সাবেক সভাপতির কাণ্ড

ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শারফিন আক্তারকে বের করে দেন। কারও সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ থাকলে তিনি বিদ্যালয়ে এসে কোনো শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দিতে পারেন না। তাঁর এ অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করায় তিনি প্রধান শিক্ষককে লাঠিপেটা করেন। এ ঔদ্ধত্য কোথায় পেলেন তথাকথিত এই শিক্ষানুরাগী? এ ধরনের ব্যক্তি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে যত দূরে রাখা যাবে, ততই মঙ্গল।

থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করেছে। যে ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করেছেন, তাঁর কঠিন শাস্তি হতে হবে। শিক্ষার্থীদের সামনেই ঘটনা ঘটেছে। ফলে সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব নেই। এখন পুলিশের দায়িত্ব মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত বিচারের পথ উন্মুক্ত করা। এ ধরনের ব্যক্তি সহজে পার পেলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা যেমন বিঘ্নিত হবে, তেমনি শিক্ষাঙ্গনও কলুষিত হতে থাকবে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। কিছুদিন আগে পাবনার বেড়ায় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ওপর চড়াও হয়েছিলেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি। কারণ, সরকারি বরাদ্দ খরচের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ করা হয়নি।

আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের স্থানীয় নেতারা হঠাৎ শিক্ষাবান্ধব হয়ে যান এবং নানা প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয় ও কলেজের পরিচালনা কমিটির প্রধান হয়ে নানা অপকর্ম করতে থাকেন। অনেক সময় তাঁরা শিক্ষকদের দুর্নীতি করতেও বাধ্য করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে হলে পরিচালনা কমিটিতে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতেই হবে।