পেঁয়াজের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কথা

পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হয় কাল। এক কেজিতে ছোট ও মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ ওঠে ৪০ থেকে ৪৫টি। হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। গতকাল লক্ষ্মীবাজারের গোবিন্দ দত্ত লেনে।  ছবি: হাসান রাজা
পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হয় কাল। এক কেজিতে ছোট ও মাঝারি আকৃতির পেঁয়াজ ওঠে ৪০ থেকে ৪৫টি। হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। গতকাল লক্ষ্মীবাজারের গোবিন্দ দত্ত লেনে। ছবি: হাসান রাজা

হত্যা, ধর্ষণ, দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ইত্যাকার নানা দুঃসংবাদে ভরা সংবাদমাধ্যমে একটা ইস্যু কিছুদিন ধরে চাঞ্চল্যের কারণ হয়ে বিরাজ করছে। ইস্যুটা হত্যা–ধর্ষণের মতো সহিংস নয়, সড়ক–রেল দুর্ঘটনার মতো ট্র্যাজিকও নয়। যে দেশে গুরুতর দুঃসংবাদ ছাড়া সংবাদমাধ্যম জনমনে সাড়া ফেলতে পারে না, সেই দেশের সংবাদমাধ্যমে পেঁয়াজ একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী চরিত্র হিসেবে কিছুদিন ধরে দৌরাত্ম্য করছে। এ বিষয়ে সর্বশেষ খবর হলো, বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে। গতকাল শুক্রবার সংবাদমাধ্যম বলল, এখন এক কিলোগ্রাম পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা। এতকাল পেঁয়াজের উচ্চমূল্য বোঝাতে সংবাদপত্রগুলোতে ‘ঝাঁজ’ শব্দটা ব্যবহার করা হতো। শুক্রবারের প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে লেখা হয়েছে ‘পেঁয়াজের চোটপাটে ক্রেতা দিশেহারা’। ‘চোটপাট’ শব্দটা পেঁয়াজকে ব্যক্তিত্ব দান করেছে।

পথেঘাটে, অফিসে–বাজারে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেঁয়াজের ‘চোটপাট’ নিয়ে কথা হচ্ছে। কিছু লোকের অভিযোগ এ রকম যে পেঁয়াজ বাংলাদেশের বাজারে চোটপাট দেখাতে পারছে ভারতের কারণে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, আমাদের চলমান পেঁয়াজ সংকট নাটকে ভারতই প্রধান চরিত্র; এবং তার ভূমিকা হিংসুটে ধরনের। আমাদের এই বড় প্রতিবেশী আমাদের দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে বলেই আমাদের বাজারে পেঁয়াজের ‘ঝাঁজ’ বেড়ে ‘চোটপাটে’ রূপান্তরিত হতে পেরেছে।

তারা এ রকম অভিযোগ তোলার সুযোগ পেয়েছে এ জন্য যে ভারত সরকার গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ভারতের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর কোনো দেশেই পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারছেন না। ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ। পৃথিবীতে বছরে মোট যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়, তার প্রায় ২৫ শতাংশই উৎপন্ন হয় ভারতে। আর দেশটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে; সে দেশের মোট উৎপাদনের ৪৫ শতাংশই উৎপন্ন হয় এই দুটি রাজ্যে। এ ছাড়া গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ আর পশ্চিমবঙ্গেও পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। ভারত তার গোটা জনগোষ্ঠীর মোট চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন করে। তাদের বার্ষিক মোট চাহিদা ১৫–১৬ মিলিয়ন টন, আর বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ ২২–২৩ মিলিয়ন টন। তারা উদ্বৃত্ত পেঁয়াজ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। দ্য ইকোনমিক টাইমস–এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত ২০১৮ সালে ১৯ লাখ ৯০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে।

অর্থনীতির সরল হিসাব হলো, কোনো দেশে কোনো পণ্য উদ্বৃত্ত পরিমাণে উৎপন্ন হলে তার উদ্বৃত্ত অংশ বিদেশে রপ্তানি করতে হয়, নইলে উৎপাদনকারীদের পথে বসতে হয়। ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও অন্যথা হওয়ার সুযোগ নেই। উৎপাদন বেশি হওয়ার ফলে এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে বিপণন ও সরবরাহ লাইনে নানা কারসাজির কারণে কোনো কোনো বছর পেঁয়াজের দাম খুব কমে যায় এবং পেঁয়াজচাষিদের মধ্যে ক্ষোভ–বিক্ষোভ দেখা দেয়। চলতি বছর ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন আগের বছরের চেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল, তাই তারা যথারীতি পেঁয়াজ রপ্তানি করে যাচ্ছিল এবং তা করে ভালোই দাম পাচ্ছিল। কিন্তু আবহাওয়ার উল্টাপাল্টা আচরণ, অকালে অতিবৃষ্টির ফলে, বিশেষত মহারাষ্ট্রের কয়েকটি অঞ্চলে পেঁয়াজ উৎপাদন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়তে শুরু করে। বাড়তে বাড়তে আগস্ট–সেপ্টেম্বরে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৮০ রুপিতে উঠলে ভারত সরকার ভয় পেয়ে যায়।

কারণ, পেঁয়াজ ভারতে এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক চরিত্র। ১৯৮০ সালে জনতা দলের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় জোট সরকারের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিল পেঁয়াজ। বিভিন্ন সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে পেঁয়াজ সংকটেই কেন্দ্রীয় সরকারের পতন ঘটেছে। তারপর ১৯৯৮ সালে বিজেপি যখন দিল্লি ও রাজস্থানে ক্ষমতায়, তখন এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম সাত গুণ বেড়ে গেলে দিল্লিতে ২০ হাজার মানুষের বিক্ষোভ মিছিল বেরিয়েছিল। অনেকে পেঁয়াজের মালা গলায় দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল। সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছিল (পাকিস্তান সরকার তাতে বাদ সাধেনি, কারণ সে সময় পাকিস্তানে পেঁয়াজের সংকট ছিল না, দাম ছিল ভারতের তুলনায় অর্ধেকের কম; ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি করে পাকিস্তানের পেঁয়াজচাষি ও ব্যবসায়ীদের লাভ হয়েছিল। এটাই অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়ম।) ভারত সরকার বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি দিয়ে ট্রাকে করে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিল; সেসব ট্রাকে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ঠেকাতে পুলিশকে অনেক জায়গায় লাঠি ব্যবহার করতে হয়েছিল। কিন্তু কোনো কিছুতেই দিল্লি ও রাজস্থানের তৎকালীন সরকার জনগণের ক্ষোভ কমাতে পারেনি। সে বছরের বিধানসভা নির্বাচনে দুই জায়গাতেই বিজেপি সরকারের পতন ঘটেছিল।

১৯৯৮ সালে ভারতের সেই পেঁয়াজ সংকট নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় এক দীর্ঘ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল; শিরোনাম ছিল ‘ইন্ডিয়াস হটেস্ট পলিটিক্যাল ইস্যু: দ্য প্রাইস অব অনিয়নস’। সে বছরের পেঁয়াজ সংকটের কথা এখনো ভারতে সংবাদমাধ্যমে ‘দ্য গ্রেট অনিয়ন ডিজ্যাস্টার’ নামে উল্লেখ করা হয়।

ভারতে আবারও ‘গ্রেট অনিয়ন ডিজ্যাস্টার’ দেখা দিয়েছিল ২০১০ সালে। সেবারও পেঁয়াজের মালা গলায় পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন রাস্তায় রাস্তায় মিছিল করেছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে পেঁয়াজের ফসলহানির সঙ্গে সেবার যোগ হয়েছিল মজুতদারি আর ব্যবসায়ীদের কারসাজির অভিযোগ। বাজার পর্যবেক্ষকেরা সরকারকে বারবার সতর্ক করেছিল যে পেঁয়াজের সংকট ঘনীভূত হচ্ছে, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন, নইলে পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে আকাশে গিয়ে ঠেকবে। কিন্তু সরকার সব সতর্কতা অগ্রাহ্য করে বলে চলেছিল যে দেশে পেঁয়াজের মজুত যথেষ্ট আছে। কিন্তু দাম বাড়া অব্যাহত ছিল; কেজিপ্রতি দাম ৯০ রুপিতে উঠলে সরকারের টনক নড়েছিল। তখন পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করে উল্টো আমদানি করা শুরু হয়। সবচেয়ে কম সময়ে ও কম খরচে আমদানির উৎস ছিল পাশের দেশ পাকিস্তান, যারা নাকি ভারতের জানি দুশমন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার সেবারও দুশমনি করেনি। তারা ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল।

এবার ভারতের পেঁয়াজ সংকট সম্ভবত অতীতের সংকটগুলোর চেয়ে বেশি তীব্র। কিন্তু ভারত সরকার প্রথমে তা খুব একটা আমলে নিতে চায়নি। ভারতে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ দুর্বল বলে ধারণা করা হয়। অনেক ভারতীয় বিশেষজ্ঞের অভিযোগ, দেশটিতে নানা সময়ে পেঁয়াজের ফসলহানি সত্ত্বেও এত বেশি ঘাটতি সৃষ্টি হয় না, যাকে পেঁয়াজের সংকট বলা যেতে পারে। পেঁয়াজ নিয়ে তাঁদের সমস্যা শুধু মজুত ঘাটতির সমস্যা নয়, উদ্বৃত্ত পেঁয়াজের সুবিপণন নিশ্চিত করতে না পারার সমস্যাও বটে। সরবরাহ ও বিপণনব্যবস্থায় সংঘবদ্ধ কারসাজির কারণে সরকার অনেক সময় বুঝতে পারে না মজুতের প্রকৃত পরিস্থিতি কী। বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছে—এ রকম খবর প্রচারিত হলে বাজারে দাম বাড়তে শুরু করে। সরকারি কর্মকর্তারা মনে করেন, ফসলহানির আওয়াজ পেয়েই মতলববাজ ব্যবসায়ীরা গোপনে মজুতদারি শুরু করে দাম বাড়ান। বাস্তবে এ রকম ঘটেও। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দিলে অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্টো ফল হতে পারে, এমন অভিজ্ঞতাও তাদের আছে। সে ক্ষেত্রে পেঁয়াজচাষিদের ক্রুদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি বিরাট।

তাই ভারত সরকার প্রথমে পেঁয়াজ রপ্তানি কমাতে চেয়েছিল, পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে চায়নি। পেঁয়াজের কেজি ৭০ রুপির ওপরে উঠলে সরকার রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে ১৩ সেপ্টেম্বর ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য বেঁধে দিয়েছিল। আদেশ জারি করেছিল, ভারত থেকে কেউ টনপ্রতি ৮৫০ মার্কিন ডলারের কম দামে বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবে না। কিন্তু তাতে কোনো সুফল ফলে না, পেঁয়াজের দাম বাড়া অব্যাহত থেকেছে। এটা দেখে বিজেপি সরকার ভীষণ ভয় পেয়ে গেছে; কারণ তাদের খুব ভালোভাবে জানা আছে পেঁয়াজের দাম বাড়ার ফলে ১৯৯৮ সালে দিল্লি ও রাজস্থানে তাদের দুর্দশা হয়েছিল। এমনিতে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভালো নয়; তারা বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জিতেছে বটে, কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। নানা কারণে মানুষের মধ্যে যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ও হচ্ছে, তা ধামাচাপা দেওয়ার মতলবে ধর্মীয় ইস্যু টেনে আনছে। এর মধ্যে পেঁয়াজের ‘চোটপাটে’ দিশেহারা হয়ে ভারতমাতার সন্তানেরা ক্রুদ্ধ–বিক্ষুব্ধ হয়ে পেঁয়াজের মালা গলায় পরে রাস্তায় নেমে আসুক—বিজেপি সরকার এটা মোটেও চায় না। তাই ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে উল্টো বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে।

কিন্তু তারপরও ভারতের বাজারে পেঁয়াজের চোটপাট কমছে না। শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম লিখেছে, সে দেশে এখন পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০০ রুপিতে পৌঁছেছে।

এই অবস্থায় বাংলাদেশে যখন পেঁয়াজের ‘চোটপাট’ নিয়ে সমাজে, সংবাদমাধ্যমে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, এমনকি জাতীয় সংসদেও কথা হচ্ছে, তখন ভারতের নাম অনুচ্চারিত থাকতে পারছে না। কারণ, পেঁয়াজের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিবিড়। কিন্তু আমাদের কথাবার্তায় পেঁয়াজের ‘চোটপাটের’ জন্য প্রধানত কিংবা শুধুই ভারতকে দায়ী করার প্রবণতার সঙ্গে অর্থনীতির সম্পর্ক কম, মানসিকতার সম্পর্কই বেশি। আমরা বুঝতে অক্ষম যে ‘ভাতে মারা, পানিতে মারা’র মতো করে ভারত আমাদের পেঁয়াজে মারার উদ্দেশ্যে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়নি; নিজের ঠেলা সামলাতে দিশা পাচ্ছে না বলেই সারা পৃথিবীতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কেন প্রশ্ন তুলছি না, পেঁয়াজের সংকট কাটানোর জন্য আমাদের সরকার সেই সেপ্টেম্বর মাস থেকে কী করেছে? পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, পেঁয়াজের দাম আর বাড়বে না—এই ধরনের অসার কথাবার্তা বলে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা জনগণের সঙ্গে মশকরা করে চলেছেন, আর পেঁয়াজের চোটপাট বেড়েই চলেছে। কেন? জনগণের কাছে কি তাঁদের কোনো জবাবদিহির দায়বোধ নেই?

মশিউল আলম: প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক
[email protected]