শেয়ারবাজার অস্থিতিশীল, তবে ধস নামবে না

ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী
ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী
>

ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী। সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান। প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন শেয়ারবাজার পরিস্থিতিসহ অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান ও সুজয় মহাজন।

প্রথম আলো: শেয়ারবাজারে ধস নামল কেন?

ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী: এটিকে আমি ধস বলব না, আবার স্থিতিশীল তা–ও বলব না। বাজার ক্রমাগত মন্দার দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থা যদি আরও কিছুদিন চলে, তখন একটা স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে ধস নামার শঙ্কা কম।

প্রথম আলো: কেন আপনি ধস বলতে চাইছেন না?

ফা. আ. সিদ্দিকী: যদি শেয়ার অতিমূল্যায়িত হতো, তাহলে ধস নামত। কিংবা যদি সূচক অনেক ওপরে থাকত। এখন তো বেশির ভাগ শেয়ারের দাম নিচের পর্যায়ে আছে। এর থেকে নিচে নামলেও খুব বেশি নামবে না। কিন্তু ২০১০ সালে যে রকম উত্থান-পতন হয়েছিল, তার আশঙ্কা কম। সে সময়ে ৯ হাজার থেকে সূচক পড়ে ৩ হাজারে নেমে এসেছিল।

প্রথম আলো: প্রথম আলোর আজকের (১৮ এপ্রিল) খবরের শিরোনাম, ‘টেনেও তোলা যাচ্ছে না শেয়ারবাজার’। আপনার বক্তব্য কী?

ফা. আ. সিদ্দিকী: টেনে কখনো শেয়ারবাজার তোলা যায় না। এটি মুক্তবাজার। আপনি যদি কিছু লোককে দিয়ে শেয়ার কিনিয়ে বাজার তুলতে চান, সেটি স্থায়ী হবে না। বাজার তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। কাউকে দিয়ে শেয়ার কিনিয়ে এক দিন–দুই দিন বাজার তোলা যায়। কিন্তু সেটি সমাধান নয়। সমাধান হলো বাজারে আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

প্রথম আলো: কিন্তু বাস্তবতা হলো শেয়ারবাজারের নিম্নগতি ঠেকানো যাচ্ছে না।

ফা. আ. সিদ্দিকী: আমি বলব, নিয়ন্ত্রক সংস্থা চেষ্টা করছে সূচক টেনে তুলতে। এটা হয়তো অন্যায় নয়। তবে বাজারকে তার নিজস্ব গতিতে ফিরিয়ে আনতে হবে।

প্রথম আলো: ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের কোনো প্রভাব কি শেয়ারবাজারে পড়েছে বলে মনে করেন?

ফা. আ. সিদ্দিকী: নির্বাচনের আগে মানুষের মধ্যে ভয় ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় কি না? সেটি যখন হয়নি, তখন নির্বাচনের আগেই বাজার কিছুটা চাঙা হয়। নির্বাচনের পর যখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকল, তখন বাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি দেখা দিল। এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয় কাজ করতে পারে। এক. কিছু লোক ভেবেছেন নতুন সরকারে যেহেতু শেয়ারবাজারের লোকজন আছেন, তখন সূচক বাড়বে। আবার কিছু লোক বাজার কারসাজি করারও চেষ্টা করে থাকতে পারেন। একটি মহল হয়তো চেয়েছিল বাজারের সূচক বাড়ুক। গত কয়েক বছরে দেখা গেছে নতুন বাজেট, নতুন মুদ্রানীতি কিংবা অন্য কোনো উপলক্ষ সামনে রেখে একটি মহল শেয়ারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে। আমাদের বাজারে ৩০–৪০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রভাবিত করতে পারলে পুরো বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। গুজব সৃষ্টি করেও সেটি করা যায়। এর উদ্দেশ্য হলো শেয়ারের দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটে নেওয়া। বাজার পড়ে গেলে তারা আবার শেয়ার কিনবে। একটি মহল এই চেষ্টা চালাতেই থাকে। আমাদের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী অনভিজ্ঞ ও অসচেতন। যাঁরা অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী, তাঁরা সময়মতো বাজার থেকে বের হয়ে যেতে পারেন। আর অনভিজ্ঞরা বাজার পড়ে গেলে শেয়ার বিক্রি করে দেন। কিন্তু অভিজ্ঞরা ধৈর্য ধরেন এবং শেয়ার কিছুদিন হাতে রেখে দেন। বাজার যখন পড়তির দিকে তখন শেয়ার কিনে রাখলে নিশ্চিতভাবে লাভবান হবেন। আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেন, লাভ হবেই। কিন্তু আমাদের বেশির ভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারী দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করতে পারেন না। কেননা, পুঁজি আটকে রাখার সামর্থ্য তাঁদের নেই। তাঁরা আসলে বিনিয়োগকারী নন, ব্যবসায়ী। শেয়ারবাজারে সূচক পড়তির সময় কিনতে হয়, বাড়তির সময় বিক্রি করতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী পড়তির সময় কেনেন না, যদি সূচক আরও কমে যায়, সেই ভয়ে।

প্রথম আলো: শেয়ারবাজারের কারসাজি ঠেকানোর উপায় কী?

ফা. আ. সিদ্দিকী: শেয়ারবাজারে সব দেশেই কিছু না কিছু কারসাজি হয়। তবে আমাদের দেশে বেশি হওয়ার কারণ বাজারটি বেশি বড় নয়। ছোট বাজারে কারসাজি করা সহজ। এর প্রতিকার হচ্ছে বাজারের গভীরতা বাড়ানো। নতুন নতুন কোম্পানি নিয়ে আসা। কিন্তু দুঃখজনক হলো, বেশি কোম্পানি আসছে না। গত ১০ বছরে যেসব কোম্পানি এসেছে, তাদের শেয়ারের মূল্য অভিহিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম। এই অভিহিত মূল্য কিন্তু বিএসইসি ও কোম্পানি মিলেই ঠিক করেছে। কিন্তু বাজারমূল্য যদি তার চেয়ে কমে যায় তাহলে বিনিয়োগকারীরাও আস্থা রাখতে পারেন না। বিএসইসির বর্তমান কর্মকর্তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সফটওয়্যার নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তা কাজে এসেছে বলে মনে হয় না। অন্তত দৃশ্যমান নয়। কারসাজি হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে তদন্ত কমিটি হচ্ছে। কাউকে কাউকে জরিমানাও করা হয়েছে। কিন্তু জনগণ জানতে পারেনি কতটা কারসাজি হয়েছে, কী মাত্রায় অপরাধ তারা করেছে। এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ত।

প্রথম আলো: আপনি তদন্তের কথা বলছেন। ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা কিছু কোম্পানিকে দায়ী করে রিপোর্টও দিয়েছিল। তারপর কী হলো?

ফা. আ. সিদ্দিকী: ওই কমিটির সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলব, তাঁদের রিপোর্টে কিছু ঢালাও মন্তব্য করা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে বলতে হবে সিকিউরিটিজ কমিশন আইনের এই ধারা তিনি লঙ্ঘন করেছেন এবং সেই অনুযায়ী শাস্তি হবে। কিন্তু কমিটির রিপোর্টে এই বিষয়টি নেই।

প্রথম আলো: তাঁরা তো অধিকতর তদন্তের কথা বলছিলেন।

ফা. আ. সিদ্দিকী: তাহলে ঢালাওভাবে এত কথা বললেন কেন? কেননা, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মানসম্মানের বিষয় আছে। তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কাউকে অভিযুক্ত করা যায় না। দ্বিতীয়ত, অধিকতর তদন্তের কাজটি তো তাঁরাও করতে পারতেন। পরে বিএসইসি কি তদন্ত করেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কি অপরাধী প্রমাণিত হয়েছেন, না নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন—আমরা কিছুই জানতে পারলাম না।

প্রথম আলো: একটি ধারণা আছে, যাঁরা বাজার কারসাজি করেছিলেন, তাঁরাই পরবর্তী কালে বিএসইসিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।

ফা. আ. সিদ্দিকী: সেটি যদি হয়ে থাকে, তবে তা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু আমার প্রশ্ন, তাঁরা কি এতই ক্ষমতাবান? নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে তো সংশ্লিষ্টদের ওই পদে থাকা উচিত নয়। আরেকটি বিষয়, ইব্রাহিম খালেদ কমিটির প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পর্কে একটি কথাও নেই। কিন্তু আমি মনে করি, ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কারসাজির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকও দায়ী। ১০–১২টি ব্যাংক আইন ভঙ্গ করে শেয়ার কিনেছে। প্রকল্প ঋণের অর্থও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হয়েছে। দু–একটি ব্যাংক মূলধনের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাজারে বিনিয়োগ করেছে। এসব প্রমাণিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব ছিল আইন অনুযায়ী ব্যাংকগুলো চলছে কি না, সেটি দেখা। তারা মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না। এসব ইব্রাহিম খালেদ কমিটির প্রতিবেদনে আসেনি। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিল না।

প্রথম আলো: ২০১০ সালে সূচক ৯ হাজার থেকে ৪ হাজারে নেমে এসেছিল। এবার ৬ হাজার থেকে ৪ হাজারে নেমেছে। ফলে আতঙ্ক তো থেকেই যাচ্ছে।

ফা. আ. সিদ্দিকী: আমার ধারণা, ২০১০ সালের মতো ঘটনা ঘটবে না। সেই সময়ে এক দিন সূচক অনেক নেমে গিয়েছিল। এখন তো ওঠা-নামার মধ্যে আছে। সূচক কমার দিকে থাকলেও মাঝেমধ্যে বাড়ছে।

প্রথম আলো: শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখা তথা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার উপায় কী?

ফা. আ. সিদ্দিকী: আমি মনে করি, ভালো কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসা। অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে আসবে বলেও আসেনি। এটি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ। আর কোম্পানি তখনই বাজারে আসবে, যখন তার পুঁজি দরকার হবে। আমাদের দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণেও অনেক কোম্পানি বাজারে আসতে চাইছে না। অন্যদিকে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো আনার একটা উদ্যোগ ছিল। সরকারের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছিল। কিন্তু ফল হয়নি। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনতে হলে তাদের কিছুটা সুবিধা দিতে হবে।

প্রথম আলো: ব্যাংকিং খাতের বর্তমান নাজুক অবস্থা শেয়ারবাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলছে কি না?

ফা. আ. সিদ্দিকী: নিশ্চয়ই ফেলছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর শেয়ারের দাম খুবই কম। আমাদের ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদেরও আস্থা কমে গেছে। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১১ শতাংশের মতো। আরও আছে অবলোপন করা ঋণ। গত বছর চারটি ব্যাংকের কোনো মুনাফা ছিল না। কৃত্রিম মুনাফা দেখিয়েছে তারা। সব মিলিয়ে সুদের হার অনেক বেশি। ব্যাংকগুলোর ঋণের মাননাজুক হলে মুনাফা কমবে। লভ্যাংশ কমবে। কয়েকটি ব্যাংক ভালো করছে, বাকিরা প্রভিশন ঘাটতিতে রয়েছে।

প্রথম আলো: ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিচার হয়েছে কি?

ফা. আ. সিদ্দিকী: মোদ্দা কথায় বিচার-টিচার হয়নি। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু কেউ শাস্তি পাননি।

প্রথম আলো: এই বিচারহীনতা কি শেয়ারবাজারকে আরেকটি বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে?

ফা. আ. সিদ্দিকী: বিপর্যয়ের দিকে তো নিয়ে যাচ্ছেই। শেয়ারবাজারের মন্দাভাব কাটছে না।

প্রথম আলো: বলা হয়, আমাদের অর্থনীতির আকার বড় হচ্ছে। প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। সেই তুলনায় শেয়ারবাজার ছোট।

ফা. আ. সিদ্দিকী: প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কিন্তু বেসরকারি বিনিয়োগ তেমন বাড়ছে না। মোট দেশজ উৎপাদনের তুলনায় বেসরকারি বিনিয়োগ ২২–২৩ শতাংশে স্থির হয়ে আছে। অন্যদিকে ব্যাংকে টাকা থাকলেও ঋণের চাহিদা কম। ব্যাংকের তারল্যের এ অবস্থায় থাকলে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের সম্ভাবনা কম। যখন বিনিয়োগ এমন পরিমাণ বাড়বে যে ব্যাংক অর্থ জোগান দিতে পারছে না, তখনই মানুষ পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হবে। অর্থাৎ বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

প্রথম আলো: শেয়ারবাজার চাঙা করতে এখন করণীয় কী?

ফা. আ. সিদ্দিকী: এখন করণীয় হলো ভালো কোম্পানিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করা। অনেক ভেবেচিন্তে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও দেওয়া। যেসব বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার আছে, সেগুলোকে বাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। কিন্তু আমলারা সেটি হতে দিচ্ছেন না। শেয়ারবাজার সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণাও নেই। অনেকে বলেছেন, এদের আসতে বাধ্য করা হোক। কিন্তু কাউকে বাধ্য করে নয়, আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে বাজারে আনতে হবে।

প্রথম আলো: গ্রামীণফোনকে তো শেয়ারবাজারে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয় আপনার সময়েই?

ফা. আ. সিদ্দিকী: গ্রামীণফোনকে আনতেও অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ টেলিফোনে আমাকে বললেন, গ্রামীণফোনকে নিয়ে আসতে হবে। তখন উদ্যোগ নেওয়া হলেও গ্রামীণফোন বাজারে এসেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যাওয়ার পরপরই। বিএসইসি কাজটি করে নেপথ্যে।

প্রথম আলো: এখন তো নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপরই বিনিয়োগকারীদের আস্থা কম। বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে কী করে?

ফা. আ. সিদ্দিকী: নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ শুধু ভালো হলেই হয় না, জনমনে তাদের কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তারা অন্যায় করবে না— বিনিয়োগকারী ও বাজারসংশ্লিষ্টদের মনে এই বিশ্বাস থাকতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি বলব, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম খুব একটা দৃশ্যমান নয়। সেটি হওয়া উচিত। সব সংস্থাকেই আইন অনুযায়ী চলতে হবে। আইনের বাইরে যাওয়া যাবে না। বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ আইন অনুযায়ী হয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা উচিত।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

ফা. আ. সিদ্দিকী: আপনাদেরও ধন্যবাদ।