ধর্ষকের মন, মেয়েটার দায় ও সমাজ


ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে নারীনেতৃত্বনির্ভরতা কতটুকু যৌক্তিক?

ভারতের চম্বলের বিশ্ববিখ্যাত নারী দস্যু ফুলন দেবী গণধর্ষণের শিকার ছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় দস্যু হয়েছিলেন। ধর্ষকদের হত্যা করেছেন। তিনি যখন আশির দশকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন এবং সংসদ সদস্য হন, নারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। তাঁরা একজন আইকন পেয়েছেন—এমন বিশ্বাসে অনেক নারীবাদী ও নারী এনজিওকর্মীরা আশা করেছিলেন, তিনি ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের রোল মডেল হয়ে উঠবেন। আশাবাদীদের মধ্যে লেখক, সাহিত্যিক, সম্পাদক, বুদ্ধিজীবীরাও ছিলেন। অরুন্ধতী রায়ও তাঁদের একজন। তাঁর নেতৃত্বে আসলেই ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠার সুযোগ ছিল। সেই সময় ধর্ষণবিরোধী ব্যাপক জনমতও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। নারীরা জোর গলায় বলছিলেন, ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্বের গুরুভার নারীদেরই নিতে হবে।

দস্যু ফুলন দেবীর ধর্ষণ-ঘটনা নিয়ে শেখর কাপুর ১৯৯৪ সালে ‘ব্যান্ডিট কুইন’ সিনেমাটি বানালেন। মোটাদাগে সিনেমাটিকেও ধর্ষণবিরোধী বক্তব্যের সিনেমা বলা যায়। কিন্তু ফুলন দেবী সত্যবিকৃতির অভিযোগে তীব্র আন্দোলন শুরু করলেন। মিডিয়ায় মিডিয়ায় অভিযোগ দায়ের করে বেড়ালেন। যে হলে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা, সেই হল ঘেরাও করালেন। ছবিটি মুক্তি দেওয়া হলে পার্লামেন্টের সামনে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করবেন বলে ঘোষণা দিলেন। অরুন্ধতী রায় সিনেমা দেখে কড়া রিভিউ লিখলেন ‘ভারতীয় ধর্ষণ-গল্পের দুর্দান্ত চালাকিপনা’ নামে।

গণধর্ষণের শিকার ফুলন দেবীকে সেলুলয়েডে আরও বহুবার ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন অরুন্ধতী। অরুন্ধতীর দেখাদেখি অন্য নারী-সমাজকর্মীরাও ফুলনের সমর্থনে শেখর কাপুরকে পুরুষতন্ত্রের প্রতিনিধি হিসেবে নিন্দা-মন্দ-সমালোচনাসহ বর্জন ও প্রতিরোধের ঘোষণা দিলেন। ভারতের পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশন বিষয়টিকে মুখরোচক করে তুলেছিল। ফলে, ভারতে সীমানা ছাড়িয়ে বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায়ও ফুলন দেবী বিষয়টি ভালো কাভারেজ পেল। মধ্যবিত্ত নারীবাদীরা আলোচনার নতুন টপিক পেলেন ‘মিডিয়ায় নারীর ধর্ষণ’। একটি আধা বিমূর্ত তাত্ত্বিক আলোচনার জন্ম হলো। সেই ফাঁদে পড়ে শেষ হয়ে গেল ফুলনের নেতৃত্বে আন্দোলনের সম্ভাবনা।

ব্রিটিশ চ্যানেল ফোর ছিল ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা। সংস্থাটি ফুলনকে ৪০ হাজার পাউন্ড দিয়ে শান্ত করল। সেটি ক্ষতিপূরণ, নাকি উৎকোচ, আজও জানা গেল না। কিন্তু সবাই চুপ মেরে গেল। ফুলনের পক্ষে উচ্চকণ্ঠরাই বেশি মিইয়ে গেল। উপমহাদেশে ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের সুসম্ভাবনাটি সম্পূর্ণই বিলুপ্ত হয়ে গেল।

আগের লেখায় লিখেছিলাম ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। আর এ কাজ কেবল নারী নেতৃত্বের নয়। যেহেতু তা সামাজিক আন্দোলন, সেহেতু সব মানুষের এগিয়ে আসা ছাড়া সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ধর্ষণের ‘মেন্স রিয়া’
লাতিন শব্দ ‘মেন্স রিয়া’র (Mens Rea) ইংরেজি করা হয়েছে ‘গিল্ট ইনটেনশন’। বাংলা করা আছে ‘দুষ্ট মন’ বা ‘অপরাধ করতে মনের ইচ্ছা’ বা ‘মানসিক প্রস্তুতি’। ইদানীং পশ্চিমে গিল্ট ইনটেনশনের চেয়েও ‘ইভ্যল ইন্টেনশন’ শব্দটি বেশি ব্যবহৃত হয়; যেন বোঝা যায় যে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপরাধচিন্তা’র কারণেই অপরাধী অপরাধ করেছে। কথ্য বাংলায় যাকে আমরা ‘নিয়ত খারাপ’ ‘বদ-উদ্দেশ্য’ বা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপরাধ-মনোবৃত্তি’ বলি। ধর্ষণও ধর্ষকের ‘মেন্স রিয়া’র ফল। কিন্তু আইন এই সত্যকে অস্বীকার করার, সত্যটি অস্বীকৃত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়।

কোনো উন্মাদ বা পাগল কাউকে খুন করলে ছাড়া পেয়ে যায়, কারণ তার ‘মেন্স রিয়া’ ছিল না। রাগের মাথায় আকস্মিক আঘাতে কেউ কাউকে খুন করে ফেলল সেটিও মেন্স রিয়া বা ‘ইভ্যল ইন্টেনশন’জনিত নয়। কারণ, খুন করা খুনির ইচ্ছা-লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিল না। খুনটি দুর্ঘটনাজনিত। সমস্যা হচ্ছে ধর্ষকের ‘মেন্স রিয়া’ অত্যন্ত প্রবল থাকার পরও অতি সহজেই প্রমাণ করা সম্ভব যে ঘটনাটি আকস্মিক ও অনিচ্ছাকৃত—তার ‘মেন্স রিয়া’জনিত নয়। ধর্ষকের জন্য যতটা, খুনির জন্যও বিষয়টি অতটা সহজ নয়। কারণ, খুনের মাওলায় ‘মেন্স রিয়া’ বিশ্লেষণ অবধারিত। খুনের বেলায় খুনির ‘মেন্স রিয়া ছিল’ প্রমাণ করা সহজ। ধর্ষণের বেলায় ধর্ষকের ‘মেন্স রিয়া ছিল না’ প্রমাণ করা তার চেয়েও বহুগুণ বেশি সহজ। এই কারণে ধর্ষণ মামলাগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। আগের একটি লেখায় লিখেছি আইন ধর্ষকের নানা ছুঁতো-অজুহাত ও উদ্দীপককে দায়ী করার সুযোগ করে দেয়। সেসব ‘অন্য কিছু দায়ী’ বিবৃতি আমলে নেয় বলেই ধর্ষণের মতো মারাত্মক অপরাধ চুরি-ডাকাতির চেয়েও লঘু অপরাধ বিবেচিত হয়। ধর্ষণ বাড়ার এই সুযোগ আছে বলেই বাড়ছে—এ সহজ কথা বোঝা প্রয়োজন।

এটি আইনের দুর্বলতা, তবে ঢালাওভাবে আইনকে দায়ী করার সুযোগ নেই। কারণ, আইনের মূল নৈতিক অবস্থানটিই এই রকম যে প্রয়োজনে একজন প্রকৃত অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাক, কিন্তু একজন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন বিচারের ভুলে ন্যায়বিচারবঞ্চিত না হন, ভুলবশত অভিযুক্ত না হন এবং সাজা না খাটেন। প্রচলিত বিচারব্যবস্থার দার্শনিক অবস্থান অনেকটা এমনও যে সমাজ নিয়ে চিন্তা করা আদালতের দায়িত্ব বা দায় নয়, আইনশৃঙ্খলা বিভাগের অথবা সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধবিজ্ঞানীদের দায়। সেই জন্য আইন এবং বিচারব্যবস্থা অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী না নির্দোষ প্রমাণেই ব্যস্তসমস্ত থাকে। আইনের সামাজিক দায় থাকলেও চলতি ক্ষতি এবং ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ক্ষতির দিকে নজর দেওয়ার সুযোগ কমই থাকে। এই সুযোগেই ধর্ষকপক্ষের কৌঁসুলিদের আপ্রাণ চেষ্টা থাকে সমাজের ক্ষতির দিকটি এড়িয়ে গিয়ে ধর্ষককে ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করার। সমাজের ‘প্রকৃত সত্য’ এভাবেই বিচারিক পদ্ধতির প্রথম বলি হয়ে ওঠে।

ধর্ষণ-অপরাধের গৌণকরণ
এ ক্ষেত্রে তদন্তের ধরনও একটি বড় সমস্যা। যেমন ধর্ষণের পেছনে ধর্ষকের ‘মোটিভ’ বা অভিপ্রায় খুঁজতে যাওয়াও একটি সমস্যা। বাংলাদেশে খুনের ঘটনাই হোক বা ধর্ষণের ঘটনাই হোক, যেকোনো মারাত্মক অপরাধের শুরুতেই ‘মোটিভ’ বা পেছনের অনুঘটক খোঁজা শুরু হয়। ফলে, দেখা যায়, একটি অপরাধ মুহূর্তেই রহস্য-গল্প হয়ে ওঠে। পত্রপত্রিকায় সাম্প্রতিক রিফাত হত্যাকাণ্ড হতেই একটি উদাহরণ টানা যায়। বীভৎস হত্যাকাণ্ডটির তীব্রতা, নৃশংসতা, পদ্ধতি, কারণ ইত্যাদির গভীর আলোচনা যখনই শুরু হবে হবে অবস্থা, ঠিক তখনই বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ত্রিভুজ প্রেমের বা দাম্পত্য সম্পর্কের বিপর্যয়ের গল্প প্রকাশিত হতে শুরু করল। মানুষ ধরে নিতে শুরু করল, যা হওয়ার তা-ই হয়েছে, কিংবা এমনটিই তো হওয়ার কথা ছিল। মারাত্মক অপরাধটি অনেকের দৃষ্টিতেই এখন একটি প্রতিশোধের ঘটনামাত্র। অপরাধের এই রকম প্যাসিফিকেশন বা গৌণকরণ হওয়ার পেছনে ‘মোটিভ খোঁজা’ একটি বড় অনুঘটক ও সামাজিক সমস্যা।

উন্নত দেশে উল্টোটি ঘটে। সেখানে ধরা হয়, অপরাধের কারণ বুঝতে অপরাধীর ‘মোটিভ’ খুব সামান্যই প্রয়োজন। মনে করা হয় যে তদন্তকালে নানা তথ্যপ্রমাণ, নমুনা ইত্যাদি হতে আপনা–আপনিই মোটিভ স্পষ্ট হয়ে উঠবে। উন্নত দেশে ‘মোটিভ’ বা ‘অভিপ্রায়’ আর ‘কারণ’কেও এক করে দেখা হয় না। আগের লেখায় দেখিয়েছি যে ‘কারণ’ ও ‘উদ্দীপক’কেও আমরা একই বিষয় মনে করে গুলিয়ে ফেলি। বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও এই দুটির কোনো পার্থক্য করা হয় না সম্ভবত!

ধরা যাক, রিফাতের হত্যাকারী নয়নের ‘মোটিভ’ বা ‘অভিপ্রায়’ ছিল ‘প্রতিশোধ নেওয়া’ (ক্রোধ নিরসন, জন্মের মতো শিক্ষা দেওয়া, খুন করা মোটিভ নাও হতে পারে)। আমরা যেসব গল্প পড়ছি, যেমন: মিন্নির সঙ্গে নয়নের বিয়ে, রিফাতের সঙ্গে পুনর্বিবাহ ইত্যাদি এই সবকিছুই তার মোটিভটি বোঝার জন্য দরকারি ক্লু বা তথ্যসূত্র বা তথ্যপ্রমাণ মাত্র। আমরা তথ্যসূত্র-তথ্যপ্রমাণকেই ‘কারণ’ মনে করি এবং হরহামেশা ভুল করি।

প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে নয়নের প্রকাশ্য দিবালোকে আগ্রাসী হওয়ার ‘কারণ’ আসলে কী কী? অনুমেয় সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, এক. আইন বা বিচারব্যবস্থা তার কোনো শাস্তিবিধান করতে পারবে না—এই দৃঢ় বিশ্বাস। দুই. তাকে বাঁচানোর, সুরক্ষা দেওয়ার মানুষ আছে—এই নিশ্চয়তা। তিন. বন্ধুবান্ধবের কাছে নিজের পৌরুষ জাহির করা (কেউ হয়তো ‘কাপুরুষ’ বলে টিপ্পনী কেটেছিল, সে যে তা নয় সেটি প্রমাণ করা)। চার. নিজেকে ক্ষমতাবান ও ভীতিকর চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা যাতে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হতে না পারে। পাঁচ. এলাকার কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করা ইত্যাদি। এভাবে তালিকা আরও বড় হতে পারে। অনেক কারণই জানা যেতে পারে।

সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই
এই পার্থক্যই–বা কেন বোঝা দরকার? কারণ, সম্প্রতি অনেকেই বলছেন, এক. বাংলাদেশের সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধবিজ্ঞানীদের অপরাধ বেড়ে যাওয়ার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এগিয়ে আসা উচিত। দুই. বাংলাদেশে অপরাধের ধরন যতটা দ্রুততার সঙ্গে বদলাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা ও বিচারব্যবস্থা সেভাবে বদলাচ্ছে না এবং সাড়া দিচ্ছে না। তিন. ধর্ষণ ও ধর্ষণ শেষে খুনের ঘটনা যেভাবে উত্তরোত্তর বাড়ছে, তাতে প্রতিকারের উপায় বা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবার কোনো বিকল্প নেই। আরও অনেক বিষয়ই আলোচিত হচ্ছে। তবে এই তিনটিকে ধরে সমাধান খুঁজতে গেলে ‘কারণগুলোই’ জানতে হবে এবং গৌণকরণের সমস্যাগুলোকে দূরে ঠেলে রাখতে হবে।

ধর্ষণের মতো অপরাধের গৌণকরণ কীভাবে হয়?
এক. ধর্ষক অনেকগুলো ব্যক্তিগত অনুকূল অবস্থার এবং সামাজিক অব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগ নেয়। ব্যক্তিগত সুযোগগুলো এমন যে সে পুরুষ, যুবক, অস্ত্রধারী, শারীরিক শক্তি বেশি ইত্যাদি। এসব তাকে দুর্বিনীত ও অপ্রতিরোধ্য হতে শেখায়। দুই. সামাজিক প্রতিরোধহীনতা, সমাজের মানুষের নির্লিপ্ততা এবং ‘আইন হাতে তুলে নেবেন না’ আপ্তবাক্যের প্রতি একধরনের মানসিক সম্মতির ফলে অনেকের নিস্পৃহতা-নিষ্ক্রিয়তাও অনেক সময় অপরাধটিকে গৌণ অপরাধ করে তোলে। সবারই ভয়, ‘বাধা দিতে গিয়ে আমি বিপদে পড়তে যাব কেন?’ এই এড়িয়ে যাওয়ার এবং দেখেও না দেখার আচরণ বুঝেও ধর্ষক নিজেকে নিরাপদ ভাবতে শেখে। এটি তাদের জন্য একধরনের নীরব সম্মতি ও ব্ল্যাংক চেক। তিন. তৃণমূল পর্যায়ে নারীনেতৃত্ব না থাকা এবং নারীদের পক্ষ থেকে সম্মিলিত বাধা না আসায় ধর্ষক অপরাধটিকে গৌণ অপরাধ মনে করে। শহুরে মধ্যবিত্ত বা এলিট ঘরানার বা এনজিওনির্ভর নারীনেতৃত্ব অনেক ক্ষেত্রেই কাগজে-কলমে বা সভা-সেমিনারে যতটা প্রগল্‌ভ, বাস্তবে ততটা নন। নারীদের মধ্যে থেকে কেউ ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক গণজোয়ার বা মতামত তৈরি করতে পারবেন—এমন রোল মডেল থাকা প্রয়োজন হলেও বাস্তবে তেমন কেউ হয়ে উঠতে পারেননি বা আপাতত তেমন সম্ভাবনাও নেই। যা হতে পারে, তা সর্বজনীন সামাজিক আন্দোলন। উদ্যোগ নেওয়া শুরু হলেই পথও বেরিয়ে আসবে নিশ্চিত। এ রকম উদ্যোগই প্রয়োজন এই সময়ে।

লেখক: নৃবিজ্ঞানী, কানাডার মানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো।