সাম্প্রতিক ভর্তি জালিয়াতি ও বিবেকের বৈকল্য

>
প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক নীতিহীনতা নিয়ে লিখেছেন এম এম আকাশ, কাবেরী গায়েন, জোবাইদা নাসরীন, নূরুজ্জামান, তানজীমউদ্দিন খান, কাজী মারুফুল ইসলাম, সামিনা লুৎফা, আকসাদুল আলম  ও রোবায়েত ফেরদৌস

বলতে দ্বিধা নেই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বশাসনের অধিকারবোধটি প্রায় হারিয়ে গেছে জ্ঞানের অচর্চায়, ক্ষমতার আকর্ষণে। স্বাধীন জ্ঞানচর্চার সঙ্গে কর্তৃত্বপরায়ণ রাষ্ট্রক্ষমতার যে বিরোধ রয়েছে, আমরা তা বেমালুম ভুলে গেছি। নীতিহীন ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক অন্ধ দলীয় রাজনীতির জন্য মুক্তচিন্তা আর বিবেকের স্বচ্ছতাকে বিসর্জন দিতে আমাদের একবিন্দুও বাধে না। দলীয় রাজনীতিতে ব্যক্তিগত বিশ্বাস আর অন্ধভাবে দলীয় স্বার্থের অনুসরণ যে এক নয়, এ বোধও আমরা ভুলে গেছি। অন্ধ দলীয় আনুগত্য, পদ-পদবি বা ক্ষুদ্র লাভের আশায় শিক্ষকদের কি নিজেদের বিবেক বেচে দেওয়া সাজায়? অথচ দেখি, জাতীয় রাজনীতির গতিধর্মের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর একশ্রেণির শিক্ষক নিজেদের মিলিয়ে ফেলেছেন। ফলে, নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় ও স্বাধীন অস্তিত্ব তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় পর্যায়ে চর্চিত অগণতান্ত্রিক রাজনীতির নীতিহীন ভয়াবহতা যেমন গ্রাস করছে শিক্ষার্থীদের, তেমনি শিক্ষকদেরও।

প্রায় শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গর্ব করার মতো এখন অনেক কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। আর এই নেই-নেইয়ের মধ্যেই বুক চিরে গর্ব নিয়ে এত দিন দাঁড়িয়ে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। কিন্তু এবারের অভিযোগ সেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়েই। সন্ধ্যাকালীন কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এ অভিযোগ ভয়াবহ। ডাকসু ও হল সংসদের সাত নেতার বৈধ ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা। তাঁদের নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়া শেষ হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু তাঁদের সাধ জেগেছিল ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। ক্ষমতাসীন দলের হয়ে নির্বাচন করলে জেতা কোনো ব্যাপার নয়। তাঁদের এই মনোবাসনা পূর্ণ করতে দফায় দফায় ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানদণ্ড পাল্টাতে থাকে ডাকসু আয়োজনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রথমে সিদ্ধান্ত হয় নিয়মিত (অনার্স ও মাস্টার্স) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। পরে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের চাপে কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যাকালীন শিক্ষার্থীদেরও নির্বাচনে যোগ্য বলে ঘোষণা দেয়। তারপরই শুরু হয় তোড়জোড়। সান্ধ্যের দিকে উঁকিঝুঁকি দেন নেতারা। নির্বাচনের আগমুহূর্তে বিজনেস অনুষদের একটি সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্স প্রোগ্রামে তাঁরা ভর্তি হন। অভিযোগ ওঠা সবাই একটি নির্দিষ্ট বিভাগের সন্ধ্যাকালীন কোর্সের ছাত্র! ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল ওই প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়। তাঁরা এবং ভর্তির দায়িত্বরত শিক্ষকেরাও সেটা নিশ্চিতই জানতেন। তবে উচ্চাকাঙ্ক্ষী নেতাদের কাছে কিসের নীতিমালা? নিয়ম থাকলেও তাঁরা কেউই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি এবং অংশগ্রহণ না করেই তাঁরা কেবল নির্বাচন করার জন্য ‘অছাত্র’ থেকে ‘ছাত্র’ হয়ে উঠেছিলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সহযোগিতা করেছেন সেই বিভাগ এবং অনুষদের ডিন। তবে ওই আটজন বা কেবল ডিন এর সঙ্গে জড়িত নন।

পত্রিকার রিপোর্ট ভয়াবহ: ‘অবৈধভাবে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ৩৪ জনের মধ্যে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের সম্পাদক ও সদস্য পদে নির্বাচনে আটজন অংশ নেন, বিজয়ী হন সাতজন। এ ছাড়া দুটি হল সংসদের ভিপি পদে অংশ নেন দুজন। উপাচার্য ও ডিনের চিরকুটের মাধ্যমে পরীক্ষা ছাড়াই ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার অব ট্যাক্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছিলেন তাঁরা’ (প্রথম আলো, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯)। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী নিয়মের বাইরে গিয়ে অনিয়মের সুবিধাপ্রাপ্ত এই শিক্ষার্থীরা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে তাঁরা পরীক্ষা দেননি। এই জালিয়াতির দায় ও দায়িত্ব কে নেবে? এর কি সুষ্ঠু তদন্ত হবে? দোষী ব্যক্তিদের কি শাস্তি হবে? যাঁদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরেক দফা ধূলিসাৎ হলো, তাঁদের কি কাঠগড়ায় আনা হবে? সংশয়ভরা মন নিয়ে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত কঠিন পরীক্ষা হিসেবেই দীর্ঘদিন ধরে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই পরীক্ষা পরিচালনা এবং এর ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ ছিল না। তারপরও কয়েকটি ভুয়া ভর্তি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সিন্ডিকেট কঠোর অবস্থান নেয়। এখন প্রশ্ন হলো, যে সিন্ডিকেট ভুয়া ভর্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং তাদের সার্টিফিকেট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাদেরই কেউ কেউ কীভাবে পথ খোলা রাখে নিয়মবহির্ভূত ভর্তির? নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তির সঙ্গে জড়িত প্রশাসনে থাকা শিক্ষকেরা কী বার্তা দিলেন? দিলেন যে ক্ষমতায় থাকা কিংবা ক্ষমতার সিঁড়ির ওপরের ধাপে যেতে তাঁরা দলকানা হয়ে যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। সেখানে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন তো দূরে থাক, কোনো ধরনের নৈতিকতারই তোয়াক্কা করেন না।

এখানে নিয়মকানুন ব্যক্তি ও সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থনির্ভর। ক্ষমতাসীন হলে বা নিদেনপক্ষে ক্ষমতাসীন দলের সেবক হতে পারলে ‘অনিয়মও নিয়ম’ আবার ‘নিয়মও অনিয়ম’। এ যেন জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমেল ফার্ম’-এর কথা মনে করিয়ে দেয়: ‘অল আর ইকুয়াল বাট সাম অর মোর ইকুয়াল দ্যান আদারস’। তাই জবাবদিহিবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে আসীন ব্যক্তি কখনো কখনো নিজেই আইনে পরিণত হয়ে পড়ছেন বা দুর্জন হয়ে উঠছেন নিজের আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার জন্য। কী নির্মমভাবেই না আমরা জেনে গেছি, ক্ষমতার সেবা করতে গিয়ে এই সেবকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে, নিয়মকানুন-নৈতিকতাকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন প্রতিদিন প্রতিনিয়ত। অনৈতিকতার আশ্রয় নিচ্ছেন ক্ষমতাসীনদের তুষ্ট করার জন্য। আর বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্ধকার গলিতে দাঁড় করিয়ে পরিয়ে দিচ্ছেন অনৈতিক প্রতিযোগিতা আর অনিয়মের জামা।

আসলে বিবেকের সদর দরজা বন্ধ রেখে ভবনের খিড়কি খুলে রাখলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান পরিস্থিতি এক দিনে তৈরি হয়নি, এ এক দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফল। ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হারিয়ে গেছে সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি। উপাচার্যসহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদের বণ্টন হয় রাষ্ট্রক্ষমতা তথা রাজনীতির সঙ্গে নৈকট্য আর ব্যক্তিগত আনুগত্যের ভিত্তিতে। শিক্ষকরাজনীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল, আছে, থাকবে। কিন্তু অতীতের সঙ্গে বর্তমানের পার্থক্য হলো নব্বইয়ের দশকের পর থেকে শিক্ষকরাজনীতি মোটাদাগে জাতীয় পর্যায়ের অপরাজনীতির অনুসারী ও চর্চাকারী হয়ে পড়েছে। সিভিল সমাজের প্রাগ্রসর অংশটি আজ আত্মসাৎ হয়ে গেছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দ্বারা। ফলে, পেশাগত সততা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বকীয়তার বদলে প্রায় প্রতিদিন দেখা যায়, শিক্ষকদের একাংশের বিবৃতি কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ অবলম্বন করে, যা ক্রমে আমাদের দেউলিয়াত্বকেই মূর্ত করে তুলছে।

দুঃখজনক যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পদকে সব সময় ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন আর দলীয় রাজনীতির আধিপত্য বিস্তারের জন্য। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ক্রীড়নকে পরিণত হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। অথচ আমরা দাবি করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন আছে। বিশ্ববিদ্যালয় চলছে ৭৩-এর আদেশ বলে। যে উদ্দেশ্যে ৭৩-এর আদেশ প্রণয়ন করা হয়েছিল, তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে দেখি ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা অনুয়ায়ীই বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অতি তুচ্ছ বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসে রাষ্ট্রের ওপর মহল থেকে। তাই বাস্তবিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বায়ত্তশাসন’-এর পরিবর্তে বিভিন্ন চেহারায় বিরাজ করছে সরকারি দলের ‘আয়ত্তশাসন’।

জাতীয় রাজনীতির অপচ্ছায়া মূলধারার ছাত্ররাজনীতিতেও প্রকট। রাজনীতির চর্চায় আদর্শ পুরোপুরি লোপ পেয়েছে। ছাত্ররাজনীতি এখন নেহাতই পেশা বা বিনা পুঁজির ব্যবসা। এর সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে অনিয়ম, জালিয়াতি, কালোটাকা, সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক আর ঠিকাদারি ব্যবসা। কোনো কোনো ছাত্রনেতা হেলিকপ্টার চড়েন, ৬০ লাখ টাকার গাড়িতে চলাফেরা করেন। শোনা যায়, কোনো কোনো নেতা এখন সার্বক্ষণিক ব্যক্তিগত সচিবও রাখেন। যে রাজনীতি এমন জৌলুশে ভরা, ধনী আর সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ার সহজ সিঁড়ি, সেখানে নৈতিকতার স্থান কোথায়? সেই জৌলুশপূর্ণ রাজনীতির জন্য জাল-জালিয়াতি, মরিয়া আর সহিংস হয়ে ওঠা তাই স্বাভাবিক বৈকি। শিক্ষাঙ্গনের যে নিয়ন্ত্রণ কারও নিশ্চিত অর্থের নিশ্চয়তা দেয়, সেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাত থাকাটা স্বাভাবিক। অছাত্ররা তাই চিরকুটে ভর্তি হয়ে ডাকসুর নেতা বনে যাচ্ছেন।

দুষ্ট রাজনীতির গ্রহণকালে তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় চিন্তার জট লেগেছে, বিবেকের বৈকল্য দেখা দিয়েছে। তবু আমরা আশাবাদী। আমরা মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটের মূল কারণ কাঠামোগত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এত বছর পরেও এখনো কোনো দায়বদ্ধতার কাঠামো তৈরি হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বা শিক্ষকদের ‘জবাবদিহির’ কোনো কাঠামো এখানে নেই। ফলে সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যর্থ হচ্ছে; যদিও বিশ্ববিদ্যালয় চলে জনগণের টাকায়। অনেক দেরি হয়ে গেছে, তবু এখনো যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি পর্যায়ে কার্যকর জবাবদিহির সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায়, তবেই বিশ্ববিদ্যালয় তার হৃত গৌরব ফিরে পাবে। একই যুক্তি বর্তায় ছাত্ররাজনীতির ক্ষেত্রেও। তাদেরও দায়িত্ব হবে নিজেদের বিবেকের আয়নায় চোখ রাখা। এ রকম আদর্শহীন দেউলিয়াসর্বস্ব রাজনীতি তাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে, সেটা ভাবা। যে রাজনীতির প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ নেই, কী হবে সেই রাজনীতি করে? জাতীয় রাজনীতির নোংরা গীতে আটকে না থেকে তাদেরও উচিত হবে বিবেকের সালতামামি করা। নতুন শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন রাজনীতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা। প্রাচীন, প্রচল, বাতিল, দুষ্ট আর ঘুণে ধরা রাজনীতি দিয়ে নতুন প্রজন্মকে যে আর আকৃষ্ট করা যাবে না, তা বেশ স্পষ্ট। যে কারণে নতুন প্রজন্ম রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছে।

শেষে বলছি, বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে চলছে, সেভাবে আর চলতে পারে না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন আর ফটকের দরজা হয়তো খোলা আছে ঠিকই কিন্তু চিন্তা, নিয়মনীতি, গবেষণা আর সৃজনশীল চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন স্থায়ী ধর্মঘট চলছে, সেই ধর্মঘট ভাঙা আজ সময়ের দাবি।

এম এম আকাশ, কাবেরী গায়েন, জোবাইদা নাসরীন, নূরুজ্জামান, তানজীমউদ্দিন খান, কাজী মারুফুল ইসলাম, সামিনা লুৎফা, আকসাদুল আলম ও রোবায়েত ফেরদৌস: লেখকবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক