্রজন্মের অনেকের কাছে তা হয়তো এখনো অজানা। স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে ইতিহাস অনেকবার ক্ষতবিক্ষত হওয়ার কারণে প্রকৃত সত্য সম্পর্কে তরুণদের অনেকে হয়তো ওয়াকিবহাল নয়। তাই ঐতিহাসিক সত্য ঘটনাগুলো তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য শহীদ এম মনসুর আলীর সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনাগুলো কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ অন্য অনেকের তুলনায় হয়তো আমার একটু বেশি হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল দিনটি ছিল শনিবার। মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় আমবাগানের চারদিকে রাইফেল হাতে কড়া পাহারায় ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ভোরের আলো ফোটার পরপরই নেতৃবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সেখানে আগমন শুরু হয়ে গিয়েছিল। সমবেত হয়েছিলেন দেশ-বিদেশের সাংবাদিকেরাও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আম্রকানন লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। আনন্দ-আবেগে উদ্বেলিত হাজারো কণ্ঠের ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ গগনবিদারী স্লোগানে বৈদ্যনাথতলার আকাশ-বাতাস সেদিন প্রকম্পিত করে তুলেছিল। খোলা আকাশের নিচে চৌকি পেতে শপথের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। বেলা ১১টায় শুরু হয়েছিল সেই কাঙ্ক্ষিত শপথ অনুষ্ঠান। একে একে মঞ্চে উঠলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশকে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ রূপে ঘোষণা করা হয়েছিল। স্বাধীনতার সেই ঘোষণাপত্রটিই হলো স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান আইনি দলিল, যা আমাদের সংবিধান এবং সরকার গঠনের মূল ভিত্তি। এরপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম একে একে তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, কামারুজ্জামানসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। সেই মন্ত্রিসভার একজন সদস্যের নাম এই লেখার মধ্যে আনার অভিপ্রায় ছিল না। তবে ইতিহাস বলতে গেলে অনেক সময় অনেক কিছু না চাইলেও লিখতে হয়। সে জন্যই ওই বেইমান, বিশ্বাসঘাতক, মিরজাফর, যাকে সেদিন মন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়েছিল সেই মোশতাকের নামটি উচ্চারণ করতে হলো। বিশ্বাসঘাতক মোশতাক মনে করতেন জ্যেষ্ঠতার কারণে তাকেই মুজিবনগর সরকারের প্রধান করা হবে। কিন্তু জাতীয় চার নেতা মোশতাকের পরিকল্পনা সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন। হয়তো সে কারণেই তাঁকে মন্ত্রিসভায় নামেমাত্র রাখা হয়েছিল। বেইমান মোশতাক সুযোগ বুঝে পাকিস্তান ও সিআইয়ের হয়ে কনফেডারেশন গঠন করতে চেয়েছিলেন। খন্দকার মোশতাক কত বড় মিরজাফর, সপরিবার জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়েই তা আমরা বুঝতে পারি।

মুজিবনগর সরকারও গঠন করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। এই শপথ অনুষ্ঠানটি বাঙালি জাতিকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখিয়েছিল, সাহস জুগিয়েছিল। পাকিস্তানি শত্রুর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়াইয়ে আমাদের বীর সৈনিকেরা উজ্জীবিত হয়েছিলেন। মুজিবনগর সরকার আত্মপ্রকাশের পরপরই হানাদার বাহিনী মেহেরপুর মহকুমা এলাকা দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকবার তারা ইপিআর ক্যাম্প দখলের ব্যর্থ চেষ্টাও চালায়। এতে করে মুজিবনগর অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ কারণে মুজিবনগর প্রশাসন সুবিধামতো মুক্তাঞ্চলে চলে যায়। পরে ভারতের কলকাতা থেকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে প্রবাসী সরকার। এই প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান প্রতীক। সেই প্রবাসী সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, কূটনৈতিক প্রচারণা চালিয়ে বিশ্ব জনমত গঠন করেছিল। একই সঙ্গে এক কোটিরও বেশি উদ্বাস্তুর পুনর্বাসন কার্যক্রম অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর সরকার এবং সে দেশের জনগণ যেভাবে আমাদের সহায়তা করেছিল, তা কোনো দিন ভুলব না। ইন্দিরা গান্ধী আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করেন। তাঁর সৈন্যরা আমাদের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেন। এমনকি বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত গঠন করতে ইন্দিরা গান্ধী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছুটে বেড়িয়েছেন। সে জন্য বাংলাদেশের মানুষ সারা জীবন ভারতের কাছে ঋণী হয়ে থাকবে।

এবার আসি মুজিবনগর সরকার প্রসঙ্গে। সীমিত সামর্থ্য নিয়ে মুজিবনগর সরকার যে দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও প্রশাসন পরিচালনা করেছিল, তা যেকোনো সরকারের ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তীব্র প্রতিকূলতার মধ্যেও সেই সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে এক কোটির ওপর শরণার্থীর জন্য ত্রাণ, দেশের অভ্যন্তর থেকে লাখ লাখ মুক্তিপাগল ছাত্র-জনতা-যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে গেরিলা বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানিদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছিল। একই সঙ্গে স্বাধীন বাংলা বেতারের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ রাখা, বিশ্ব জনমত গঠনসহ বিভিন্ন অবিস্মরণীয় কীর্তি সম্পন্ন করে, সমকালীন বিচারে তা ছিল অতুলনীয় ও অবিস্মরণীয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির সেনাবাহিনী ফ্রান্স দখল করে নিলে জেনারেল দ্য গলে লন্ডনে যেভাবে ফ্রান্সের প্রবাসী সরকার গঠন করেছিলেন, অনেকটা সেভাবেই বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাঁর আদর্শের উত্তরসূরিরা মুজিবনগর সরকার গঠন করেছিলেন। পরে ভারতের কলকাতায় অবস্থান করে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে কম্বোডিয়ার প্রিন্স নরোদম সিহানুকের সরকার তুলনীয়; যার সঙ্গে পলপটের খেমাররুজ যুক্ত ছিল। এদের সদর দপ্তর দীর্ঘকাল চীনের বেইজিংয়ে ছিল। কোনো কোনো সময় থাইল্যান্ডেও ছিল। সিহানুকের স্বাধীন কম্বোডিয়া সরকার একদিকে প্রবাসী ছিল, অন্যদিকে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল তাঁদের দখলে ছিল, যেখান থেকে তাঁরা সরকার পরিচালনা করতেন। যা-ই হোক, প্রবাসী সরকার ১৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গাকে রাজধানী করে সেখানে সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সনদ ঘোষণা ও স্বাধীন বাংলাদেশে সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের গোপন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বিশ্ববাসীকে দেখাতে চেয়েছিল, বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধ ভারতের মাটিতে বসে সংগঠিত হচ্ছে। ইয়াহিয়ার সেই প্রচারণা মিথ্যা প্রমাণ করতেই বাংলাদেশের মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশে সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, যেকোনো ভাবেই হোক, খবরটি পৌঁছে যায় পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর কাছে। সে জন্য ১৩ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় বিমান থেকে বৃষ্টির মতো বোমাবর্ষণ করে ওরা। ফলে শপথ অনুষ্ঠান পিছিয়ে যায়। ১৭ এপ্রিল খুবই সতর্কতার সঙ্গে শপথ অনুষ্ঠানের তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করেন জাতীয় চার নেতা। শহীদ এম মনসুর আলীর সন্তান হিসেবে আমি দেখেছি, বাবাসহ জাতীয় চার নেতা কীভাবে ছুটে বেড়িয়েছেন। খাওয়া, ঘুম বন্ধ রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করাসহ মুক্তিসংগ্রামকে বেগবান করতে তাঁরা মাঠের পর মাঠ, গ্রামের পর গ্রামে ছুটেছেন। তাঁরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। তাঁরা নিজেদের মধ্যে যে আলাপ-আলোচনা করতেন, তাতে স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির আত্মপ্রকাশ নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না। জাতীয় চার নেতা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবেই হবে। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তাঁদের সেই মন্ত্রেই দীক্ষা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও জাতীয় চার নেতা বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধু তাঁদের সঙ্গেই আছেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই তাঁরা বিজয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। জাতীয় চার নেতা জীবনেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন, মরণেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। ন্যূনতম বেইমানি করলে কারা অভ্যন্তরে তাঁদের মৃত্যুবরণ করতে হতো না। জীবন দিয়ে তাঁরা নেতা বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের প্রমাণ দিয়ে গেছেন। শহীদ এম মনসুর আলীর রক্তের উত্তরসূরি হিসেবে বলতে পারি, আমাদের রক্ত কোনো দিন বেইমানি ও বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন দেশ গঠনের কাজে হাত দিয়েছিলেন, ঠিক সে সময়ই একদল বেইমান, বিশ্বাসঘাতক তাঁকে সপরিবার হত্যা করে। এরপর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। স্বাধীনতাবিরোধীদের দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। ৩০ লাখ মা-বোনের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকা তাদের গাড়িতে তুলে দেয়। তাদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়। শুরু হয় ইতিহাস বিকৃতি। দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে রাখে স্বাধীনতাসংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে। হত্যা করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে অর্ধশতাধিকবার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। শেখ হাসিনাকে মারতে এখনো বুলেট তাড়া করে বেড়ায়। মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করে আজ বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, কোনো কোনো সূচকে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে গেছে। তাই আজকের এই দিনের দৃপ্ত শপথ হোক, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই গড়ে তুলব বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

মোহাম্মদ নাসিম এমপি: সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।