রোহিঙ্গাদের শিক্ষা-সহায়তায় ভুল না হোক

সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ছাড়া শুধুই শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষাদান পরিকল্পনা হবে আরেকটি ভুল। ছবি: রয়টার্স
সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ছাড়া শুধুই শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষাদান পরিকল্পনা হবে আরেকটি ভুল। ছবি: রয়টার্স

গত বছরের সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারে রহিমা আক্তার নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করে দেয় তাঁরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কারণ, তিনি রোহিঙ্গা মা–বাবার সন্তান। বিষয়টি বিশ্বের গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বসহকারে প্রচার পায়। আসলেই ঘটনাটি ছিল প্রচার পাওয়ার মতো। স্বাভাবিকভাবেই মানবিক ভাবনা থেকে অনেকেই আহত হয়েছিলেন। কিন্তু অচিরেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিষয়টি মৌলিক মানবাধিকারের আলাপে পরিণত হলো। জাতিসংঘের সর্বজনীন মৌলিক মানবাধিকার সনদের ২৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী ‘শিক্ষা’ প্রতিটি মানুষের অধিকার। শিক্ষা পাওয়ার অধিকার সর্বজনীন। কোনো অবস্থাতেই কারও শিক্ষা গ্রহণের অধিকারের বাধা হয়ে ওঠা যায় না। জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তিকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। রহিমার ঘটনায় অনেক বিশ্লেষকই বলছিলেন যে জাতিসংঘের ২৬ নম্বর ধারা আমলে নিলে বাংলাদেশ মৌলিক মানবাধিকারও লঙ্ঘন করে বসেছে।

যে প্রশ্নগুলো সবার মনে জড়ো হয়েছিল, সেগুলো হচ্ছে—এক. রহিমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা তো বাংলাদেশে। দুই. তাঁর মা–বাবাও ৩৩ হাজার নথিভুক্ত রোহিঙ্গার অংশ। তিন. তাঁরা এসেছিলেন আগের দফায়, ১৯৯২ সালে মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গা নিধন ও গণবিতাড়নের সময়। চার. বাংলাদেশের বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেই তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাট শেষ করেছিলেন। পাঁচ. ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশে আসা আনুমানিক দুই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের আমজনতার মাঝে মিশে গেছেন। তাঁরা বাংলাদেশি বনে গিয়েছেন, বাংলা শিখেছেন, বাংলাদেশি স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছেন। বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠাও পেয়েছেন। তাঁদের বাংলাদেশি পাসপোর্টও আছে। অনেকে সেসব পাসপোর্টে নানা দেশে ছড়িয়েও পড়েছেন। তাহলে রহিমাকেই কেন সমুদয় খেসারত দিতে হবে? ছয়. তিনি তো ২০১৭ সালের গণহত্যার সময় বাংলাদেশে আসেননি এবং এফডিএমএন (ফোর্সফুলি ডিসপ্লেড মিয়ানমার ন্যাশনালস বা জোরপূর্বক বিতাড়িত মিয়ানমারের নাগরিক) নন। সাত. বাংলাদেশের সংবিধান যেহেতু ‘জুস সলি’ বা জন্মসূত্রে নাগরিকত্বকে অনুমোদন দিয়ে রেখেছে, ক্যাম্পে থাকে বলেই কি কাউকে নাগরিকধর্মী মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায়? আট. আরও প্রশ্ন উঠেছে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগও সীমিত, কিন্তু কোথাও এই রকম প্রোফাইলিং বা বৈষম্য-বিদ্বেষমূলক ঘটনার কোনো উদাহরণ তো নেই!

আগে কমপক্ষে ৪৪টি রিপোর্টে জোর দিয়ে বলা হয়েছিল, শিশু-কিশোরদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থাকেই আটকে পড়া রোহিঙ্গারা তাদের প্রথম এবং প্রধান চাওয়া মনে করছে। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা (ইউনিসেফ), বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) এবং শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ছাড়াও সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ব্র্যাক রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। মানবাধিকার সংগঠনগুলো যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের মানসিক চাপে রেখেছিল। রহিমার ছাত্রত্ব বাতিলের পর স্থানীয় এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের শিক্ষা বিষয়ে নতুন করে জনমত সৃষ্টির সুযোগ পেল। উদাহরণ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট। প্রতিবেদনের শিরোনামটি ছিল বেশ উষ্মাধর্মী। একজন রোহিঙ্গার উক্তি, ‘আমরা কি মানুষ নই?’ এ কথাকেই শিরোনাম করেছিল রিপোর্টটি। এসব চাপ বাংলাদেশের জন্য অসহনীয় ও অস্বস্তিকরই বটে!

চাপ ও সমালোচনার মুখে রহিমাকে পুনরায় ভর্তি করতে বাধ্য হয় তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে এমনি এমনিই সিদ্ধান্তটি নেয়নি, সেই সত্যও বোঝার দরকার আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানত যে ২০১৮ সালের শেষ হতে ২০১৯–এর শুরুর মাসগুলোয় কক্সবাজারের স্কুলগুলো থেকে রোহিঙ্গা ছাত্রছাত্রীদের ছাত্রত্ব বাতিল করছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই এফডিএমএন নয়, ২০১৭ সালের আগে আসা মা–বাবার সন্তান। তাঁদের অনেকের মা–বাবা রেজিস্টার্ড বা নিয়মসিদ্ধ অনুমোদিত রিফিউজি। তাঁদের অনেকের জন্মও এখানেই। অনেক পত্রিকা এবং প্রতিবেদনেই প্রকাশিত হয়েছে যে স্কুল কর্তৃপক্ষ কাজগুলো স্বেচ্ছায় করেনি। ‘ওপরের নির্দেশে করা হচ্ছে’র বেশি অন্য কোনো মন্তব্য করতেও রাজি ছিল না তারা। তবে বোঝা কঠিন নয় যে স্থানীয় অধিবাসীদের অব্যাহত চাপেই হয়তোবা সরকারের দায়িত্বশীল মহল স্কুলগুলোকে এই রকম নির্দেশনা দিতে বাধ্য হয়েছিল। নানা কারণে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে রোহিঙ্গাবিরোধী মনোভাব প্রতিদিনই বাড়ছে।

ছাত্রত্ব বাতিলকরণ অভিভাবকদের মনে করিয়ে দিচ্ছিল তাঁদের জীবনেও ঘটে যাওয়া অনুরূপ ভেদ-বৈষম্যের গ্লানিকর সময়কে। ১৯৯২ সালের রোহিঙ্গা নিধন পর্বের আগে অন্তত একটি দশক, বিশেষত ১৯৮২ সাল থেকে মিয়ানমারের স্কুলগুলোয় রোহিঙ্গা ছাত্রছাত্রীদের আলাদা করে পাঠদান শুরু হয়। তাঁদের ‘কালার’ বা অ-বর্মী বা বহিরাগত নাম দিয়ে পাঠবৈষম্য শুরু করেছিলেন বর্মী শিক্ষকেরা। তখনো ভুক্তভোগীরা বোঝেননি এই বিভেদীকরণ ছিল ‘রোহিঙ্গারা বহিরাগত’—মিথ্যাটিকে সত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও প্রকল্প। বোঝেননি, এটি ছিল কোনো এক সময়ে তাঁদের মিয়ানমার ত্যাগে বাধ্য করার প্রথম ধাপ। সেই অপমানকর অবস্থা তাঁদের সন্তানদের জীবনেও যেন না ঘটে চলে, সে জন্য তাঁরা সাহায্য সংস্থাগুলোর সহায়তা চাইতে নেমে পড়েন। সহায়তা মিলল। সংবাদমাধ্যমও এগিয়ে এল। তখন আন্তর্জাতিক মহলে আরও বেশি বেশি আলোচিত হতে থাকল যে বাংলাদেশ আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কোনোভাবেই পড়াশোনা করার সুযোগ দিচ্ছে না। এমনকি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা–সহায়তার অনুমতিটুকুও কাউকে দিচ্ছে না।

সম্ভবত কৌশলগত কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছিল যে রোহিঙ্গারা সাময়িকভাবে আশ্রিতমাত্র। যেকোনো মুহূর্তে তাঁরা মিয়ানমারে ফিরে যাবেন। বাংলাদেশি কারিকুলামে তাঁদের পড়াশোনা করতে দেওয়া আত্মঘাতী হবে। কারণ, এটি প্রকারান্তরে মিয়ানমারের দাবিই মেনে নেওয়া যে রোহিঙ্গারা আসলেই বাংলাদেশি। নিজ থেকে মিয়ানমারের ফাঁদে বাংলাদেশ পা দেবে কেন? তা ছাড়া তাত্ত্বিকভাবে হলেও রোহিঙ্গা আশ্রিতরা যখন ফেরতই যাচ্ছেন, বাংলায় লেখাপড়া তো কাজে লাগবে না। এটি হবে প্রাতিষ্ঠানিক লোকবল, অর্থ, সময় ও অন্যান্য সম্পদের অপচয়মাত্র। পড়াতে গেলে স্কুলঘর লাগবে। অন্যান্য স্থাপনা লাগবে। স্থাপনা তৈরি করতে দিলে স্কুল-সংশ্লিষ্টতা দেখিয়ে আবাসন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণযজ্ঞ শুরু হলে কোনো কিছুই আর নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। একজন স্থানীয় অধিবাসী আশঙ্কাটিকে আমাদের কাছে এভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘খেতে দিলে শুতে চাইবে, শুতে দিলে ঘরের মালিকানা চাইবে, ঘরের মালিকানা দিলে দেশের ভাগ চাইবে।’ এই মনোভাবের অনুরণন পেয়েছিলাম একজন এনজিওকর্মীর ব্যাখ্যায়ও। তিনি বলছিলেন যে বাংলাদেশের আপত্তির পেছনে যুক্তিটি হচ্ছে অনাগরিকের যেহেতু বাংলাদেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক কোনো সনদই পাওয়ার সুযোগ নেই; যেহেতু প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে তারা বসতেই পারবে না এবং এই শিক্ষা বাংলাদেশে কাজেও লাগাতে পারবে না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদান বিষয়টি নিয়ে অহেতুক চিন্তাভাবনারই–বা কী প্রয়োজন!

আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে চলেছে যে সর্বাংশে সত্য নয় তার অসংখ্য প্রমাণও আছে। ক্যাম্পগুলোয় মিয়ানমারের ভাষায় শিক্ষাদানের ২৭টি স্কুল আছে। স্কুলগুলোর শাখা স্কুলও আছে। কোনো কোনোটির ৬ থেকে ৭টি শাখা স্কুলও আছে। ব্র্যাকের উপ-আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা (এনএফপিই) মডেলে তিন হাজার লার্নিং সেন্টার আছে। সেগুলোর শিক্ষাদান–ব্যবস্থা সমতলের এনএফপিই শিক্ষালয়গুলোর মতো কার্যকর ও ফলদায়ক নয়। তার কারণ দুটি ক্ষেত্র ও পরিস্থিতি এক রকম নয়। এগুলো অনেকটাই শিশুদের ক্রীড়া-কৌতুকের মাধ্যমে অক্ষরজ্ঞান এবং একেবারেই প্রাথমিক মানের সংখ্যাজ্ঞান, হিসাব-নিকাশ শেখার জায়গামাত্র।

আগে শিক্ষাবিষয়ক দু-একটি ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ একটি প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তটি রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণে সুযোগদান–সংক্রান্ত। বাংলাদেশ ১০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে রাজি হয়েছে। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষাদান চলবে। তবে শিক্ষার মূল মাধ্যম হবে বর্মিজ ভাষা। পাঠক্রমও অনুসরণ করা হবে মিয়ানমারেরই। যাঁরা শিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন, তাঁরাও ক্যাম্পে আশ্রিত। মিয়ানমারের শিক্ষাব্যবস্থার কোনো না কোনো পর্যায় পর্যন্ত তাঁরা পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন সম্পূর্ণ স্বশিক্ষিত। একান্তই ব্যক্তিগত আগ্রহে নিজ চেষ্টায় পড়াশোনা শিখেছেন। হস্তশিল্প, কারুশিল্প, চিত্রাঙ্কন, সংগীত, চারণ কবিত্ব ইত্যাদিতে দখল রাখা অনেক গুণী মানুষ এবং শিশু-কিশোরও আছে। ক্যাম্পগুলোতেও শত বাধা সত্ত্বেও তাঁরা শিক্ষাসেবা দান করে আসছিলেন অনেকটা কোচিং সেন্টার এবং প্রাইভেট শিক্ষাদানের আদলে।

হাতের সহজ নাগালে পাওয়া ক্যাম্পনির্ভর জনশক্তিকে শিক্ষাদানের কাজে লাগানোর উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে একটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করা হবে বলে জানা গেছে। কর্মপরিকল্পনায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, তাঁরা যেন ইংরেজি ভাষা শেখানোর ওপর বিশেষ জোর দিয়ে পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করেন। জানা গেছে, পরীক্ষামূলক শিক্ষাদান পর্বে ইংরেজিও শেখানো হবে, তবে তা শেখানো-পড়ানোর মাধ্যম হবে না। ইংরেজি ভাষা শেখাতে এবং একই ভাষায় শেখাতে সক্ষম শিক্ষক পাওয়া দুরূহই হবে সত্য; কিন্তু যে বাস্তবতাটি বিবেচনায় আনতে হবে, তা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সহায়তা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেই করতে হবে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী খুব শিগগিরই মিয়ানমারে ফিরতে পারবেন—না এই বাস্তবতাকে আমলে নিতে হবে। ইংরেজি শেখানোর উদ্দেশ্য হবে, তাঁদের আন্তর্জাতিক জীবন-জগৎ ও কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করে দেওয়া। শুধুই মিয়ানমারের ভাষায় পড়াশোনা করলেন, কিন্তু প্রয়োগের কোনো উপায় বা সম্ভাবনাই যদি না দেখেন, তাঁরা শিক্ষায় আগ্রহী হবেন না। কিংবা দ্রুতই তাঁদের আগ্রহটি মিইয়ে যাবে। ইংরেজির ওপর সবিশেষ জোর দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে আন্তর্জাতিক শিক্ষক-সহায়তা ও শিক্ষা-সহায়তা জোটানো মোটেই কঠিন হবে না। সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ছাড়া শুধুই শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষাদান পরিকল্পনা হবে আরেকটি ভুল। অন্তত রোহিঙ্গাদের শিক্ষা-সহায়তায় বাংলাদেশ কোনো ভুল না করুক।

ড. হেলাল মহিউদ্দীন: অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান; এবং গবেষক, সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।