যারা রাজি হবে, তাদের নিয়েই কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ।
>

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ। এর আগে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি বা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আছে সান্ধ্য কোর্সের সমস্যাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও আছে নানা সমস্যা। এসব নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান ও মোশতাক আহমেদ

প্রথম আলো: ইউজিসিতে যোগদানের আগে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে ভেবেছিলেন, এখন কি তার চেয়ে বেশি, না কম মনে হয়?

কাজী শহীদুল্লাহ: তাঁর চেয়ে বেশিই মনে হয়। কারণ, এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য থাকার সময়ে মূলত কলেজভিত্তিক সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। স্নাতক (সম্মান) খোলা বা পরিচালনা কমিটির সভাপতি কে হবেন, সেগুলোর সমস্যা দেখতে হতো। কিন্তু ইউজিসিতে কাজের চাপ অনেক বেশি, চ্যালেঞ্জও বেশি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তদারকিও করতে হয়।

প্রথম আলো: দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কী ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা দেখতে পেলেন?

কাজী শহীদুল্লাহ: সমাজের সাধারণ যেসব সমস্যা আছে, সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়েও আছে। এগুলো একদিকে চ্যালেঞ্জিং, আবার অন্যদিকে এসব সমস্যা সমাধান করার সুযোগও হলো—এভাবেও দেখা যায়। আগে যেগুলো বলতাম, এখন বাস্তবে করার সুযোগ হলো।

প্রথম আলো: দেশের উচ্চশিক্ষা তদারক করার দায়িত্ব ইউজিসির। কিন্তু সে ধরনের ক্ষমতা কি ইউজিসিকে দেওয়া হয়েছে? তাহলে কাজ করছেন কীভাবে?

কাজী শহীদুল্লাহ: যেকোনো কাজ ব্যক্তিগত উদ্যোগের ওপরও অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে। এটা সত্য যে ইউজিসির সীমাবদ্ধতা আছে। এ সীমাবদ্ধতার কারণে হয়তো দ্রুত সমাধান দিতে পারি না। আমরা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করি। মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেয়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আমি সহযোগিতা পাচ্ছি। যেমন গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ইউজিসির জনবলের সংকট আছে। যেমন যখন বিশ্ববিদ্যালয় কম ছিল, তখনো সদস্যসংখ্যা ও জনবল যা ছিল, এখনো তাই আছে।

প্রথম আলো: কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসি তদন্ত করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও পড়েছে। যেমন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে ইউজিসির তদন্ত দলকে বাধার মুখে ফিরে আসতে হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে আপনাদের করণীয় কী?

কাজী শহীদুল্লাহ: নোয়াখালীর ঘটনাটি আমার আসার আগে হয়েছিল বলে শুনেছি। আমার সময়ে এখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তবে এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে অভিযোগ আসছে। এসব তদন্ত করার জন্যই আলাদা সেকশন, সদস্যসহ জনবল দরকার। আবার এটাও সত্য, তদন্ত করার মতো প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞ লোকও ইউজিসিতে নেই। গভীরভাবে খতিয়ে দেখার মতো আমাদের অভিজ্ঞ লোক নেই। যঁারা যান, তাঁরা সাধারণত শিক্ষক। আবার অন্য কাউকে দিলে সেটার গ্রহণযোগ্যতাও হবে না।

প্রথম আলো: সম্প্রতি রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিষয়ে শিক্ষকদের একটি অংশ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। পত্রপত্রিকায় এসেছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বেশির ভাগ সময়ই ক্যাম্পাসে থাকেন না। এ বিষয়ে ইউজিসির কি কিছু করণীয় নেই?

কাজী শহীদুল্লাহ: রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টিও বোধ হয় তদন্তাধীন। শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না। কারণ, অনেকগুলো ঘটনা তদন্তাধীন।

প্রথম আলো: কিছুদিন আগে আপনারাই বলেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মের ব্যত্যয় হচ্ছে, সেখানে ইউজিসি এসব অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে ব্যবস্থা নিয়েছে?

কাজী শহীদুল্লাহ: কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে না পারাই তো ইউজিসির দুর্বলতা। ক্ষমতা থাকলে তো আমরাই ব্যবস্থা নিতে পারতাম। আমরা চাপ সৃষ্টি করি, গণমাধ্যমও সেটা করে। চাপ সৃষ্টি করলে আশা করি ভালো কিছু আসবে। যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সান্ধ্য কোর্স। মহামান্য রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের জন্যই যে আমরা এ বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে চিঠি দিয়েছি তা নয়, এই কাজ আগে থেকেই করে আসছিলাম। ওনার (রাষ্ট্রপতি) সঙ্গে এটি মিলে গেছে। চিঠিতে শুধু সান্ধ্য কোর্সের বিষয়টিই নয়, আরও বেশ কিছু অনিয়মের কথা উল্লেখ করেছি। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নৈতিকভাবেও চাপ পড়ছে।

প্রথম আলো: আসলেই ইউজিসি সান্ধ্য কোর্স নিয়ে কী করতে চায়?

কাজী শহীদুল্লাহ: আমার ব্যক্তিগত মত হলো, এ বিষয়ে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করা উচিত। কারণ, যখন এটি শুরু হয়, তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ছিলাম। তখন অন্য রকম একটি পরিবেশ ছিল। ব্যবসায় শিক্ষার কয়েকটি বিষয়ে এটি ছিল, কিন্তু এখন যেটা হয়ে আসছে, সেটা অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। এখন তো কোথাও কোথাও বাংলা, ইসলামিক স্টাডিজেও সান্ধ্য কোর্স। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় তো সান্ধ্য কোর্সের জন্য নয়। দিনের পড়াশোনার জন্য। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে গতকাল একটি বিভাগ খোলা হয়েছে, আজকেই সান্ধ্য কোর্স খুলতে হবে।

প্রথম আলো: শিক্ষাবিষয়ক কোর্স-প্রোগ্রাম চালুর জন্য তো ইউজিসির অনুমোদন নিতে হয়, এসব সান্ধ্য কোর্সের জন্য কি অনুমোদন নেওয়া হয়েছে?

কাজী শহীদুল্লাহ: অনুমোদন নিলে তো আর এই প্রশ্ন থাকত না। এটার জন্য তাঁরা আলাদা শিক্ষকও নিচ্ছে না। 

প্রথম আলো: শুধু সান্ধ্য কোর্স নয়, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত বিভাগ খুলছে ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া, যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে এমন ঘটনা ঘটেছে। এখন শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ছে। এ বিষয়ে আপনাদের করণীয় কী?

কাজী শহীদুল্লাহ: আমাদের বার্তা হলো ইউজিসির অনুমোদন না থাকলে সেটা অবৈধ। আগের উপাচার্যের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যাটি হয়েছে। আমি তাঁদের পরামর্শ দিয়েছি, যারা ইতিমধ্যে ভর্তি হয়েছে, তাদের পার করে দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হবে। তারপর এই বিভাগ চলতে পারে না। কারণ, অনুমোদন নেওয়াই হয়নি। এখন তাদের কথামতো হলে তো এ রকম ঘটনা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও শুরু করবে। প্রথমে অনুমোদন না নিয়ে পরে বলবে অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ে তো দেওয়া হয়েছে। এটা হতে পারে না।

প্রথম আলো: বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে আলোচনার বিষয় হলো কেন্দ্রীয়ভাবে বা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি। এটি করার যুক্তি কী?

কাজী শহীদুল্লাহ: শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমাতে গুচ্ছ বা সমন্বিতভাবে পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ কিন্তু আজকের বিষয় নয়। এটি আরও সাত-আট বছর আগের উদ্যোগ। একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী, আজকে চট্টগ্রামে পরীক্ষা দিতে যাবে, তো কালকে খুলনা বা রাজশাহী। এটা বাস্তবসম্মত নয়। আমাদের তো যুগের সঙ্গে থাকতে হবে। গায়ের জোরে একটি বিষয় ধরে রাখলে তো আমরা পিছিয়ে যাব। আমাদের সামনের দিকে এগোতে হবে।

প্রথম আলো: কিন্তু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, তাদের আলাদা থাকবে। তারা এ প্রক্রিয়ায় আসতে চায় না, তাহলে কী করবেন?

কাজী শহীদুল্লাহ: যারা এ পদ্ধতিতে আসার বিষয়ে দোদুল্যমান, তাদের এ মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। কারণ, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কাজ শুরু করা হবে। যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রাজি হবে, তাদের নিয়েই এগোব। না হয় কিছুই করা যাবে না। যারা রাজি হবে না, তারা যদি ২০ বছরেও রাজি না হয়, তাহলে কি জাতি সমস্যা পোহাতেই থাকবে? কেন্দ্রীয় বা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এখন জাতীয় দাবি। তবে উপাচার্যদের বৈঠকে কেউ আপত্তি করেননি। ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য হলো তঁাদের কিছু প্রক্রিয়াগত বিষয় আছে।

প্রথম আলো: এই পরীক্ষা নেবেন কারা?

কাজী শহীদুল্লাহ: মার্চের প্রথম সপ্তাহে এ বিষয়গুলো ঠিক করা হবে। তবে শিক্ষকেরাই এ পরীক্ষা নেবেন। গতবারও সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কিন্তু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে হয়েছে।

প্রথম আলো: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান দুর্বল বলে অভিযোগ আছে। হাতে গোনা কয়েকটি বাদে বাকিদের অবস্থা ভালো নয়, এ বিষয়ে ইউজিসির করণীয় কী?

কাজী শহীদুল্লাহ: মানের জন্য চেষ্টা ও চাপ অব্যাহত আছে। আমি নিজে গিয়েও কথা বলছি। কিছুদিন আগে সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন কমিটির সভার জন্য কত টাকা সম্মানী নেওয়া যাবে, সেটাও ইউজিসি নির্ধারণ করে দিয়েছে। এটা দিয়েছি কারণ আমার কানে এসেছে, এসব সভার নামে কোথাও কোথাও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সম্মানী নেওয়া হয়েছে।

প্রথম আলো: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সমস্যা হলো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য মূল তিন পদ উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়মিত নিয়োগ দেওয়া হয় না। এখনো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব পদ শূন্য। এ বিষয়ে ইউজিসির পদক্ষেপ কী?

কাজী শহীদুল্লাহ: এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও সমস্যা আছে। ট্রাস্টি বোর্ড ও উপাচার্যদের মধ্যে দ্বৈত প্রশাসনের মতো আছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা কাজ করতে পারেন না। তাঁদের ট্রাস্টি বোর্ডের নির্দেশ মানতে হয়। তবে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

প্রথম আলো: অনেকগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। ইউজিসিও তদন্ত করছে। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় উপাচার্য নিয়োগ হয়, সেখানেও তো অস্বচ্ছতার অভিযোগ আছে। এখানে স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রে কোনো প্রস্তাব আছে কি না?

কাজী শহীদুল্লাহ: কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে তো সিনেটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্যানেল থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকিদের ক্ষেত্রে সেটা নেই। তবে সেগুলোর জন্য আরও ভালো কিছু করার চিন্তাভাবনা আছে। সে বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিষয়ে কাজ শুরু করব। কী কী যোগ্যতা থাকলে উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ হওয়া যাবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। পরে মন্ত্রণালয় যার জন্যই সুপারিশ করুক না কেন, এ যোগ্যতাগুলো আছে কি না, সেটা দেখে নেবে। এটা হলে অনুসন্ধান কমিটিরও প্রয়োজন হবে না।

প্রথম আলো: সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। এই যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষায় আসতে অনিচ্ছুক, তারও কারণ অন্যদের মান নিয়ে তাদের প্রশ্ন আছে।

কাজী শহীদুল্লাহ: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মূল সমস্যা হলো শিক্ষার গুণগত মান। গুণগত শিক্ষার জন্য যোগ্য লোককে শিক্ষকতার জন্য নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। শিক্ষকদের অঙ্গীকার থাকতে হবে। কিন্তু আজকে গোটা সমাজেই অবক্ষয় দেখা যাচ্ছে। এর প্রভাব শিক্ষায়ও পড়েছে। দেশে একাডেমিক ডিসিপ্লিনের অভাব, সিস্টেমে চলে না। তবে শিক্ষার মানই হলো আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সংখ্যাগত দিক দিয়ে এখন আর সমস্যা নেই। এখন গুণগত শিক্ষাই বড় চাহিদা।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ

কাজী শহীদুল্লাহ: আপনাদেরও ধন্যবাদ।