গোষ্ঠীবান্ধব বাজেট বিনিয়োগ বাড়াবে না: হোসেন জিল্লুর রহমান

হোসেন জিল্লুর রহমান
হোসেন জিল্লুর রহমান
হোসেন জিল্লুর রহমান। অর্থনীতিবিদ। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসির চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় সংসদে সদ্য অনুমোদিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান


প্রথম আলো: সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রণীত বাজেটের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখেন কি? 

হোসেন জিল্লুর রহমান: আমি বলব, ধারাবাহিকতার বাজেট। ছোটখাটো পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু বাজেটকে যদি আমরা শুধু আয়-ব্যয়ের হিসাবে না দেখে একটি অর্থনৈতিক দর্শন হিসেবে বিবেচনা করি, তাহলে দেখব মুহিত সাহেবের সময় থেকে বাজেট নিয়ে একধরনের বাগাড়ম্বর চলছে। বড় বড় কথা বলা, বড় বড় প্রকল্প নেওয়া, বড় অঙ্কের আয়-ব্যয় দেখানো। কিন্তু বছর শেষে সেটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাজেট কাটছাঁট করা হয়। অর্থাৎ বাজেট পরিকল্পনাটিই বাস্তবতাবহির্ভূত। এটা হলো বাজেটের সমাজতত্ত্ব। এ সত্ত্বেও বাজেট ঘাটতি ১০ বছর ধরে ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রয়েছে। এর মাধ্যমে আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা আছে। কিন্তু সমস্যা হলো কাটছাঁটের ক্ষেত্রে সমাজের দুর্বল শ্রেণিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষমতাবানেরা সুবিধা পান। এতে অর্থনীতির কৌশলগত চিন্তাটা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আছে। আগে সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা টিম ছিল প্রধানত সাবেক আমলা ও রাজনীতিকদের নিয়ে। এবার অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি–বিষয়ক উপদেষ্টা এসেছেন ব্যবসায়ী থেকে। আশা করা গিয়েছিল তাঁরা একটি বাস্তবভিত্তিক বাজেট দেবেন। বিনিয়োগের সমস্যাটি সঠিকভাবে উপলব্ধি করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখলাম পুরোনো মনস্তত্ত্বেই তঁারা আটকা পড়ে আছেন। 

প্রথম আলো: ব্যবসায়ীরা মন্ত্রী হওয়ার সুবিধা কিংবা অসুবিধা কী? 

হোসেন জিল্লুর রহমান: ধারণা ছিল ব্যবসায়ীরা মন্ত্রী হলে আমরা অন্তত একটি বাস্তবমুখী বাজেট পাব। তাঁরা বাস্তবমুখী কৌশল নির্ধারণ করবেন। কিন্তু সেটি হয়নি। সরকারি প্রতিষ্ঠান বিডাও বলেছে, বাজেটের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ আরও বাড়বে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন। 

প্রথম আলো: অনেকের মন্তব্য এবারের বাজেট ব্যবসা নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব হয়েছে। 

হোসেন জিল্লুর রহমান: কিন্তু বাজেট সব ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে পারেনি। কতিপয় ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিয়েছে। সব ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে পারলে বাজেট ব্যবসাবান্ধব হতো। এখন হয়েছে গোষ্ঠীবান্ধব। বিনিয়োগবান্ধব হয়নি। ফলে বিনিয়োগের ঝুঁকিটা থেকেই গেল। 

প্রথম আলো: তাহলে কি আপনি বলতে চান এই বাজেট অর্থনীতিকে গতিশীল করবে না? 

হোসেন জিল্লুর রহমান: অর্থনীতির গতিটা দেখতে হবে আমাদের আকাঙ্ক্ষার নিরিখে। দেশের মানুষ খেয়–পরে বাঁচতে পারবে, এটি এখন আর আকাঙ্ক্ষা নয়। ওই স্তর আমরা পার হয়ে এসেছি। এখন আমাদের আকাঙ্ক্ষা হলো মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া। আর সে ক্ষেত্রে আমাদের যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, তার দিকনির্দেশনা এই বাজেটে নেই। 

প্রথম আলো: আপনার মতে এই চ্যালেঞ্জগুলো কী কী? 

হোসেন জিল্লুর রহমান: প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো ব্যয়ের দক্ষতা। আমাদের বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে। কিন্তু সমাজ ও অর্থনীতিতে তার খুব প্রভাব দেখছি না। এর কারণ অপচয়, দুর্নীতি ও দীর্ঘসূত্রতা। উদাহরণ হিসেবে সড়ক খাতের কথা বলতে পারি, এই খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু যোগাযোগব্যবস্থা খুব উন্নত হয়েছে বলা যাবে না। রক্ষণাবেক্ষণ খাতে যে বেশি বরাদ্দ দিতে হচ্ছে, তারও কারণ ওই ব্যয়ের অদক্ষতা। 

দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হলো, আমরা মানসম্মত বা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারিনি। আমরা একধরনের শিক্ষা দর্শনের মধ্যে আটকে গেছি, যাকে বলা যায় নিম্নমানের সর্বজনীন শিক্ষা। এই শিক্ষা উন্নত মানবসম্পদ তৈরি করতে পারছে না। ফলে হাজার হাজার শিক্ষিত তরুণ বেকার। আমাদের শিক্ষা বাজেটকে দুই ভাগে দেখা দরকার। অবকাঠামোগত বরাদ্দ এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে বরাদ্দ। নিম্নমানের সর্বজনীন শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে যুগোপযোগী মানসম্মত শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, বিদেশ থেকে শিক্ষক আনবেন। কিন্তু দেশে মানসম্পন্ন শিক্ষক তৈরির কোনো কর্মসূচি দেখছি না। 

প্রথম আলো: এবারের শিক্ষা খাতে বরাদ্দের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? 

হোসেন জিল্লুর রহমান: সমাজে শিক্ষার একটি চাহিদা তৈরি হয়েছে। গরিব মানুষও তাঁদের সন্তানকে শিক্ষা দিতে চান। কিন্তু তারা প্রকৃত শিক্ষা পাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। এবারে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে এমপিওভুক্তির জন্য। আবার শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তিকেও যোগ করে দেওয়া হয়েছে। এটি আমলাতান্ত্রিক চালাকি। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মান পড়ে গেছে। আশা করেছিলাম, মানসম্মত শিক্ষার জন্য আলাদা বরাদ্দ থাকবে। দক্ষ মানবসম্পদের বিশাল ঘাটতি আছে। বাংলাদেশের শ্রমবাজারে বাইরে থেকে বিপুলসংখ্যক দক্ষ জনবল আসছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের জনশক্তি চাহিদা মেটাতে পারছে না। কিন্তু অতীতের মতো এবারের বাজেটেও মানসম্মত দক্ষ জনশক্তি তৈরির কোনো পরিকল্পনা দেখছি না। আমি মনে করি, মাধ্যমিক শিক্ষাটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মাধ্যমিক থেকেই শ্রমবাজারে ঢোকে। এমপিও পদ্ধতিও পুনর্বিবেচনা করা দরকার। 

প্রথম আলো: প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বিনিয়োগ বাড়ছে না কেন? 

হোসেন জিল্লুর রহমান: আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো বিনিয়োগ বাড়ানো। বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত, অপ্রতিরোধ্য সরকার। কোনো বিরোধিতা নেই। রাস্তাঘাটে হাঙ্গামা নেই। তারপরও বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে। সরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়ে সমাধান পাওয়া যাবে না। ১০০ টাকার প্রকল্পে ১০০০ টাকা খরচ করলে তো প্রকৃত বিনিয়োগ বাড়ে না। ব্যবসার প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। বহু বছর ধরে আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিসের কথা শুনে এসেছি। কিন্তু বাস্তবে সেটি বহু স্টপ। আমাদের যে ৬–৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি—তার মূল চালক কারা? ৩০ বছর ধরে প্রধান ভূমিকা রাখছেন প্রবাসী শ্রমিক ও তৈরি পোশাকশিল্প। বাংলাদেশকে মাধ্যম আয়ের দেশ করতে হলে নতুন চালক তৈরি করতে হবে। আর সেটি আসবে বাস্তবতাকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে। ওই ধরনের কোনো চিন্তা বাজেটে নেই। ১০–১৫ বছর পর তৈরি পোশাক খাত ও প্রবাসী আয় কমে আসতে পারে। কৃষিকে আমরা অবহেলা করে আসছি এবং একে শুধু খাদ্যনিরাপত্তার মাধ্যম হিসেবে দেখছি। কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই কৃষি আমাদের নতুন চালিকা শক্তি হতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো কৃষির প্রতি আমাদের কৌশলগত দৃষ্টি নেই। কৃষকেরা এবার রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন করেও ধানের দাম পাননি। 

আমাদের আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো বৈষম্য। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার সুফল পাচ্ছে ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠী। বৃহত্তর জনগণ বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। এই বৈষম্য আছে ধনী-দরিদ্রে, আছে গ্রাম-শহরে, ঢাকা বনাম বাকি অংশের মধ্যেও। বৈষম্য কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটি খুঁজে বের করা দরকার। বাজেটের সিংহভাগ বরাদ্দ যায় বড় বড় শহরে, বিশেষ করে ঢাকা শহরে। স্থানীয় সরকারকে এসডিজি অর্জনের দায়িত্ব দেওয়া হলেও সেখানে বরাদ্দ অনেক কম। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, নগরের বরাদ্দে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, গণপরিবহনে, নিম্ন আয়ের আবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন গুরুত্ব পাচ্ছে না। আমরা কোনো খাতে বেশি বরাদ্দ চাই না, সমন্বিত বরাদ্দ চাই। আমরা চাই কৌশলগত উন্নয়ন দর্শন, যা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে আমরা বড় কিছু অর্জন করতে পারব না। 

প্রথম আলো: পত্রিকায় দেখলাম বাংলাদেশের ৩০ শতাংশ তরুণ কাজেও নেই, প্রশিক্ষণেও নেই। 

হোসেন জিল্লুর রহমান: তরুণেরা যে এ অবস্থায় আছে এটা এ কারণে নয় যে তাঁরা অলস। তাঁরা কিছু করতে চান কিন্তু সুযোগ পাচ্ছেন না। বাংলাদেশের অগ্রগতি বিচার করতে হবে সমকক্ষদের সঙ্গে আমরা কতটা এগিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী বা অন্য দেশগুলো কতটা এগিয়েছে। আমরা সমকক্ষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারছি না। এই যে ৩০ শতাংশ তরুণ কাজ পাচ্ছেন না, আমাদের নীতি–পরিকল্পনায় তাঁদের কথা নেই। সরকারের দায়িত্ব বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা, পরিবেশ তৈরি করা। আমরা একটি বিশ্বাসযোগ্য অর্থনৈতিক দর্শন চেয়েছিলাম, যাতে চ্যালেঞ্জগুলো একযোগে মোকাবিলা করা যাবে। কিন্তু বাজেটে সেই দিকনির্দেশনা নেই। 

প্রথম আলো: অনেকেই বলছেন এবারের বাজেট মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ওপরই চাপ বাড়াবে। উচ্চবিত্তের মানুষ কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। 

হোসেন জিল্লুর রহমান: এর পেছনেও আছে বৈষম্য। প্রত্যক্ষ করের চেয়ে অপ্রত্যক্ষ কর বেশি, যার বোঝা মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষকেই বেশি বহন করতে হয়। আরেকটি উদাহরণ দিই। ব্যাংকিং খাতের শক্তি হলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু ঋণ পাচ্ছেন গোষ্ঠীবিশেষ। 

প্রথম আলো: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের বিষয়ে আপনার অভিমত কী? 

হোসেন জিল্লুর রহমান: আজ প্রত্যেকে চায় সচ্ছল জীবন, উন্নত জীবন। আর এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি স্বাস্থ্যবান ও সবল হন,
তাহলে বেশি পরিশ্রম করতে পারবেন। স্বাস্থ্য খাতে কৌশলগত গুরুত্বকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর সেটি শুধু অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে তাদের প্রয়োজন নির্ধারণে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে। স্বাস্থ্য খাতে আমাদের বিশাল অবকাঠামো আছে, কিন্তু সেটি অব্যবহৃত থাকছে। অনেক হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই, নার্স নেই। তাহলে অবকাঠামো করে কী লাভ? অবকাঠামো ও লোকবল দুটোর প্রতিই মনোযোগ দিতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতাল আছে, লোকবল নেই। গ্রামেও বিদ্যুৎ আছে। কিন্তু বেলা দুটোর পর পাবলিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকে। এটিও একধরনের অপচয়।

প্রথম আলো: গত বাজেটের চেয়ে এবারের বাজেটে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাড়লেও পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বরাদ্দ কমেছে। 

হোসেন জিল্লুর রহমান: আমি ঠিক হিসাবটা দেখিনি। তবে এ ধরনের অসংগতি থাকলে তা দূর করা প্রয়োজন। এখানেও কিন্তু সেই বৈষম্যের বিষয়টি আসবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে সবাইকে নিয়ে। 

প্রথম আলো: আপনি অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বা সুশাসনের কথা বলছেন। কিন্তু এর সঙ্গে তো গণতন্ত্রায়ণের প্রশ্নটিও জড়িত। এর অনুপস্থিতিতে তা সম্ভব হবে কি? 

হোসেন জিল্লুর রহমান: সুশাসনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষতা বাড়াতে হলে জবাবদিহি থাকতে হবে। সুশাসনের দুটি দিক আছে। একটি লক্ষ্য, আরেকটি মাধ্যম। লক্ষ্য হলো—গণতন্ত্রায়ণ। কিন্তু আমি এখানে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাধ্যমটিকেই অধিক মূল্যবান মনে করি। প্রধান শিক্ষক যদি ছাত্রসংগঠনের মাস্তানের দ্বারা নিগৃহীত হন, তাহলে মানসম্মত শিক্ষা কীভাবে আসবে? সুশাসনের ঘাটতি আমাদের উন্নয়নের যাত্রাকে ব্যাহত করছে। নাগরিক সমাজ বা বিরোধী দলও গণতন্ত্র বা সুশাসনের লক্ষ্যের কথা বললেও মাধ্যমের কথা বলছে না। জবাবদিহির অনুপস্থিতি সুশাসনের ঘাটতি তৈরি করে, যা উন্নয়ন ও বিনিয়োগের জন্য বড় হুমকি। 

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ। 

হোসেন জিল্লুর রহমান: আপনাকেও ধন্যবাদ।