সব ক্ষেত্রে ডাকসুর প্রতিনিধিত্ব চাই: রাব্বানী

>
গোলাম রাব্বানী
গোলাম রাব্বানী
সদ্য নির্বাচিত ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সম্প্রতি ডাকসু ভবনে প্রথম আলোর মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান

প্রথম আলো: নুরুল হক ও আখতারকে নিয়ে ডাকসুর পথ চলা কেমন হবে?

গোলাম রাব্বানী: নুর ছাত্রলীগেই ছিল, ছোট ভাই, আদর করি। একটু বিচ্ছিন্ন হয়েছিল, নির্বাচিত হয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। এক শতে এক শ ভাগই আশা ছিল, সেখানে দুটি পদ হারালাম। দেরি হলো, কারণ ডাকসুর কাজে গিয়েছিলাম। ঢাবি প্রশাসনে আমলাতান্ত্রিক দৌরাত্ম্য, সেখানে কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। সেসব দেখতেই আমরা সরেজমিনে গিয়েছিলাম। দেখেছেন, নুর যতবার ফোন করেছে, ততবার ধরেছি।

প্রথম আলো: নুর গণরুম বন্ধ করতে চান কেন?

গোলাম রাব্বানী: সে আমার সাত ব্যাচ জুনিয়র, অভিজ্ঞতা কম, আবেগটাও বেশি। আবাসন ব্যবস্থার চেয়ে পাঁচ–ছয় গুণ চাপ বেশি, তাই নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে আবাসিক হতে পারে না। ঢাবিকে শতভাগ আবাসিক হল করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বিজয় একাত্তর, সুফিয়া কামাল হল হয়েছে। একনেকে পাস হওয়া জহুরুল হকে হলের ২০ তলা ভবনেই ৫ হাজার ছাত্র থাকবে। এস এম হল নতুন করে হবে। বঙ্গবন্ধু হলে জয়বাংলা ভবন হচ্ছে। তাই আগামী তিন–চার বছরের মধ্যে এই সমস্যা মোটামুটি কেটে যাবে।

প্রথম আলো: গণরুমে ২০ জন থাকে?

গোলাম রাব্বানী: ৪০০ বর্গফুটে ৩০ বা ৩৫ জন থাকছে। সবাই প্রথম বর্ষের। গত ১০–১৫ বছর ধরে অধিকাংশ হলে একই চিত্র।

প্রথম আলো: গত ১৫ বছর ধরে তাহলে পড়াশোনায় এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা?

গোলাম রাব্বানী: নিশ্চিতভাবেই পড়েছে।

প্রথম আলো: এর অবসানে কখনো মিছিল, অবস্থান ধর্মঘট করেছেন? করলে অর্জন কী?

গোলাম রাব্বানী: মিছিল, ধর্মঘট ও মানববন্ধন করেছি। আর অর্জন ৭ মার্চ ভবন, বিজয় ৭১ হল (প্রায় ৩ হাজার সিট থাকছে), সুফিয়া কামাল হল, জয় বাংলা টাওয়ার নির্মাণাধীন, রবীন্দ্র ভবন হচ্ছে, প্রায় ১ হাজার ৫০০ সিট থাকছে সন্তোষচন্দ্র ভবনে, ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ আসছে সূর্যসেন হলের জন্য। এখন সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা হলে দ্রুত কয়েকটি ভবনের কাজ শেষ হবে। ঢাবির কোনো নথি গেলে প্রধানমন্ত্রী তা কখনো ফিরিয়ে দেন না। একনেকে ঢাবির ফাইল উঠলে আপা বলেন, পাস।

আমি আজ প্রকৌশল বিভাগে গিয়েছিলাম যাতে কাজগুলো মানসম্মত হয়। বলেছি, তদারক ছাড়া কোনো বিল যাতে পাস না হয়। যারা বাজে কাজ করবে, তাদের যেন ব্ল্যাক লিস্ট করা হয়। বলেছি, যাচাই কমিটিতে ডাকসুর প্রতিনিধি থাকতে হবে। গণরুম আমরা কখনোই চাই না। প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া ছাত্রের আবাসনের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিতে হবে। কিন্তু এখন যখন গ্রাম থেকে ছাত্ররা আসে, তখন বড় ভাই বা শিক্ষকের মাধ্যম তারা একটা জায়গা করে নেয়। তারা থাকবে কোথায়?

প্রথম আলো: শুনে স্তম্ভিত হয়েছি যে, মাঝেমধ্যে গভীর রাতে হলগুলোতে ‘ম্যানারস’ শেখানো হয়, কিন্তু তাকে ঘিরে নানা অমানবিক গল্প আছে, কবে এর শুরু?

গোলাম রাব্বানী: আপনি গেস্টরুম কালচারের কথা বলছেন। আমাদের সময় থেকে, অনেক আগে থেকে এটা চলেছে। হলে যারা আসছে, আগের ও পরের বর্ষের, একটা ফ্যামিলি। উদ্দেশ্যগুলো খুবই সৎ, খুবই ভালো। একটা গেট টুগেদার হবে, জুনিয়র–সিনিয়র সেখানে থাকবে।

প্রথম আলো: মাসে এটা কয়দিন হয়?

গোলাম রাব্বানী: সপ্তাহে একদিন বা দুদিন। সেটা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে হয়ে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কী ম্যানার থাকা উচিত, সেটা বড়দের বলা অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু হাতে গোনা দু–একজন এর অপব্যবহার করেছে ও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেটা এখন কমপ্লিটলি আর নাই। যেমন মহসিন হল ও এস এম হলে ঘটেছে শুনেছি, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন গেস্টরুমের নামে, আপনি যেটা বোঝাতে চাইছেন, র‌্যাগিং টাইপের, সেসব এখন কিছুই হচ্ছে না।

প্রথম আলো: আমাকে একজন ছাত্র একটু আগে বলেছেন, মিছিলে না যাওয়ায় তাঁর কানে থাপ্পড় মারা হয়েছে, একজনের ছবি দেখালেন, তিনি গুরুতর আহত।

গোলাম রাব্বানী: একটি রুম যেখানে দু শ ছাত্র উপস্থিত, সেখানে কাউকে মারা সম্ভব? কেউ কি প্রতিবাদ করবে না?

প্রথম আলো: মিছিল বা কর্মসূচি থাকলে ক্লাস, পরীক্ষা কামাই দিয়েও তাতে হাজিরা বাধ্যতামূলক? এর প্রমাণ রাখতে এখন ফেসবুক পোস্টও পরীক্ষা করা হয়, এমন কিছু?

গোলাম রাব্বানী: না। আমি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আপনাকে বলছি, এই কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর যে নীতি নেওয়া হয়েছে তা হলো, আগে লেখাপড়া, পরে রাজনীতি। পরীক্ষা থাকলে কেউ বাধ্য করতে পারবে না। আমার ডাবল এ প্লাস, ফার্স্টক্লাস পেয়েছি। যারা বলে রাজনীতি পড়াশোনার বাধা, এটা একদম খোঁড়া যুক্তি। সপ্তাহে এক বা দুদিন কর্মসূচি থাকে, তাতে এক দুই ঘণ্টা ব্যয় করা লেখাপড়ার অন্তরায় হতে পারে না। তিন বছর বঙ্গবন্ধু হল চালিয়েছি, কাউকে একটা ধমক দিতে হয়নি। ভালো ছাত্রকে বলেছি, খারাপ ছাত্রকে নোট দিতে। এভাবে পরিবারের মতোই সবাই থাকে গেস্টরুম। এই সংস্কৃতিটা ইতিবাচকভাবে চালু রাখতে চাই। নুর কিন্তু হলে থাকে না, এক বা দুই বছর ছিল। তো শোনা কথায় কান দিয়ে বা গড়পড়তা অভিযোগ করলে তা হাস্যকর। আপনি নিজে হলে সরেজমিনে যান, গেস্টরুমের নামে র‌্যাগিং কোথাও হচ্ছে না। এটা কমপ্লিটলি অ্যাবোলিশড হয়ে গেছে।

প্রথম আলো: আপনার ব্যক্তিগত মানবিকতার প্রশংসা শুনেছি। কিন্তু একটি বাজপাখির (ক্যাম্পাসে আহত হলে তিনি চিকিৎসায় সহায়তা দেন) প্রতি আপনার মমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটলেও একজন বেনজিরের প্রতি তা দেখা যায়নি।

গোলাম রাব্বানী: বেনজির...

প্রথম আলো: ফুটেজটি ভাইরাল হয়েছে বলে জানি। নিউজ টুয়েন্টি ফোরের ফুটেজটিতে আমি দেখলাম, বেনজিরকে লাথি মারছে কেউ।

গোলাম রাব্বানী: এস এম হলে কেন গিয়েছিল? গালাগালি করছিল, সেটা দেখেছেন?

প্রথম আলো: ছবিটি হলের সামনে সড়কে তোলা, আর আপনি নিশ্চয় দাবি করবেন না যে হলে গিয়েছেন বা গালাগালি করেছেন বলেই একজন নারীকে লাঞ্ছিত হতে হবে—

গোলাম রাব্বানী: না। আমি সে যুক্তি দিচ্ছি না। আপনাকে পুরো দৃশ্যপট বলছি। নুর কারও সঙ্গে কথা না বলে সেখানে গিয়েছিল। মেয়েদের সেখানে যাওয়ার কথা ছিল না। যে গিয়েছে, তার দায় তাকে নিতে হবে। সে অনধিকার চর্চা করবে, আমাদের তো ঠেকা পড়েনি যে দায়িত্ব নেব। ছেলেদের হলে মেয়েরা কেন যাবে?

প্রথম আলো: এ বিষয়ে ইনডিপেন্ড টিভিতে আপনি তদন্তে জোর দিয়েছেন। কিন্তু ছাত্রলীগ কেন তদন্ত করছে না? প্রশাসন বা পুলিশে কেন এত ভরসা?

গোলাম রাব্বানী: যারা গিয়েছিল, আইন শিক্ষার্থী হিসেবে বলব, তারা অনধিকার চর্চা করেছে। ডিম বা জুতা ছোড়া আমরা উন্নত বিশ্বেও দেখেছি। কাউকে লাথি বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার কথা আমরা শুনিনি।

প্রথম আলো: নুরের দাবি, কোটার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে হল ছাড়া করা ৩০–৪০ জন এখনো ফিরতে পারেননি।

গোলাম রাব্বানী: এটা মোটেও ঠিক নয়। এরকম অভিযোগ পাইনি, এলে ব্যবস্থা নেব। আমি তখন নীতিনির্ধারণী দায়িত্বে ছিলাম না, কর্মী হিসেবে
কাজ করেছি। কোটা বা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে আমরা বিএনপি–জামায়াতের অনুপ্রবেশ দেখেছি। আমি নিজেই নিউমার্কেটে ১০০ স্কুল ড্রেস বানানোর সময় ধরেছি—

প্রথম আলো: হেলমেট লীগ কি সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি?

গোলাম রাব্বানী: যেদিনের ঘটনার কারণে হেলমেট লীগ বলা হয়, সেদিন আমিই ভিকটিম। সায়েন্সল্যাবে চারজন কর্মী আহত হলো, ৫টি বাইক পুড়িয়ে
দেওয়া হলো।

প্রথম আলো: প্রশ্নপত্র ফাঁস করে যারা ছাত্র হয়েছেন এমন প্রায় ২০০ ছাত্র শনাক্ত হয়েছে। তাদের অপসারণ আপনিও চাইছেন, ঠিক?

গোলাম রাব্বানী: হ্যাঁ। গত বছর অভিযোগ উঠলে সিআইডি, ডিবি তদন্ত করেছে। বলেছি, যেই হোক তাদের অবশ্যই বহিষ্কৃত হতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে রাজু ভাস্কর্যের সামনে একাই প্রতিবাদী হয়েছিল আখতার। তাই সমাজসেবা পদে সে আমাদের প্রার্থীকে হারিয়ে দিল। তার সেই প্রতিবাদে ছাত্রলীগ সংহতি প্রকাশ করেছিল।

প্রথম আলো: চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর বলেছে, রোকেয়া ও ফজিলাতুন্নেছা হলের ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা সেই ‘ছাত্র’। এ পর্যন্ত একটিও যাচাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছন?

গোলাম রাব্বানী: আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। আপনি তালিকা দিন। যাচাই করে পদক্ষেপ নেব। আপনি ভিসিকে বলুন, স্যার যেন তাদের বের করে দেন। বৈধ ছাত্র না হলে ঢাবিতে ছাত্রলীগ করার অধিকার নেই। ভিসির সঙ্গে কথা বলুন, বড় ভাই হিসেবে আপনার কাছে আমার এটা একটা দাবি থাকল। প্রশাসন সরাসরি বের করুক, আমরা দায়িত্ব নেব না।

প্রথম আলো: কর্তৃপক্ষের কাছে কী চান?

গোলাম রাব্বানী: ২৮ বছর ডাকসু প্রতিনিধিত্ব করেনি। সিনেটে, সিন্ডিকেটে, সব ধরনের কমিটিতে সর্বত্র ডাকসুকে রাখতে হবে। প্রকৌশলীকে বললাম, যেকোনো ধরনের বিল পাসের আগে ডাকসুর সুপারিশ নিতে হবে। কোন হলে ইলেকট্রিশিয়ান নেই, বিপিটিসি লাইন বাঁকা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঠিক করতে বলেছি, রোকেয়া হলের সামনের স্পিডব্রেকারের সম্প্রসারণ দরকার, সাত দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রার ভবন একটি গোলকধাঁধার নাম, সেটা থেকে বাঁচতে প্রতিনিয়ত কাজ করছি। বিজয় ৭১ ও রোকেয়া হল ১৬ তলা, অথচ রাত ১১টার পরে লিফট বন্ধ থাকত, এখন চালু থাকবে। মায়েরা মেয়েদের হলে এখন ঢুকতে পারবেন। রোকেয়া হল ১১টা পর্যন্ত খোলা রাখতে বলেছি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কেউ বাকি বা ফাও খেতে পারবে না। নিজেরাই তদারকিতে আছি। যাদের ছাত্রত্ব শেষ, তাদের হল ছাড়তে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা হলেও কাজ হবে না। কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না, থাকলে পুলিশে সোপর্দ করা হবে। যুগ যুগ ধরে বহিরাগতদের হলে থাকার কালচার আমরা সম্পূর্ণ বদলে দেব। তবে ছাত্র প্রতিনিধিদের সহায়তা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক প্রস্তুতি এখনো নেই। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রবণতা স্যারদের বা প্রশাসকদের মধ্যে রয়েছে। সেটা দূর না হলে আমরা কাজ করতে পারব না।

প্রথম আলো: শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা?

গোলাম রাব্বানী: স্বচ্ছতা নেই। শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগে আত্মীয়করণ, স্বজনপ্রীতি রয়েছে। কে কার ম্যান নেবে, মাই ম্যানের সমস্যা রয়েছে। উন্নত বিশ্বে যেভাবে নিয়োগ হয়, সেভাবেই হওয়া উচিত। আমি আইন বিভাগের একজন শিক্ষককে বছরে তিন দিন ক্লাস নিতে দেখেছি। যাঁরাই এভাবে দায়িত্ব পালন করবেন না, তথ্য অধিকার আইনে সেটা প্রকাশ করব।

প্রথম আলো: বিষয়টি উচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে জানানো যায় না?

গোলাম রাব্বানী: ভুক্তভোগী আমাদেরই হতে হয়। নীতিনির্ধারণী এবং ছাত্র প্রতিনিধি উভয় দিক থেকেই চাপ লাগবে, আবার স্যাররা মনে করতে পারেন, বেশি বললাম কি না। বেয়াদবি মনে হতে পারে। তাই যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলব, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অধিকতর স্বচ্ছ হতে হবে। যা এখন হচ্ছে না। শতভাগ যাচাই করে, কে কার লোক তা বিবেচনায় না নিয়ে মেধার ভিত্তিতেই করতে হবে। ঢাবির সাড়ে ৫ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী আছে। এর মধ্যে ১০ থেকে ২০ ভাগও ঠিকভাবে কাজ করেন না। ২৫৬ একরে অন্তত দেড় হাজার মালি, ক্লিনার আছে, তাঁরা কাজ করলে ক্যাম্পাস ঝকঝক করার কথা, ময়লার ভাগাড় হওয়ার কথা নয়।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

গোলাম রাব্বানী: ধন্যবাদ