চট্টগ্রামে সড়কে পশুর হাট

সড়ক হাট বসানোর জায়গা নয়। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরে সড়কের ওপর তিনটি কোরবানির পশুর হাট বসানো হয়েছে। সড়কে হাট বসলে যা হওয়ার তা-ই 

হচ্ছে, দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সেই পথে চলাচলকারী লোকজন। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। 

সোমবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই তিনটি পশুর হাট বসানো হয়েছে নগরের এম এ আজিজ সড়ক (বিমানবন্দর সড়কের একটি অংশ) এবং এর সঙ্গে যুক্ত সড়কের ওপর। হাট বসানোর কারণে সড়কে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। অথচ পশুর হাটের ইজারাদারদের প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল যে গাড়ি ও জনসাধারণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোনো পশুর হাট বসানো যাবে না। হাটের ইজারাদারেরা যে এ নির্দেশনার কোনো তোয়াক্কা করেননি, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। এম এ আজিজ সড়কের ওপর এখন চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। সে জন্য জনগণকে এমনিতেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখন নির্মাণকাজের ভোগান্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাস্তার ওপর পশুর হাট বসানোর দুর্ভোগ। 

 নিজেদের স্বার্থের জন্য ইজারাদারদের উচিত নয় এভাবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা। সিটি করপোরেশনের নির্দেশনা উপেক্ষা করার জন্য যদি তাঁদের শাস্তি পেতে হতো, তা হলে তাঁরা হয়তো এভাবে সড়কের ওপর পশুর হাট বসাতেন না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উচিত অবিলম্বে এসব পশুর হাট অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। যেসব ইজারাদার এভাবে নির্দেশনা উপেক্ষা করে সড়কে পশুর হাট বসিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। 

প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় সিটি করপোরেশনের অনুমতি না নিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা অবৈধভাবে পশুর হাট বসাচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও সিটি করপোরেশনকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁদের নাম কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে তাঁরা এভাবে অবৈধভাবে পশুর হাট না বসাতে পারেন। 

ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরে নগরে পশুর হাট বসবে—এটাই স্বাভাবিক। ঈদের পাঁচ দিন আগে হাট বসানোর কথা থাকলেও রাজধানীসহ অন্যান্য নগর ও পৌরসভায় দেখা যায় এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। কোথাও ১০ দিন আগে হাট বসে, কোথাও সাত দিন আগে হাট বসছে। নির্ধারিত সময়ের আগে হাট বসলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যা হয়। হাটের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা-নেওয়ার জন্য ট্রাক চলাচল করায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। 

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও তৎপর হতে হবে। কোনো ইজারাদার যাতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পশুর হাট না বসাতে পারেন, সেদিকে তাদের নজর রাখতে হবে।